প্রায় ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ, কোচ, টেকনিক্যাল অফিসিয়াল ও ক্রীড়া সংগঠকের অংশগ্রহণে ২ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ক্রীড়া ক্ষেত্রের মহাযজ্ঞ। শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে তার সফল সমাপ্তি হয়েছে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের গতির ঝলক, আতশবাজির রোশনি, মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে চোখ ধাঁধানো সমাপনীতে পর্দা নামল শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের।
চূড়ান্ত পর্বে চার হাজার অ্যাথলেটের ক্রীড়াশৈলীতে সাত দিন ধরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ছিল উৎসবের আবহ। সেই উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার সমাপনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সেনাপ্রধান।
বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিওএ’র সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ এবং বিওএ’র অন্যান্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ফেডারেশন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আটটি বিভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে ২৪টি ডিসিপ্লিনে অনুষ্ঠিত গেমসে সেরা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ৪৯টি স্বর্ণ, ৪০টি রৌপ্য এবং ৫৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪৬টি পদক নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রামের তরুণ-তরুণীরা। দ্বিতীয় হয়েছে ঢাকা বিভাগ। তারা ৪৬টি স্বর্ণ, ৩৯টি রৌপ্য, ৬১টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪৬টি পদক জিতেছে। ৪২টি স্বর্ণ, ৪৩টি রৌপ্য এবং ৫৯টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১৪৪টি পদক নিয়ে তৃতীয় হয়েছে খুলনা বিভাগ।
সমাপনী অনুষ্ঠানটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে ছিল প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেমের আগমন, অ্যাথলেটিকসের ১০০ ও ৮০০ মিটার দৌড় ইভেন্ট, শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অডিওভিজ্যুয়াল প্রদর্শন, স্পন্সরদের ক্রেস্ট প্রদান, প্রধান অতিথির বক্তব্য এবং সমাপনী ঘোষণা।
দ্বিতীয় পর্বকে সাজানো হয় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে, যেখানে সুরের তালে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন শিল্পীরা।
শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা পায়।
অ্যাথলেটিকস শুরুর আগে দেশের নানা উন্নয়ন চিত্র নিয়ে কয়েক মিনিটের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। সেখানে যুব গেমসের কিছু খণ্ডচিত্র দেখানো হয়। অ্যাথলেটিকসের জনপ্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সময় তরুণ-তরুণীদের গতির সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের গর্জনে ভিন্ন এক আবহ তৈরি হয়।
স্প্রিন্টের পর ২৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে শুরু হয় সমাপনীর আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের ওপর সংক্ষিপ্ত একটি অডিওভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। সেখানে তুলে ধরা হয়, জেলা, উপজেলা, বিভাগীয় পর্যায় থেকে শুরু করে গেমসের মশাল প্রজ্বালন। এরপর যুব গেমসের স্পন্সরদের হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে ফটোসেশন করেন বিওএ সভাপতি সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানের পর ৮০০ মিটার এবং ১০০ মিটার স্প্রিন্টের তরুণ ও তরুণী বিভাগে পদক জয়ীদের গলায় পদক পরিয়ে দেয়ার সঙ্গে যুব গেমসের সেরা হওয়া চট্টগ্রাম ও দ্বিতীয় হওয়া ঢাকা বিভাগের হাতে ট্রফি তুলে দেন বিওএ সভাপতি।
বিওএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে ফটো সেশনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান।
রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুই ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: সেনাপ্রধান
সমাপনী বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলার জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও আধুনিক কাঠামোতে রূপান্তরিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি নিয়েছিলেন।
‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে তিনি ১৯৭২ সালে গঠন করেন ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। সে সময় একে একে গড়ে ওঠে সাঁতার, হকি, ভলিবল, অ্যাথলেটিকস, টেনিস ইত্যাদি ফেডারেশন। এক কথায় রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রীড়াঙ্গনও। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এবং নতুন প্রতিভার সমন্বয়ে আমরা জাতীয় দলগুলোকে সমৃদ্ধ করতে পারব।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ছিলেন দেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক ও তারুণ্যের প্রতীক। তার যৌবনদীপ্ত ক্রীড়াশৈলী দেশের তরুণদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। এ প্রজন্মের তরুণরাও খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভা ও ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে আগামীতে হয়ে উঠবে অনন্য সাধারণ ক্রীড়াবিদ।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্রীড়াঙ্গনের সম্প্রসারণ ও খেলাধুলার মান উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এবং করে যাচ্ছে। দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে তরুণ প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা যাতে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় সেজন্য দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার।
‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নারীরা সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল, সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সম্প্রতি কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ইমরানুর রহমান ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন।’
সুন্দরভাবে শেখ কামাল যুব গেমস শেষ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। আর এবারের যুব গেমসে সেরা ২৮ জন তরুণ-তরুণীকে ১০ লাখ টাকা ভাগ করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সেনাপ্রধানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই আতশবাজির আলোতে আলোকিত হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের।
রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ সিনিয়র সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল আর নেই। বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আগস্টের শুরু থেকে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন অঘোর মণ্ডল। সঙ্গে হৃদরোগসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও ছিল। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এরপর সাধারণ কেবিন থেকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত হন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে আইসিইউতেই লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয় অঘোর মণ্ডলকে। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
অঘোর মণ্ডল তিন দশকেরও বেশি সময় সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে আজকের কাগজ দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। এরপর দৈনিক ভোরের কাগজে ছিলেন। একসময় প্রিন্ট মিডিয়া ছেড়ে তিনি সম্প্রচার মাধ্যমে যোগ দেন।
চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি, এটিএন নিউজে কাজ করেছেন অনেকদিন। সবশেষ এটিএন নিউজে বার্তা সম্পাদকের (ডিজিটাল অ্যান্ড নিউ মিডিয়া) দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কলাম লিখতেন তিনি। কলামিস্ট হিসেবে লেখালেখি করেছেন ক্রিকেট, রাজনীতিসহ আরও অনেক বিষয়েই। ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে দেশ-বিদেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ইভেন্ট কাভার করেছেন অঘোর মণ্ডল।
এক সময় তিনি বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে কিছুদিনের জন্য হয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও। তার অকাল মৃত্যুতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক জানিয়েছে বিএসজেএ, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) সহ আরও অনেক সংগঠন।
আরও পড়ুন:দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিদ্যমান ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিটিকে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন জোবায়েদুর রহমান রানাকে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সাবেক সচিব হকি খেলোয়াড় মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ক্রীড়া সংগঠক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক মন্টু কায়সার।
সার্চ কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮-এর আলোকে ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থাগুলোর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী দুই মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করবে বলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্মকাণ্ডসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বিশদ পর্যালোচনা করে সুপারিশমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ক্রীড়া-১) এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব।
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবরে গার্মেন্টকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় এই দুই সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম শুক্রবার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এবং চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌসকে ৫৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ (এস আলম) ১৫৬ জনের। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৪০০-৫০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পিএমটি ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম ডপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির ছোট ভাই ও ডিএমপির সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের দুই ছেলে আহসানুল আলম মারুফ ও আশরাফুল আলমসহ ১৫৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য