মিরপুরের স্লো পিচ নিয়ে ক্রিকেট মহলে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নিজেদের সুবিধার্থেই এমন পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে বাংলাদেশ- এমন কথাও শোনা যায় হরহামেশা। তবে মিরপুরের উইকেট যে স্লো, সেটি সবার জানা। তবে নিজেদের সেই উইকেটেই আজ কাটা পড়েছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডকে ২৫৪ রানে বেঁধে ফেললেও নিজেরা দুইশ’ পার করতে পারেনি লিটনবাহিনী। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাই হারতে হয়েছে ৮৬ রানে।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টির বাধায়।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্কভাবেই করেছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম ৫ ওভারে দুজনই খেলেছেন সতর্কভাবে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কাইল জেমিসনের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল কাট করতে গেলে থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ পেয়ে যান রাচিন রবীন্দ্র। যদিও দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে ৫৭ বলে ৪৪ রান করেন তামিম ও মাহমুদউল্লাহ করে ৭৬ বলে ৪৯ রান। শেষ দিকে নাসুম ২১ রান করেন। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টিম টাইগার্স।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কাইল জেমিসন নেন ২টি এবং স্পিনার ইশ সোধি একাই নেন ৬ উইকেট। সোধিই মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনকে গুঁড়িয়ে দেন। এমন ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠেছে- মিরপুরের কন্ডিশনে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আদৌ হবে কি?
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ব্লাক ক্যাপসরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম ব্লান্ডেল সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। টাইগারদের হয়ে খালেদ আহমেদ ও শেখ মেহেদী নেন তিনটি করে উইকেট।
প্রথম ওয়ানডের মতো গতকালও নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেন মুস্তাফিজুর রহমান। আরেক প্রান্তে খালেদও ভালো বোলিং করেছেন। এই দুই পেসার মিলেই কিউইদের টপ অর্ডার ভেঙে দেন। টপ অর্ডার ব্যর্থতার পর আরও একবার সফরকারীদের হাল ধরেন হেনরি নিকোলস। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইল ইয়াংকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজের করা শর্ট ডেলিভারিতে কাটা পড়েন ইয়াং, ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে। প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাট করা ইয়াং এই ম্যাচে করেছেন ৮ বলে শূন্য রান। এর পরের ওভারেই দ্য ফিজ তুলে নেন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালনের উইকেট। মোস্তাফিজের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে আউট ফিন অ্যালেন। আউট হন ১৫ বলে ১২ রান করে।
বাংলাদেশের ১৪৬তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে পেসার খালেদ আহমেদের। মুস্তাফিজের সঙ্গে এবার উইকেট নেয়ার দৌড়ে যোগ দেন খালেদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেটটি পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি। অষ্টম ওভারে এসে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
দ্রুত তিন উইকেট পড়ার পর উইকেটে এসে এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন হেনরি নিকোলস। টম ব্লান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন নিকোলস। এ দুজনের ব্যাটে ভর দিয়ে ম্যাচে ফিরেছে কিউইরা। প্রথম ৫০ রান তুলতে নিউজিল্যান্ড খরচ করেছিল ৭১ বল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রানের গতি বাড়িয়েছে তারা। পরের ৫০ রান তুলেছে মাত্র ৫০ বলে। ২৬তম ওভারের শেষ বলে নাসুম আহমেদের ওভার পিচ ডেলিভারি লং অনে ঠেলে দিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন ব্লান্ডেল। পরের ওভারে একই মাইলফলকের সামনে ছিলেন নিকোলস। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এবারও ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
উইকেটে এসেই রানের গতি বাড়ানোয় মনোযোগ দিয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছিলেন ব্লান্ডেল। তবে ৩৪তম ওভারে হাসানের ইয়র্কার সামলাতে পারেননি। ৬৬ বলে ৬৮ রান করে হাসানের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট জুটি বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াকু এক স্কোর দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। অষ্টম উইকেটে কাইল জেমিসন ও ইশ সোধি যোগ করেন ৪০ বলে ৩২ রান। এরপর ২০ রান করা জেমিসনকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন শেখ মেহেদী। এরপর অধিনায়ক লকি ফার্গুসনের সঙ্গে ২১ রানের জুটি গড়েন স্পিনার সোধি। পরে অবশ্য আরও কয়েক ওভার স্থায়ী হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু অলআউট থেকে রেহাই পায়নি। ৮ বলের ব্যবধানে শেষের দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ২৫৪ রানে কিউইদের আটকে দেয় বাংলাদেশ।
যদিও ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি টাইগাররা। বলা যায় নিজেদের পাতানো ফাঁদে নিজেরাই ধরা খেয়েছে।
আরও পড়ুন:ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরিসংখ্যানটা যেমন রংধনুর মতো রঙিন, ঠিক তার বিপরীত চিত্র ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে। বড় দলের বিপক্ষে সাদা পোশাকে টাইগারদের পারফরম্যান্সটা বিবর্ণ-ধূসর। অবস্থাটা এমন দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে যে, পাঁচ দিন টিকে থাকাই যেখানে দুষ্কর, সেখানে জয়ের আশা করাটা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়।
এমন হতশ্রী অবস্থা যে দলের, তারা যদি নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করে, তবে সেটি যে অনন্য এক মাইলফলক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে প্রথমবার বনেদি ফরম্যাটের লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেমেছিল ২০০১ সালে; ১৫ টেস্ট পর ২০২০ সালে এসে মাউন্ট মঙ্গাইনুতে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের মাধ্যমে অবসান ঘটেছিল টাইগারদের দুই দশকের আক্ষেপের।
ইতিহাস গড়া সেই জয়ের পর টাইগারদের চোখ ছিল ঘরের মাঠে কিউই বধের। সেটিরও পালা চুকেছে ২০২৩ সালের শেষ দিকে এসে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দলপতি নাজমুল হাসান শান্ত, সতীর্থ মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিং আর তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হতে হয়েছে সফরকারীদের। ১৫০ রানের জয় বাগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি স্বাগতিকরা পেয়েছে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো কিউই বধের স্বাদ।
এক বছরের ব্যবধানে দুটি ঐতিহাসিক জয় বাগিয়ে নিলেও পরিসংখ্যানের দিক থেকে বাংলাদেশ যোজন যোজন পিছিয়ে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১৮ টেস্টের মধ্যে শুধু দুটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৩ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের বড় অর্জন তিন ড্র। দুর্দান্ত এ জয়ে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় বাগিয়ে নেয়া পাকিস্তান শীর্ষস্থানে রয়েছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে। কিউই বধে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারপরই অবস্থান টাইগারদের। ভারত দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিনে। অস্ট্রেলিয়া চারে রয়েছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে।
টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে দুটি দুই জয় পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ৯। একটি করে ড্র ও হার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগে চার পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ ও কিউইরা এক ম্যাচ খেলে জয় না পাওয়ায় এখনও খুলতে পারেনি পয়েন্টের খাতা।
সিলেটের উইকেটে প্রথম ইনিংসে এক ধরনের সংগ্রাম করেই ব্যাটিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ৩১০ রানের পুঁজি পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস।
এরপর বল হাতে তাইজুল কিউইদের টুঁটি চেপে ধরলেও কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক শান্তর ১০৫, মুশফিকের ৬৭, মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০ রানে ভর করে ৩৩৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। আর সেই সুবাদে কিউইদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩১ রানের।
সিলেটের উইকেট সে সময়টাতে পুরোপুরি রূপ নিয়েছে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে, কিন্তু টাইগারদের পারফরম্যান্সের মতোই রহস্যময় হয়ে উঠেছিল সেই উইকেট। ভানুমতির খেল দেখিয়ে সেটি চলে যায় বাংলাদেশের পক্ষে।
ইতিহাস গড়ার মঞ্চটা বাংলাদেশ সাজিয়ে রেখেছিল চতুর্থ দিনেই। শেষ দিনে এসে অপেক্ষা ছিল কেবল নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটারকে মাঠছাড়া করার। আর সেই অপেক্ষার অবসানে লাগেনি বেশি সময়।
এক তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হয়ে মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আর তাতেই বাংলাদেশ লাভ করে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই জয়ের স্বাদ।
কিউই বধের দিনে তাইজুল দ্বিতীয়বারের মতো ঝুলিতে পুরেছেন ১০ উইকেট। এর আগে ২০১৮ সালে এ সিলেটের মাটিতেই প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ১০ উইকেট ঝুলিতে ভরার স্বাদ পেয়েছিলেন টাইগার এ স্পিনার। এতে করে তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এক টেস্টে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট শিকারি বনে গেছেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েছিলেন অনন্য এই কীর্তি।
এদিকে পিছিয়ে থাকেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনি নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের পাশে। ম্যাশ ও সাকিবের মতো শান্তও জয় বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে।
আরও পড়ুন:স্বর্ণা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে রোববার ১৩ রানের জয় পায় টাইগ্রেসরা।
ম্যাচে চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে প্রোটিয়াদের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন স্বর্ণা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিনের উইলোমুর পার্কে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ১৪৯ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৯ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। অন্যদিকে ২১ বলে ছয় বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
এ দুজনের বাইরে ২৪ বলে ২৪ ও ১৭ বলে ১৬ রান করেন শামিমা সুলতানা ও সোবহানা মুস্তারি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বর্ণার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলটির হয়ে ৪৯ বলে ৯ চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার অ্যানেকে বোশ। এ ছাড়া ২৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩০ রান করেন আরেক ওপেনার তাজমিন।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫০ রানে হেরেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে দলটি। পঞ্চম দিনে এসে ১৮১ রান করে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
টাইগারদের হয়ে কিউই শিবিরকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের ছয় ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন, ছয় রান করা টম ব্লান্ডেল, ৯ রান করা কাইলি জেমিসন, ২২ রান করা ইশ সোধি ও ৩৪ রান করা টিম সাউদিকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি চারটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান। তাদের মধ্যে শরিফুল ও মিরাজ একটি করে এবং নাইম নেন দুটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কিউইরা।
সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পরাজয়ের সামনে রয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলেছে দলটি।
জয়ের জন্য সফরকারীদের এখনও দরকার ২১৯ রান। হাতে আছে তিনটি উইকেট। ড্যারিল মিচেল ৪৪ ও ইশ সোধি ৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে কিউই শিবিরে বড় আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের চার ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন, ছয় রান করা টম ব্লান্ডেল ও ৯ রান করা কাইলি জেমিসনকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি তিনটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কিউইরা।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেকায়দায় পড়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের চতুর্থ দিন শুক্রবার ৮১ রান তুলতেই ছয়টি উইকেট হারিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশের হয়ে কিউই শিবিরে বড় আঘাত হানেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন ও ছয় রান করা টম ব্লান্ডেলকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি তিনটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ব্যাকফুটে পড়ে কিউইরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান।
আরও পড়ুন:সিলেট টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩১৭।
তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে ছিলো টাইগাররা।
চতুর্থ দিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪, মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৫০ রানে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার আজাজ প্যাটেল ১৪৮ রানে ৪ উইকেট নেন। সূত্র: বাসস
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ২৬ রানে যখন দুই ওপেনার ফিরে গেলেন, তখন আরও একটি হতাশাজনক ম্যাচের ইঙ্গিত পেয়ে স্টেডিয়াম, টিভি-মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু এরপরই পাল্টে দেল পট; এখান থেকে দলকে টেনে তুলে ফিরে আসার পুরনো গল্পকে নতুন করে লিখলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। পরে মুমিনুল ফিরে গেলেও শান্তর কাঁধে আস্থার হাত রাখলেন মুশফিক। আর এদের কীর্তিতে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পর ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রানে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। আজ প্রথম সেশনে কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ধৈর্য পরীক্ষার পর ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ হয় তাদের। এতে মাত্র সাত রানের লিড পায় কিউইরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলেন শান্ত ও মুমিনুল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪০ রান করে মুমিনুল যখন ফিরে যাচ্ছেন, তার মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপর মুশফিক আসলে ফের আরেকটি বড় জুটির দিকে এগাতে থাকে বাংলাদেশ। এই জুটি পরে আর ভাঙতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ফলে স্কোরবোর্ডে ৯৬ রান যোগ করে দিন শেষে মাঠ ছাড়েন শান্ত ও মুশফিক।
মুশফিক ৭১ বল মোকাবিলা করে ৪৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যপ্রান্তে বিরল এক কীর্তি ঘটিয়েছেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম লেখালেন।
তৃতীয় দিন শেষে ১০৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন শান্ত। ২০৫ রানের লিডকে আরও বড় আকার দিতে টাইগারদের ঝুলিতে রয়েছে আরও সাত অস্ত্র। চতুর্থ দিন কতটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চূড়ান্ত লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ, সেটি এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য