১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর, ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান একটি দৈনিকের শিরোনাম ছিল ‘আকাশ থেকেও ঝরেছে অশ্রু’। যে প্রসঙ্গে শিরোনামটি লেখা হয়েছে সেটি ছিল আগের দিন হয়ে যাওয়া একটি ফুটবল ম্যাচ। আগের দিন অর্থাৎ ১ অক্টোবর নিউ ইয়র্ক কসমস বনাম সান্তোসের ম্যাচে শেষবারের মতো ফুটবল খেলতে নামেন পেলে।
৩৭ বছরের পেলের বিদায়ী ম্যাচ হয়েছিল আমেরিকার নিউ জার্সির জায়ান্টস স্টেডিয়ামে। প্রায় ৮০ হাজার দর্শকের পাশপাশি বিশ্বজুড়ে লাইভ টেলেকাস্ট দেখেছিলেন কোটিভক্ত। হয়তো বিশেষ এ ম্যাচে চোখ রেখেছিল প্রকৃতিও। কারণ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। যে প্রসঙ্গে পরদিন পত্রিকার ঐ শিরোনাম।
৪৫ বছর আগের ওই শিরোনাম হয়তো আজ ব্যবহার করার সময় এসেছে। কয়েক ঘণ্টা আগে (ব্রাজিলের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর) বিদায় নিয়েছেন ফুটবল সম্রাট। এবারে শুধু মাঠ ছেড়ে নয়, ৮২ বছর বয়সে চির বিদায় জানিয়েছেন পুরো পৃথিবীকে।
পেলের বিদায়ের সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে ফুটবলের সবচেয়ে বর্নাঢ্য ও সফল অধ্যায়। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাসোয়েস শহরে জন্ম তার। ছেলেবেলা থেকেই অন্যসব ব্রাজিলিয়ানের মতো তার ঝোঁক ছিল ফুটবলের দিকে।
তবে মাথায় ফুটবলের পোকা ঢুকে যায় ১৯৫০ সালে। ওই বছর ব্রাজিলিয়ানদের কাছে অভিশপ্ত। কারণ নিজ মাঠ মারাকানায় ২ লাখ স্বাগতিক ভক্তের সামনে ব্রাজিল উরুগুয়ের কাছে হেরে গিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। ‘মারাকানাজ্জো’ নামের সেই ফাইনাল হারের ব্যাথা আজও পোড়ায় ব্রাজিলিয়ানদের।
ওই ফাইনাল দেখে ১০ বছরের পেলের সামনে কেঁদেছিলেন তার ফুটবলার বাবা দনদিনিয়ো। বাবাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে ছোট্ট এদসন বলেছিল ব্রাজিলকে সে নিজেই বিশ্বকাপ এনে দেবে!
ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আর বিশ্বকাপ জয়ের নেশাকে পায়ের জাদুতে পরিণত করতে খুব বেশি সময় নেননি এদসন। স্কুলে থাকতেই তার প্রতিভার সঙ্গে পরিচয় হয় সবার। স্কুলে থাকতে তিনি পেয়ে যান অমর হয়ে যাওয়া নাম ‘পেলে’।
ব্রাজিলের লিগের বড় দল ভাস্কো দা গামার গোলকিপার বিলের সঙ্গে গড়নে মিল থাকায় স্কুলে বন্ধুরা তাকে ডাকা শুরু করে বিলে বলে। বিলে থেকে দ্রুত তার নাম হয়ে যায় পেলে। হারিয়ে যায় মা-বাবার দেয়া নাম এদসন।
Eterno. pic.twitter.com/N912VpCmVK
— Santos FC (@SantosFC) December 29, 2022
১৪ বছর বয়সে সাও পাওলোর শহর বাউরুর স্থানীয় ক্লাবে খেলতে খেলতে নজর কাড়েন কোচের। কোচ তাকে নিয়ে যান বিখ্যাত সান্তোস ক্লাবে।
সেখান থেকেই শুরু। ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। ১৭ বছর বয়সে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ জয়।
বাকিটা ফুটবল ইতিহাসেরই অংশ। একের পর এক গোল করেছেন, শিরোপা জিতেছেন, দলকে জিতিয়েছেন। ছোটবেলায় বাবাকে করা প্রতিজ্ঞা রাখতে একটা শুধু নয়, একে একে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ।
সারাজীবন ব্রাজিলের একটি ক্লাবের হয়েই খেলেছেন পেলে। ইউরোপ ও অন্যান্য লিগ থেকে বহু অফার থাকলেও সান্তোসের জার্সিতে কাটিয়েছে ১৯৫৬ থেকে ১৯৭৮-১৮ বছর।
ক্যারিয়ার শেষ করেন ২ বছর আমেরিকার ফুটবল লিগের নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলে। ক্যারিয়ারে করেছেন ১২৭৯ গোল। জিতেছেন ৬টি লিগ শিরোপা, ২টি কোপা লিবার্তাদোরেস।
ফিফার দৃষ্টিতে পেয়েছেন শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান। টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে ছিলেন শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ জনের একজন।
এত এত অর্জনের পাশাপাশি পেলেকে ফুটবল ভক্তরা মনে রাখবেন ব্রাজিলের ফুটবলকে নান্দনিকতা ও শিল্পের মোড়কে জড়ানোর কারিগর হিসেবে। ৬০-এর দশকে তার খেলা থেকেই প্রচলিত হয় ‘জোগা বোনিতো’ বা সুন্দর খেলার। ফুটবলকে তিনি নিজেও বলতেন ‘দ্য বিউটিফুল গেইম’।
ফুটবল মাঠে বল নিয়ে গোল করলেই হবে না, খেলা হতে হবে জাদুকরী ও মনোমুগ্ধকর। এটাই ছিল পেলের মূলমন্ত্র। যতদিন খেলেছেন ‘বিউটিফুল গেইম’ উপহার দিয়ে গেছেন ভক্তদের।
তার জার্সি থেকেই ফুটবলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ১০ নম্বর। পেলে না থাকলে হয়তো ১০ নম্বরে খেলতেন না ম্যারাডোনা, জিকো, জিদান, মেসির মতো গ্রেটরা।
The king of football has left us but his legacy will never be forgotten.
— Kylian Mbappé (@KMbappe) December 29, 2022
RIP KING 💔👑… pic.twitter.com/F55PrcM2Ud
তার মৃত্যুর শোক ছুঁয়ে গেছে পুরো বিশ্বকে। একে একে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মেসি, নেইমার, এমবাপে থেকে শুরু করে বিশ্বসেরা তারকারা।
বছর দুয়েক আগে আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর, পেলে তার শোকবার্তায় লিখেছিলেন, ‘একদিন তোমার সঙ্গে স্বর্গে ফুটবল খেলব’।
সে দিনটা যে এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে সেটা বোধহয় খোদ ম্যারাডোনাও স্বর্গে বসে ভাবেননি।
আরও পড়ুন:Brazil legend Pelé has died at the age of 82.
— ESPN FC (@ESPNFC) December 29, 2022
The original GOAT. A trailblazer. One of the finest players to ever lace up.
He will be missed by millions. pic.twitter.com/sZiiLLmCYF
লিওনেল মেসির নেতৃত্বে গত মাসেই কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা দল। ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে মেসির ক্যারিয়ার পূর্ণতা পাওয়ার সেই স্মৃতি এখনও তরতাজা।
বিশ্বকাপ জেতার পর দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে মেসি জানালেন, দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত থেকে বিশ্বকাপটা নেয়ার ইচ্ছা ছিল তার।
আর্জেন্টাইন রেডিও ‘উরবানা প্লেই’-তে দেয়া সাক্ষাৎকারে সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মেসি।
সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনার কথা স্মরণ করে আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার বলেন, ‘দিয়েগো সেদিন থাকলে আমার হাতে কাপটা তিনিই দিতেন, ওই ছবিটা কী দারুণই না হতো! ’
ফাইনালের আগের রাতের কথা স্মরণ করে মেসি বলেন, ‘ঘুমটা ভালো হয়েছিল, তেমন দুশ্চিন্তা ছিল না। এটাই বারবার মনে হচ্ছিল যে বিশ্বকাপ জেতার জন্য যতটা সম্ভব সব চেষ্টাই করছি।’
টাইব্রেকারের শেষ গোলটির বিষয়ে জানতে চাইতে আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক বলেন, ‘ঈশ্বরকে ডাকছিলাম। ক্যারিয়ারজুড়েই তো তিনি আমার পাশে ছিলেন! আর প্রার্থনা করছিলাম মন্তিয়েল যাতে শেষটা করে আসতে পারে, যাতে আর ভুগতে না হয়।’
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ বড় স্থাপনা নির্মাণে ১০ বছরে কাতারে কতজন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই সময়ে কতজন বাংলাদেশি শ্রমিক কাতারে নির্মাণ কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং কতজন নিহত হয়েছেন তার তালিকা দাখিলে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে রুল জারি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রিটকারী আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান নিজেই আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান (দাউদ)।
মাসুদ রেজা সোবহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের সময় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ওই সংবাদ যুক্ত করে রিট দায়ের করি। আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে ১১টি স্টেডিয়াম, রাস্তা, হোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে নির্মাণে যুক্ত অভিবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
‘একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে আনুমানিক সাড়ে চারশ’ অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে এর মধ্যে বাংলাদেশের কতজন নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন, সে তথ্য সংগ্রহ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হতাহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে রুল দিয়েছেন আদালত।’
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র) ও শ্রমমন্ত্রীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান বাদে ৪টি দেশে গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও দেশগুলোর সরকারি হিসাবই বলছে—কাতারে ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৃত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১৮ জন। কাতারে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৮২৪ জন পাকিস্তানি শ্রমিক মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে।
ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম বার ঘটল এমন ঘটনা। পর্তুগাল সাক্ষী থাকল সেই ঘটনার।
গত রোববার স্পোর্টিং লিসবন ও বেনফিকার নারী দলের একটি ম্যাচে রেফারি দেখান সাদা কার্ড! ম্যাচ চলাকালীন বিরতির খানিক আগে ডাগআউটে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন দুই দলের মেডিকেল স্টাফরা তার চিকিৎসা করেন। তখন তাদের উদ্দেশে ওই সাদা কার্ড দেখান রেফারি কাতারিনা কাম্পোস।
লাল ও হলুদ কার্ড ফুটবল ম্যাচের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে ফুটবল খেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ও আরও বেশি রোমাঞ্চকর করতেই পর্তুগালে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। যার অন্যতম হল সাদা কার্ড।
পর্তুগালের ক্রীড়াবিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল প্ল্যান ফর এথিক্স ইন স্পোর্ট জানায়, ফেয়ার প্লে-কে স্বীকৃতি দিতেই এই উদ্যোগ। পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলাকে উৎসাহ জোগাতেই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে সাদা কার্ড।
এ ঘটনায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরাও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রেফারিকে। তবে এর অনেক আগেই উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাদা কার্ড ব্যবহারের। রেফারির সিদ্ধান্তে কোনো ফুটবলার ভিন্নমত হলে শাস্তি হিসেবে এটি দেখানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। প্লাতিনি সাদা কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়দের ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন।
ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের (এফআইজিসি) শাস্তির খড়গ নেমে এল ইউভেন্তুসের ওপর। দলবদলের আয় বেশি দেখিয়ে ক্লাবের হিসাব মেলানোর চেষ্টা করেছিল ইউভেন্তুস। পরিণতি ভালো হলো না। কাটা পড়ল ক্লাবটির ১৫ পয়েন্ট। সঙ্গে ক্লাবের ১১ জন সাবেক এবং বর্তমান পরিচালকও পেয়েছেন বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা।
১৫ পয়েন্ট কাটা যাওয়ার ফলে সিরি আ-র পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় থেকে দশম স্থানে নেমে গেছে রেকর্ড ৩৪ বারের ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্তুস।
দলবদল সম্পর্কিত আর্থিক বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে ২০২১ সালে ইতালির দশটি ক্লাব এবং ৫৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এফআইজিসি। তবে গত বছরের এপ্রিলে দেশটির কেন্দ্রীয় আদালত সবাইকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।
কিন্তু গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় কৌঁসুলি সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। একই সময়ে ইউভেন্তুসের আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে তুরিনের কৌঁসুলিদের তদন্তে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর কিছু নতুন তথ্য-প্রমাণ।
এফআইজিসির দেয়া শাস্তির বিরুদ্ধে ইউভেন্তুস আপিল করবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির আইনজীবীরা।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা দানি আলভেজকে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্পেনে পুলিশের হাতে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে তিনি গ্রেপ্তার হন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, বার্সেলোনা কিংবদন্তি আলভেজ গত ৩০ ডিসেম্বর একটি নৈশ ক্লাবে অনুমতি ছাড়া তার অন্তর্বাস স্পর্শ করেন।
তবে অভিযোগ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। তার মুখপাত্র বলেছেন, আসলে এ রকম কিছুই ঘটেনি।
স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বার্সেলোনার জনপ্রিয় সাটন নাইট ক্লাবে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বছর শেষের উদযাপনে গিয়েছিলেন দানি আলভেজ। ওই সময় তিনি সম্মতি ছাড়াই এক নারীর অন্তর্বাসের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ঘাবড়ে যান ওই তরুণী। পরে বন্ধু ও নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন তিনি। কিছু সময়ের মধ্যে নাইট ক্লাব ছাড়েন দানি আলভেজ।
এক পর্যায় দানি আলভেজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বার্সেলোনার আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলভেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
গ্রেপ্তারের পর এই ফুটবল তারকাকে এখন রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৫ মাস পর একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন বিশ্বফুটবলের দুই সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো এবং লিওনেল মেসি। সৌদির ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে দেশটির অল স্টার ফুটবল দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পিএসজি।
হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে মেসি ও রোনালডোকে শুভেচ্ছা জানাতে মাঠে ছিলেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।
ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার দেড় মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বছরের জন্য সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। তবে আচরণবিধি ভাঙায় রোনালদোকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। তাই নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে এ ম্যাচ দিয়েই সৌদিতে অভিষেক হয়েছে এই তারকার। খেলছেন অল স্টার দলটির অধিনায়ক হিসেবে।
অপর দিকে পিএসজি একাদশে মেসি ছাড়াও আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ও ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপে। এছাড়া দলটিতে রয়েছে বিশ্বকাপে প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম নায়ক আশরাফ হাকিমি।
আগামী জুনে ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা, তবে কোন দেশের বিপক্ষে তারা ম্যাচ খেলবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, মেসিদের বাংলাদেশে আনার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে জুনের ফিফা উইন্ডোতে তারা আসতে পারে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে কয়েকটি দেশের নাম প্রস্তাব করা হবে। সেখান থেকে বাছাই করে দল নির্বাচন করা হতে পারে। তবে মেসিদের ঢাকায় আসা অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে জুনে ঢাকায় আসবে লিওনেল মেসির বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা দল।
মেসির আর্জেন্টিনা ঢাকায় আসা নিয়ে কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আর্জেন্টিনার প্রস্তাবিত এই সফর চূড়ান্ত হয়ে এসেছে। এখন শুধু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন নিয়ে আলোচনা চলছে। ওরা আমাদের জানিয়েছে যে জুনের ফিফা উইন্ডোতে আসতে চায়। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনে সমস্যা না হলে জুনে ওরা আসবে বলাই যায়।’
আর্জেন্টিনা এলে কোথায় খেলা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। আমরা আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছি জরুরি ভিত্তিতে এই স্টেডিয়ামের চলমান সংস্করণ কাজ জুনের আগেই করে দিতে। তারা রাজি হয়েছে।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচে মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল নাইজেরিয়া। সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পায় মেসির আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য