বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে অল্পতে আটকে দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মোহাম্মদ আমির, রেজাউর রহমান রাজাদের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে থেমে গেছে চট্টগ্রামের ইনিংসের চাকা।
হোম অফ ক্রিকেট শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্পিনাররা সুবিধা পেলেও বিপিএলের প্রথম ম্যাচে দেখা গেল পেইস দাপট। সিলেটের পেইসারদের আক্রমণ ম্যাচের শুরু থেকেই সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ব্যাটাররা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শুরু হয় চট্টগ্রামের ধস। রান আউটের শিকার হয়ে ১১ রানে মাঠ ছাড়েন মেহেদী মারুফ।
স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করতে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ওপেনার দারউইশ রাসুলিও।
এরপর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। আল আমিনের ২০ বলে ১৮ ও আফিফ হোসেনের ২৩ বলে ২৫ ছাড়া চট্টগ্রামের বাকি ব্যাটারদের মাঠ ছাড়তে হয় এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই।
শেষ পর্যন্ত দলের পুঁজি শতরানে নিয়ে যেতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। ৮৯ রানে থেমে যেতে হয় তাদের।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন রাজা। আমির নেন দুটি উইকেট। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন মাশরাফি মোর্ত্তজা ও কলিন একারম্যান।
প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেব ইংল্যান্ড। গুঞ্জন ছিল, পাকিস্তান সুপার লিগের কারণে একাধিক তারকা ক্রিকেটারকে পাবে না দলটি। তবে আজ জস বাটলারের নেতৃত্ব ঘোষিত দলে তারকা ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই-ই আছেন। অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংসরা না থাকলেও বাংলাদেশে আসছেন মঈন আলী, ডাভিড ম্যালান, জফরা আর্চার, স্যাম কারেন, আদিল রশিদ, ক্রিস ওকস, মার্ক উডের মতো অভিজ্ঞরা।
তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডের ঢাকায় আসার কথা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। ১ মার্চ প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু মাঠের লড়াই। বাংলাদেশ সফরে আসার আগে আজ দুই ফরম্যাটের জন্য ১৫ সদস্যের আলাদা দুটি দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল
জস বাটলার (অধিনায়ক), টম অ্যাবেল, রেহান আহমেদ, মঈন আলী, জফরা আর্চার, স্যাম কারেন, সাকিব মাহমুদ, ডাভিড ম্যালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ফিল সল্ট, রিস টপলি, জেমস ভিনস, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।
ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দল
জস বাটলার (অধিনায়ক), টম অ্যাবেল, রেহান আহমেদ, মঈন আলী, জফরা আর্চার, স্যাম কারেন, বেন ডাকেট, উইল জ্যাকস, ক্রিস জর্ডান, ডাভিড ম্যালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, রিস টপলি, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।
আরও পড়ুন:গুঞ্জনই সত্যি হলো। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে আসবেন লঙ্কান এ কোচ।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন হাথুরু।বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় কিছু সাফল্য এসেছে তার সময়েই। ২০১৫ সালে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে সিরিজ জয়, সে বছরই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ছাড়াও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ তার অধীনে।
হাথুরুসিংহের সময় টেস্ট ক্রিকেটেও কিছু সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল টাইগাররা।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে পদত্যাগ করেছিলেন হাথুরুসিংহে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
একই দলের পেসার হারিস রউফকে সতর্ক করেছে বোর্ড।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রংপুর। সেই ম্যাচে সিলেটের ইনিংসের শেষ ওভারে রংপুরের পেসার রবিউল ইসলামের করা একটি নো বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্পায়ারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন সোহান-হারিস। এ জন্য বিসিবির কোড অফ কন্ডাক্টের লেভেল ১-এর অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৮ ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
আইন ভাঙায় সোহানকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সোহান। কোড অফ কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ৭.৫ অনুযায়ী চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন তিনি।
হারিসকে জরিমানা করা না হলেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন পাকিস্তানি এ পেসার। দুই ক্রিকেটার শাস্তি মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
আরও পড়ুন:সিলেটে দিনের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা হারে রংপুর রাইডার্সের কাছে। আর মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের হারের সুযোগ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছে বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিয়েছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল ফরচুন।
এনামুল হক বিজয় ও করিম জানাতের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে বরিশাল। ফলে ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে সিলেটের সমান ১২ পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে সাকিবরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ করে চট্টগ্রাম। নিজের বিপিএল অভিষেক ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। ছয়ে নেমে ২৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস। ৪টি চারের সঙ্গে ছক্কা ছিল ২টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আফিফ হোসেনের, জ্বরের কারণে যিনি সর্বশেষ ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি। ২৩ বলে ৩৭ করেন এই বাঁহাতি। ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
বরিশালের হয়ে দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। আগের ম্যাচের পর সাইড স্ট্রেইনের সমস্যায় ভোগা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ কাল ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে পাস করতে না পারায় আজ একাদশে ছিলেন না।
রান তাড়ায় বরিশালকে দারুণ শুরু এনে দেন বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ হাসান ১০ করে আউট হলেও অর্ধশতক তুলে নেন বিজয়। ৬টি করে চার-ছয়ে ৫০ বলে করেন ৭৮ রান। এরপর অবশ্য সাকিব ৩ রান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনো বল না খেলে শূন্য রানে আউট হলে চাপে পড়ে বরিশাল।
শেষ দিকে জানাতের ১২ বলে ৩১ রানের তাণ্ডবের সঙ্গে সালমান হোসেনের ১৪ বলে ১৮ রানে জয় পায় বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদুরজামান।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের সমীকরণটা মিলল না ঠিকঠাক।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৯২ রানে গুটিয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচ হেরেছে ৬ উইকেটে। এর ফলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে অবস্থান আরও পোক্ত করল রংপুর। তবে হারলেও ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে আসে ১৬ রান। ১২ রানেই পড়েছে সিলেটের ষষ্ঠ উইকেট। ১৮ রানে পড়ল সপ্তম উইকেটও!
রংপুরের বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, টম মোরেসরা। সুবিধা করতে পারেননি ইমাদ, ওয়াসিম থিসারা পেরেরাও।
অষ্টম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিব ও মাশরাফির গড়া ৪৮ রানের জুটিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় সিলেট। তানজিম ৩৬ বলে ৪১ ও মাশরাফি ২১ বলে ২১ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেট থামে ৯২ রানে।
রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন, শেখ মেহেদী হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট।
রংপুরের ওপেনার নাঈম শেখ ১৮ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত ধরে খেলেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ২৫ রানের জুটিতে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন রনি। নাওয়াজ করেন ১৩ বলে ১৮ রান। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন রনি তালুকদার।
আরও পড়ুন:খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ। এরমধ্যেই পেলেন মন্ত্রী হওয়ার খবর ।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াহাবকে। লাহোরে গভর্নর বালিগ উর রেহমানের বাসভবনে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ হয়। বিপিএলে ব্যস্ত থাকায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ওয়াহাব।
এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে ৩৭ বছর বয়সী এই পেসার নিশ্চিত করেছেন, যথাসময়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝে নেবেন তিনি।
ওয়াহাবসহ মোট ১১ জনকে পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫৬ ম্যাচ খেলে ২৩৭ উইকেট শিকার করেছেন ওয়াহাব। এবারের বিপিএলে বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
রানরেটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এতটাই এগিয়ে ছিল যে প্রায় অসম্ভব কোনো কিছু ঘটাতে হতো বাংলাদেশকে। দক্ষিণ আফ্রিকা মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও রানরেটে গ্রুপে ২ নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। কারণ তাদের জিততে হতো অন্তত ১৪৪ রানে।
বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা ছিল আরও কঠিন। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৫৮ রানের ব্যবধানে হারাতে পারলেই কেবল অস্ট্রেলিয়াকে টপকে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারত বাংলাদেশ।
এই আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করতে গেলেও সেক্ষেত্রে টস জেতাটা ছিল বড় ফ্যাক্টর। কারণ বাংলাদেশ টসে জিতে আগে ব্যাট করতে পারলেই কেবল সেই মাইলফলক নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ ছিল।
কিন্তু টস জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর তারা বেছে নিয়েছে ব্যাটিং। সমীকরণের এমনই অবস্থা যে পরে ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব ছিল না দিশাদের পক্ষে।
বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আমিরাত ৯ উইকেটে তোলে ৬৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৯ ওভার ১ বল খেলে ৬৫ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পেয়ে যায়। কিন্তু এ জয় কেবলই সান্ত্বনার। কারণ সেমিফাইনালের পথ বন্ধ হয়ে গেছে আগেই।
মন্তব্য