প্রিয় দলের হাতে ষষ্ঠ ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি দেখার স্বপ্ন নিয়ে কাতার এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সমর্থক জোসে আর্নালদো ডস সান্তোস জুনিয়র। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর তার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়।
ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মেসি ম্যাজিকে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার জয় উদযাপন করেন জোসে। ব্রাজিল সাও পাওলোতে আলবিসেলেস্তেদের আকাশি-নীল জার্সিতে দেখা যায় তাকে। ডিয়েগো ম্যারাডোনা বা পেলে কে সেরা, এই বিতর্ক বাদ দিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন হোসে।
৩৮ বছর বয়সী দাঁতের চিকিৎসক জোসে বলেন, ফুটবল ভক্ত হিসেবে আমি মনে করি আর্জেন্টাইনরা এবার শিরোপার যোগ্য।
বিবিসি ও ইসপিএনের হয়ে কাজ করা ব্রিটিশ সাংবাদিক টিম ভিকেরির মতে, ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠায় আর্জেন্টাইনদের প্রতি ব্রাজিলের সমর্থন বেড়েছে। কারণ এই ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে ব্রাজিল।
এ ছাড়া আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের প্রতি তাদের দর্শকদের সমর্থন ব্রাজিলেও প্রশংসিত হচ্ছে। ব্রাজিলে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করার আরেকটি বড় কারণ লিওনেল মেসি।
এরই মধ্যে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল সুপারস্টার। সেই হিসেবে, এবারই তার বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগ। অনেক ব্রাজিলিয়ান চায় এবারের বিশ্বকাপ উঠুক ৩৬ বছরের এই ফুটবল জাদুকরের হাতে।
ব্রাজিলের ৪৯ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ আলেকহান্দ্রে কেলদাস বলেন, ‘ব্রাজিলের বাদ পড়ার পর, আমি আর্জেন্টিনার জয়ে উল্লাস করছি। মেসি আমার দেখা সেরা খেলোয়াড়।’
বিশ্বকাপে গোলের দিক দিয়ে পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়া মেসির ভক্ত আলেকহান্দ্রের আট বছরের ছেলেও । তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মেসির জন্য পাগল। সে চায় মেসি বিশ্বকাপ জিতুক। আমার ছেলে স্প্যানিশ ভাষাও শিখতে চায়, যাতে সে মেসির কাছ থেকে অটোগ্রাফ চাইতে পারে।’
ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যন্ড ডেটা অ্যানালাইসিস বলছে, ফাইনালে ৩৩ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দেবে। আর ৬০ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান আর্জেন্টিনার হার দেখতে চায়।
আরও পড়ুন:এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক ঘণ্টা; তবু টিকে আছে জীবনের আশা। মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি হঠাৎ করে বের হয়ে আসছে দু একজন জীবিত মানুষও। এ অন্যরকম এক মুহূর্ত।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এই দৃশ্য এখন চেনা। তবে এমন সব মুহূর্তের মধ্যে তুরস্কে ভবনের নিচে আটকা পড়া একটি শিশুর এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে এবার।
৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মোহাম্মেদ নামের শিশুটিকে দেখা গেছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া অবস্থায়। তার শুধু মুখটা বেরিয়ে রয়েছে।
ভূমিকম্পের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর ছোট্ট এই শিশুর সন্ধান পান উদ্ধারকারীরা। শিশুটিকে জীবিত শনাক্তের পর বেশ উৎফুল্ল হয়ে পড়েন তারা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পানির বোতলের মুখ খুলে তা দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি তার মুখে এগিয়ে দিলেন কেউ। তৃষ্ণা নিয়ে এই পানি পান করছে শিশুটি।
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু টুইটারে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, শুভ কামনা মোহাম্মদ।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর
ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দু দেশে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন; গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা এখন ১১ হাজার ১০৪। এখনও আটকা আছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান টেলিভিশনে দেয়া ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৭৪। আহত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ। আর সিরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৩০ জনে।
এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধীর ও অপর্যাপ্ত উদ্ধার তৎপরতার অভিযোগ করে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বাড়ি ও স্বজন হারানো মালাতিয়ার বাসিন্দা মুরাত আলিনাক বলেন, ‘এখানে একজনও আসেনি। বরফের মধ্যে আমরা আছি। নেই ঘর কিংবা সহায়-সম্বল। আমি কী করব? কোথায় যাব?’
স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর
ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে তুরস্কে সোমবারের ভূমিকম্পে ভয়াবহতার চিত্র। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে হৃদয়বিদারক কিছু ছবি।
সিএনএনের বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে কাহরামানমারাসে মর্মান্তিক একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে এএফপির ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়, কংক্রিটের নিচে চাপা পড়া মেয়ের নিথর হাতটি ধরে বসে আছেন এক ব্যক্তি।
ধ্বংসস্তূপে বসা ওই ব্যক্তির নাম মেসুত হানজার। তার মেয়েটির বয়স ছিল ১৫ বছর।
ভূমিকম্পের পর প্রায় জমে যাওয়া তাপমাত্রায় উদ্ধার তৎপরতার সময় পরিবারটির বাসার ভাঙা জানালা, তছনছ হয়ে যাওয়া ফার্নিচার চোখে পড়ে উদ্ধারকারীদের।
স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এরই মধ্যে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ।
ভূমিকম্পের ৪৮ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। কাহরামানমারাসে মঙ্গলবার ১৪ বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধারের অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা করা হচ্ছিল, তবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন:তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সোমবার ভোররাতের ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটি ও সীমান্তবর্তী সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০ হাজারে পৌঁছেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা এখন ৯ হাজার ৭০০-এর বেশি। এখনও আটকা আছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
এখনও বিভিন্ন ভবনের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা। ব্যাপকতার কারণে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ১৯৯৯ সাল থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধীর ও অপর্যাপ্ত উদ্ধার তৎপরতার অভিযোগ করে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বাড়ি ও স্বজন হারানো মালাতিয়ার বাসিন্দা মুরাত আলিনাক বলেন, ‘এখানে একজনও আসেনি। বরফের মধ্যে আমরা আছি। নেই ঘর কিংবা সহায়-সম্বল। আমি কী করব? কোথায় যাব?’
সোমবারের ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রায় সমশক্তিশালী আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় তুরস্কে। এতে ধসে পড়ে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ১৬টি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর পাঠাচ্ছে মেক্সিকো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কুকুরগুলো ২০১৭ সালে মেক্সিকোতে ভূমিকম্পের পর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে উদ্ধারকাজে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে শত শত মানুষ প্রাণ হারান।
এই কুকুরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ফ্রিডা। ছয় বছর আগে হওয়া ভূমিকম্পে ১২ জন মানুষকে জীবন্ত উদ্ধারে সহায়তা করেছিল এটি । গত বছরের নভেম্বরে কুকুরটি মারা যায়।
তবে ফ্রিডা না থাকলেও তুরস্কে আসছে তার সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকটি কুকুর।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড কুকুরগুলোকে প্লেনে ওঠানোর আগের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন।
১৯৮৫ সালে মেক্সিকোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১০টি প্রদেশে আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার তুরস্কের এ প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন।
এদিকে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় তীব্র ঠান্ডার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে।
টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, আমাদের উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি
প্রায় এক শতক পর এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখল তুরস্ক। এরইমধ্যে উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা হচ্ছে।
স্থানীয় সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আফটারশকও হয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্যোগে তুরস্কে ৩ হাজার ৫৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি সিরিয়ায়ও মারা গেছে ১ হাজার ৬০২ জন।
আরও পড়ুন:ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া তুরস্কের বেশ কয়েকটি শহরের মতো একটি আদানা। সেখানে ধসে যাওয়া ভবনগুলোকে সরানো হচ্ছে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার হলেই আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পতি হচ্ছে ওই শহর।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া তুরস্কের শহরটিতে আন্তর্জাতিক উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টা ২০ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রায় ৯০ সেকেন্ড ধরে কাঁপতে থাকে পুরো শহর। এসময় অনেকেই জুতা-জামা কাপড় না নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়েন। এরমধ্যেই শহরটির তাপমাত্রা আরও কমছে।
তুরস্কের চেয়ে অবস্থা আরও ভয়াবহ সিরিয়ার। দেশটির সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় সেখানে আন্তর্জাতিক উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে প্রায় ১৭ লাখ বাস্তচ্যুত মানুষ বাস করে। তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ তুরস্কে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য