কাতারে যে ফুটবল দলটি বিশ্বকাপ খেলতে গেছে, অনেক ইরানির চোখে তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। এ কারণে জাতীয় ফুটবল দলকে সমর্থন দিতে অস্বীকার করেছেন তারা। তবে ফুটবলারদের ওপর ‘অন্যায্য’ চাপ দেয়ার জন্য ইরানের অভ্যন্তরে এবং বাইরের শত্রু শক্তিকে দায়ী করছে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়াগুলো।
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে মঙ্গলবার রাতে ইরানিদের রাস্তায় নেমে নাচতে এবং গাড়ির হর্ন বাজাতে দেখা গেছে। এর কিছু আগে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইরান।
এদিকে হার উদযাপনের সময় উত্তর ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে, মঙ্গলবার রাতে ফুটবল দলের পরাজয় উদযাপনের জন্য কাস্পিয়ান সাগরের শহর বন্দর আনজালিতে নিজের গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছিলেন ২৭ বছরের মেহরান সামাক। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী তার মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মেহরানের।
বিবিসি ফার্সি বুধবার সকালে সুনাকের দাফনের একটি ভিডিও পায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত জনতাকে বলতে শোনা যায়- ‘তুমি নোংরা, তুমি অনৈতিক, আমি একজন স্বাধীন নারী’। ইরানের বিক্ষোভে প্রায়শই ব্যবহৃত একটি স্লোগান এটি।
تصاویری به دست بیبیسی فارسی رسیده که نشان میدهد مهران سماک، شهروندی که گفته میشود در جریان اعتراضهای بعد از باخت تیم ملی در برابر آمریکا کشته شده، در شهر بندر انزلی به خاک سپرده شده است. pic.twitter.com/uQ66HUaBXD
— BBC NEWS فارسی (@bbcpersian) November 30, 2022
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইরানের ফুটবলাররা জাতীয় সঙ্গীত গায়নি। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ ব্যবধানে হারে ইরান।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েলসের বিপক্ষে খেলায় তারা জাতীয় সংগীত গেয়েছিল। সে ম্যাচে ২-০ গোলে জেতে ইরান।
অনেক বিক্ষোভকারী এটাকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন। যদিও এমন খবর ছিল যে দলটি ইরানি কর্তৃপক্ষের তীব্র চাপের মধ্যে ছিল।
১০ সপ্তাহ আগে মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুর পর ইরানে অস্থিরতা শুরু হয়। হিজাব ঠিকভাবে না করায় ২২ বছরের মাহসাকে তেহরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।
ইরান সরকার চলমান বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ বলছে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মদদে দেশে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে কিছু মানুষ।
বিক্ষোভ দমাতে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এতে ঘটছে হতাহত। মানবাধিকার কর্মীরা হিসাবে, বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৬০ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৫০ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার আছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।
অনলাইনে মঙ্গলবার রাতে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানের উত্তর-পশ্চিমে মাহসা আমিনির নিজ শহর সাক্কেজে কয়েক ডজন লোক ইরানি ফুটবল দলের পরাজয় উদযাপন করছে। আতশবাজি পুড়িয়ে মাথার স্কার্ফ নেড়ে তাদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
خوشحالی مردم سقز در محله کریمآباد بعد باخت تیم ایران مقابل آمریکا
— Farzad Seifikaran (@FSeifikaran) November 29, 2022
دوشنبه ۸ آذر ۱۴۰۱#مهسا_امینی #MahsaAmini pic.twitter.com/SVaGVUstxt
কুর্দি অঞ্চলের অন্যান্য কয়েকটি শহর থেকেও এমন ভিডিও পেয়েছে বিবিসি ফার্সি। এসব শহরে সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল সানন্দাজে জনতাকে গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা গেছে। অন্যদিকে কেরমানশাহ এবং মারিভানে উদযাপনকারীদের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এটি চলামান বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান স্লোগান।
তেহরানে ইমাম সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একটি হলের বাইরে জড়ো হয়ে ‘অসম্মানজনক মৃত্যু’ বলে স্লোগান দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইরানের ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের ভেতরেও ভক্তদের এই স্লোগানটি দিতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীদের প্রচারমাধ্যম ১৫০০তাসভির একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেটিতে দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেহবাহানে উদযাপনকারী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে; তেহরানের কাছে কাজভিনে এক নারীকে মারধর করছে।
মঙ্গলবারের ম্যাচের পর কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামের বাইরে সরকারবিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়।
ড্যানিশ সাংবাদিক রাসমুস ট্যানথোল্ড্টের ভিডিও-তে ধরা পড়েছে সংঘর্ষের দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুরুষ ইরানের পতাকা হাতে টি-শার্ট পরা একজনকে বি খোঁচাচ্ছে। ওই ব্যক্তির টি-শার্টে লেখা- ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’।
তখন তার সঙ্গে থাকা এক নারীকে বলতে শোনা যায়, তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। নিরাপদে স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার জন্য তিনি সাহায্য চাইছিলেন।
Iranian government supporters shouting at the Iranians wearing the #WomanLifeFreedom t-shirts #USAvIRN @FIFAWorldCup pic.twitter.com/kEfwe25KBD
— Rasmus Tantholdt TV2 (@RasmusTantholdt) November 29, 2022
বিবিসি পার্সিয়ানের কাছে আসা আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের বাইরে এক পুরুষ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীকে তখন চিৎকার করে বলতে শোনা যায়- ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’।
در ویدیوی جدیدی که به دست بیبیسی فارسی رسیده است، معترض ایرانی که پیشتر ویدیویی از بازداشت او جلوی ورزشگاه الثمامه منتشر شده بود، از سوی دهها مامور قطری احاطه و با خشونت بازداشت شده است. pic.twitter.com/q2Slpc5Uyq
— BBC NEWS فارسی (@bbcpersian) November 30, 2022
এদিকে ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় ফুটবল দলের প্রশংসা করেছে।
রক্ষণশীল ফারহিখতেগান পত্রিকাটি বলছে, ‘আমরা ইরানের জন্য গর্বিত। অন্যদিকে রেভল্যুশনারি গার্ডস-সংশ্লিষ্ট দৈনিক জাভান বলছে, দলটি ‘আসল খেলা জিতেছে: মানুষের হৃদয় এক করার খেলা।’
কেহান পত্রিকার সম্পাদককে নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি। ওই সম্পাদক বলেন, ‘দলটি সবচেয়ে অন্যায্য পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টে গিয়েছিল। তাদের ওপর দেশের পাশপাশি বিদেশে থেকেও চাপ ছিল।
ম্যাচের আগে কট্টরপন্থী তাসনিম সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রতিবেদনে অজ্ঞাত একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বলা হয়, ইরানি খেলোয়াড়রা ‘ভালো আচরণ’ না করলে তাদের পরিবারকে ‘কারাবাস ও নির্যাতন’ করবে বিপ্লবী গার্ড।
আরও পড়ুন:১২০ কোটি ডলারে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফা কিনে নিল ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে বিধ্বস্ত আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার কমার মধ্যেই মঙ্গলবার ওই বন্দর কেনার ঘোষণা আসে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সুউচ্চ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করে ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিকে পাল্টে দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে ভারতীয় এই ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষে।
আদানি গ্রুপ ইসরায়েলে অধিকতর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তারা হাইফা বন্দর কিনল। এছাড়া তারা তেল আবিবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরি) চালু করতে যাচ্ছে।
জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে সম্প্রতি বড় ধরনের ধস নেমেছে।
কৌশলগত কারণে হাইফা বন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে এবং সবচেয়ে বড় পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজও (ক্রুজ শিপ) এই বন্দরে ভিড়ে। এছাড়া এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর।
আরও পড়ুন:
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইন শপ স্বপ্নের আউটলেট।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নতুন এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, স্বপ্নের হেড অফ বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, রিজিওনাল ম্যানেজার অফ অপারেশন সাজিদ আহমেদ, ম্যানেজার (প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট) মেহেদী হাসান রাহাত, আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।
স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “‘স্বপ্ন’ এখন দেশের ৫১টি জেলায়। মানিকগঞ্জের নতুন এই আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। আশা করছি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ পরিবেশে গ্রাহকরা স্বপ্নের এ আউটলেট থেকে নিয়মিত বাজারের সুযোগ পাবেন।”
স্বপ্নের অপারেশন্স ডিরেক্টর আবু নাছের জানান, নতুন এ আউটলেটে থাকছে মাসব্যাপী নানা অফার ও হোম ডেলিভারি সেবা।
স্বপ্নের ২৯৩তম আউটলেটের ঠিকানা: সিটি সেন্টার, ১৬/ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে রোড, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মানিকগঞ্জ।
আরও পড়ুন:পেরুর উত্তরাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির এল অলটো জেলায় পাহাড়ি রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
পেরুর পরিবহন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এসইউটিআরএএন এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হতাহতের কোনো সংখ্যা তারা উল্লেখ করেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ৬০ জন যাত্রী নিয়ে লিমা থেকে ইকুয়েডর সীমান্তবর্তী টুম্বেসে যাচ্ছিল বাসটি। পথে এটি অরগানোস শহরের কাছে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়।
পেরুতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যাও কম নয়।
আরও পড়ুন:
ইরানে নতুন বছরের প্রথম ২৬ দিনে ৫৫ জনের ফাঁসি কার্যকরা হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। সংস্থাটি বলছে, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরতদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি ইরানে তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১৮।
আইএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম ২৬ দিনে মাদক মামলার ৩৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইরানে ১০৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘদ্দাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান সরকার। কোনো ফাঁসি বরদাস্ত করা হবে না, তা সে রাজনৈতিক হোক বা অরাজনৈতিক।’
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে।
বিক্ষোভ থামাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইরান সরকার ধরপাকড় চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ সংখ্যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:ইসলামবিদ্বেষ কাটাতে প্রথমবারের মতো উপদেষ্টা নিয়োগ করলো কানাডা সরকার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কানাডার ইসলামবিদ্বেষবিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে সাংবাদিক আমিরা এলঘাওয়াবির নাম ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট আমিরা এলঘাবাবি ইসলামভীতি, বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টাকে উন্নত করতে কাজ করবেন।
মানবাধিকার কর্মী এলঘাওয়াবি কানাডার দাতব্য সংস্থ রেস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ও টরন্টো স্টার পত্রিকার একজন কলামিস্ট। এর আগে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি।
এলঘাওয়াবিকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষ ও সব ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বৈচিত্রতা সত্যিই কানাডার অন্যতম বড় শক্তি, কিন্তু অনেক মুসলমান ইসলামবিদ্বেষের শিকার।’
গত কয়েক বছর ধরে কানাডার মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে অন্টারিওতে একটি মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে ট্রাক দিয়ে পিষে হত্যা করেন এক ব্যক্তি। এর চার বছর আগে, কুইবেক সিটির একটি মসজিদে চালানো হামলায় ছয়জন মুসল্লি নিহত এবং পাঁচজন আহত হন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেনা-অভ্যুথানের আগে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে পপি উৎপাদন ধীরে ধীরে কমছিল।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর পপি চাষের প্রথম পূর্ণ মৌসুমের ডেটা সংগ্রহ করে ইউএনওডিসি। সে ডেটা অনুযায়ী, ২০২২ সালে মিয়ানমারে পপির চাষ বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, যেখানে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন বাড়ে ৮৮ শতাংশ।
জাতিসংঘের সংস্থাটির মতে, গত বছর মিয়ানমারে ৪০ হাজার হেক্টরের চেয়ে সামান্য বেশি জমিতে পপির চাষ হয়। এ থেকে আফিমের সম্ভাব্য উৎপাদন হয় ৭৯০ টন।
ইউএনওডিসির বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের জরিপ বলছে, মিয়ানমারের আফিমকেন্দ্রিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য বিকাশ হয়েছে।
ইউএনওডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, সেনারা মিয়ানমারের দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং শাসনজনিত যে ব্যাঘাত ঘটেছে, তা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশটিতে আফিম উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত ও সংঘাতপীড়িত উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য শান ও সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া খুব কমই বিকল্প আছে স্থানীয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন:২০২৩ সালের প্রথম পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবি) গত ২২ জানুয়ারি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড নামের এ সনদ দেয়।
বিভিন্ন সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৬০ পয়েন্টের ওপরে পাওয়ায় নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত সবুজ এ কারখানাটি দেয়া হয়েছে প্লাটিনাম সনদ।
এ নিয়ে দেশে লিড সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৪টি।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম মাসেই গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ পেয়ে যাত্রা শুরু করতে পারলাম। গত বছর আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লাটিনাম সনদ পেয়েছি। এবছরও আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ খাতকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দিয়ে থাকে ইউএসজিবি। বিশেষত, শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটা মানা হলো তার কঠিন তদারকি এবং চুলচেরা বিশ্নেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬০টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি।
সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের গায়ে একটি গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। এর অর্থ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। সাধারণ ভোক্তার কাছে এর আলাদা কদর আছে।
ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। এমনকি দেশের এবং পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে এতে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য