২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা ও জার্মানির মতো দলের হারের মধ্যে দিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অঘটন দেখেছে বিশ্ব। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আলোচনায় আছে আয়োজক কাতারও। যদিও দেশটির সরকাররের দাবি, খেলা দেখতে আসা বিভিন্ন দেশের দর্শকদের প্রতি আতিথেয়তার জোর চেষ্টায় কাতার। তবে সরকার এটাও চাইছে, সমর্থকরাও তাদের দেশের সংস্কৃতি এবং নিয়মকে সম্মান জানাবে। আর এ কারণে দর্শকদের দেয়া হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ।
অ্যালকোহল
টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে কাতার কর্তৃপক্ষ জানায়, আটটি বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে বসে বিয়ার খেতে পারবে না দর্শক। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, অ্যালকোহল কেবল হসপিটালিটি বক্সে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ফ্যান জোনে সন্ধ্যা ৭টার পর ১২ পাউন্ড খরচে বুডওয়েজারের ৫০০ মিলিলিটার বিয়ার কেনা যাবে।
খাবার
খাবার নিয়েও বিশ্বকাপে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কাতার। ইয়াহু নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশু খাবার বা চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত কোনো খাবার ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না। দর্শকরা স্টেডিয়ামের নিচতলায় বসানো কিয়স্ক থেকে খাবার এবং সফট ড্রিঙ্কস সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে তা স্টেডিয়ামের ভেতরে নেয়া যাবে না।
রেইনবো হ্যাট
আরব বিশ্বে সমকামিতা নিষিদ্ধ। আর এই সমকামীর প্রতীক হলো রেইনবো। এ জন্য রেইনবো টি-শার্ট বা হ্যাট পরে কাতার বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে উপস্থিত হওয়া যাবে না। সমকামী সম্প্রদায়ের সমর্থনে রেইনবো টি-শার্ট পরে সোমবার কাতারের একটি স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টাকালে অল্প সময়ের জন্য আটক হন আমেরিকার এক সাংবাদিক। এ ছাড়া সাবেক এক ফুটবলারকেও রেইনবো হ্যাট খুলে মাঠে প্রবেশ করতে হয়েছে।
খোলামেলা পোশাক
বিদেশি দর্শকদের খোলামেলা পোশাক পরতে বারণ করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে তবে কাতারের আইন অনুযায়ী কারাদণ্ড হতে পারে তার।
কাতার সরকারের পর্যটনবিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়, পোশাক পরিধানের প্রতি কাতারের মনোভাব শিথিল। তবে দর্শকরা (পুরুষ ও নারী) জনসমক্ষে অতিরিক্ত খোলামেলা পোশাক পরিহার করে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণত পুরুষ এবং নারীর জন্য তাদের কাঁধ এবং হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে।
ফুটবল খেলা
বিশ্বকাপে ফুটবল খেলার ওপরই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কাতার সরকার। দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকরা ফুটবল খেলতে পারবে না। বিভিন্ন দেশের অনেক দর্শক বুধবার খেলার চেষ্টা করলে, তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো।
মেট্রোতে গান গাওয়া
বিশ্বকাপে পছন্দের দল জয় পেলে দর্শকরা হোটেলে ফিরতে ফিরতে মেট্রো বা বাসে গান গেয়ে বা চিৎকার করে উদযাপন করে থাকে। কাতার সরকার এমন সমর্থকদের হইহুল্লোড় কমিয়ে উদযাপন করতে বলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেট্রোতে একজন স্থানীয় নাগরিক এমন একটি ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছেন।
বাদ্যযন্ত্র
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেডিয়ামের ভেতরে তীব্র শব্দ সৃষ্টিকারী ডিভাইস বা যন্ত্র নিষিদ্ধ। এসবের মধ্যে আছে ভুভুজেলা, হুইসেল, লাউডস্পিকার।
এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডট কো-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেডিয়ামের ভেতর ফ্রিসবিস, সাইকেল, রোলারব্লেড, স্কেটবোর্ড, কিক স্কুটার এবং ইলেকট্রিক স্কুটার বা বেলুনের মতো জিনিসপত্র নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেঞ্চ, ফোল্ডিং চেয়ার, বাক্স, কার্ডবোর্ডের পাত্র, ছাতা, বড় ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, স্যুটকেস এবং স্পোর্টস ব্যাগের মতো বড় জিনিসগুলোও মাঠে নেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।
নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।
নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।
উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।
নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।
স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।
আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।
তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় আক্রমণ থেমে নেই। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জনেরও বেশি।
গাজায় এসব হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।
প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি পরিবারের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে প্যালেস্টাইনের বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে রাফাহ শহরের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নয় শিশুসহ ১৮ জন নিহত হন।
এ ছাড়া রাফাহ শহরের উত্তর-পূর্বে নাসর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র গোলাবর্ষণেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় ছয় মাসের টানা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্ত্যুচ্যুত ১৪ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে শরণার্থী হিসেবে রাফাহতে অবস্থান করছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।
প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর
এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি, রাফাহসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘ভ্রান্তিমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন, বন্দিদের মুক্তি ও হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন:মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে হামলায় ‘উগ্র ইসলামপন্থিদের’ হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই নৃশংসতার পেছনে ইউক্রেনের হাত থাকতে পারে।
শুক্রবার ওই হামলার ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি এমনটা বলেছেন। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করা আইএস-এর কথা উল্লেখ করেননি পুতিন।
শুক্রবারের ওই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা ক্রোকাস সিটি হলে ঢুকে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়। হামলায় ১৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৯৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
টেলিভিশনে সোমবার সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে, যাদের আদর্শের বিরুদ্ধে শত শত বছর ধরে লড়াই করছে মুসলিম বিশ্ব।’
পুতিন বলেন, ‘তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- অপরাধ করার পর সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’
ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকবার বলেছে যে, তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং আইএসআইএল-অনুমোদিত মিডিয়া চ্যানেলগুলো হামলার সময় বন্দুকধারীদের গ্রাফিক ভিডিও প্রকাশ করেছে।
আইএস হামলার দায় স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাদের দাবির পক্ষে সাফাই গায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, এর জন্য আইএসআইএল নামে একটি সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে।’
এর আগে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের রাশিয়ায় তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান।
এই হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭ মার্চ মস্কোকে সতর্ক করেছিল বলে যে খবর বেরিয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য গোপনীয়।’
আরও পড়ুন:২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মিখাইল মিশুস্টিন বলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী এবং উভয়ের স্বার্থরক্ষা হবে।’
রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশি জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরের প্যাটাপস্কো নদীর ওপর নির্মিত ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতু। এ ঘটনায় বহু হতাহতের শঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে সেতুটিতে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর ওপর থাকা অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে এর একাংশ পানিতে ধসে পড়ে।
এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট।
প্রাথমিক বিবৃতিতে মেরিল্যান্ড পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ) জানিয়েছে, ‘আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের ওপর নির্মিত আই-৬৯৫ কি ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। তাই প্যাটাপস্কো নদীর সংযোগ সড়ক এড়িয়ে চলতে চালকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।’
শুরুতে তারা জানায়, ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুতে একটি দুর্ঘটনার কারণে আন্তঃরাজ্য মহাসড়কের উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাল্টিমোর মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বাল্টিমোর ফায়ার বিভাগের কমিউনিকেশন পরিচালক কেভিন কার্টরাইট রাত ৩টার দিকে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা পানিতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সাতজন পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে জরুরি নম্বরে কল আসে। এতে বলা হয় বাল্টিমোর সেতুতে বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কা দেয়ায় এক কলাম ভেঙে সেতুটি ধসে পড়েছে। ওই সময় সেতুটিতে একাধিক যানবাহন ছিল।
কার্টরাইট বলেন, ‘আমরা এখন ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে কতজন মানুষ পানিতে পড়ে গেছে সে সম্পর্কে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মন্তব্য