মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের জয়যাত্রা চলছেই। বেনোনির উইলিমুর বি পার্কে সোমবার লঙ্কানদের ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।এতে এক ম্যাচ আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করল লাল-সবুজের দল, এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপেক্ষা।
আগের ম্যাচে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের মেয়েরা।টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শ্রীলঙ্কাকেও শক্তিতে অনেক এগিয়ে রাখা হলেও অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচের পর হিসেব পাল্টে গিয়েছিল।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রত্যাশা, স্বর্ণাদের দারুণ ফিফটিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছে ২ উইকেটে ১৬৫। শ্রীলঙ্কা শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে।
চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্টে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার সাদমান ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের জবাবে সাদমানের ১২০ রানের উপর ভর কওে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত ৫৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ২২ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
প্রথম দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে বাকী ১ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম ২৭ দশমিক ১ ওভার বোলিং করে ৬০ রানে ৬ উইকেট নেন।
জবাবে দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল হকের দৃঢ়তায় ১১৮ রানের সূচনা পায় বাংলাদেশ। এনামুল হক ৩৯ রানে আউট হলেও টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান।
১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮১ বলে ১২০ রান করে চা-বিরতির আগে আউট হন সাদমান। উইকেটে সেট হয়ে ৩৩ রানে থামেন মোমিনুল।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২ ও মুশফিকুর রহিম ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান বেনেট ১টি করে উইকেট নেন।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলার আসরে এবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ। নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে কুমিল্লা আরেক বলী রাশেদকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। গত বারের ১১৫তম আসরেও রাশেদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন এই বাঘা শরীফ।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলেন বাঘা শরীফ। রাশেদকে গতবারের আসরের মতো এবারের ১১৬তম আসরেও রানার্স আপ ঘোষণা করা হয়। তারা দুজনই কুস্তির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জব্বারের বলী খেলার ১১৪তম আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শাহজালাল বলীর কাছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জব্বারের বলী খেলার এবারের আসর ছিল ১১৬তম। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে মঞ্চে শুরু হয় বলী খেলার লড়াই। এতে অংশ নেন নিবন্ধিত ১২০ জন বলী। এদিন বিকেল ৪টায় এবারের বলী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন উড়িয়ে বলী খেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
শওকত আনোয়ার বাদল জানান, এবারের বলী খেলায় সবচেয়ে বয়স্ক বলী ছিলেন কলিম উল্লাহ (৬৬)। আবার সবচেয়ে কম বয়সের বলী ছিল কিশোর ফয়সাল (১৬)। সবশেষে ফাইনাল রাউন্ডে বাঘা শরীফ ২৩ মিনিটে রাশেদ বলীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এর আগেরবার ১১৫তম আসরে ১১ মিনিট লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বাঘা শরীফ।
শতবর্ষী এই বলী খেলায় ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কুমিল্লার মাংস বিক্রেতা শাহজালাল বলী। আর রানার্সআপ হয়েছিলেন চকরিয়ার তারিকুল ইসলাম (জীবন) বলী। এর আগে ২০২২ সালে শাহজালালকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন তারিকুল ইসলাম।
আর ২০১৯ সালে তারিকুলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল বলী। তারও আগের বছর ২০১৮ সালে শাহজালালকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছিলেন তারিকুল। কয়েক বছর ধরে এভাবে দুজনের মধ্যে শিরোপার লড়াই চলতে থাকে।
তবে জব্বারের বলী খেলায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন কক্সবাজারের রামুর দিদারুল আলম ওরফে দিদার বলী। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ ১১ বার বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর থেকে দিদার বলী এ খেলা থেকে অবসরে আছেন। ১৯ বছর বয়সে জব্বারের খেলায় অংশ নিয়ে ৩৩ বছর বয়সে অবসরে যান এই বলী।
প্রচণ্ড গরমেও দর্শকদের আনন্দ-উল্লাস
এবার বলী খেলা মঞ্চে গড়ানোর দেড় ঘণ্টা আগে থেকেই মাঠে ভিড় করেন বলীরা। এ সময় মঞ্চের চারপাশ ঘিরে দেখা যায় দর্শকদের বাঁধভাঙা উল্লাস। বলী খেলা তো নয়, যেন পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেগ অনুভূতির প্রাণের মেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ভিড় করেন এই বলী খেলা দেখতে। বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন এই বলী খেলায়।
নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শফিকুর রহমান। ছেলেকে নিয়ে এসেছেন জব্বারের বলী খেলা দেখতে। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ, তারপরও ছেলের বায়না রাখতে বলী খেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। গরমে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
রুবেল এসেছেন বাঁশখালী থেকে। তিনি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে বলী খেলা দেখতে এসেছি। আমরা সকালে রওনা দিয়েছি। সামনে বসে খেলা দেখবো। এখানে এসে দেখি আমাদের আগেও লোক এসে মাঠে ভিড় করছে। রোদ আর গরমে মাথা ঘুরাচ্ছে। এত মানুষ নড়াচড়ার জায়গাও নাই।
নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে এসেছেন সাকিব, তাসিন আর ইফতেখার। তবে ভিড়ের কারণে তারা মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। তাই লালদীঘি ময়দানের সীমানা প্রাচীরের ওপর উঠে ঝুঁকি নিয়েই খেলা দেখছেন। ঝুঁকির বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে তারা বলেন, বছরে একবার বলী খেলা দেখার সুযোগ হয়। ঝুঁকি না নিলে তো দেখতেই পারব না। রোদে গরমে কষ্ট হলেও খেলা দেখবো।
বলী খেলা ঘিরে বৈশাখী মেলা
প্রতি বছর বাংলা ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলী খেলা। বলী খেলাকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা বসে লালদীঘির আশপাশের এলাকায়। এবার ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের এলাকায় শুরু হয় বৈশাখী মেলা।
গরমের কারণে এবারের মেলায় ঝাড় ও তালপাতার হাতপাখা ছিল নারী-পুরুষের প্রথম পছন্দ। গৃহস্থালির বিভিন্ন সামগ্রী, শিশু-কিশোরদের খেলনা, গৃহসজ্জার জিনিস, তৈজসপত্র, ঝাড়, কুড়াল, আসবাবপত্র, গাছপালা সবই বিকিকিনি হচ্ছে এই মেলায়।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় গৃহস্থালী সামগ্রী কেনার সময় রফিক ও নুরজাহান দম্পতি বলেন, গৃহস্থালী সামগ্রী মেলায় যেগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো সাধারণত চট্টগ্রামের হাট-বাজারে পাওয়া যায় না। তাই গরমের মধ্যেও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এসেছি। ঝাড়, মাটির থালাসহ তালপাতার হাতপাখা কিনেছি।
তারা বলেন, আগামীকাল শনিবার শেষ হবে প্রাণের এই মেলা। এই মেলা আরও কয়েকদিন থাকা উচিত। কারণ অনেকে ব্যস্ততার কারণে তিন দিনের মধ্যে মেলায় আসতে পারবে না। আগে এই মেলা ৭-৮ দিন পর্যন্ত হতো বলেও জানান তারা।
আবদুল জব্বারের বলী খেলা উদযাপন কমিটির ১১৬তম আসরের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান জানান, ১৯০৯ সালে বকশিরহাটের বিশিষ্ট বণিক ও চট্টগ্রাম শহরের বদরপাতির বাসিন্দা আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে এই বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এই প্রতিযোগিতা ‘জব্বারের বলী খেলা’ নামে পরিচিতি পায়। সেই থেকে নিয়মিত বলী খেলার আসর বসলেও মাঝখানে দুই বছর (২০২০ এবং ২০২১) করোনার জন্য এবং তারও আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একবার বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ফিক্সিং, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটারদের ‘বেইজ্জত-অপমান’ করা হচ্ছে বলে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হার্ট অ্যাটাকের পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সময় একাধিক বিষয়ে অসন্তোষের কথা জানান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু নিয়ে গতকাল (শুক্রবার) বৈঠক বসে মোহামেডান ও বিসিবি। মোহামেডানের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার তামিমসহ বেশ কয়েকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাটি গত ১২ এপ্রিলের। ডিপিএলে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে সেদিন তর্কে জড়ান মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। শুধু মাঠে তর্কে জড়িয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, ম্যাচ শেষে কিছুটা বিতর্কিত সুরে বলেছিলেন, ‘তিনি (সৈকত) আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।’
ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে তর্ক ও তাদের কটাক্ষ করার কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। তবে তার শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করে মোহামেডান কর্তৃপক্ষ। কমিটি তাতে সাড়া না দিলেও তাদের সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ, অথচ এই এখতিয়ার তাদের নেই।
নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সৈকতের অভিমান ভাঙায় বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ এবং সেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে দেওয়া হয় হৃদয়কে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এ বিষয়ে তামিমের ভাষ্য, ‘হৃদয়ের ইস্যুটা... ওকে দুটি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন কিন্তু কোনো খেলোয়াড় বা কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি! আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে নিষিদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করতে পারি, সিদ্ধান্তটা কঠোর ছিল, কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তার কিছুদিন পর দেখলাম যে, (নিষেধাজ্ঞা) দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হলো; এটা বিসিবি করেছে। তখনও আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি। তারপর হৃদয় একটা ম্যাচ না খেলে পরের দুটি ম্যাচ খেলল। স্বাভাবিকভাবে ওর যে শাস্তি ছিল, সেটা সে ভোগ করে নিয়েছে। এখন দুটি ম্যাচ খেলার পর গতকাল শুনলাম যে, তাকে আবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘এটা কোন নিয়মে, কীভাবে করা হয়েছে—তা আমার জানা নেই। এটা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। এটা হাস্যকর ছিল। কোনোভাবেই সে নিষিদ্ধ হতে পারে না যে কিনা আগেই (একবার) নিষিদ্ধ হয়েছে। বিসিবি তাকে দুটি ম্যাচ খেলতে দিয়েছে। তাকে আবার আপনি কীভাবে নিষিদ্ধ করতে পারেন?’
এছাড়া, ডিপিএলের চলতি আসরে একটি ম্যাচকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচকে ঘিরে ওঠা সেই সন্দেহের ম্যাচটি নিয়ে বিসিবির তদন্ত চলছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১০ এপ্রিল শাইনপুকুরের দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে মিরপুরে ডাকা হয়। এই দুজন স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে উপস্থিত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করে দেখান। উইকেটের দুই পাশে দুটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সেই দৃশ্য। মিডিয়াকর্মীরাও সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, মিডিয়ার সামনে এই দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে অভিনয় করানোর কোনো অধিকার কারও নেই।
‘আমরা এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডকে সরাসরি বলেছি যে দেখেন, যদি ওখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় কোনো ধরনের দোষ করে থাকে, আমরা সবাই চাই এটার (জন্য) শাস্তি হোক; এতে আমরা শতভাগ একমত। কিন্তু তার মানে এটা না যে, আপনি ওই দুটি ছেলেকে নিয়ে গিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন, এমনটা করার অধিকার কারো নেই।’
‘বিশ্বের কোথাও দুর্নীতি দমন ইউনিটে এমন নিয়ম নেই যে, একই জিনিস অভিনয় করিয়ে আপনি ওই দুটি ছেলেকে বেইজ্জত করবেন মিডিয়ার সামনে। এটা খেলোয়াড়দের অপমান করা। এই জিনিস নিয়ে আমরা একবিন্দুও খুশি ছিলাম না।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। যাদের নাম গণমাধ্যমে আসায়ও বিসিবিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তামিম।
‘বিপিএলেও ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে বিসিবির ভেতর থেকে; ১০ জনের ছবি মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই চাই, ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয়, তার শাস্তি হোক।
কিন্তু তাদের মধ্যে যদি দুজন বা আটজনও নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়?—প্রশ্ন রেখে তামিম তাদের নামগুলো জনগণের সামনে ফাঁস করে দেওয়াকে ‘অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলো ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যদি এভাবে ট্রিট করা শুরু করেন, তাহলে তো হলো না! এই জিনিস নিয়ে আমরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি আসতে। উনি এসেছেন, সঙ্গে আরও দুজন পরিচালক (নাজমুল আবেদীন ও ইফতেখার আহমেদ) ছিলেন। আমরা লম্বা আলোচনা করেছি। আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরে উনাকে বলেছি যে, (বিষয়গুলো নিয়ে) আমরা আপসেট।’
‘এসব নিয়ে আমাদের বিতর্ক হয়েছে। উনাদের আমরা সুন্দর করে (নিজেদের) অবস্থান পরিষ্কার করেছি যে আমরা কী অনুভব করি। তারপর উনারা উনাদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
গতকাল শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
সেরা একাদশে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আকতারকে রাখা হয়েছে। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবেও আছেন বাংলাদেশের রাবেয়া খান। একাদশের অধিনায়ক পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে সর্বোচ্চ চার জন পাকিস্তানের, তিন জন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ও দুই জন করে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটার আছেন।
একাদশের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হিলি ম্যাথুস ও পাকিস্তানের মুনিবা আলি। ম্যাথুস ২৪০ রান ও আসরের সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ২২৩ রান করেছেন মুনিবা।
ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে রাখা হয়েছে শারমিনকে। তিন হাফ-সেঞ্চুরিতে আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৬ রান করেছেন তিনি।
চার নম্বরে রাখা হয়েছে আসরের সর্বোচ্চ ২৯৩ রান করা স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইসকে। পাশাপাশি বল হাতে ৬ উইকেটও নেন তিনি।
একাদশে উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার। দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৪১ রান করেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিংও করেছেন নিগার।
ব্যাট হাতে ১০৭ রান ও পেস বোলিংয়ে ১২ উইকেট নিয়ে একাদশের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তানের সানাকে।
এরপর আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চিনেল হেনরি ও আলিয়া অ্যালাইন। হেনরি ১৭১ রান ও ৪ উইকেট নেন। অ্যালাইন ১২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৬৩ রান করেন।
একাদশে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ফ্রেজার। ৭৭ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
একাদশে শেষ দুই খেলোয়াড় হলেন- পাকিস্তানের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার নাস্রা সান্ধু ও সাদিয়া ইকবাল। নাস্রা ১০ উইকেট ও সাদিয়া ৯ উইকেট নেন।
৬ উইকেট নিয়ে দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লেগ স্পিনার রাবেয়া।
বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের একাদশ : হিলি ম্যাথুজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলি (পাকিস্তান), শারমিন আকতার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা (বাংলাদেশ, উইকেটরক্ষক), ফাতিমা সানা (পাকিস্তান, অধিনায়ক), চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়া অ্যালাইন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), নাস্রা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।
দ্বাদশ ক্রিকেটার : রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)।
দিনের শুরুতেই বিষণ্নতার ছোঁয়া, এরপর কয়েক ঘণ্টার হৃদয় নিংড়ানো দোয়া, আশা, উৎকণ্ঠা আর হার্ট বন্ধ করা উত্তেজনা; গতকাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অবস্থাটা অনেকটা এরকমই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে হতাশ করেছিল জ্যোতিরা। তাই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছিল থাইল্যান্ডের হাতে। ব্যাটিংয়ে তারা আশা দেখালেও ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউসের টর্নেডোতে বাড়ে উৎকণ্ঠা। শেষ দুই বলের হার্ট বন্ধ করা উত্তেজনা শেষে ভারতের টিকিট ‘কনফার্ম’ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের।
সবগুলো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পাকিস্তান। আর ৩টি করে জয়ে সমান ৬ পয়েন্ট করে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে রান রেট (০.৬৩৯) ব্যবধানে এগিয়ে দুই নম্বরে বাংলাদেশ। আর তিন নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০.৬২৬)।
জটিল অঙ্কের সমাধান মেলাতে পারেনি উইন্ডিজ নারীরা। তাই জিতেও ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। রান রেটের মারপ্যাঁচে ক্যারিবিয়ানদের খেলা হচ্ছে না ভারতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে। বাচাইপর্ব থেকে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। এখন তাদের সঙ্গী হলো বাংলাদেশ।
শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ ছিল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। কিন্তু দুই ম্যাচেই হেরে বসে টাইগ্রেসরা। যার সর্বশেষটা গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর থাইল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না বাংলাদেশের।
তবে প্রকৃতির এক নিদারুণ সুবিধা পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস ভাগ্য চলে যায় তাদের হাতে। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে নেট রান রেট মেলানোর সুযোগ নিতে তাই দুবার ভাবেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। থাইল্যান্ড ১৬৬ রানে অলআউট হতেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা জেনে যান কী করলে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে যাবেন তারা। কাজটা কঠিনই ছিল। ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ১০ ওভারে। স্কোর সমান হয়ে যাওয়ার পর ছক্কা মারলে ১১ ওভারে জিতলেই চলত। ক্যারিবীয়রা সেই কাজ প্রায় করেই ফেলেছিলেন।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশি সমর্থকদের রীতিমতো হার্টবিট বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্যারিয়ান অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস। উইকেটে রীতিমতো সাইক্লোন বয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। ক্রিকেট বলকে যেন ফুটবল দেখছিলেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। যদি আর একটা ওভার তিনি টিকতে পারতেন তাহলেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতো বাংলাদেশের। ম্যাথিউস মেয়েদের ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দেন কি না, এ নিয়ে যখন গবেষণা শুরু হলো, তখনই ছন্দপতন। ২৯ বলে ৭০ রান করে ম্যাথিউস যখন ফিরলেন, তখন ৩ ওভারে হিসাব মেলাতে ৬২ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
সেই হিসাব মেলানোর দিকেই এগোতে গিয়ে ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪৮ রান করে ফিরেন শিনেল হেনরি। এরপর শেষ দুই বলের অঙ্কে ভুল করে বসেন স্টেফানি টেইলর। ২ বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। এর জন্য প্রথমে চার মেরে স্কোর নিতে হতো সমতায়। পরের বলে ছক্কা মেরে জিততে হতো ম্যাচ। কিন্তু ছক্কায় শেষ করে দিলেন ম্যাচ! বাংলাদেশ হাসলো সুখের হাসি।
এ বছরের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা- এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট কেটেছে। বাছাই পর্ব থেকে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
তবে পাকিস্তান বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় বেধেছে আরেক ঝামেলা। চুক্তি অনুযায়ী ভারতে খেলতে যাবে না তারা। সেক্ষেত্রে নারী বিশ্বকাপ হবে হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে অন্য কোনো দেশে। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেমনটা হয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলো।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় হার দেখে বাংলাদেশ নারী দল। লাহোরে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার কবলে পড়ে ১৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিতু মনি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন।
জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। মুনিবা আলির ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। এটাই ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। আর ৫২ রানে অপরাজিত আলিয়া রিয়াজ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আগামী মাসে ডিএনসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে। এই টুর্নামেন্টে ডিএনসিসি’র ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪ লাখ টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে ডিএনসিসি এবং বনানী স্পোর্টস এরেনা কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি প্রশাসক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, জাবেদ ওমর বেলিম ও শাহরিয়ার নাফীস।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ফুটবলের পর আমরা ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্রিকেট খেলার আয়োজন করবো। প্রতি বছর ৪টা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হবে।’
ডিএনসিসি প্রশাসক নারীদের জন্যও আলাদা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে জানিয়ে বলেন, নারীদের জন্য এই শহরে পাবলিক স্পেসের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব আয়োজনের মাধ্যমে বিনোদন ও যুব উন্নয়নের পাশাপাশি কালচারাল ফ্যাসিজমের যে ভয় আছে সেটিকে মোকাবিলা করা হবে। কালচারাল ফ্যাসিজম কিন্তু খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিএনসিসি’র আওতাধীন মাঠগুলো কোনো ক্লাবের আন্ডারে থাকবে না। ক্লাবের আওতাধীন থাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাবলিক স্পেসে মানুষের আসা-যাওয়া, শিশুদের খেলাধুলা এগুলো অধিকার। সাধারণ মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য মাঠ বরাদ্দ থাকলে সামাজিক বৈষম্য হয়, অবিচার হয়। তাই এটি আর করতে দেয়া হবে না।
ডিএনসিসি প্রশাসক তার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত দুই মাসে আমরা কয়েকটি মাঠ উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মিরপুর প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মিরপুর বাউনিয়ায় ১২ বিঘা একটি মাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বড়দের জন্য একটি অলিম্পিক সাইজের ফুটবল মাঠের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও আলাদা খেলার মাঠ থাকবে।
পরে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে নিজে ব্যাটিং করে ‘ক্রিকেট কার্নিভাল-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বিপরীতে বোলিং করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক। এরপর ডিএনসিসি প্রশাসক অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে ছবি আঁকা হয়েছে সেগুলোর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ঘরেই যেন গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের তিন তারকা। থিয়াগো, মাতেও আর সিরো—তিন পুত্রই এখন নিয়মিত ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। অনুশীলন থেকে শুরু করে মাঠের খেলার পর বল নিয়ে ছোটাছুটি, সবখানেই দেখা মিলছে ফুটবল নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস। আর এ নিয়েই মুখ খুলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
‘সিম্পলি ফুটবল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে কথা বলেন মেসি। বলেন, ‘ওরা সারাদিনই বল নিয়েই থাকে। ওদের সঙ্গে সময় কাটানো আমি খুব উপভোগ করি। প্রতিদিন ওরা অনুশীলন করে, ম্যাচ খেলে, পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
মেসির তিন ছেলে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের ফুটবলার। মেসির মতে, বড় ছেলে থিয়াগো (১২) অনেক বেশি গোছানো, ভেবেচিন্তে খেলে, মাঝমাঠের খেলোয়াড় হওয়ার উপযুক্ত। ‘ও খুব চিন্তাশীল, খেলার মাঝে অনেক পরিকল্পনা করে। একজন আদর্শ মিডফিল্ডার টাইপ।’
মাঝের ছেলে মাতেও (৯) সম্পর্কে মেসির মূল্যায়ন, ‘সে একজন ফরোয়ার্ড, সবসময় গোল করতে চায়। গোলের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। বুদ্ধিমান খেলোয়াড় বলা যায়।’
ছোট ছেলে অর্থাৎ সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির মন্তব্যটা এমন, ‘চিরো আরও বিস্ফোরক। সে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে এবং একজন ওয়ান অন খেলোয়াড়। সে নিজের খেলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী।’
তবে তিন ছেলের মধ্যে কাকে সেরা বলা যায়—সে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি মেসি। হেসে বলেন, ‘আমি যদি একজনের নাম বলি, তাহলে বাকিরা এসে বলবে তুমি তার নাম কেন বললে! তাই এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছেই রাখি।’
ফুটবলে ছেলেদের আগ্রহ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাইকে নিয়ে কথা বলে। এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, হলান্ড, লেভান্ডোভস্কি, এমনকি লামিন ইয়ামালও বাদ যায় না। তারা সব দেখে, সব জানে। যদিও তাদের মতো হতে চায় না, তবে জানাশোনা অনেক।’
মন্তব্য