বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা নারী দলের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
শনিবার কলম্বোর পি সারা ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৩৬ দশমিক ৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে শ্রীলঙ্কা। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি না থামায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
সিরিজটি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় নিজেদের দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ওয়ানডে থেকে ১ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। ফলে ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থাকল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ২ পয়েন্ট পেয়েছিলো বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টমস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।
বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেস্তে যাবার আগে বাংলাদেশের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আকতার। ৭ ওভার বল করে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জাহানারা আলম, সুলতানা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন।
আগামী ২ মে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী দল।
ওয়ানডের পর ৯ মে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার প্রথম সেশন বৃষ্টির কারণে বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সারা দিন ধরে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে দিনের বাকি অংশের খেলায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খবর ইউএনবির
প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড নিয়ে ম্যাচে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
স্পিনারদের আধিপত্যে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫৫/৫। এখন পর্যন্ত ১৫টি উইকেটের মধ্যে স্পিনাররা ১৩টি উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম টেস্টে জয় পেয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজটি জিতলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় হবে।
পাকিস্তান ক্রিকেট লিগের (পিএসএল) নবম আসর শুরু হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে নিলামে নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের আসরের জন্য নিবন্ধিত ২৫৪ জন ক্রিকেটারের তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
নিলামে থাকা ক্রিকেটারদের ৫টি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি হলো প্লাটিনাম। এরপর ডায়মন্ড, গোল্ড, সিলভার এবং উদীয়মান।
প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬ ডলার। ডায়মন্ড ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৫২ হাজার ৪৩৩ ডলার। গোল্ড ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৩৭ হাজার ৪৫২ ডলার। সিলভার ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১৮ হাজার ৭২৬ ডলার। উদীয়মান ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৭ হাজার ৪৯০ ডলার।
প্লাটিনাম ক্যাটারিতে আছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ ২০ জন বিশ্বতারকা।
সাকিব ছাড়াও এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড উইজ, জেমস ভিন্স, আফগানিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, স্পিনার মুজিব উর রহমান, জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা, নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রিশি ভেন ডার ডুসেনের মতো তারকারা।
টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্টে ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ৩৪টি ম্যাচে অংশ নেবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পিএসএল শুরু হয়ে ১৮ মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন:ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটিং ইনিংসটা শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটে বিবর্ণ থাকলেও বল হাতে দিনের শেষটা স্বাগতিকদের ছিল রঙিন। দলীয় ৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে দল যখন হাল ভাঙা তরীর মতো, সে সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব ঘটে মুশফিকুর রহিমের। শক্ত হাতে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন সামনে।
কিন্তু ৪১তম ওভারে এসে অদ্ভুত এক আচরণ করে বসেন মি. ডিপেন্ডেবল। কাইল জেমিসনের করা ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আউটের আবেদন করেন। ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, মুশফিকের এই ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউটের ধারায় অন্তর্ভুক্ত, যা কিনা ২০১৭ সালে প্রচলন করা হয়। আইসিসির ৩৭ দশমিক ১১ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ব্যাটসম্যান যদি বল খেলার মধ্যে থাকাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের মাধ্যমে ফিল্ডিং দলকে বাধা দেন কিংবা মনোযোগ নষ্ট করেন, তবে আউট হবেন। তবে ৩৭ দশমিক ২ ধারা মতে, চোট থেকে বাঁচতে এমন কিছু করলে ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।
এ ছাড়া ৩৭ দশমিক ১২ ধারায় বলা হয়, বোলার বল করার পর ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বলে আঘাত করেন বা ছুঁয়ে সরিয়ে দেন তবে আউট ঘোষিত হবেন (ব্যতিক্রম ৩৭ দশমিক ২ ধারা)। সেটি প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা আরও পরে ছোঁয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বল খেলার সময় যেমন তেমনি, এরপর ব্যাটসম্যান কিংবা নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করার সময়ও এ আইন প্রযোজ্য।
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ দুই নিয়মের খাঁড়ায় পড়েই মাঠ ছাড়তে হয় মুশিকে।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন অদ্ভুত ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটের শিকার মুশি একা নন। তার আগে আরও ১১ জন এমন নজির স্থাপন করেন। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হন ইংলিশ ওপেনার লেন হাটন।
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের চার ব্যাটার রমিজ রাজা, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ এবং আনোয়ার আলি এমন বিরল আউটের শিকার হয়েছিলেন। এ ছাড়া ভারতের অমরনাথ, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল এবং লঙ্কান ব্যাটার গুনাথিলাকাও একদিনের ক্রিকেটে এমন আউটের শিকার হয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে এমন আউট হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- ইংল্যান্ডের জেসন রয়, মালদ্বীপের হাসান রাশিদ এবং অস্ট্রিয়ার রাজমাল সিগিওয়াল।
আরও পড়ুন:প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আইনে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটের শিকার হয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এমন অদ্ভুত নজির গড়েছেন টাইগার এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ৪১তম ওভারে কিউই পেসার কাইল জেমিসনের করা ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডানদিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক। তা দেখে নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আউটের আবেদন করেন। ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার।
মুশির এমন আউটে সরব হয়ে ওঠে ক্রিকেটপাড়া থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। শুরু হয় এমন অদ্ভুত আউট নিয়ে হাস্যরসের। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সেই হাস্যরস ছড়িয়ে পড়ে ভারতেও।
মুশফিকের এই আউট ইস্যুটি হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে সামনে নিয়ে আসার সুযোগ হাতছাড়া করেনি কলকাতা পুলিশ। নিজেদের ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মুশফিকের আউটের একটি ছবি দিয়েছে তারা। যার ওপরে লেখা– ‘লিঙ্ক হোক বা বল, ছুঁলেই গ্যাড়াকল।’ একই ছবিতে তারা স্ক্যামারদের পাঠানো খুদেবার্তার একটি স্ক্রিনশটও জুড়ে দেয়।
মূলত মুশফিকের এই পোস্টটি হাস্যরসাত্মক দিকে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই।
বর্তমানে প্রায়শ দেখা যায় প্রায় সবার মোবাইলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের বেতনে চাকরির সুযোগের লোভনীয় মেসেজ যাচ্ছে। স্ক্যামারদের পাঠানো এসব বার্তায় কিছু লিঙ্কও জুড়ে দেয়া হয়। যেখানে ক্লিক করলে মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্ক্যামারদের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। কলকাতা পুলিশ ওই পোস্টের মাধ্যমে এমন ভুয়া মেসেজে সাড়া না দেয়ারও সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে রেখেছে।
এর আগেও ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের কলকাতা, দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য পুলিশকে এমন বার্তা দিতে দেখা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুশফিকের বিরল আউট নিয়েও সরব হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সবাই ধরে নিয়েছিলেন, এই ম্যাচ হবে একটি স্পিন স্বর্গে; হলোও তাই। এদিন ১৫টি উইকেট পড়েছে, এর প্রত্যেকটি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা।
প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়। তবে দিন শেষে, কিউইদের ইনিংসের ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান।
নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই টাইগার স্পিনারদের বিপক্ষে অসহায় ছিলেন কিউই ব্যাটাররা। দলীয় ২০ থেকে ২২ রানের মধ্যেই আউট হন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে। মাত্র ১ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন অফফর্মে থাকা ব্যাটার হেনরি নিকোলস। এরপর ম্যাচের দ্বাদশ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ, ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসন এবং উইকেটকিপার ব্যাটার টম ব্লান্ডেলকে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ২টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে সাবধানী অবস্থানে থেকে কিউই পেসারদের খেলতে থাকেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে বিপত্তি আসে স্পিনার এলেই। অষ্টম ওভারে একাদশে ফেরা মিচেল সান্টনারকে বলে পাঠান কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। সেখানে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সান্টনার।
ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি দিনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির (৮)। পরের ওভারে ফিরলেন আরেক ওপেনার জয়ও (১৪)। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে চাপ সামলে এগোনোর আশা দেখান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেখানে আবারও বাঁধা দেন সান্টনার-অ্যাজাজ। দলীয় ৪১ রানের মাথায় মুমিনুল (৫) ফেরার পরের ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন শান্ত (৯)।
শুরুর সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদত হোসেন দিপু। তবে ৪১তম ওভারে দেশের ক্রিকেট সাক্ষী হলো অদ্ভুত এক ঘটনার। প্রথম বাংলাদেশি এবং ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এর আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৩৫ রান।
বাকি ব্যাটাররাও ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যেই। দ্বিতীয় সেশনে ১৪৯ রানে পৌঁছানোর পর তৃতীয় সেশনে ২৩ রান যোগ করে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
সান্টনার ও ফিলিপস নেন তিনটি করে উইকেট। অ্যাজাজ প্যাটেল নেন দুটি উইকেট।
আরও পড়ুন:মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে অবিস্মরণীয় জয়ের একাদশ নিয়েই মিরপুরে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
একটি পরিবর্তন হয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশে। স্পিনার ইশ সোধির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে আরেক স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের। খবর বাসসের
সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে জয় বা ড্র করতে পারলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জিতবে টাইগাররা।
এখন পর্যন্ত টেস্টে মোট ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ২টিতে, নিউজিল্যান্ডের জয় ১৩টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: টিম সাউদি (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে, টম লাথাম, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, কাইল জেমিসন, মিচেল স্যান্টনার ও আজাজ প্যাটেল।
আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের শেষ দিকে পাওয়া সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট বিশ্বকাপ থেকে তাকে ছিটকে দেয়ার পাশাপাশি ছিটকে দিয়েছে ঘরের মাঠে চলতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে। একই সঙ্গে সাকিবের থাকা হচ্ছে না কিউইদের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।
যেহেতু লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন সাকিব ক্রিকেট থেকে, সে কারণে বিরতির সময়টাতে আঙুলের উন্নত চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়।
সোমবার শের-ই-বাংলা জাতোয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সাকিব আঙুলের চোট পরখ করাতে। তখনই বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে উন্নত চিকিতসার জন্য সিঙ্গাপুর, দুবাই, লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার যুক্তরাষ্ট্রকেই বেছে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি সাকিব তার আঙুলের উন্নত চিকিৎসা করাবেন। তবে তিনি কবে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য