তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে আর নেই। ৮২ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন।
তার অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১টা ১৮ মিনিটে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যুর খবর।
কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত পেলেকে নভেম্বরের শেষ দিকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা কাজ না করায় তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল।
হাসপাতালেই পরিবারের সঙ্গে পেলে বড়দিন কাটিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নিজের শারীরিক অবস্থার আপডেট ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি। চিকিৎসা কাজ করছে না জানার পরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন ভক্তদের। তবে শেষ লড়াইটা জিততে পারলেন না।
A inspiração e o amor marcaram a jornada de Rei Pelé, que faleceu no dia de hoje.
— Pelé (@Pele) December 29, 2022
Amor, amor e amor, para sempre.
.
Inspiration and love marked the journey of King Pelé, who peacefully passed away today.
Love, love and love, forever. pic.twitter.com/CP9syIdL3i
১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী এদসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো বিশ্বজুড়ে পরিচিত পেলে নামেই।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাসোয়েস শহরে জন্ম তার। ছেলেবেলা থেকেই অন্যসব ব্রাজিলিয়ানের মতো তার ঝোঁক ছিল ফুটবলের দিকে।
সেই ঝোঁককে মাঠে পায়ের জাদুতে পরিণত করতে খুব বেশি সময় নেননি পেলে। সাও পাওলোর শহর বাউরুর স্থানীয় ক্লাবে খেলতে খেলতে নজর কাড়েন কোচের। কোচ তাকে নিয়ে যান বিখ্যাত সান্তোস ক্লাবে।
সেখান থেকেই শুরু। ১৫ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক। ১৭ বছর বয়সে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ জয়।
এরপরের গল্পটা শুধুই পেলের জয়রথের। ৩টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। করেছেন হাজারের ওপরে গোল। বর্তমান ব্রাজিলের সমার্থক ‘জোগা বোনিতো’ বা সুন্দর খেলার প্রবর্তক ছিলেন তিনি।
১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ের পর সিদ্ধান্ত নেন ফুটবল ছাড়ার। পরের বছর রিও দে জেনেইরোতে ইউগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
ক্লাব ক্যারিয়ারে সান্তসের হয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। এরপর আমেরিকার লিগে নিউ ইয়র্ক কসমস দলের হয়ে কিছুদিন খেলেন। ১৯৭৭ সালের ১ অক্টোবর কসমসের হয়ে সান্তোসের বিপক্ষে খেলেন শেষ ম্যাচ।
১২৭৯ গোল এসেছে তার পা থেকে, যা এখন পর্যন্ত পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চ। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল ও বিশ্বকাপ জয় এখনও রেকর্ডের পাতায়।
অবসরের পর ব্রাজিল দল তো বটেই বিশ্বসেরা সব দল ও খেলোয়াড়ের পাশে গুরুজনের মতো ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। বহুবার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পরের প্রজন্মের সেরা মিশেল প্লাতিনি, মার্কো ফন বাস্তেন থেকে শুরু করে শ্রেষ্ঠত্বে তার প্রবলতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে।
হালের মেসি, নেইমার, রোনালডো, এমবাপেরাও বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগের আগে পেয়েছেন পেলের শুভেচ্ছা। খেলোয়াড় কিংবা দল নয়, ফুটবলকেই ভালোবাসতেন পেলে।
আর তার খেলা দেখেই বিশ্বের কোটি ভক্ত প্রেমে পড়েছে ফুটবলের। তার বিদায়ে শোকস্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব। প্রিয় ফুটবল সম্রাটের জন্য সবার চোখে জল।
কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন পেলে। কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত তাকে হার মানতেই হলো। বিদায় নিলেন ৩ বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার, যাকে পুরো বিশ্ব ‘ও রেই’ বা সম্রাট নামেই চেনে।
আরও পড়ুন:Pelé remains the only player to ever win THREE World Cups 🏆🇧🇷 pic.twitter.com/RhLjjYyfq3
— ESPN FC (@ESPNFC) December 29, 2022
বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা নতুন বিষয় নয়। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপজুড়ে তেমনটি দেখা গেছে।
পুরো আসরে বাড়িতে পতাকা টানিয়ে, জার্সি গায়ে পরে, হৈ-হুল্লোড় করে জয় উদযাপনের মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনায় বুঁদ ছিলেন বাংলাদেশি দর্শকরা। তাদের এ মাতামাতির ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়, যা নজর এড়ায়নি লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসির।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলেতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশিদের উন্মাদনার ছবি, ভিডিও দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে মেসির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিশ্বকাপ জয় নিয়ে তার উচ্ছ্বাসটা আগের মতো আছে কি না, যার জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। কারণ এটি (বিশ্বকাপ জয়) অনন্য। সেটি করতে পারা, তার ওপর শেষটা যেভাবে হয়েছে…এরপর মানুষের আনন্দ দেখতে পাওয়া।
‘আর্জেন্টিনার মানুষ ওই একটা মাস অনেক উপভোগ করেছে। যত যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাদের, সেগুলো থেকে এক মাসের জন্য তাদের বের করে আনতে পেরেছি। ওই এক মাস তারা শুধু ফুটবল আর বিশ্বকাপেই বুঁদ ছিলেন।’
এরপরই সাক্ষাৎকারগ্রহীতা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আনেন। আর্জেন্টিনার মানুষের উদযাপনের সূত্র ধরে তিনি মেসিকে মনে করিয়ে দেন বাংলাদেশের কথা।
জবাবে আর্জেন্টিনা দলের প্রাণভোমরা বলেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, দেখেছি আমি। সব জায়গায় মানুষ টি-শার্ট পরে ঘুরছিল। ফাইনালের আগে সোফি (আর্জেন্টাইন সাংবাদিক সোফি মার্তিনেস) বলেছিল। ‘মেসি’ লেখা, আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর আঁকা জার্সি পরে মানুষকে আনন্দ করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। সব জায়গাতেই এমন হয়েছে।”
আরও পড়ুন:মপঁলিয়ের মাঠে পরশুর ম্যাচটা পিএসজি আর কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য স্রেফ দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে! ৭ মিনিটে দুই দফায় পেনাল্টিতে শট নিয়েও গোল করতে পারেননি তিনি, তা থেকে আবার ফিরতি শটও ফাঁকা পোস্টে ঢোকাতে পারেননি। এরপর ২১ মিনিটে উরুর চোটে মাঠ ছাড়তে হল।
পিএসজি জানিয়েছে, এমবাপ্পের বাঁ উরুতে চোটটা একেবারে হালকা নয়। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। ম্যাচে মাথায় চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সের্হিও রামোসও, তবে তার চোটে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে পিএসজি।
এমবাপ্পের চোট পিএসজির জন্য বড় ধাক্কাই কারণ বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটিতে পিএসজি নামবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
লিওনেল মেসির নেতৃত্বে গত মাসেই কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা দল। ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে মেসির ক্যারিয়ার পূর্ণতা পাওয়ার সেই স্মৃতি এখনও তরতাজা।
বিশ্বকাপ জেতার পর দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে মেসি জানালেন, দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত থেকে বিশ্বকাপটা নেয়ার ইচ্ছা ছিল তার।
আর্জেন্টাইন রেডিও ‘উরবানা প্লেই’-তে দেয়া সাক্ষাৎকারে সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মেসি।
সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনার কথা স্মরণ করে আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার বলেন, ‘দিয়েগো সেদিন থাকলে আমার হাতে কাপটা তিনিই দিতেন, ওই ছবিটা কী দারুণই না হতো! ’
ফাইনালের আগের রাতের কথা স্মরণ করে মেসি বলেন, ‘ঘুমটা ভালো হয়েছিল, তেমন দুশ্চিন্তা ছিল না। এটাই বারবার মনে হচ্ছিল যে বিশ্বকাপ জেতার জন্য যতটা সম্ভব সব চেষ্টাই করছি।’
টাইব্রেকারের শেষ গোলটির বিষয়ে জানতে চাইতে আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক বলেন, ‘ঈশ্বরকে ডাকছিলাম। ক্যারিয়ারজুড়েই তো তিনি আমার পাশে ছিলেন! আর প্রার্থনা করছিলাম মন্তিয়েল যাতে শেষটা করে আসতে পারে, যাতে আর ভুগতে না হয়।’
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ বড় স্থাপনা নির্মাণে ১০ বছরে কাতারে কতজন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই সময়ে কতজন বাংলাদেশি শ্রমিক কাতারে নির্মাণ কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং কতজন নিহত হয়েছেন তার তালিকা দাখিলে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে রুল জারি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রিটকারী আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান নিজেই আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান (দাউদ)।
মাসুদ রেজা সোবহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়ামসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের সময় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ওই সংবাদ যুক্ত করে রিট দায়ের করি। আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে ১১টি স্টেডিয়াম, রাস্তা, হোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে নির্মাণে যুক্ত অভিবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
‘একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে আনুমানিক সাড়ে চারশ’ অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে এর মধ্যে বাংলাদেশের কতজন নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন, সে তথ্য সংগ্রহ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হতাহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে রুল দিয়েছেন আদালত।’
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র) ও শ্রমমন্ত্রীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান বাদে ৪টি দেশে গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও দেশগুলোর সরকারি হিসাবই বলছে—কাতারে ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৃত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১৮ জন। কাতারে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৮২৪ জন পাকিস্তানি শ্রমিক মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে।
ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম বার ঘটল এমন ঘটনা। পর্তুগাল সাক্ষী থাকল সেই ঘটনার।
গত রোববার স্পোর্টিং লিসবন ও বেনফিকার নারী দলের একটি ম্যাচে রেফারি দেখান সাদা কার্ড! ম্যাচ চলাকালীন বিরতির খানিক আগে ডাগআউটে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন দুই দলের মেডিকেল স্টাফরা তার চিকিৎসা করেন। তখন তাদের উদ্দেশে ওই সাদা কার্ড দেখান রেফারি কাতারিনা কাম্পোস।
লাল ও হলুদ কার্ড ফুটবল ম্যাচের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে ফুটবল খেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ও আরও বেশি রোমাঞ্চকর করতেই পর্তুগালে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। যার অন্যতম হল সাদা কার্ড।
পর্তুগালের ক্রীড়াবিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল প্ল্যান ফর এথিক্স ইন স্পোর্ট জানায়, ফেয়ার প্লে-কে স্বীকৃতি দিতেই এই উদ্যোগ। পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলাকে উৎসাহ জোগাতেই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে সাদা কার্ড।
এ ঘটনায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকেরাও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রেফারিকে। তবে এর অনেক আগেই উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাদা কার্ড ব্যবহারের। রেফারির সিদ্ধান্তে কোনো ফুটবলার ভিন্নমত হলে শাস্তি হিসেবে এটি দেখানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। প্লাতিনি সাদা কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়দের ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন।
ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের (এফআইজিসি) শাস্তির খড়গ নেমে এল ইউভেন্তুসের ওপর। দলবদলের আয় বেশি দেখিয়ে ক্লাবের হিসাব মেলানোর চেষ্টা করেছিল ইউভেন্তুস। পরিণতি ভালো হলো না। কাটা পড়ল ক্লাবটির ১৫ পয়েন্ট। সঙ্গে ক্লাবের ১১ জন সাবেক এবং বর্তমান পরিচালকও পেয়েছেন বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা।
১৫ পয়েন্ট কাটা যাওয়ার ফলে সিরি আ-র পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় থেকে দশম স্থানে নেমে গেছে রেকর্ড ৩৪ বারের ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্তুস।
দলবদল সম্পর্কিত আর্থিক বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে ২০২১ সালে ইতালির দশটি ক্লাব এবং ৫৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এফআইজিসি। তবে গত বছরের এপ্রিলে দেশটির কেন্দ্রীয় আদালত সবাইকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।
কিন্তু গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় কৌঁসুলি সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। একই সময়ে ইউভেন্তুসের আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে তুরিনের কৌঁসুলিদের তদন্তে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর কিছু নতুন তথ্য-প্রমাণ।
এফআইজিসির দেয়া শাস্তির বিরুদ্ধে ইউভেন্তুস আপিল করবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির আইনজীবীরা।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা দানি আলভেজকে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্পেনে পুলিশের হাতে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে তিনি গ্রেপ্তার হন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, বার্সেলোনা কিংবদন্তি আলভেজ গত ৩০ ডিসেম্বর একটি নৈশ ক্লাবে অনুমতি ছাড়া তার অন্তর্বাস স্পর্শ করেন।
তবে অভিযোগ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। তার মুখপাত্র বলেছেন, আসলে এ রকম কিছুই ঘটেনি।
স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বার্সেলোনার জনপ্রিয় সাটন নাইট ক্লাবে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বছর শেষের উদযাপনে গিয়েছিলেন দানি আলভেজ। ওই সময় তিনি সম্মতি ছাড়াই এক নারীর অন্তর্বাসের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ঘাবড়ে যান ওই তরুণী। পরে বন্ধু ও নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন তিনি। কিছু সময়ের মধ্যে নাইট ক্লাব ছাড়েন দানি আলভেজ।
এক পর্যায় দানি আলভেজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বার্সেলোনার আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলভেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
গ্রেপ্তারের পর এই ফুটবল তারকাকে এখন রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য