× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Messi is part of the Saudi billion dollar project
google_news print-icon
দীর্ঘ পাঠ

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি

মেসি
সৌদি আরবের পর্যটন শিল্পের প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন মেসি। গ্রাফিক্স: দ্য অ্যাথলেটিক
বিশ্বকাপে গ্রুপ সির প্রথম ম্যাচের আগে সোমবার সন্ধ্যায় দোহায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেসি। মাঠে যে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। আর প্রতিপক্ষ দেশটি ছিল তারা, যারা তাদের প্রচারে ব্যবহার করছে মেসির ছবি। কাতারের টেলিভিশনে সম্প্রচার হচ্ছে মেসির সৌদি আরব সফর নিয়ে তৈরি বিজ্ঞাপন।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিস্ময়কর জয় পেয়েছে সৌদি আরব। এটি ছিল গ্রুপ সি-এর প্রথম ম্যাচ। একই সঙ্গে এটি ছিল মাঠের বাইরে একটি যুদ্ধের পটভূমি, যা আগামী বেশ কয়েক বছর ধরে চলবে।

সৌদি আরবের ভাবমূর্তি উন্নয়নের মিশনে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি যোগ দেন চলতি বছর। আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির লক্ষ্য সৌদি পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন।

তবে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানির মালিকানাধীন স্পোর্টস ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিকের নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, রিয়াদের সঙ্গে মেসির গাঁটছড়া ২০৩০ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে সৌদি আরবের প্রচেষ্টাকে শক্তি জোগাবে। আর সে ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে পারে তার নিজের দেশ আর্জেন্টিনা। প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকের জন্য।

০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। এরপর ২০৩০ সালের আয়োজক দেশ ঠিক করতে চলতি বছরের জুনেই বিডিং উন্মুক্ত হয়েছে। আয়োজক দেশের নাম চূড়ান্ত হবে ২০২৪ সালে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেসে।

এখন পর্যন্ত স্পেন, পর্তুগাল ও ইউক্রেনের যৌথ উদ্যোগের বিডিং নিশ্চিত হয়েছে। এ বছরের শুরুতেই দেশ তিনটি এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়। তবে আরও দুটি প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে জমা পড়ার কথা।

এর একটি হলো দক্ষিণ আমেরিকান দেশ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও চিলির যৌথ উদ্যোগ। অন্যটি সৌদি আরব, মিশর ও গ্রিসের। একাধিক দেশের যৌথ আয়োজক হিসেবে বিডে অংশগ্রহণের ফলে ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব ৪৮ দলের প্রতিযোগিতায় পরিণত হচ্ছে।

২০৩০ সালের জন্য দক্ষিণ আমেরিকান বিড খুব শক্ত প্রতিপক্ষ হবে বলে মনে করছেন এর কো-অর্ডিনেটর ফার্নান্দো মারিন। দ্য অ্যাথলেটিককে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলটি অজস্র প্রতিভার জন্ম দিয়েছে, যারা সারা বিশ্বে সুপরিচিত। এ ছাড়া ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। এর ১০০তম বার্ষিকীতে ২০৩০ সালে দক্ষিণ আমেরিকাই হবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান।’

১৯৩০ সালে স্বাগতিক উরুগুয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জিতেছিল।

দক্ষিণ আমেরিকার যৌথ বিডের বিষয়টি ২০১৭ সালে প্রথম জনসমক্ষে আসে, যখন বার্সেলোনার সতীর্থ উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি তাদের দেশের পক্ষে প্রচারে যুক্ত হন। দুই দেশের মধ্যে একটি ম্যাচের আগে সুয়ারেজ যে জার্সি পরেন তার সামনে ২০ এবং মেসির জার্সিতে ৩০ সংখ্যাটি লেখা ছিল।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
দক্ষিণ আমেরিকায় যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রচারে সুয়ারেজ ও মেসি

পরের বছর ফার্নান্দো মারিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার সঙ্গে মেসি যোগ দেবেন এবং সুয়ারেজ তো অবশ্যই। আমরা তাকে (মেসি) আমাদের লক্ষ্য সম্পর্কে জানিয়েছি এবং তিনি মনে করেন এটা সম্ভব। তিনি আমাদের সাহায্য করতে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য বিশ্বকাপের পতাকাবাহী হবেন।’

তবে গত মে মাসে ঘটনার নতুন বাঁক তৈরি হয়। বর্তমানে এই গ্রহের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিখ্যাত ফুটবলার সৌদি আরবের প্রচারের দায়িত্ব নিতে একটি আকর্ষণীয় চুক্তিতে সই করেন।

প্রথম কথাটি হলো, চুক্তিটি হয়েছে সৌদির পর্যটন-সংক্রান্ত প্রচারের জন্য, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের বিডের প্রসঙ্গ সেখানে নেই।

তবে সৌদি আরবের জাতীয় লক্ষ্যগুলো দেশটির ‘ভিশন ২০৩০’-এর সঙ্গে যুক্ত। সরকারি ভাষ্যগুলোতে একে ‘সৌদি আরবকে বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করার একটি অনন্য রূপান্তরমূলক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের নীলনকশা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

তাই ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের বিড সৌদি আরবের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে প্রবলভাবে যুক্ত বলে মনে হয় এবং পর্যটনের প্রচার সেই লক্ষ্যটি অর্জনে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

অন্য উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিল- পিআইএফের মাধ্যমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব নিউকাসল ইউনাইটেডকে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত, সেই সঙ্গে এলআইভি গলফ ব্রেকওয়ে ট্যুরকে সহায়তাদান। এ ছাড়া ১০ বছরের জন্য ফর্মুলা ওয়ান রেসের পৃষ্ঠপোষকতা এবং ২০১৯ সালে অ্যান্টনি জশুয়া এবং অ্যান্ডি রুইজের হেভিওয়েট বক্সিং আয়োজনের জন্য ৬৫ কোটি ডলারের চুক্তি।

সৌদিতে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কানাডার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন ডেনিস হোরাক। তিনি বলেন, ‘বিনোদন ও ক্রীড়ায় এই বিপুল অংশগ্রহণ সৌদির ভিশন ২০৩০-এর একটি বড় অংশ। এলআইভি গলফ (সৌদি আরবের অর্থায়নে) এবং এখন এগুলোর সঙ্গে মেসির মতো তারকাদের উচ্চমূল্যে যুক্ত করার মাধ্যমে তারা বিষয়টিকে নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার এবং আরও বৈশ্বিক করার চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাপী সৌদির সুনাম বাড়াতে হবে এবং এসবের মাধ্যমে দেশটি নিজেদের নতুন ব্র্যান্ড তৈরির চেষ্টা করছে।’

মেসির চুক্তির মেয়াদ এবং শর্ত কোনো পক্ষই প্রকাশ করেনি।

যুক্তরাজ্যের ডেইলি টেলিগ্রাফ আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো সৌদি পর্যটনের প্রচারে কাজ করার জন্য প্রতিবছর ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি অর্থের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই আলোচনায় যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলে রাষ্ট্রদূতদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র দ্য অ্যাথলেটিককে বলেছে, মেসির সঙ্গে সৌদির চুক্তিটির আর্থিক মূল্য রোনালদোকে দেয়া প্রস্তাবের চেয়ে ৫ গুণ বেশি হতে পারে।

সৌদি এজেন্সিগুলোর তৎপরতার বিভিন্ন উদাহরণ পর্যালোচনা করলে বিষয়টি আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। যেমন এলআইভি গলফ ট্যুরে টাইগার উডসকে ভেড়াতে ৭০-৮০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তবে তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন৷

মেসির প্রতিনিধিরা বলেছেন, গোপনীয়তার শর্তের কারণে তারা চুক্তির পরিসংখ্যানগত দিকগুলো প্রকাশ করতে পারবেন না। অন্যদিকে এ-সংক্রান্ত ই-মেইলের কোনো জবাব দেয়নি সৌদি সরকার।

মেসি গত মে মাসে লোহিত সাগরের তীরের রিসোর্ট শহর জেদ্দায় ভ্রমণের সময় প্রথমবার তাকে সৌদির পর্যটনদূত হিসেবে প্রচার করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেসিকে স্বাগত জানিয়ে সৌদি পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব এক টুইটে লেখেন, ‘সৌদি আরবে এটি তার প্রথম সফর নয় এবং এটি শেষও হবে না।’

পরে ইয়টে সূর্যাস্ত দেখার সময়কার নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেন মেসি।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করা ছবিতে লোহিত সাগরের বুকে ইয়টে মেসি

ইনস্টাগ্রামে ছবির শিরোনামে তিনি লেখেন, ‘লোহিত সাগরের বুকে #ভিজিটসৌদি’। ইনস্টাগ্রামে মেসির ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৭ কোটি। পোস্টটিতে সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের সহায়ক সংস্থা ভিজিট সৌদির ‘পেইড পার্টনারশিপ’ লেবেল যুক্ত ছিল।

মেসি পরে সৌদির সহকারী পর্যটনমন্ত্রীর প্রিন্সেস হাইফা আল-সৌদের সঙ্গে পুরোনো জেদ্দা সফরে যোগ দেন।

প্রিন্সেস হাইফা পরে টুইটারে লেখেন, ‘এই শহরের অন্তর্নিহিত রূপ, ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের প্রতি তার (মেসি) মুগ্ধতা দেখে আমি আনন্দিত।’

ভিজিট সৌদির ওয়েবসাইটে এখন মেসির একটি ল্যান্ডিং পেজ রয়েছে। এর শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘লিওনেল মেসি চান আপনি নিজের ভেতরের রোমাঞ্চ-সন্ধানী সত্তাকে উন্মোচন করুন এবং অকল্পনীয় দিকগুলো উদ্ঘাটন করুন।

‘আপনি নতুন বা পুরোনো কিছু আবিষ্কার করতে অথবা শুধু নিজের ভেতরে নতুন কিছু জাগানো- যে উদ্দেশ্যেই ভ্রমণ করুন না কেন, সৌদি প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাকে সন্তুষ্টি জোগাবে। তাহলে আর কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? এখনই আপনার অ্যাডভেঞ্চারের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন।’

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
ভিজিট সৌদির ওয়েবসাইটে মেসির পেজ

সৌদি আরবের প্রচারে মেসির এই অবস্থান ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনে তার নিজের দেশের প্রচেষ্টার সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে মেসির সাপোর্ট টিম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। একইভাবে পর্যটন প্রচারের চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি কতবার সৌদি সফরে যাবেন, সে বিষয়ে তথ্য দিতেও অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

আরও তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, তারা এমন একটি দেশের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের চেক নেয়ার বিষয়ে মেসির প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি, যে দেশটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে আছে ভিন্নমতাবলম্বী ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যা, নারী অধিকারকর্মী ও এলজিবিটি গোষ্ঠী এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) শাসনের বিরুদ্ধাচরণকারীদের ওপর ক্র্যাকডাউন।

মানবাধিকার সংস্থা ইউনিসেফ গত বছর জানায়, প্রতিবেশী ইয়েমেনে সংঘাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট জড়িয়ে পড়ার পর থেকে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। মেসি ২০১০ সাল থেকে ইউনিসেফের একজন ‘শুভেচ্ছাদূত’।

মেসির প্রতিনিধিরা ইয়েমেন বিরোধের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি, একই সঙ্গে ইউনিসেফও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মেসির অগণিত অংশীদারত্বের মধ্যে একটি হলো ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট-জার্মেইনের হয়ে খেলা, যেখানে তিনি ৩ কোটি ইউরোর বেশি আয় করেন। এটি কাতারের সঙ্গে যুক্ত একটি তহবিলের মালিকানাধীন ক্লাব, যে দেশটির বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

মেসি সম্প্রতি ক্রিপ্টো ফ্যান টোকেন ফার্ম সোসিওস-এর প্রচারের জন্য ২ লাখ ডলারের চুক্তি করেছেন, পাশাপাশি তিনি এনএফটিভিত্তিক গেম সোরারেও একজন বিজ্ঞাপনী মুখ। এ ছাড়া তিনি আডিডাস, পেপসি, বাডওয়াইজার, ওরেডু, প্রো অ্যাভ্যুলিউশন সকার, লুই ভ্যুইতন, ইসরায়েলি কোম্পানি ওরক্যাম, দ্য দুবাই এক্সপো-২০২০, তার নিজস্ব শো সার্ক দ্যু সোলেইল এবং চীনা দুগ্ধ কোম্পানি মেংনিউ-এর সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি করেছেন।

ফোর্বস ম্যাগাজিন গত মে মাসে যে অনুমান প্রকাশ করে সে অনুযায়ী, গত বছর মেসি ১২ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছেন।

সৌদি নাগরিক খালিদ আল-জাবরির বোন সারা এবং ভাই ওমর বর্তমানে দেশটির একটি কারাগারে বন্দি। খালিদ আল-জাবরির বাবা সৌদি আরবের একজন সাবেক শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

দ্য অ্যাথলেটিক-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে খালিদ অভিযোগ করেন, তার বাবা ড. সাদ আলজাবরির ওপর চাপ দেয়ার জন্য কারাবন্দি দুই ভাইবোনকে ‘দর-কষাকষির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে সৌদি সরকার।

খালিদ বলছেন, ‘সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান দেশকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করছেন এবং মেসির দূতের ভূমিকা এতে অবদান রাখছে।

‘মেডিক্যাল স্কুলে পড়ার সময় তাকে (মেসি) দেখতে আমরা একসঙ্গে জড়ো হতাম। তিনি বিশ্বে সুপরিচিত এটাই একমাত্র কারণ নয়, দেশের ভেতরেও সবাই তাকে ভালোবাসে। ফুটবলের ক্ষেত্রে তার অবস্থান ঈশ্বরের ঠিক পরেই। এই চুক্তির মাধ্যমে তারা (সৌদি সরকার) সেই কেন্দ্রবিন্দুটিতে আঘাত করেছে।’

...

মেসি ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরব সফর করেন।

তার ফ্লাইট অবতরণের পর ভক্তদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কঠোর। ভিড়ের চাপ সামলাতে ব্যতিব্যস্ত সশস্ত্র রক্ষীদের একজনের বন্দুকের নল ঘটনাক্রমে মেসির মুখের দিকে ঘুরে গিয়েছিল।

তারপর থেকে সম্পর্কটি ক্রমশ উষ্ণ হয়েছে। এর পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন তুর্কি আল-শেখ নামের এক ব্যক্তি। তিনি সৌদি জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
২০১২ সালে প্রথম সৌদি সফরে যান মেসি

বিশিষ্ট সৌদি রাজনীতিক ও স্প্যানিশ লা লিগা ফুটবল ক্লাব আলমেরিয়ার মালিক আল-শেখকে ২০২০ সালের মে মাসে অনলাইনে একটি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান মেসি।

উপলক্ষটি ছিল সৌদি ফুটবল ক্লাব আল-নাসর এফসির সাবেক সভাপতি সৌদ আল-সুওয়াইলেমের বিপক্ষে একটি চ্যারিটি প্লেস্টেশন ফুটবল ম্যাচে আল-শেখের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

সৌদি আরবের অভাবী মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে ম্যাচটি আয়োজন করা হয়। সেখানে মেসি ছাড়াও ডিয়েগো ম্যারাডোনা, সাবেক ব্রাজিল তারকা কাফু, রবার্তো কার্লোস এবং রোনালদিনহো, ইতালীয় ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চিও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন। চার্লি শিনের মতো বিখ্যাত অভিনেতা এবং র‌্যাপার স্নুপ ডগও বার্তা দিয়েছিলেন।

ওপরের ভিডিওতে টেলিভিশন উল্টে ফেলার দৃশ্য দেখলে আল-শেখ একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর মতো আচরণ করছেন বলে ভ্রম হতে পারে। তবে সৌদি আরবের অনেক পর্যবেক্ষকের মতে তিনি দেশটির অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদনে খাশোগজি হত্যার অভিযোগ রয়েছে

সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী খাশোগজিকে ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমেরিকান গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে ওই হত্যায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন ছিল।

খাশোগজির মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা একটি সাক্ষাৎকার পরে নিউজউইকে প্রকাশ হয়। সেখানে খাশোগজি বলেন, ‘তুর্কি আল-শেখ এবং সৌদ আল-কাহতানি ছাড়া মোহাম্মদ বিন সালমানের আর কোনো রাজনৈতিক উপদেষ্টা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরা গুণ্ডা প্রকৃতির। মানুষ তাদের ভয় পায়। তুর্কি আল-শেখ খেলাধুলার দায়িত্বে আছেন। গুজব রয়েছে খেলাধুলার পেছনে ব্যয় এবং তরুণদের এতে ব্যস্ত রাখতে তার হাতে কয়েক বিলিয়ন ডলার রয়েছে।’

মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য মিডিয়া অপারেশন এবং প্রচারের দায়িত্ব সামলাতেন সৌদ আল-কাহতানি। আমেরিকান গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তাকে খাশোগজি হত্যার চক্রান্তে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সৌদি আদালত ২০১৯ সালে তাকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
লিওনেল মেসি

আল-শেখ ছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক নিরাপত্তাকর্মী। ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার প্রচণ্ড বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার হাতে তুলে দেয়া হয় সৌদি স্পোর্টস কমিশন চালানোর দায়িত্ব।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমান তার ক্ষমতা সংহত করতে সৌদি আরবের শত শত ধনী ব্যবসায়ীকে রিটজ-কার্লটন হোটেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলেন। ওই সময়ে আল-শেখ অত্যন্ত তৎপর ভূমিকা পালন করেন। পরে ঘটনাটিকে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখানো হয়।

সৌদি স্পোর্টস কমিশন পরিচালনার সময় আল-শেখ ক্রীড়ায় অর্থ বিনিয়োগে আগ্রহীদের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হন। তিনি ২০১৯ সালে সৌদিতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার একটি ম্যাচ আয়োজন করেন।

ওই ম্যাচের আগে তার ফুটবল ক্লাব আলমেরিয়া ভেন্যুর টানেলে মেসি ও আল-শেখের আলিঙ্গনের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘দুই সিংহ’।

মেসিও প্রকাশ্যে ৪০তম জন্মদিনে আল-শেখকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে তিনি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের নিয়ে রিয়াদে তার বাড়িতে ঘুরতে যান।

জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আল-শেখ ২০২২ সালের রিয়াদ সিজনের (একটি বিনোদন উৎসব) বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে মেসির ছবি ব্যবহার করেন। এসব বিলবোর্ড লন্ডন, দুবাই ও নিউকাসলে স্থাপন করা হয়।

পিএসজির জার্সি পরে রিয়াদ সিজনের প্রচার চালানোর একটি ভিডিওতেও দেখা যায় মেসিকে।

সৌদি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের অংশ মেসি
মোহাম্মদ বিন সালমান

এটি বিশেষ এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। পিএসজির সঙ্গে যুক্ত দেশ কাতারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আল-শেখ কাতারের উপর সৌদি অবরোধের কেন্দ্রীয় শক্তির অংশ ছিলেন। এমনকি টুইটারে তিনি বলেছিলেন, কাতার নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন ইংল্যান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেয়া উচিত।

অবশ্য পিএসজির সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মেসির অন্য কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি করায় বাধা নেই। পাশাপাশি গত বছর থেকে সৌদি ও কাতারের সম্পর্কের শীতলতা কাটতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিন রোববার ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর দুই পাশে বিন সালমান ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে বসতে দেখা গেছে।

মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে অটোয়ার বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ২০১৮ সালে কানাডার রাষ্ট্রদূত হোরাক সৌদি আরব থেকে বহিষ্কৃত হন। তিনি তার মূল্যায়নে সৌদির নেতৃত্ব সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন।

হোরাক বলেন, বিন সালমান সৌদির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে পশ্চিমা রাজনীতিকদের মনে আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিলেন। তবে খাশোগজির হত্যা, নারী অধিকার কর্মীদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গীকে তার শাসনের বিরুদ্ধে নিয়ে যায়।

আল-শেখ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি তার প্রভাবের কথা শুনেছি। তাকে নিশ্চিতভাবে রাজকীয় ব্যবস্থায় মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি ঘনিষ্ঠদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

‘তিনি (আল-শেখ) অবশ্যই ক্ষমতাকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত এবং মেসিকে যুক্ত করার বিষয়টি বিন সালমান অবশ্যই পছন্দ করবেন। তার (মোহাম্মদ বিন সালমান) চোখে বিশ্বে সৌদি আরবের অবস্থান উপলব্ধির আরেকটি সুযোগ ঘটাবে এই বিষয়টি। তিনি বুঝবেন সৌদি বিচ্ছিন্ন কোনো মরুরাজ্য নয়।

‘আন্তর্জাতিকভাবে মেসির যে প্রোফাইল রয়েছে, সেটি সৌদিকে স্বাভাবিকতার একটি বৃহত্তর অনুভূতি দেবে। তাই আমি মনে করি এ বিষয়টি ২০৩০ সালে তাদের বিশ্বকাপ বিডের ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে।’

হোরাক বলেন, ‘খাশোগজি হত্যার কারণে মোহাম্মদ বিন সালমান ব্র্যান্ডটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে সৌদি আরবের ব্র্যান্ডও কলঙ্কিত হয়েছে। এমন অবস্থায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিশ্বের সেলিব্রিটিদের কাছে যত বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ তৈরি করা যাবে এবং সে অনুযায়ী সৌদি আরবের ব্র্যান্ডটিকে আবারও ঝকঝকে করে তোলা সম্ভব হবে।’

সৌদি কারাগারে বন্দি দুই স্বজনের ভাই খালিদ আল-জাবরি বলেন, ‘মেসির মতো খেলোয়াড়দের একটি দলের অংশ হিসেবে সৌদিতে খেলতে যাওয়া নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কারণ দেশের শাসকদের নৃশংসতার কারণ দেখিয়ে সৌদি ভক্তদের তাদের প্রিয় দলের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমার সমস্যা হলো মেসি নিজেকে সৌদি স্পোর্টস ওয়াশিংয়ের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন।

‘তিনি নিজেকে শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।’

...

বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ সি ম্যাচের আগে সোমবার সন্ধ্যায় দোহায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেসি। মাঠে যে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। আর প্রতিপক্ষ দেশটি ছিল তারা, যারা তাদের প্রচারে ব্যবহার করছে মেসির ছবি।

কাতারের টেলিভিশনে সম্প্রচার হচ্ছে সৌদি আরবে মেসির সফর নিয়ে তৈরি বিজ্ঞাপন।

সেই সংবাদ সম্মেলনে মেসির আগমনকে ওহ, আহা ধ্বনি এবং ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে স্বাগত জানানো হয়। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে কয়েকজন করতালি দিচ্ছিলেন।

ব্যস্ত ওই মিডিয়া সেশনে দ্য অ্যাথলেটিক কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি। মেসি এক ডজনেরও বেশি প্রশ্ন নিয়েছিলেন, তবে তার একটিও সৌদি আরবকে নিয়ে প্রচার চালানো বিষয়ক চুক্তি সংক্রান্ত ছিল না। দক্ষিণ আমেরিকান বা আরব মিডিয়া থেকে এসব প্রশ্ন করা হয়েছিল।

চলমান বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রোববার সন্ধ্যায় ইনফান্তিনোর পাশে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বসার দৃশ্য সৌদির সামনে আরও একবার আশা জাগিয়ে তুলেছে। এই জুটিকে গত সপ্তাহে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে বালিতেও একসঙ্গে দেখা গেছে। এর আগেও তারা একসঙ্গে বক্সিং ম্যাচ দেখেছেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য মিশর ও গ্রিসের সঙ্গে যৌথভাবে সৌদি আরবের বিডকে ফিফা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করবে বলে রিয়াদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। সৌদিরা ২০৩০ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর আয়োজক দেশ হতেও একটি বিড জমা দিয়েছে, এটিও ভিশন ২০৩০ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ।

বিশিষ্ট আর্জেন্টাইন ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথোপকথনে মেসিকে ঘিরে সমালোচনায় অস্বস্তি মৃদু আকারে হলেও বোঝা যায়।

বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে আর্জেন্টিনার আগ্রহের বিপরীতে প্রতিপক্ষের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে মেসি সাহায্য করছেন, এটি অদ্ভুত লাগছে কিনা- এমন প্রশ্নে তার সাবেক আন্তর্জাতিক সতীর্থ ম্যাক্সি রদ্রিগেজ বলেন, ‘সত্যি বলতে কি এটা ঠিক, তবে… আপনি জানেন না শেষ পর্যন্ত কী ঘটতে যাচ্ছে।

‘আপনি নিজ দেশে বিশ্বকাপ দেখতে চান, তবে এ জন্য অনেক কিছু করতে হবে। কারণ, বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া সহজ নয়। টুর্নামেন্টের আয়োজক নির্বাচনের সময় কী ঘটছে আমরা দেখতে পাব। আর্জেন্টাইন হিসেবে আমরা আবারও আমাদের দেশে এই আয়োজন দেখতে চাই।’

দক্ষিণ আমেরিকার যৌথ বিডের কো-অর্ডিনেটর ফার্নান্দো মারিন বলেন, ‘মাঠে এবং মাঠের বাইরে মেসির এক অনন্য ক্ষমতা রয়েছে। তিনি একটি সুউচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছেন। মেসি নিজেই একটি ব্র্যান্ড এবং এটি খুব শক্তিশালী।

‘তিনি সমস্ত ফুটবলের জন্য একটি ব্র্যান্ড, কোনো দেশের নয়। তিনি ২০৩০ সালের জন্য দক্ষিণ আমেরিকান বিডের একটি মৌলিক অংশ হিসেবে থাকবেন।’

তবে একই সঙ্গে মেসিকে দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি মৌলিক অংশ হতেও দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বড় জয়ের দিনেও দুঃসংবাদ পেল ফ্রান্স
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়, সিজদায় সৌদি যুবরাজ
‘আর্জেন্টিনার গোল খাওয়া দেখে নয়, কাকনের মৃত্যু পুরোনো অসুস্থতায়’
আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করা রিস্ক: মাশরাফি
ওচোয়ার দক্ষতায় পোল্যান্ডের বিপক্ষে হার এড়াল মেক্সিকো

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Girlfriend Bruna left Neymar after leaking pornographic chat with model

মডেলের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট ফাঁস, নেইমারকে ছাড়লেন বান্ধবী ব্রুনা

মডেলের সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট ফাঁস, নেইমারকে ছাড়লেন বান্ধবী ব্রুনা
৩১ বছরের ফুটবলার বিয়ানকার্ডিকে একাধিক বার বিভিন্ন কারণে প্রতারণা করেছেন। যার শেষটি হলো ব্রাজিলের অনলিফ্যান (প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট) মডেল অ্যালাইন ফারিয়াসের সঙ্গে কথোপকথন।

সন্তান হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে দিলেন তার বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্ডি।

এক মডেলের সঙ্গে ফোনের চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর দিনই তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত মাসেই বান্ধবী ব্রুনার গর্ভে আসে নেইমারের কন্যা সন্তান। তবে সম্প্রতি ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের সঙ্গে বিয়ানকার্ডির সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ানকার্ডি লিখেছেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত। আমি তোমাকে পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি, আর কোনো সম্পর্কের মধ্যে আমি নেই। আমরা মাভির (তাদের মেয়ের নাম) বাবা-মা। এটাই আমাদের সম্পর্কের কারণ। আশা করি তুমি আমাকে আর বিব্রত করবে না।’

ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ৩১ বছরের ফুটবলার বিয়ানকার্ডিকে একাধিক বার বিভিন্ন কারণে প্রতারণা করেছেন। যার শেষটি হলো ব্রাজিলের অনলিফ্যান (প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট) মডেল অ্যালাইন ফারিয়াসের সঙ্গে কথোপকথন। যেখানে নেইমার ওই মডেলকে বেশ কিছু অশ্লীল এবং আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এ ছাড়াও বছরের শুরুর দিকে একটি নাইটক্লাবে দুই নারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল নেইমারকে। এসব মিলিয়ে ক্রমশ দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছিল বিয়ানকার্ডি এবং নেইমারের মধ্যে।

ফারিয়াসের সঙ্গে নেমারের কী কথা হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। তার পরই নেমারের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা জানিয়ে দিলেন বিয়ানকার্ডি।

চোটের জন্য গত অক্টোবর মাস থেকে মাঠের বাইরে নেইমার। সম্প্রতি তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে অন্তত ১০ মাস সময় লাগতে পারে। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালও এই চোটের জন্য নেইমারের সঙ্গে চুক্তি স্থগিত রেখেছে।

আরও পড়ুন:
হাঙ্গামার ম্যাচে ব্রাজিলকে হারাল আর্জন্টিনা
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি উদ্বোধন করলেন ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত
মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ

মন্তব্য

খেলা
Argentina beat Brazil 3 0
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ

ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা

ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক ক্লাউদিও এচেভেরি। এই জয় দিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার যুবারা।

হাঙ্গার ম্যাচে সম্প্রতি জয়ের পর আবারও ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।

শুক্রবার ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়েছে তারা।

আর্জেন্টিনার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক ক্লাউদিও এচেভেরি। এই জয় দিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার যুবারা।

এর মাধ্যমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন তারা।

আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেল প্রথম শিরোপা জয়ের দিকে। আগামী ২৮ নভেম্বর সেমিতে তারা লড়বে জার্মানির বিপক্ষে।

মন্তব্য

খেলা
Argentina beat Brazil in a thrilling match

হাঙ্গামার ম্যাচে ব্রাজিলকে হারাল আর্জন্টিনা

হাঙ্গামার ম্যাচে ব্রাজিলকে হারাল আর্জন্টিনা
ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামের এ খেলায় শেষ পর্যন্ত নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের কাছে আগের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। আর ব্রাজিল হারল টানা তিন ম্যাচ।

আরেকটু হলেই পণ্ড হতে বসেছিল সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচ। এ লক্ষ্যে সব আয়োজনই যেন সম্পন্ন হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়িয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ। এর কয়েক মিনিট আগেই গ্যালারিতে শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনা দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যায়। ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা পর।

ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামের এ খেলায় শেষ পর্যন্ত নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের কাছে আগের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। আর ব্রাজিল হারল টানা তিন ম্যাচ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের মাঠে এই প্রথম হারল তারা।

ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা জাতীয় সঙ্গীতের সময় যখন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন দেখা যায়, দু দলের সমর্থকদের একটি অংশ হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন। ঝামেলা থামাতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয় নেয়। এতে পুরো বিষয়টি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

স্থানীয় পুলিশকে আবার মাঠের এক প্রান্তে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। পরে ক্ষুব্ধ মেসি সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যান। ব্রাজিলের প্লেয়াররা এবং ম্যাচ অফিশিয়ালরা সেই সময় মাঠেই দাঁড়িয়েছিলেন।

তবে সব কিছু সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর আর্জেন্টিনার প্লেয়াররা ফের মাঠে নামেন। ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মাঠেও। ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিট পার হওয়ার আগেই হলুদ কার্ড দেখে বসেন দুই ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রাফিনিয়া। প্রথমার্ধে তিনটি হলুদ কার্ড হয়। আর দ্বিতীয়ার্ধে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের জোয়েলিনটন। ম্যাচের ৮১ মিনিটে তার লালকার্ডে ব্রাজিল ১০ জনের দল হয়ে যায়।

ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে একটি মাত্র গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এর পর আর গোল শোধ করতে পারেনি ব্রাজিল। ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

আরও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী কট্টর ডানপন্থি হাভিয়ের
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি উদ্বোধন করলেন ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত
মেসির জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়, পরাজয়ের দিনে ইনজুরিতে নেইমার

মন্তব্য

খেলা
Ronaldinho in Dhaka

ঢাকায় রোনালদিনহো

ঢাকায় রোনালদিনহো
বাংলাদেশি ব্রাজিল ফ্যানদের ভালোবাসায় সিক্ত করতে ক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড-এর এই আয়োজনে অ্যাসোসিয়েশন স্পন্সর ছিল দেশের প্রথম সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্যানফেয়ার’।

বাংলাদেশে পা রেখে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী রোনালদিনহো।

বাংলাদেশি ব্রাজিল ফ্যানদের ভালোবাসায় সিক্ত করতে ক্রিয়েশন ওয়ার্ল্ড-এর এই আয়োজনে অ্যাসোসিয়েশন স্পন্সর ছিল দেশের প্রথম সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্যানফেয়ার’।

অনুষ্ঠিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের দুই অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া এবং সাবিনা খাতুন।

ম্যাজিক্যাল নাইটে রোনালদিনহোর হাতে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ফ্যানফেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব হোসেন এবং চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার শওকত আহমেদ সিদ্দিকী।

ভিডিও শেয়ারিং এই প্ল্যাটফর্মে আছে প্রায় ১ মিলিয়ন ব্যাবহারকারী, যারা প্রতিনিয়ত ভিডিও কন্টেন্ট শেয়ার করছেন এবং বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতছেন।

আরও পড়ুন:
জামাল-সাবিনাদের সঙ্গে রোনালদিনহোর সরাসরি সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রোনালদিনহো

মন্তব্য

খেলা
Ambassador of Spain in Dhaka inaugurated Barca Academy in ISD

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি উদ্বোধন করলেন ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি উদ্বোধন করলেন ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ বলেন, এমন চমৎকার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আইএসডির প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। খেলাধুলা হচ্ছে সঙ্গীতের মতোই এক সর্বজনীন ভাষা, যা সবাই বুঝতে পারে।

অগণিত ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বসিত করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত চালু হলো ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বার্সা একাডেমি।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)’তে বার্সা একাডেমির উদ্বোধন করেন।

রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো বেনিতেজ বলেন, এমন চমৎকার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আইএসডির প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। খেলাধুলা হচ্ছে সঙ্গীতের মতোই এক সর্বজনীন ভাষা, যা সবাই বুঝতে পারে।

চলতি বছরের ২২-২৬ অক্টোবর অটাম ট্রেনিং ক্যাম্প-এর মধ্য দিয়ে বার্সা একাডেমির কার্যক্রম চালু হয়। ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, এক্ষেত্রে আইএসডির শিক্ষার্থী হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

অটাম ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও ক্লাবটির মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন। অতীতে বার্সা একাডেমিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমেই আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও বুসকেটস, লিওনেল মেসি ও জেরার্ড পিকের মতো খেলোয়াড়রা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।

ট্রেনিং সেশনটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন খেলোয়াড়রা (শিক্ষার্থীরা) সঠিকভাবে, ম্যাচের গতি ধরে রেখে, ধারাবাহিকতার সাথে ফুটবল খেলার কৌশলগুলো রপ্ত করার সুযোগ পান। খেলার মাঠে নিজ নিজ পজিশন অনুযায়ী দায়িত্ব বোঝার পাশাপাশি তারা পূর্ণাঙ্গভাবে কৌশলী হয়ে ওঠার সুযোগ পাবেন। বার্সা মেথডলজি’র আওতায় বল দখলে রাখা, স্বল্প জায়গার মধ্যে খেলা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেখার সাথে সাথে তারা বিনয়ী, সচেষ্ট ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠবেন এবং সকলের প্রতি সম্মান রেখে দলগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা অর্জন করবেন।

এসটিএস গ্রুপের সিইও মানাস সিং বলেন, এসটিএস গ্রুপের আওতাধীন আইএসডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে বার্সা একাডেমি চালু করতে পেরে, এবং এই খাতে সবচেয়ে সেরা প্রশিক্ষকদের অধীনে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই একাডেমির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচেষ্টা, দলগত কাজ, সহনশীলতা, সম্মান, সংহতি, ঐক্য, বন্ধুত্ব ও ফেয়ার প্লে’র মতো বার্সার মূল্যবোধগুলো শেখার সুযোগ পাবে। পরবর্তীতে একজন ভালো মানুষ হতে, এবং খেলার মাঠে ও বাস্তব জীবনে সমৃদ্ধ হতে এই মূল্যবোধগুলো কাজে লাগবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য বার্সেলোনার মতোই মানসম্মত, পেশাদার ও অনন্য প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পুরো সেশন পরিচালনা করছেন বার্সা একাডেমির টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর জোয়েল লিনাস ও হেড কোচ গোর্কা পুজল।

মন্তব্য

খেলা
Ronaldinhos direct meeting with Jamal Sabina

জামাল-সাবিনাদের সঙ্গে রোনালদিনহোর সরাসরি সাক্ষাৎ

জামাল-সাবিনাদের সঙ্গে রোনালদিনহোর সরাসরি সাক্ষাৎ ‘ব্রুভানা প্রেজেন্টস ম্যাজিকাল নাইট উইথ দ্য লিজেন্ড রোনালদিনহো’ ইভেন্টের একটি মুহূর্ত।
মূল ইভেন্টে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে রোনালদিনোহর হাতে ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের স্পোর্টস প্লাস ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস-এর নতুন লেমন ফ্লেভার-এর উন্মোচন করা হয়।

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী ফুটবলার রোনালদিনহোর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হলো বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের।

‘ব্রুভানা প্রেজেন্টস ম্যাজিকাল নাইট উইথ দ্য লিজেন্ড রোনালদিনহো’ ইভেন্টে তাদের এই সাক্ষাৎ ঘটে।

মূল ইভেন্টে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে রোনালদিনোহর হাতে ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের স্পোর্টস প্লাস ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস-এর নতুন লেমন ফ্লেভার-এর উন্মোচন করা হয়।

ইভেন্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে এতে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফাইয়াজ হাসান চৌধুরী, ডিরেক্টর অব অপারেশনস অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাসুম আহমেদ, সিইও নাবিদ ইয়াকুব, ডিরেক্টর জনাব শন হাকিম ও চেয়ারম্যান এ কে এম আফজাল উল মুনির।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রোনালদিনহো
ঢাকায় আসছেন রোনালদিনহো

মন্তব্য

খেলা
Ronaldinho met the Prime Minister

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রোনালদিনহো

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রোনালদিনহো সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীকে একটি জার্সি উপহার দেন রোনালদিনহো। ছবি: নিউজবাংলা
বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ ফুটবলার বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। রোনালদিনহো এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে একটি জার্সি উপহার দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক রোনালদিনহো।

বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ ফুটবলার বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। রোনালদিনহো এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে একটি জার্সি উপহার দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং নিউজবাংলাকে জানায়, স্বাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোনালদিনহোকে বলেন, ‘আপনার আগমন বাংলাদেশের ফুটবলকে অনুপ্রাণিত করবে।’

রোনালদিনহো ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়নের জন্য এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীদের ফুটবলে এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় তার সংক্ষিপ্ত সফরে তার বাসস্থল হোটেল রেডিসনে গিয়ে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রোনালদিনহো। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্রাজিল ভক্ত তামিমের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।

এর আগে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সরাসরি বিশ্রামের জন্য রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল র‍্যাডিসনে যান রোনালদিনহো।

আরও পড়ুন:
মায়ের কেমন ছেলে তারেক: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
খালেদা জিয়া পাকিস্তানের ধারাবাহিকতায় চলতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২৪ অক্টোবর বেলজিয়াম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় আসছেন রোনালদিনহো

মন্তব্য

p
উপরে