চা বিরতির আগেই শঙ্কা জাগে লিড ২০০ পার হওয়া নিয়ে, সেই শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে।
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দেড় শ রানেরও লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
৭ উইকেটে ১৯৫ রান তোলে চা বিরতিতে থেকে ফিরে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ভারতকে জয়ের জন্য ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২২৭ রানের জবাবে ৩১৪ করে অলআউট হয় ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ১৩ রানের মাথায় নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে দেন রভিচন্দ্রন আশউইন। ৩১ বল খেলে এক চারে ৫ রান করে ফেরেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে ৮৪ করা মুমিনুল হকের ব্যাটও ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ইনিংসে। মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সাকিব ও আরেক ওপেনার জাকির হাল ধরার চেষ্টা করেন।
জয়দেভ উনদকাটের বল খেলতে গিয়ে সাকিব তালুবন্দি হন শুভমান গিলের। ৩৬ বলে ১৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এ অলরাউন্ডার।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আক্সার প্যাটেল। এতে ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এক প্রান্ত থেকে দারুণ খেলতে থাকা জাকির ফেরেন নিজের অর্ধশতকের পর। ১৩৫ বল বল খেলে ৫১ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৫টি চারের মারে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন তিনি।
চাপের মধ্যে লিটন ও তাসকিনের ব্যাট থেকেই আসে দাসের ৭৩ রানে ভর করে শেষ প
এরপর টানা দুই উইকেট তোলেন আক্সার। শূন্য রানে মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে ৩১ রানে আউট করেন নুরুল হাসান সোহানকে। ২টি চার ও একটি ছক্কায় এ রান আসে সোহানের ব্যাট থেকে।
চা বিরতির পর লিটনকে সঙ্গ দেয়া পেস বোলার তাসকিনকে নিয়েই ছিল ভয়। অথচ লিটনই সিরাজের বলে আউট হয়ে ফিরলেন।
বল বোঝার আগেই সরাসরি স্টাম্পে লাগে। ৭ চারে ৯৮ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর অলআউট হওয়া ছিল কেবল অপেক্ষার ব্যাপার।
তাসকিন আহমেদ শুধু চেষ্টা করেন লিড সামান্য বাড়িয়ে দেয়ার। ৪৬ বলে ৩১ করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।
ভারতের পক্ষে আক্সার প্যাটেল একাই নেন তিন উইকেট। এর বাইরে রভিচন্দ্রন আশউইন ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন দুটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:Innings Break: India have bowled out Bangladesh for 231 in 70.2 overs. We need 145 runs to win the 2nd Test.
— BCCI (@BCCI) December 24, 2022
https://t.co/CrrjGfXPgL #BANvIND pic.twitter.com/zoO7niYXpF
গুঞ্জনই সত্যি হলো। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে আসবেন লঙ্কান এ কোচ।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন হাথুরু।বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় কিছু সাফল্য এসেছে তার সময়েই। ২০১৫ সালে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে সিরিজ জয়, সে বছরই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ছাড়াও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ তার অধীনে।
হাথুরুসিংহের সময় টেস্ট ক্রিকেটেও কিছু সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল টাইগাররা।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে পদত্যাগ করেছিলেন হাথুরুসিংহে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
একই দলের পেসার হারিস রউফকে সতর্ক করেছে বোর্ড।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রংপুর। সেই ম্যাচে সিলেটের ইনিংসের শেষ ওভারে রংপুরের পেসার রবিউল ইসলামের করা একটি নো বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্পায়ারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন সোহান-হারিস। এ জন্য বিসিবির কোড অফ কন্ডাক্টের লেভেল ১-এর অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৮ ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
আইন ভাঙায় সোহানকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সোহান। কোড অফ কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ৭.৫ অনুযায়ী চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন তিনি।
হারিসকে জরিমানা করা না হলেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন পাকিস্তানি এ পেসার। দুই ক্রিকেটার শাস্তি মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
আরও পড়ুন:সিলেটে দিনের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা হারে রংপুর রাইডার্সের কাছে। আর মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের হারের সুযোগ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছে বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিয়েছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল ফরচুন।
এনামুল হক বিজয় ও করিম জানাতের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে বরিশাল। ফলে ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে সিলেটের সমান ১২ পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে সাকিবরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ করে চট্টগ্রাম। নিজের বিপিএল অভিষেক ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। ছয়ে নেমে ২৫ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস। ৪টি চারের সঙ্গে ছক্কা ছিল ২টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আফিফ হোসেনের, জ্বরের কারণে যিনি সর্বশেষ ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি। ২৩ বলে ৩৭ করেন এই বাঁহাতি। ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
বরিশালের হয়ে দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। আগের ম্যাচের পর সাইড স্ট্রেইনের সমস্যায় ভোগা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ কাল ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে পাস করতে না পারায় আজ একাদশে ছিলেন না।
রান তাড়ায় বরিশালকে দারুণ শুরু এনে দেন বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ হাসান ১০ করে আউট হলেও অর্ধশতক তুলে নেন বিজয়। ৬টি করে চার-ছয়ে ৫০ বলে করেন ৭৮ রান। এরপর অবশ্য সাকিব ৩ রান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনো বল না খেলে শূন্য রানে আউট হলে চাপে পড়ে বরিশাল।
শেষ দিকে জানাতের ১২ বলে ৩১ রানের তাণ্ডবের সঙ্গে সালমান হোসেনের ১৪ বলে ১৮ রানে জয় পায় বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদুরজামান।
আরও পড়ুন:সিলেটে প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজাদের সমীকরণটা মিলল না ঠিকঠাক।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৯২ রানে গুটিয়ে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচ হেরেছে ৬ উইকেটে। এর ফলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে অবস্থান আরও পোক্ত করল রংপুর। তবে হারলেও ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে আসে ১৬ রান। ১২ রানেই পড়েছে সিলেটের ষষ্ঠ উইকেট। ১৮ রানে পড়ল সপ্তম উইকেটও!
রংপুরের বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, টম মোরেসরা। সুবিধা করতে পারেননি ইমাদ, ওয়াসিম থিসারা পেরেরাও।
অষ্টম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিব ও মাশরাফির গড়া ৪৮ রানের জুটিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় সিলেট। তানজিম ৩৬ বলে ৪১ ও মাশরাফি ২১ বলে ২১ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেট থামে ৯২ রানে।
রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন, শেখ মেহেদী হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট।
রংপুরের ওপেনার নাঈম শেখ ১৮ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত ধরে খেলেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ২৫ রানের জুটিতে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন রনি। নাওয়াজ করেন ১৩ বলে ১৮ রান। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন রনি তালুকদার।
আরও পড়ুন:খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএলে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ। এরমধ্যেই পেলেন মন্ত্রী হওয়ার খবর ।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াহাবকে। লাহোরে গভর্নর বালিগ উর রেহমানের বাসভবনে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ হয়। বিপিএলে ব্যস্ত থাকায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ওয়াহাব।
এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে ৩৭ বছর বয়সী এই পেসার নিশ্চিত করেছেন, যথাসময়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝে নেবেন তিনি।
ওয়াহাবসহ মোট ১১ জনকে পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫৬ ম্যাচ খেলে ২৩৭ উইকেট শিকার করেছেন ওয়াহাব। এবারের বিপিএলে বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
রানরেটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এতটাই এগিয়ে ছিল যে প্রায় অসম্ভব কোনো কিছু ঘটাতে হতো বাংলাদেশকে। দক্ষিণ আফ্রিকা মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও রানরেটে গ্রুপে ২ নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। কারণ তাদের জিততে হতো অন্তত ১৪৪ রানে।
বাংলাদেশের জন্য সমীকরণটা ছিল আরও কঠিন। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৫৮ রানের ব্যবধানে হারাতে পারলেই কেবল অস্ট্রেলিয়াকে টপকে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারত বাংলাদেশ।
এই আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করতে গেলেও সেক্ষেত্রে টস জেতাটা ছিল বড় ফ্যাক্টর। কারণ বাংলাদেশ টসে জিতে আগে ব্যাট করতে পারলেই কেবল সেই মাইলফলক নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ ছিল।
কিন্তু টস জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর তারা বেছে নিয়েছে ব্যাটিং। সমীকরণের এমনই অবস্থা যে পরে ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব ছিল না দিশাদের পক্ষে।
বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আমিরাত ৯ উইকেটে তোলে ৬৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৯ ওভার ১ বল খেলে ৬৫ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পেয়ে যায়। কিন্তু এ জয় কেবলই সান্ত্বনার। কারণ সেমিফাইনালের পথ বন্ধ হয়ে গেছে আগেই।
পাকিস্তানি ডানহাতি পেসার নাসিম শাহ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। কিন্তু খেলতে এসেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। তাকে পেতে কুমিল্লা কেন মরিয়া ছিল, সেটা এবার বোঝা গেল।
পাকিস্তানি ডানহাতি পেসারকে নিয়ে দুদিন আগে যে নাটক হয়েছে তাতে সোমবারের ম্যাচে সবার চোখ ছিল নাসিমের দিকে। আর বল হাতে নিজের কদরটাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নাসিমের আগুন ঝরানো বোলিং-এ কূপোকাত হয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন ঢাকার ৪ ব্যাটসম্যানকে।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাসিমের বোলিং তাণ্ডবে ঢাকা থেমে যায় ১০৪ রানে। এর মধ্য দিয়ে টানা ছয় ম্যাচ হারের স্বাদ নিতে হলো ঢাকা। ৭ ম্যাচে টানা চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে কুমিল্লা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভার করতে এসে পঞ্চম বলে সাফল্য পান নাসিম। ফেরান ঢাকার ওপেনার মিজানুর রহমানকে। এরপর একে একে নাসুমের শিকার মোহাম্মদ মিঠুন, মুক্তার আলী ও তাসকিন আহমেদ। তাদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
দারুণ মৌসুম কাটানো অধিনায়ক নাসির থামেন ১৭ রানে। নাসিরের সঙ্গে ১১ রান করা আরিফুল হককে নিজের শিকার বানান খুশদিল শাহ।
সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। তিনে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওসমান গনি। তবে তার ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং কাজে লাগেনি। অপর প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১০৪ রানে।
এর আগে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল ঢাকা। আল আমিন হোসেনের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৩ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান। নাসিরের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফুল হকের তালুবন্দি হন লিটন। ২০ বলে ২০ রান করে তিনি ফিরলে ইমরুল ও জনসন চার্লস মিলে দলকে পঞ্চাশের ঘরে নিয়ে যান।
তবে হামজার বল লাইনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ইমরুল। ২২ বলে ২৮ রান করে ফিরেছেন অধিনায়ক। দলীয় ১০০-এর আগে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৩২ করে রান আউট হন চার্লস। খুশদিল ১৭ বলে ৩০ করে আউট হলে কুমিল্লার ১৫০ ছোঁয়ার পথটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ দিকে জাকের আলীর ১০ বলে ২০ ও আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১১ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংসে ১৬৪ করে কুমিল্লা। ১৯ রান নিয়ে ২ উইকেট নেন নাসির।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য