অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সকল হতাশা আর আক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। ২৩তম দল হিসেবে ইউরোপ সেরার খেতাব জিতল জোসেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
তুরস্কের ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময় রাত একটায় ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকেই সতর্কতার সঙ্গে খেলতে থাকে দুই দল। ফলে মাঝমাঠে বল দখলের একটা তাড়না থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মধ্যে নিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল দুই দলকেই।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে জন স্টোনসের বাড়ানো বল পেয়ে ইন্টারের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের মধ্যে ঢুকে যান আর্লিং হলান্ড। কিন্তু প্রথম টাচটি জোরে লাগায় বল একটুখানি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তার। ফলে পরে বাঁ পা প্রসারিত করে গোলে শট নিলেও পা দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন ইন্টার মিলানের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। এর দুই মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে কয়েকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরে শট নেন ডি ব্রুইনে। কিন্তু শটটি গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধে দুই দলের কেউ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও বড় ধাক্কা খায় সিটি। খেলার ৩০তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে কেভিন ডি ব্রুইনের। তৎক্ষণাৎ মাঠের বাইরে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার ফেরানো হয় মাঠে। কিন্তু খেলার ৩৬তম মিনিটে তিনি খেলতে না পারার ইঙ্গিত দিলে তাকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন পেপ গার্দিওলা। এ সময় ডি ব্রুইনের পরিবর্তে ফিল ফোডেনকে নামান কোচ।
প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই তেমন চমক জাগানো পারফর্ম্যান্স দেখাতে না পারলেও দুই ইন্টেরিয়রে ইন্টার মিলানের ডেনসেল ডুমফ্রিস ও ফেদেরিকো দিমারকোর পারফর্ম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। রাইট ব্যাক পজিশনে নেমে এসে একাই জ্যাক গ্রিলিশ ও আর্লিং হলান্ড আটকে রেখেছিলেন ডুমফ্রিস। অন্যপাশে বল উদ্ধার ও দারুণ কিছু পাস দিয়ে নিজের দক্ষতার জানান দেন দিমারকো।
তবে দুই দলের কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশূন্য অবস্থায় ড্রেসিং রুমে ফেরে খেলোয়াড়রা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দশ মিনিটেই ইনজুরি পড়েন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার এডিন জেকো। ফলে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে তাকে উঠিয়ে চেলসি থেকে ধারে খেলা রোমেলু লুকাকুকে মাঠে নামান সিমোনে ইনজাগি।
এক মিনিট পরই ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ পান ইন্টারের লাউতারো মার্তিনেস। বেরনার্দো সিলভার ব্যাকপাস টের না পেয়ে তা রিসিভ করতে ব্যর্থ হন মানুয়েল আকাঞ্জি। ভুলের সুযোগ নিয়ে বল ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে যান লাউতারো মার্তিনেস। কিন্তু খানিকটা সামনে এগিয়ে এসে লাউতারোর স্পেস কমিয়ে দেন সিটির গোলরক্ষক এদেরসন মোরায়েস। ফলে এদেরসনের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ঠেকিয়ে দেন তিনি।
এসময় বল রিসিভ করে দ্রুত পাস দিলে বল ধরে এগোতে থাকেন ফোডেন। বিপদের শঙ্কায় ডি-বক্সের বাইরে ফোডেনকে প্রফেশনাল ফাউল করে এসময় হলুদ কার্ড দেখেন নিকোলো বারেল্লা।
খেলার ৬৮তম মিনিটে আসে সেই আকাঙ্খিত মুহূর্ত। একটি মজবুত গেম ডেভেলপমেন্টের পর মানুয়েল আকাঞ্জি পাস দেন ডান পাশ দিয়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া সিলভাকে। ডি-বক্সে পাঠানো সিলভার পাস ইন্টারের একজন ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে তা গিয়ে পড়ে সিটির রদ্রির পায়ে। জোরালো সোজাসুজি শটে তিনি তা পাঠিয়ে দেন জালে। আর উল্লাসে ফেটে পড়ে সিটির সমর্থক, খেলোয়াড় ও কোচং স্টফরা। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।
এর কিছুক্ষণ পরেই ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে উড়ন্ত বল পেয়ে এদেরসনের মাথার উপর দিয়ে হেড দেন দিমারকো। কিন্তু বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে আবারও মাথায় পেয়ে যান দিমারকো। এবার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হেড দিলেও বল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লুকাকুর শরীরে লেগে ফিরে আসে।
তার দুই মিনিট পর থ্রু বল পেয়ে দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রুবেন দিয়াসের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে শট দেন লুকাকু। কিন্তু বল গোলপোস্টের মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল দেয়ার দুটি ভালো সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত আর তার দেখা পায়নি ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট শেষে বেজে ওঠে শেষের বাঁশি। আর মাঠে ভেঙে পড়ে সিটির আনন্দের বাঁধ।
নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি অনেক খেলোয়াড়ই। মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। কাঁদেন এই আনন্দ ভাগ করে নিতে ইংল্যান্ড থেকে তুরস্কে আসা অসংখ্য সিটি সমর্থকও।
ঘরোয়া লিগে প্রতি মৌসুমে লিগ ও বিভিন্ন ঘরোয়া ট্রফি জিতলেও ইউরোপের মঞ্চে বার বার হোঁচট খাচ্ছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১ সালে একবার ফাইনালে উঠেও লিগ প্রতিপক্ষ চেলসির কাছে হেরে সে বার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। তাই এবারের জয়টি আসলেই সিটির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের কাছে বিশেষ কিছু।
এদিকে বার্সেলোনার হয়ে সবশেষ ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর বায়ার্ন মিউনিখ ও পরে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হয়েও এতবছর ইউরোপ সেরার এই ট্রফিটি ছোঁয়া হয়নি পেপ গার্দিওলার। প্রতিবছর কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে শক্তিশালী স্কোয়াড তৈরি করেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। এ জয়ে ফলে ১১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো তার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বিরল এক মৌসুম শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
তাছাড়া দুইবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড এখন শুধুই স্প্যানিশ এ ম্যানেজারের। এর আগে ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ট্রেবল জিতেছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সবশেষ তিন সপ্তাহ একেবারে স্বপ্নের মতো কাটলো স্কাই ব্লুজদের। এ সময় প্রতি সপ্তাহে একটি একটি করে ট্রফি জিতে স্বপ্নীল এক মৌসুম শেষ করলো ‘ম্যানচেস্টার ইজ ব্লু’ স্লোগানের দলটি।
দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য