সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন বছর পর শনিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতেই তামিম ইকবালকে হারায় টাইগাররা।
তৃতীয় ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তামিমকে। এর আগে ৩ রান করেন তিনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজকে ছাড়া মাঠে নামতে হয় বাংলাদেশকে। শুক্রবার অনুশীলনের সময় মুখে ফুটবল লেগে ইনজুরিতে পড়েন তিনি।
প্রথম ওয়ানডেতে সাত ব্যাটার এবং সাকিব আল হাসানসহ পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছে স্বাগতিকরা।
তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনসহ তিন পেসারকে নেয়া হয়েছে একাদশে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ভালো বল করেছিলেন এবাদত।
সফরকারী আয়ারল্যান্ড দলে মারে কমিনস ও জশ লিটলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গ্যারেথ ডেল্যানি ও স্টিফেন দোহেনি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলি, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, অ্যান্ড্রু ব্যালবিরনি, গ্যারেথ ডেল্যানি, হ্যারি টেকটর, লরক্যান টাকার, স্টিফেন দোহেনি, জর্জ ডকরেল, কুর্তিস ক্যামফার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হিউম।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালসের। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ওই ম্যাচের আগেই সকাল ৮টায় কাল এক চার্টার্ড বিমানে করে দেশ ছাড়েন দিল্লি ক্যাপিটালসের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
তড়িঘড়ি করে এই উড়ে যাওয়ায় অনেকেই মনে করেছিলেন প্রথম ম্যাচেও হয়তো দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের কাটার মাস্টারকে। কিন্তু তাকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
উড়ে গিয়ে দুপুরেই লখনউয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেন মোস্তাফিজ। দলটিতে খলিল আহমেদ, মুকেশ কুমার, চেতন সাকারিয়ার মতো পেসার থাকায় হয়তো ভ্রমনক্লান্তিতে থাকা মোস্তাফিজকে একাদেশ রাখেননি দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
আয়ারল্যান্ডের টেস্টের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৪ এপ্রিল থেকে রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড।
সফরকারী দলটির বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাফল্যের পর এখন টেস্টে চোখ বাংলাদেশের। সে ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে রয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) দল পেয়েছেন। তাদের খেলার কথা রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। টেস্ট চুক্তির বাইরে থাকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দল আইপিএলে যাওয়ার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেলেও সাকিব ও লিটনকে ছুটি দেয়নি বিসিবি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে রাখা হয়েছে তাদের দুজনকেই। ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের দলে থাকলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডাক পাননি স্পিনার নাসুম আহমেদ, উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। দলে প্রবেশ করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হেরেে গেছে শ্রীলঙ্কা। এই হারে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো লঙ্কানদের।
২৪ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ সুপার লিগ শেষ করলো শ্রীলঙ্কা। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে হলে এ বছরের জুন-জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাছাইপর্ব খেলতে হবে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এ দেশকে। খবর বাসসের
১০ দলের বাছাই পর্ব থেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ পাবে দুটি দল। শ্রীলঙ্কা ছিটকে যাওয়ায় অষ্টম ও শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার লড়াইয়ে এখন আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ড। ইতোমধ্যে বাংলাাদেশসহ সাত দল বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জয়ের বিকল্প ছিলো না শ্রীলঙ্কার। হ্যামিল্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের তোপে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারায় ৪১ দশমিক ৩ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ২৪ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৩১, চামিকা করুনারতে ২৪ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১৩ রানে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি-হেনরি শিপলি ও ড্যারিল মিচেল ৩টি করে উইকেট নেন।
১৫৮ রানের সহজ লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডেরও। ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। দলীয় ৫৯ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটলে চাপে পড়ে কিউইরা। পঞ্চম উইকেটে ১০৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০০ রান করে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের স্বাদ দেন উইল ইয়ং ও হেনরি নিকোলস।
ইয়ং ১১টি চারে ১১৩ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেন। ৫২ বলে অনবদ্য ৪৪ রান করেন নিকোলস। ম্যাচ সেরা হন ইয়ং। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো নিউজিল্যান্ড।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডের আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন:ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হলেও টি-২০ সিরিজে ধবলধোলাই এড়াল আয়ারল্যান্ড। শুক্রবার চট্টগ্রামে শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়েছে তারা।
সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে নেমে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে এক শ-এর নিচে গুঁটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগছিল। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারির ৫১ রানে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই সিরিজে প্রথমবার টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে আগের দুই টি-টোয়েন্টির মতো আগ্রাসী শুরু করেছিলেন লিটন দাস। লিটন-রনির ওপেনিং জুটি প্রথম ওভারে ৯ রান নিয়ে আজও বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আউট লিটন। ৫ রান করেন তিনি। তিনে নেমে দেখে খেলতে গিয়ে বিপদ বাড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বলে মাত্র ৪ রান করে এই বাঁহাতি।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রনি আউট হন ১৪ রান করে। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও মেরে খেলে দলের রান বাড়াতে গিয়ে ধারাবাহিক বিরতিতে সাকিব (৬), তাওহিদ হৃদয় (১২) ও অভিষেক হওয়া রিশাদ হোসেন (৮) আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল। তবে শান্ত ছাড়া কেউই স্ট্রাইক রেট এক শ-এর নিচে নামতে দেননি।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একাই লড়েছেন শামিম। ৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেটে নাসুম আহমেদের সঙ্গে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। নাসুম ১৩ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। শেষ উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে যোগ করেন আরও ২০ রান। ৪০ বলে পূর্ণ করে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম অর্ধশতক। শামীমের ৫১ রানে বাংলাদেশ পায় ১২৪ রানের লড়াইয়ের পুঁজি।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানেই ওপেনার রস অ্যাডায়ার (৭) উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তাকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর লরকান টাকারকে (৪) বিদায় করেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনের বলে ৭৭ রানে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং।
আরও পড়ুন:আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল টাইগাররা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বুধবার এ ম্যাচেই মাত্র ১৮ বলে ৫০ তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় তার এই ঝড় ভেঙে দিয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করার রেকর্ড।
লিটনের ক্যারিয়ারসেরা ব্যাটিং আর সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই হেসেখেলে সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত আগের ম্যাচে প্রথম টি-টোয়ন্টিতে ২২ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার শুরুটা করেন। তাদের ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩.৩ ওভারেই পঞ্চাশ রান পেরোয়, বাংলাদশের ইতিহাসে যা দ্রুততম দলীয় ফিফটি।
লিটন দাসের ফিফটিতে দুই ওপেনারের ঝড়ে ভেঙেছে গত ম্যাচেই গড়া দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ডও। আগের ম্যাচে ৫৩ বলে ১০০ করা বাংলাদেশ এই ম্যাচে সে মাইলফলক ছুঁয়েছে তার চেয়েও ১০ বল কম খেলে।
লিটন (৮৩) সেঞ্চুরি এবং রনি (৪৪) ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে আউট হলেও সাকিব-হৃদয়ের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দুই শ ছাড়ানো স্কোর পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে ছোট হয়ে আসা ম্যাচে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২০২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে টাইগাররা।
ইনিংসের প্রথম বলেই অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে হারায় আয়ারল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর শুরু সাকিবের ঘূর্ণিজাদু। ম্যাচে নিজের প্রথম বলে লরকান টাকারকে (৬) শিকার করেন সাকিব।
নিজের কোটার পরের দুই ওভারে আরও দুটি করে উইকেট তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই মাইলফলকের সুবাদে কিউই পেসার টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে আবারও টি-টোয়েন্টির শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক বনে গেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
মাত্র ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে শেষ দিকে ব্যবধান কমে কার্টিস ক্যাম্ফারের ৩০ বলে ৫০ এবং টেক্টর (২২) ও হিউমের (২০*) অবদানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন আশরাফুল। ১৫ বছর পর সে রেকর্ড ভেঙেছেন লিটন দাস।
চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১৮ বলে ৫০ তুলে নিয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় তার এই ঝড় ভেঙে দিয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড।
১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে পাওয়ার প্লেও এক ওভার কমে এসেছিল। প্রথম কোনো চার ছয় মারেননি লিটন ও রনি তালুকদার। কিন্তু একটু পরই সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন দুজন।
পরের ওভারে একটি করে চার মেরেছেন দুজন। তার পরের ওভারে একটি করে চার ছক্কায় এসেছে ১৬ রান। তিন ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৩৭। ৭ বলে তখন লিটনের রান ১৬।
মার্ক অ্যাডেইরের পরের ওভারের প্রথম বলেই পরের দুই বলে দুটি চার মারেন লিটন। দ্বিতীয় চারে বাংলাদেশের রান ৫০ পেরিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এত দ্রুত (৫১) কখনো ৫০ পেরোয়নি বাংলাদেশ। পরের ওভারে হ্যান্ডকেও একই স্বাদ উপহার দিলেন লিটন। এবার চার, চার, ছক্কা!
ওভারের তৃতীয় বল শেষে ১৫ বলে ৪৬ রান লিটনের। পরের তিন বলে চার রান তুলে মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড নিজের করে করে নেন তিনি।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম টি-টোয়ন্টিতে ২২ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সোমবার চার বল বাকি থাকতেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরুর আগে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বংলাদেশ করে ২০৭ রান।
এই সংগ্রহের পর ডিএলএস মেথডে আয়ারল্যান্ডের জন্য নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয় ৮ ওভারে ১০৪ রান। তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি তারা। ৫ উইকেটে আয়ারল্যান্ড করে ৮১ রান।
শুরুতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। আমন্ত্রণ লুফে নিয়ে মাঠে নামে দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রান তুলেছেন দুজন।
শুরুর সে ঝড় পরে স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল একটু। অষ্টম ওভারে লিটন আউট হয়ে যান ৪৭ রানে। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারা লিটনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত একটু ধীরগতিতে এগিয়েছেন।
রনি অবশ্য ২৪ বলে ফিফটি পেয়ে গেছেন। পরে ১৪তম ওভারে দলকে ১৫৪ রানে রেখে ফিরেছেন তিনিও। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করা রনি ফেরার পর বাংলাদেশ ইনিংসের গতি হারিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারী (৩০) ও সাকিব আল হাসানের (২০*) ছোট ইনিংস দুই শ পার করিয়ে দেয়। বৃষ্টি শুরু হয় ১৯ ওভার ২ বলে ২০৭ রান তোলার পর। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় ওখানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টিতে করা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ২১৫ রান বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা ২১১-এর দুটিরই স্কোর ছুঁই ছুঁই করেও অল্পের জন্য কোনোটিই ছাড়াতে পারল না টাইগররা।
দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে বদলে যায় সব হিসাব। আবার ম্যাচ শুরু হয় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য