× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
ADC Mishu Biswas at the Ironman World Championship
google_news print-icon

‘আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে’ এডিসি মিশু বিশ্বাস

আয়রনম্যান-বিশ্ব-চ্যাম্পিয়নশিপে-এডিসি-মিশু-বিশ্বাস
আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ-এর এক আয়োজনে এডিসি মিশু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগীকে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার শেষ করে ১৮০ কিলোমিটার সাইকেল চালাতে হয়। এরপর অংশ নিতে হয় ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার ম্যারাথনে। এই তিনটি ডিসিপ্লিনে সর্বমোট ২২৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরত্ব বিরতিহীনভাবে কেউ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পারলে তাকে ‘আয়রনম্যান মেডেল’ দেয়া হয়।

আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা একদিনের স্পোর্টিং ইভেন্টগুলোর মধ্যে কঠিনতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এডিসি মিশু বিশ্বাস।

বছর জুড়ে বিশ্বের ৬০টি দেশে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইভেন্টগুলোতে অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সেরা অ্যাথলেট বাছাই করা হয়। পরে তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।

আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগীকে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার শেষ করে ১৮০ কিলোমিটার সাইকেল চালাতে হয়। এরপর আবার অংশ নিতে হয় ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার ম্যারাথনে। এই তিনটি ডিসিপ্লিনে সর্বমোট ২২৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরত্ব বিরতিহীনভাবে কেউ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পারলে তাকে ‘আয়রনম্যান মেডেল’ দেয়া হয়।

‘আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে’ এডিসি মিশু বিশ্বাস

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিশু বিশ্বাস অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগে কর্মরত। তিনি রোববার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ‘আয়রনম্যান ব্রাজিলে’ বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ওই আয়োজনে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ২২৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র ১২ ঘণ্টা ১১ মিনিটে সম্পন্ন করেন। তিনি ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। ১৮০ দশমিক ২ কিলোমিটার সাইকেল চালনা শেষ করেন ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। আর ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার ম্যারাথন শেষ করেছেন মাত্র ৩ ঘণ্টা ৪৯ মিনিটে।

‘আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে’ এডিসি মিশু বিশ্বাস

মিশু বিশ্বাস এর আগে গত বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আয়রনম্যান মালয়েশিয়া’ ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিটে এবং তুরস্কে অনুষ্ঠিত ‘আয়রম্যান তুরস্ক’ ৭০ দশমিক ৩ কিলোমিটার সফলভাবে শেষ করেন ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে।

বাংলাদেশ পুলিশের এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে প্রথম সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে বাংলা চ্যানেল অতিক্রম করেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন, সিংগাপুর ও থাইল্যান্ড হাফ ম্যারাথনসহ অর্ধশতাধিক হাফ-ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন৷

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Nasir temporarily banned from domestic cricket

ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ নাসির

ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ নাসির নাসির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে বিসিবি প্রকাশিত খেলোয়াড়দের তালিকায় নাসিরের নাম নেই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতির অভিযোগের পর ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সূত্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে নাসিরকে অবশ্যই আইসিসির ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে বিসিবি প্রকাশিত খেলোয়াড়দের তালিকায় নাসিরের নাম নেই।

আইসিসির তথ্য অনুযায়ী, ডানহাতি এ অলরাউন্ডার ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনৈতিক অনুশীলনে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে।

নাসির হোসেন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেন ২০১৮ সালে, যার পর থেকে তিনি জাতীয় দলে অনুপস্থিত ছিলেন। টাইগারদের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ কারাগারে প্রকৌশলী
ঘুষ-দুর্নীতি চালাতে দালাল পোষেন বিআরটিএ কর্মকর্তা!
এবার সত্যি সত্যি চলে গেলেন হিথ স্ট্রিক
শিক্ষাবোর্ড সচিবের নগদে ‘লোভ’
উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি: উপজেলা চেয়ারম্যান-পৌর মেয়র মুখোমুখি

মন্তব্য

খেলা
Bangladeshs bowling and batting empire is strong
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি

বাংলাদেশের বোলিং ও ব্যাটিং সাম্রাজ্য শক্তিশালী

বাংলাদেশের বোলিং ও ব্যাটিং সাম্রাজ্য শক্তিশালী চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ছবি: সংগৃহীত
ক্রিকেটের চিরচেনা শত্রু বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো টসের দিকে চোখ থাকবে দুই দলের। দুই দলই চায় আজকের ম্যাচটা জিতে সিরিজ জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

মিরপুরে চলছে বৃষ্টির লুকোচুরি। প্রথম ধাপে প্রায় দুই ঘণ্টা বৃষ্টি নামার পর দ্বিতীয় ধাপে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মতো। মধ্যখানে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে একবার খেলা শুরুর কথা থাকলেও বেরসিক বৃষ্টি আবার অপেক্ষা বাড়ায়। এতে আর মাঠে নামা হয়নি ক্রিকেটারদের, তবে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কাছে হার মানে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে রেফারি। রাত ৮টা ২৬ মিনিটের দিকে আসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পরিত্যক্ত হওয়া মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে এটি।

ক্রিকেটের চিরচেনা শত্রু বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো টসের দিকে চোখ থাকবে দুই দলের। দুই দলই চায় আজকের ম্যাচটা জিতে সিরিজ জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড উভয় দল তিন ম্যাচের এই সিরিজটিকে রিজার্ভ বেঞ্চ পরখ করে দেখার মিশন হিসেবে নিয়েছে। উভয় দলই নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে নামছে ম্যাচে। নিউজিল্যান্ড দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার অপরিচিত হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা নয়। ১৫ জনের সবারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এদিক থেকে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে রাখতে হবে। এই সিরিজ দিয়ে তামিম ইকবাল ফিরছেন। আফগানিস্তান সিরিজে হঠাৎ অবসর ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, কোমরের চোটের কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছুটি নেয়া এবং পুনর্বাসন সম্পন্ন করে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াডে ফিরে এসেছেন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মাহমুদউল্লাহ দীর্ঘ অফ ফর্মের কারণে দলের বাইরে ছিলেন।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামকে। সাকিবের অনুপস্থিতিতে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ব্যাটার লিটন দাস। বাংলাদেশ দল এবং তার জন্য এ সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টাইগার রিজার্ভ বেঞ্চে একজনও ভালো মানের বিকল্প ওপেনার নেই। নাঈম শেখ টানা ম্যাচ খেলে রান করতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় নেই।

প্রথম ম্যাচ যেহেতু বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তাই আজকের ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। আর সে লক্ষ্যে ব্যাটসম্যানদেরকেই দায়িত্বটা নিতে হবে। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকলে রান আসবেই এই উইকেটে- আগের দিন তা দেখিয়েছেন ইয়াং-নিকোলস। পরিকল্পনা হয়ে গেছে, এখন প্রয়োগ করতে হবে মাঠে। বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারলে হয়তো যেকোনো কিছুই সম্ভব।

এবার একটু পরিসংখ্যানের দিকে মনোযোগ দেয়া যাক। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড এ পর্যন্ত ৩৯টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১০টিতে অন্যদিকে ব্ল্যাক ক্যাপসদের জয় ২৮টিতে। আর এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের ১০ জয়ের মধ্যে ৮ জয় দেশের মাটিতে। আর দুটি জয় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। অ্যাওয়েতে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ জয়লাভ করতে পারেনি।

নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের এই কন্ডিশনে ধাতস্থ হওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি। এ কন্ডিশনে খেলাটা বরাবরই কঠিন তাদের জন্য। প্রথম ওয়ানডেতে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি তারা। তাই নজর থাকবে আজকের ম্যাচে। ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে, তবে কন্ডিশন যাই হোক না কেন, কিউই ফাস্ট বোলাররা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, সেটি সবসময় হাড়ে হাড়েই টের পেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগের বল ও সুইং সামলাতে তালগোল পাকিয়ে হিমশিম খেয়েছেন সবাই।

যদিও মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় কিউইদের বিপক্ষে ‌‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নেয়ার চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের। তিনজন স্পিনার আর দুই পেসার রেখে একাদশ সাজাতে পারেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ নিক পোথাস। ডান ও বাঁহাতি অফ স্পিনারের সঙ্গে রাখা হতে পারে লেগি রিশাদ হোসেনকে। কারণ, তাকেও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বিশ্বকাপেও বিকল্প বোলার কোটায় রাখা হতে পারে তাকে। বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে তিন পেসার নিয়েও খেলতে পারেন স্বাগতিকরা। পরীক্ষা আর পরখ করে দেখার সিরিজ হলেও ফলাফল কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের জয় চাই-ই চাই।

আর প্রেডিকশনের কথা যদিও বলতেই হয়, তাহলে আমি বাংলাদেশের জয় দেখছি। যদিও মাঠের কাজটা টাইগারদের করে দেখাতে হবে। মাঠে সব বিভাগ ঠিকঠাক পারফর্ম না করলে অতীত পরিসংখ্যান, চেনা দর্শক আর কন্ডিশনের কিছুই যায়-আসে না।

আসলে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে গত ১৩ বছরে কোনো ওয়ানডে ম্যাচে হারেনি বাংলাদেশ। কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে দিয়ে হোয়াইটওয়াশের শুরু, পরে কাইল মিলসেকে একই ফল উপহার দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমরা। বিশ্বকাপ দলের আট ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রেখে খেলতে আসা নিউজিল্যান্ড দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লকি ফার্গুসনকেও কি সেই ঐতিহ্যের স্বাদ দিতে চলেছে বাংলাদেশ? সেটি আজ দেখার পালা।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা

আরও পড়ুন:
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ
২৬৬ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল রিজার্ভ ডে’তে
পারিবারিক কারণে দেশে ফিরছেন মুশফিক
মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরি, ৫ উইকেটে ৩৩৪ বাংলাদেশের

মন্তব্য

খেলা
Medjun is the champion in the six a side football tournament at Manarat International University

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিক্স-এ-সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন মেডজুন

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিক্স-এ-সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন মেডজুন
ফাইনাল খেলার প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এতেও ফলাফল গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে খেলার ফলাফল চূড়ান্ত করা হয়।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত সিক্স-এ-সাইড ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩-এ ফার্মেসি বিভাগের দল মেডজুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে রানার-আপ হয় ইংরেজি বিভাগের দল ইএনবি রেনেসা।

এমআইইউ স্পোর্টস ক্লাব এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।

দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৮টি দল অংশ নেয়। এর মাঝে ফার্মেসি ও ইংরেজি বিভাগের দল আলাদা সেমিফাইনালে বিজয়ী হয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে। খেলা উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।

ফাইনাল খেলার উদ্বোধনী পর্বের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও এমআইইউ স্পোর্টস ক্লাবের মডারেটর ড. শেখ হাবিবুর রহমান।

ফাইনাল খেলার প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এতেও ফলাফল গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে খেলার ফলাফল চূড়ান্ত করা হয়। ট্রাইবেকারে ইংরেজি বিভাগের দল ইএনবি রেনেসাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিজেদের করে নেয় ফার্মেসি বিভাগের দল মেডজুন।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারাআপ দলের খেলোয়ারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন ব্যবসায় প্রশাসন ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব আলম, রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান আহমেদ মাহবুব-উল-আলম, সিজিইডির কো-অর্ডিনেটর ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, এমআইইউ স্পোর্টস ক্লাবের মডারেটর ড. শেখ হাবিবুর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ও স্পোর্টস ক্লাবের সহকরী মডারেটর ড. মোহাম্মদ ফয়জুল হক, ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক নাহিদ হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আবদুল মতিন, অ্যাডশিন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর জামাল হোসেইন, স্পোর্টস ক্লাবের (গুলশান ক্যাম্পাস) প্রেসিডেন্ট শামিম আহমেদ, স্পোর্টস ক্লাবের (আশুলিয়া ক্যাম্পাস) প্রেসিডেন্ট আবদুল হাই প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফাল্গুন উৎসব উদযাপন

মন্তব্য

খেলা
Would love to see a nail biting finish in the final
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি

ফাইনালে নেল বাইটিং ফিনিশ দেখতে চাই

ফাইনালে নেল বাইটিং ফিনিশ দেখতে চাই চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ছবি: সংগৃহীত
এশিয়া কাপে সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামা ভারত এবারও শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তাদের আছে বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইন। আইসিসির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে আছে ভারতের তিন ব্যাটার। দুই নম্বরে শুভমান গিল, আটে বিরাট কোহলি আর নয় নম্বরে রোহিত শর্মা। তাছাড়া দারুণ ছন্দে আছেন চোট থেকে ফেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটার লোকেশ রাহুল। আছেন মারমুখী ব্যাটার ইশান কিশান। তাদের কেউ একজন দাঁড়াতে পারলে প্রতিপক্ষের জন্য তা হবে ভয়ংকর।

নানা নাটকীয়তায় ভরা এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ফাইনাল থেকে আর মাত্র ১ দিন বাকি। শিরোপা ঘরে তোলা লড়াইয়ে আগামীকাল ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। বলতে গেলে ফাইনাল নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের যে উচ্ছ্বাস ছিল তা অনেকটাই কমে গেছে পাকিস্তান ফাইনালে না ওঠায়।

এশিয়া কাপের ৩৯ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি তা এবার দেখতে চেয়েছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। সেটি হলো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। এক ম্যাচ হাতে রেখে ভারত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারলেও অঘোষিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে আবার ফাইনালে ওঠা হয়নি পাকিস্তানের, তবে ফাইনাল যে ফাইনালের মতোই হবে সেটা নিশ্চয়ই দেখতে পারবেন দর্শকরা। কেননা লড়াইটা হবে এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন ভারত ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার মধ্যে।

এশিয়া কাপে সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামা ভারত এবারও শিরোপার অন্যতম দাবিদার। তাদের আছে বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইন। আইসিসির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে আছে ভারতের তিন ব্যাটার। দুই নম্বরে শুভমান গিল, আটে বিরাট কোহলি আর নয় নম্বরে রোহিত শর্মা। তাছাড়া দারুণ ছন্দে আছেন চোট থেকে ফেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটার লোকেশ রাহুল। আছেন মারমুখী ব্যাটার ইশান কিশান। তাদের কেউ একজন দাঁড়াতে পারলে প্রতিপক্ষের জন্য তা হবে ভয়ংকর।

মিডল অর্ডারে আছেন অভিজ্ঞ দুই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজা। তারা ব্যাট কিংবা বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেন যেকোনো ম্যাচে। তাদের সঙ্গে বোলিং লাইন সামলাবেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদ্বীপ যাদবের মতো বিশ্বমানের বোলার। তাই সবদিক দিয়েই ফাইনালে এগিয়ে থাকবে ভারত।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাকেও কোনোভাবে পিছিয়ে রাখা যাবে না। কেননা গত আসরের চ্যাম্পিয়ন তারা। এ ফরম্যাটে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচের একটিতে হেরেছে তারা। গত আসরের প্রথম ম্যাচ হারলেও বাকি ম্যাচগুলোতে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবারের এশিয়া কাপে তাদের একমাত্র হার সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে। তাই তারা চাইবে ফাইনালে এই হারের প্রতিশোধ নিতে।

লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনকেও খুব একটা মন্দ বলা যায় না। তাদের আছে কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সামারবিক্রমা, চারিথ আশালাঙ্কার মতো টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা কিংবা দুনিথ ওয়েলালাগের মতো অলরাউন্ডার। তারাও যেকোনো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।

শ্রীলঙ্কার বোলিং লাইন সব সময়ই প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ংকর, তবে চোটের কারণে এবার নেই অভিজ্ঞ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাসহ আরও দুই পেসার। তাদের অবর্তমানে মহেশ থিকশিনা, মাথিশা পাথিরানা, প্রোমদ মাদুশানরা যেভাবে লঙ্কানদের এগিয়ে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই ভারতের বিপক্ষে তারাও যেকোনো অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে।

পরিসংখ্যানও সে কথাই বলে। এ পর্যন্ত এশিয়া কাপে ২২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে ভারতের ১১ জয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কাও জিতেছে ১১টি ম্যাচে। অর্থাৎ এবারের আসরের ফাইনাল যারা জিতবে তারাই এগিয়ে যাবে।

তাই বলা যায়, এই ফাইনাল দর্শকদের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে। দুই দলই চাইবে তাদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে। এখন যারা বেশি ভালো খেলবে তারাই জিতবে।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা

আরও পড়ুন:
হারের পর যা বললেন সাকিব
হার দিয়ে সুপার ফোর শুরু টাইগারদের
পাকিস্তানের বোলিং তোপে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৩
চাপ সামলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
২ রানে হেরে আফগানদের বিদায়, সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

মন্তব্য

খেলা
Fifty fifty chance
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি

ফিফটি ফিফটি চান্স

ফিফটি ফিফটি চান্স চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিদায় নিলেও তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল নিয়ে আলোচনা কিংবা হিসাবের বাইরে থেকেও ফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। মনে করে দেখুনতো, এশিয়া কাপ শুরুর আগে একবারের জন্যও কেউ কি ভেবেছিল শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে। উত্তরটাও সবার জানা। অবশ্যই না, কেননা শ্রীলঙ্কার এই দলটা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে তাতে এমন ভাবাটাও দোষের কিছু নয়।

এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত ‘এশিয়া কাপ’ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। টুর্নামেন্ট ভারত সব সময়ই ফেভারিটের তকমাটা নিজের করে রেখেছে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে বসে রয়েছে সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে সুপার ফোরে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই হেরে লড়াই থেকে ছিটকে গেছে সাকিব বাহিনী। ভারতের বিরুদ্ধে শুক্রবারের ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার।

বাংলাদেশ বিদায় নিলেও তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল নিয়ে আলোচনা কিংবা হিসাবের বাইরে থেকেও ফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। মনে করে দেখুনতো, এশিয়া কাপ শুরুর আগে একবারের জন্যও কেউ কি ভেবেছিল শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে। উত্তরটাও সবার জানা। অবশ্যই না, কেননা শ্রীলঙ্কার এই দলটা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে তাতে এমন ভাবাটাও দোষের কিছু নয়।

আপনার-আমার ভাবনা-চিন্তায় যা-ই থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা টিকে আছে। শুধু টিকে আছেই নয়, ফাইনালে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনাও রয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। সে লক্ষ্যেই আজ লঙ্কায় হতে চলেছে লঙ্কা কাণ্ড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে পাক ফাইটাররা। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচটি অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছে। কেননা ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে উঠবে, তবে যদি বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়, তাহলে অঙ্কটা কী দাঁড়াবে?

এই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। আজ কলম্বোতে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের ৭৩ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে কোনো ফলাফল না হলে কী হবে তখন? সেক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে এবং সমান পয়েন্টই থাকবে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার। তখন দেখা হবে নিট রানরেট আর সেটা হলে পাকিস্তানের কপাল পুড়বে। কারণ বাবর আজমদের (-১.৮৯২) চেয়ে ভালো নিট রান রেট (-০.২০০) রয়েছে শ্রীলঙ্কার। তাই তারা ফাইনালে উঠে যাবে। আসলে ভারতের কাছে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তানের নিট রানরেট কমে গেছে। যেটা বড় ধাক্কা হয়েছে বাবরদের জন্য। পাকিস্তান তাই চাইবে, যেকোনো পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার যেন পুরো খেলাটাই হয়। খেলা না হলে লাভবান হবে শ্রীলঙ্কা। তাই আজ পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শুধু শ্রীলঙ্কাই নয়, তার সঙ্গে বৃষ্টিও তাদের তৃতীয় এবং সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ।

যদিও ক্রিকেট বিশ্ব চাইবে ম্যাচটা পাকিস্তান জিতে আরও একবার পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা বেজে উঠুক; কিন্তু আপনার-আমার চাওয়াতে কী আসে যায়। ভুলে গেলে চলবে না যে, গত আসরেও এই শ্রীলঙ্কা হিসাবের বাইরে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কেননা এই আসর এলেই নিভু নিভু প্রদীপ শিখা থেকে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটি।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ইনজুরি আক্রান্ত দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহকে নিয়ে চিন্তায় পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে রউফ কোমর এবং নাসিম ডান কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন। তাদের ব্যাকআপ হিসেবে দলে ডাকা হয়েছে অনভিজ্ঞ দুই পেসার শাহনাওয়াজ দাহানি ও জামান খানকে। ফলে আসরের শুরুতে পাকিস্তান যে বিধ্বংসী পেস অ্যাটাক নিয়ে যাত্রা করেছিল সেই বর্শা খানিকটা হলেও ভোঁতা হয়েছে।

যদিও পাকিস্তান স্বয়ংসম্পূর্ণ দল। তাদের যেমন আছে ব্যাটিং লাইন, তেমনি আছে বিশ্বমানের বোলিং লাইনও। ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা বাবর আজম। তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অন্যদিকে দুই ওপেনার ফাখার জামান ও ইমাম-উল-হক যদি শুরুটা ভালো করতে পারেন তাহলে রেজাল্ট তাদের পক্ষেও আসতে পারে।

এবার তাকাতে চাই দু’দলের পরিসংখ্যানের দিকে। পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ১৫৫ বার ৫০ ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এতে এগিয়ে রয়েছে অবশ্য মেন ইন গ্রিনরাই। ১৫৫ ম্যাচের মধ্যে ৯২টিতে জয় পেয়েছে পাক ইউনিট। অন্যদিকে ৫৮ ম্যাচে জয় সাঙ্গাকারার উত্তরসূরিদের। লঙ্কানদের নিয়ে প্রতিটি লেখায় একটা কথা আমি সব সময়ই বলি আর সেটি হলো এশিয়ার বিশ্বকাপের মঞ্চটা বেশ পছন্দের শ্রীলঙ্কার। দেখুন না তাদের পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের পরিসংখ্যান। দু’দল এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ১২টিতে জিতেছে আর হেরেছে মাত্র ৫টিতে! কি, চোখ কপালে উঠে গেল। ওঠারই কথা। ব্যবধানটা কিন্তু কম নয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ লড়াইটাও আবার লঙ্কানদের ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশনে এবং আপন মানুষজনের উপস্থিতিতে। তাই বাড়তি সুবিধাও পাবে নিঃসন্দেহে। কলম্বোর গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পিচ কন্ডিশন নিয়ে দু-চার কথা না বললেই নয়। যেহেতু টানা বৃষ্টির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবে আউটফিল্ড স্লো থাকবেই। আর এই পিচে ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের মতো স্পিনাররাই থাকবেন চালকের আসনে। যদিও কলম্বোর পিচ আগে থেকেই স্পিন স্বর্গ, তবে বৃষ্টি সেটিকে আরও প্রকট করেছে। এই দিক থেকে দু’দলই সমানে সমানে। পাকিস্তান যখন পেসারদের ইনজুরি নিয়ে মাথায় হাত দিয়েছিল তখন এমন খবর তাদের জন্য স্বস্তিরই বটে। অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে লঙ্কার স্পিনাররা যেভাবে ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে তাতে লড়াই জমে উঠবে বলার অপেক্ষায় রাখে না। তাই আজ হয়তো দু’দল বাড়তি স্পিনার নিয়েই মাঠে নামবে। এ ছাড়া মাঠে রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন হবে, যা এবারের এশিয়া কাপে শতভাগ প্রমাণিত। বাংলাদেশ বলেন কিংবা পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কা- নিজেই ছোট লক্ষ্যও তাড়া করে জিততে পারেনি। তাই লক্ষ্য থাকবে টসের ওপরও। টস জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর ওপর নির্ভর করছে ম্যাচের পরিণতি।

গত এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা যেখান থেকে শেষ করেছে। এবার যেন ঠিক সে জায়গা থেকেই শুরু করেছে। শিরোপার লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে দলটি। দ্বিতীয় সারির এই বোলিং অ্যাটাক নিয়ে টুর্নামেন্টে অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে তারা। এখন দেখার পালা, গতবারের প্রতিশোধ নিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে পারে কি না?

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা

আরও পড়ুন:
ভারতের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল পাকিস্তান
কোহলি-রাহুলের ব্যাটে ভারতের রানের পাহাড়
লড়াই করেও হারল বাংলাদেশ, এশিয়া কাপের স্বপ্নভঙ্গ
টার্গেট ২৫৮, এবার ব্যাটারদের পালা
হারের পর যা বললেন সাকিব

মন্তব্য

খেলা
Coca Cola believes in the magic campaign to watch the ICC World Cup

কোকা-কোলার ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক’ ক্যাম্পেইনে আইসিসি বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ

কোকা-কোলার ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক’ ক্যাম্পেইনে আইসিসি বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ কোকা-কোলার ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক’ ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট পাগল দেশ। প্রতি বিশ্বকাপে ভক্তদের আশা থাকে যে, বাংলাদেশ দল ভালো খেলে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। দলের ওপর মানুষের এই বিশ্বাস সত্যিই অসাধারণ। এই বিশ্বাস দলকে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশ দলের প্রতি ভক্তদের এই আবেগ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানাতে আমরা ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক’ ক্যাম্পেইনটি চালু করেছি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভক্তরা সরাসরি বিশ্বকাপে উপস্থিত থেকে প্রিয় দলকে উৎসাহিত করতে পারবেন।”

ক্রিকেটপ্রেমী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সুপরিচিত। বাংলাদেশ দলের ওপর ভক্তদের রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ উপলক্ষে কোকা-কোলা বাংলাদেশের নতুন ক্যাম্পেইন ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক তাই বিশ্বাসে নট আউট’ ভক্তদের দিচ্ছে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ দেখার দারুণ সুযোগ।

দল সফল হবে, ভালো ফলাফল অর্জন করবে এই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে এই ক্যাম্পেইন তৈরি করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে ভক্তরা দলের কাছাকাছি আসার এবং মাঠে উপস্থিত থেকে তাদের সমর্থন জানানোর সুযোগ পাবেন।

এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার জন্য ভক্তদের কোকের ৪০০, ৫০০ ও ৬০০ মিলি লিটার এবং ১ ও ১.২৫ লিটার বোতলের স্পেশাল বিশ্বকাপ ইউনিক কোড খুঁজে পেতে হবে। ইউনিক কোডটি পাওয়ার পর Iccx2o23 (coke2home.com) ওয়েবসাইটে এটি প্রবেশ করাতে হবে। এরপর তারা একটি বিলিভ কয়েন অথবা টিকিট কয়েন পাবেন।

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এ বাংলাদেশ দলের ম্যাচ টিকিট জিতে নেয়ার সুযোগ পেতে ভক্তদের চারটি বিলিভ কয়েন এবং একটি টিকিট কয়েন সংগ্রহ করতে হবে। ক্যাম্পেইনের শর্তাবলীসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ICCx2023 (coke2home.com)-এ ভিজিট করুন।

কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট পাগল দেশ। প্রতি বিশ্বকাপে ভক্তদের আশা থাকে যে, বাংলাদেশ দল ভালো খেলে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। দলের ওপর মানুষের এই বিশ্বাস সত্যিই অসাধারণ। এই বিশ্বাস দলকে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশ দলের প্রতি ভক্তদের এই আবেগ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানাতে আমরা ‘বিশ্বাসে ম্যাজিক’ ক্যাম্পেইনটি চালু করেছি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভক্তরা সরাসরি বিশ্বকাপে উপস্থিত থেকে প্রিয় দলকে উৎসাহিত করতে পারবেন।”

ম্যাচ টিকিট জেতার পাশাপাশি ভক্তরা জিততে পারেন ফ্যান কিটসহ আকর্ষণীয় নানা পুরস্কারও। বিশ্বকাপ টিকিট জেতার সুযোগ পাবেন সর্বমোট ৫০০ ভক্ত। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন ICCx2023 (coke2home.com) -এ।

আরও পড়ুন:
দক্ষিণ ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থ দিচ্ছে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন
ন্যাশনাল কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল কোকা-কোলা
কোকা-কোলা ইয়াং ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম চালু

মন্তব্য

খেলা
Zafarullah Sharafats unique record of 40 years in commentary

ধারাভাষ্যে ৪০ বছর, জাফরউল্লাহ শারাফাতের অনন্য রেকর্ড

ধারাভাষ্যে ৪০ বছর, জাফরউল্লাহ শারাফাতের অনন্য রেকর্ড রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সোমবার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের হাতে ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত নিউজবাংলাকে বলেন, ধারাভাষ্যে হাতেখড়ি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। সেই যে জড়িয়ে পড়া, তারপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে জড়িয়ে থেকেছি। আজও আছি। খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর ভালোবাসা এর একটি বড় কারণ। এটা আমি উপভোগও করি দারুণভাবে।’

একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের মানুষ খেলা বলতে শুধু ফুটবলকেই চিনত কিংবা জানত। বিনোদন অথবা উপভোগের একমাত্র ক্রীড়া বলতেও ছিল ওই ফুটবল।

ক্রিকেট যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা, ক্রিকেটও যে একটি জনপ্রিয় খেলা হতে পারে বাঙালি জাতিকে প্রথম জানিয়েছিলেন তিনি। একটা সময় পর্যন্ত ভাটির এই দেশে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতেন ওই একটি কণ্ঠ।

সেই শুরু। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নানা উত্থান-পতনের গল্পের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে আছে একটি নাম- চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।

দেশবরেণ্য এই ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার দীর্ঘ পথচলায় গড়েছেন করেছেন অনন্য এক রেকর্ড। এই লিজেন্ডের কমেন্ট্রি জীবনের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার।

ঐতিহাসিক দৈনিক বাংলা পত্রিকা নতুন আঙ্গিকে প্রকাশের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ছিল জমকালো আয়োজন। ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তথ্যমন্ত্রী ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের হাতে ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

প্রসঙ্গত, চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। তার সম্পাদনায় পাঠক-মন জয় করে চলেছে দৈনিক বাংলা।

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত জীবনে বহুবার বাংলাদেশের সাফল্যে সেটা হোক ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, সুউচ্চ কণ্ঠে লাল-সবুজের জয়গান গেয়েছেন। শ্রোতাদের মুগ্ধ করার অদ্ভুত এক কারিশমা রয়েছে এই লিজেন্ড ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় খেলার সঙ্গে ধারাবিবরণীতে শ্রোতার মনে উচ্ছ্বাসের ঢেউ জোয়ার বইয়ে দেন দরাজ কণ্ঠের অধিকারী এই ব্যক্তিত্ব।

১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কিলাত ক্লাব মাঠে ষষ্ঠ আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন্সশিপে উৎকণ্ঠা, উত্তেজনা, নখ কামড়ানো রোমাঞ্চে ভরপুর এক ম্যাচ দিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যোগ হয় সোনালী অধ্যায়ের। আর এই খবর দেশের কোটি কোটি ভক্তের কানে প্রথম পৌঁছে দেন চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত।

তার সেই বার্তায় নেচে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। সেদিন বাংলাদেশ বেতারে চিৎকার দিয়ে তার বলা ‘এবং বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন’ বাক্যটি বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সমার্থক শব্দ হয়ে আছে।

খ্যাতিমান এই ধারাভাষ্যকার তার কমেন্ট্রি ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকভাবে ১৬টি বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। আগামী অক্টোবরে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এ কমেন্ট্রি করলে টানা ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৭ বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙবেন তিনি।

বাংলাদেশের ক্রীড়া বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবলের ঐতিহাসিক দুটি বিজয়সহ মোটামুটি সব বিজয়ের ঘোষণা দেশে কিংবা বিদেশে প্রথম চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের কণ্ঠেই জাতি শুনতে পেয়েছে- ‘বাংলাদেশ জিতে গেল’।

নিউজবাংলাকে যা বললেন

ধারাভাষ্যে এমন অনন্য অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত হেসে ফেলেন। হাসতে হাসতেই নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, সে তো আজকের কথা নয়রে ভাই। ধারাভাষ্যে হাতেখড়ি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। সেই যে জড়িয়ে পড়া, তারপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে জড়িয়ে থেকেছি। আজও আছি। খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর ভালোবাসা এর একটি বড় কারণ। এটা আমি উপভোগও করি দারুণভাবে। আগামী দিনগুলোতেও যতদিন সম্ভব এভাবেই নিজেকে ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রাখবো।’

মন্তব্য

p
উপরে