সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর আর্জেন্টিনার শেষ ষোলোতে ওঠা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। সে শঙ্কা কিছুটা কাটে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে, কিন্তু এরপরও পোল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের আগে নানা সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল মেসিদের। সেসব সমীকরণকে অতীত করে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে লিওলেন স্কালোনির দল।
হাই ভোল্টেজ ম্যাচ শেষে তৃপ্তির হাসি নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও শুরুটা সাদামাটা ছিল টিম আর্জেন্টিনার। প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও জাল খুঁজে পাচ্ছিল না শটগুলো।
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় মেসির পেনাল্টি কিক মিস, তবে সে মুহূর্তটাকেই শাপে বর মনে করছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তার মতে, পেনাল্টিতে গোল না পাওয়ায় মরিয়া হয়ে ওঠে দল।
প্রথমার্ধে কোনো গোল না করে বিরতিতে যাওয়া আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডেডলক ভাঙে। ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টারের গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। পরে ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুলিয়ান আলভারেস।
এ দুজনের গোলে মেসির স্বপ্নজয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে সুপার সিক্সটিনে পৌঁছে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘পেনাল্টি মিসের পর নিজের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু আমার ভুলের পর দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। আমরা জানতাম প্রথমে একটা গোল হয়ে গেলে খেলা বদলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগের ম্যাচ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। তা ছাড়া আগেই আমাদের জানা ছিল এ ম্যাচ আমাদের জিততে হবে।’
আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময়ে রাত ১টায় নকআউট পর্বে আস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। একে সামনে রেখে মেসি বলেন, এবারের বিশ্বকাপে যেকোনো দল যে কাউকেই হারাতে পারে।
সবাইকে সমানভাবেই দেখছেন সাতবারের ব্যালন ডরজয়ী এ তারকা। তার ভাষ্য, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা খুব কঠিন হতে চলেছে। যে কেউ অন্যকে হারাতে পারে; সবই সমান, তবে আমরা সবসময়ের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে তাদের মুখোমুখি হব।
‘আমাদের শান্ত থাকতে হবে। তা ছাড়া ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা উচিত। এখন আরেকটি বিশ্বকাপ শুরু হলো। আজ আমরা যা করেছি, আশা করছি তা ধরে রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন:লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি বইমেলার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বইবাড়ি সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩’। শনিবার মানিকগঞ্জের জাগীর ইউনিয়ন মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী আয়োজনে থাকবে বাউল গান, কবিতা আবৃত্তি ও বইমেলা। উৎসবে ‘গুনাই বিবি যাত্রাপালা’ পরিবেশন করবে জেলার ধলেশ্বরী একতা সাজঘর।
উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা বীরবিক্রম তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নজরুল গবেষক ও লেখক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিন এবং যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ।
উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বইবাড়ির পরিচালক রবীন আহসান। আরও বক্তব্য দেবেন জাগীর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বাহাদুর রহমান বাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জাকির।
উৎসব আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতায় থাকবে ‘এক রঙা এক ঘুড়ি’। বইবাড়ির আজীবন সদস্যসহ উৎসবে যোগ দেবেন বিশিষ্ট কবি, লেখক, নির্মাতা, শিল্পী ও সুধীজন।
অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার সমকাল, চ্যানেল আই অনলাইন, গ্লোবাল টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকা ঢাকা প্রকাশ।
আরও পড়ুন:লংকান অ্যালায়ন্স ফাইন্যান্স ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে গুলশানের প্রধান কার্যালয়ে বছররে প্রথম টাউন হল মিটিংয়ের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জহর রিজভী।
অনুষ্ঠানে তিনি ‘ইনট্রেগ্রিটি অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘এমপ্লয়ী অফ দা মান্থ’ পুরস্কার দেন কর্মীদের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান্তি কুমার সাহা, হেড অব বিজনেস শাহানুর রশিদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা উইশভা উইকরামারাচ্চি সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এডুকেশন সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (ইএসটিসিডিটি)-এর সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার জাফর উল্লাহ। আর সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সালমা করিম।
ইএসটিসিডিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে দুই বছরের (২০২৩-২৪) জন্য তাদের সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইএসটিসিডিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি নিলুফার জাফর উল্লাহ নবম ও দশম সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্বরত।
অন্যদিকে সালমা করিম কমনওয়েলথ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়াও তিনি রোটারি ক্লাবের সহযোগী সংগঠন ‘ইনার হুইল ক্লাব’ (আইডব্লিউসি)-এর সদস্য। বর্তমানে তিনি আইডব্লিউসি গুলশান-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত। পাশাপাশি তিনি কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, গুলশান ক্লাব ও গুলশান লেডিস কমিউনিটি ক্লাবের সদস্য।
বাংলাদেশে ইএসটিসিডিটি ট্রাস্টের মাধ্যমে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটি ঢাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং অন্যটি চট্টগ্রামে চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ)।
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) আওতায় গরিব, দুস্থ, অসহায় ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গবির, দুস্থ ও অসহায় শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল ও মশারি বিতরণ করেন ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সুভাষ চন্দ্র দাস, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম, তাওহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও মো. মনিরুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএসআরের আওতায় ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল ও মশারি বিতরণ করছে ব্যাংকটি।
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে বছরব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশুপালনের উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। ছাত্রলীগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আজ থেকে ৭৫ বছর আগে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বর্তমানেও সেই ছাত্রলীগ সময়ের প্রয়োজনে নিজের সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দেয়ার ব্রতকে ধারণ করে পথ চলছে।
‘দেশের প্রতিটি প্রজন্মে, প্রতিটি তারুণ্যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠতম স্থানে অবস্থান করেছে, করছে এবং আগামীতেও অবধারিতভাবে করবে। তাই, ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ নেতৃত্ব দিবে ছাত্রলীগ, ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এটিই আমাদের সংকল্প।’
কর্মসূচির বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘৪ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং বিকেল ৩টায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
অন্যান্য বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনই শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রলীগ। তবে এবার ৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা, ঢাকা শহরের জ্যাম, শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা এবং গণজীবনের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আমরা আমাদের র্যালিটি শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ ছাড়া ৫-৮ জানুয়ারি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সংগৃহীত রক্ত বিতরণ আর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
বছরব্যাপী আরও যেসব কর্মসূচি
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশুপালন ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময়, কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ: গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আইডিয়া কনটেস্ট, সকল সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট ইয়ুথ ক্যাম্প আয়োজন।’
‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে ২ মিনিটের শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগীতার আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ডেভেলপমেন্ট কুইজ’ আয়োজন, নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতা, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট’, স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উপর আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স, স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরষ্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা-চক্র এবং
‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আওয়ার কান্ট্রি, আওয়ার ড্রিম’ শীর্ষক পোস্টার প্রেজেন্টেশন কর্মসূচি।’
বছরব্যাপী এসব কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনে প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে নির্দেশনা এবং ছাত্রসমাজকে নিজেদের মেধার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা দেশপ্রেমের অংশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা দেশপ্রেমের অংশ হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করাকে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা আমাদের দেশপ্রেমের অংশ হয়ে পড়েছে। এই দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে আমরা দেশরত্নের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।’
সাদ্দাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাধ্যমে আমরা একটা লড়াই করার শপথ গ্রহণ করতে চাই। আর এই লড়াইয়ের শেষ আমরা দেখতে চাই। যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, বঙ্গবন্ধু তনয়াকে হত্যার চেষ্টা করেছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে এবং যারা দুর্নীতিকে বাংলাদেশে রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়েছে, সেই দুর্নীতিবাজদদের যারা পুনর্বাসন করেছে, গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যারা ইতোমধ্যে মানুষ হত্যা করেছে, সেই অপশক্তির বিনাশ বাংলার মাটি থেকে আমরা নিশ্চিত করেই ছাড়বো।
‘বিএনপি জামায়াতের পলিটিক্যাল ডেথ সার্টিফিকেট নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ নয়। লাখও শহীদের রক্তের উত্তারাধিকারের প্রতি আমাদের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন নিরাপদ নয়। আজকে আমরা প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা আমরা নিশ্চিত করবোই।
ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা ১২-তে পৌঁছানো মাত্রই আতশবাজির রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। চারপাশে শুরু হয় উল্লাসের ধ্বনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৩ সালে এভাবেই বরণ করে নেয়া হয়েছে।
ভৌগলিক অবস্থার কারণে বিশ্বে সবার আগে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাস। এরপর বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সময় ঠিক রাত ১২টায় নানা আয়োজনে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরটিকে।
আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজধানী ঢাকায় এর তোয়াক্কা করা হয়নি। ১২টার বাজার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নতুন বছরের আতশবাজিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের ওকল্যান্ডের আকাশ। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘরে চলে আসায় সেই সময়টিতে উদযাপন শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোতেও।
সিডনি হারবারে নববর্ষ উদযাপন করতে জড়ো হন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এই এলাকার হারবার ব্রিজের উপর থেকে ৭ হাজার আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। এ ছাড়া কাছাকাছি অপেরা হাউস থেকে দুই হাজার বেশি আতশবাজিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে রাতের আকাশ।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাপানে নববর্ষ উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণটি চলে আসে। রাজধানী টোকিওসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে আতশবাজির আলোর ঝলক দেখা গেছে। এ ছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে এসব শহরে মনোরম আলোকসজ্জারও ছবি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
অর্থনৈতিক সংকটে থাকা যুক্তরাজ্যেও ব্যাপক আতশবাজি ফুটিয়ে নতুন ইংরেজি বছরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ‘হগমানয়’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, কার্ডিফ ও এডিনবরার বাসিন্দারা নতুব বছরকে স্বাগত জানায়।
তবে নতুন বছরে দেশবাসীকে সুখবর দিতে পারেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালেও কাটবে না যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকট।
নতুন বছরের শুরুটা ভালো ছিল না ইউক্রেনীয়দের জন্য। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির অন্যান্য শহরে নববর্ষ বরণ করার আগমুহূর্তে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নববর্ষকে বরণ করতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশটিতে গত দুবছর ঘটা করে নতুন বছর উদযাপিত হয়নি।
ক্রোয়েশিয়ার জন্য এবারের নতুন বছরের শুরুটা একটু অন্যরকম। ২০২৩ সালের শুরু থেকে মুদ্রা হিসেবে কুনার পরিবর্তে ইউরোর ব্যবহার শুরু করেছেন ক্রোয়েশিয়ানরা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে ব্যাপক আয়োজনে বরণ করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফায় ছিল চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী।
চীনে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নববর্ষ উদযাপনে দেশটির বাসিন্দাদের আগ্রহ-উদ্দীপনায় কোনো কমতি ছিল না। করোনার উৎপত্তিস্থল উহানের বাসিন্দারা বেলুন উড়িয়ে নববর্ষকে উদযাপন করে। এ ছাড়া বেইজিংয়ের গ্রেট ওয়ালেও ছিল নববর্ষের বিশেষ আয়োজন।
নতুন বছর উপলক্ষে দেয়া বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেন, ‘বিশ্ব শান্তিতে নেই, তবে শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে অটল অবস্থানে থাকবে বেইজিং।’
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া, ঘানা, আইভোরি কোস্টে, বুরকিনা ফাসো ও সেনেগালে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা স্মারক দিয়েছে।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড তুলে দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবার ব্যক্তিপর্যায়ে ৭৬ জন, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৩ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২টি ট্যাক্সকার্ড দেয়া হয়।
গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সে অনুসারে সেরা করদাতাদের বুধবার সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্স কার্ড তুলে দেয়া হয়।
ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী হাজী মো. কাউছ মিয়া অন্য বছরগুলোর মতো ২০২১-২২ করবর্ষেও এনবিআরের সেরা করাদাতা হয়েছেন। তিনি সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পেলেন। কোম্পানি পর্যায়ে টেলিকমিউনিকেশন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতার ট্যাক্স কার্ড পায় গ্রামীণফোন।
অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, মো. মনির হোসেন ও নাফিস শিকদার।
ব্যাংকিং ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যার্ন্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) লিমিটেড।
নন-ব্যাংকিং ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে ইনফাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমেটেড (ইডকল), আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স লিমিটেড।
ওষুধ ও রসায়ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রেনেটা লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
চামড়াশিল্প ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে বাটা সু কোম্পানি, লালমাই ফুটওয়্যার লিমিটেড ও অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড।
অন্যান্য ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড, সেখ আকিজ উদ্দিন, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড।
প্রকৌশল ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পায় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড।
জ্বালানি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও পেট্রোমেক্স রিফাইনারি লিমিটেড।
পাটশিল্প ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পায় আকিজ জুট মিলস লিমিটেড, আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড ও রোমান জুট মিলস লিমিটেড।
স্পিনিং ও টেক্সটাইল মিলস ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড, নাহিদ কটন মিলস লিমিটেড, এসিএস টেক্সটাইল (বাংলাদেশ) লিমিটেড, বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, এপেক্স টেক্সটাইল প্রিন্টিং মিলস লিমিটেড ও এনজেড টেক্সটাইল লিমিটেড।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেড, সময় মিডিয়া লিমিটেড, টাইমস মিডিয়া লিমিটেড ও মিডিয়াস্টার লিমিটেড।
রিয়েল স্টেট ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে বে ডেভলপমেন্ট লিমিটেড, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড।
তৈরি পোশাক ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড, স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেড ও ইয়াংওয়ান হাইটেক স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অন্যান্য করদাতা পর্যায়ে চার ক্যাটাগরিতে ১২টি প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স কার্ড পায়। এরমধ্যে ফার্ম ক্যাটাগরিতে মেসার্স এসএন করপোরেশন, মেসার্স ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, মেসার্স মো. জামিল ইকবাল ও মেসার্স ছালেহ আহাম্মদ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। ব্যক্তিসংঘ ক্যাটাগরিতে সেনা কল্যাণ সংস্থা হেড অফিস ও বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট।
অন্যান্য ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে আশা, বুরো বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর প্রোগ্রামড অ্যাকশন (উদ্দীপন) ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)।
ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬ জন পেয়েছেন ট্যাক্স কার্ড। তাদের মধ্যে সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে মো. কাউছ মিয়া ছাড়াও সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন খাজা তাজমহল, ফজলুর রহমান, এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান।
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পান মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, এ মতিন চৌধুরী, ডা. মো. আমজাদ হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন, লে. জেনারেল আবু সালেহ মো. নাসিম (অব.), চিকিৎসক ক্যাটাগরিতে ডা. জাহাঙ্গীর কবির, প্রফেসর ডা. একেএম ফজলুল হক, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ড. নার্গিস ফাতেমা ও ডা. এনএএম মোমেনুজ্জামান।
সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন ফরিদুর রেজা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান, শাইখ সিরাজ ও নঈম নিজাম। আইনজীবী ক্যাটাগরিতে শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসানুল করিম, তৌফিকা আফতাব, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।
প্রকৌশলী ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন মো. জহুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান ও মো. আব্দুল্লাহ। স্থপতি কাটাগরিতে মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, এনামুল করিম নির্ঝর ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্যাটাগরিতে মাশুক আহমেদ, মো. মোক্তার হোসেন ও রাকেশ সাহা এফসিএ।
খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল খান ও কাজী নুরুল হাসান (সোহান)।
অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন মাহফুজ আহমেদ, মেহজাবীন চৌধুরী ও পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। কণ্ঠশিল্পী ক্যাটাগরিতে তাহসান রহমান খান, এস ডি রুবেল, কুমার বিশ্বজিৎ দে।
নারী ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন আনোয়ারা হোসেন, আমিনা আহমেদ, শাহনাজ রহমান, তাসনীম মাহমুদ ও পারভীন হাসান। প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে আকরাম মাহমুদ, ডা. মো. মামুনুর রশিদ ও লুবনা নিগার।
বেতনভোগী ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন, লায়লা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।
তরুণ ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন সাফওয়ান সোবহান, আসিফ ইকবাল মাহমুদ, নাসিরুউদ্দিন আক্তার রশীদ, রাইসা সিগমা হিমা ও রবিন রাজন সাখাওয়াত।
ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী, এস এম শামছুল আলম, মো. মাহবুবুর রহমান, গাজী গোলাম মূর্তজা ও এস এম আশরাফুল আলম।
নতুন করদাতা ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন এরিক এম ওয়াকার, ওবায়দুল ইসলাম কিরণ, নাজমা আক্তার, লুইস এনরিকে ম্যায়োর্গা, জুমারা বেগম, সাকেব মোহাম্মদ আলী ও সাদরুদ্দিন উদ্দিন আহসান আলী।
ট্যাক্স কার্ড পাওয়া ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ, তারকা হোটেলসহ সব আবাসিক হোটেল বুকিংয়ে অগ্রাধিকার। পাশাপাশি কার্ডধারী নিজে ও তার স্ত্রী বা স্বামী, নির্ভরশীল সন্তানের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। থাকবে আকাশ, রেল ও জলপথে সরকারি যানবাহনে টিকিট প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং জাতীয় অনুষ্ঠান, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য