× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
At the end of the draft there are seven teams of Bipil
google_news print-icon
বিপিএল ২০২৩

ড্রাফট শেষে যেমন হলো বিপিলের সাত দল

ড্রাফট-শেষে-যেমন-হলো-বিপিলের-সাত-দল
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ছবি: সংগৃহীত
এবারের আসরে দল পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজী। একইসঙ্গে সাবেক টেস্ট দলপতি মুমিনুল হককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র‍্যাঞ্চাইজি। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হোসেন তামিমকেও দলে টেনে নেয়নি কেউই। 

৬ জানুয়ারি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসর। আসরের আগে বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হল প্লেয়ার্স ড্রাফট।

এবারের ড্রাফটে যে চমক থাকবে না সেটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই ড্রাফট থেকে পছন্দের দেশি বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে ফ্র‍্যাঞ্চাইজিগুলো।

এবারের আসরে দল পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজী। একইসঙ্গে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র‍্যাঞ্চাইজি। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হোসেন তামিমকেও দলে টেনে নেয়নি কেউই।

ড্রাফটে দেশি ক্রিকেটারদের ছিল ৭ টি ক্যাটাগরি। ড্রাফটে নাম ছিল ২১৬ জনের; এ-ক্যাটাগরিতে ৩, বি-ক্যাটাগরিতে ৭, সি-ক্যাটাগরিতে ২৬, ডি-ক্যাটাগরিতে ৩৫, ই-ক্যাটাগরিতে ৭১, এফ-ক্যাটাগরিতে ৩৮ ও জি-ক্যাটাগরিতে জায়গা হয়েছে ৩৬ জনের।

এ থেকে জি ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের মূল্য নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে- ৮০ লাখ, ৫০ লাখ, ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।

বিদেশী ৩৯৭ জন ক্রিকেটারকে ভাগ করা হয়েছে পাঁচ ক্যাটাগরিতে; এ-ক্যাটাগরিতে ৫, বি-ক্যাটাগরিতে ১৭, সি-ক্যাটাগরিতে ৩৬, ডি-ক্যাটাগরিতে ৬৪ ও ই-ক্যাটাগরিতে আছে ২৭৫ জন।

৫ ক্যাটাগরিতে মূল্য যথাক্রমে- ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২০ হাজার ডলার।

সিলেট স্টাইকার্স: বিপিএলের নতুন আসরে সিলেটের দায়িত্ব পেয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি। ফিউচার স্পোর্টস লিমিটেড আগামী ৩ বছরের জন্য সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

জাতীয় দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে নিয়ে শুরুতে তারা তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। একইসঙ্গে সরাসরি চুক্তিতে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিসকে দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি লঙ্কান তারকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরাকে দলে টানে তারা।

আর ড্রাফট থেকে তারা মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রুবেল হোসেনের মতো সিনিয়রদের পাশাপাশি তানজিম সাকিব, তৌহিদ হৃদয়ের মতো তরুণদের টেনে নেয়।

সরাসরি চুক্তি: মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, রায়ান বার্ল, কামিন্দু মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা।

ড্রাফট থেকে: মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রেজাউর রহমান রাজা, নাবিল সামাদ, তৌহিদ হৃদয়, রুবেল হোসেন, টম মুরর্জ, গুলবাদিন নায়েব, জাকির হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, আকবর আলী, মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, তানজিম সাকিব।

ফরচুন বরিশাল: ফরচুন গ্রুপ লম্বা সময় ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে রয়েছে বরিশাল দলের। দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছিল তারা, যেটি ছিল অনেকটা অবধারিতই।

পাশাপাশি সরাসরি চুক্তিতে তারা টেনে নেয় পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আফগানিস্তানের ইব্রাহিদ জাদরান, করিম জানাত, ওমর কাদির, রাহামানুল্লাহ গুরবাজ ও নাভিদ উল হককে। তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিল ক্যারিবীয় হিটার ব্যাটার রাহকিম কর্নওয়েলকে দলে টেনে নেয়াটা।

এছাড়া ফ্রাফট থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়ের মতো তারকাদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল সাজিয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: সাকিব আল হাসান, ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, ইব্রাহিদ জাদরান, করিম জানাত, ওমর কাদির, রাহকিম কর্নওয়াল, কেসরিক উইলিয়ামস, রাহামানুল্লাহ গুরবাজ, নাভিদ উল হক।

ড্রাফট থেকে: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, হায়দার আলী, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, খালেদ আহমেদ, সাইফ হাসান, কাজী অনিক, সানজামুল ইসলাম, সালমান হোসেন।

খুলনা টাইগার্স: খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজি মাইন্ড ট্রি লিমিটেড সরাসরি চুক্তিতে জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিমকে ভিড়িয়ে প্রথম চমক আনে। তামিম ছাড়াও ডিরেক্ট সাইনিংয়ে তারা দলে ভেড়ায় আভিস্কা ফার্নেন্দো, ওয়াহাব রিয়াজের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।

এছাড়া ড্রাফট থেকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সাব্বির রহমান, ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদ, মুনিম শাহরিয়ারের পাশাপাশি দাসুন শানাকা, ভ্যান ডার ম্যাকক্রেইনকে দলে ভিড়িয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: তামিম ইকবাল, আভিস্কা ফার্নেন্দো, ওয়াহাব রিয়াজ, নাসিম শাহ, আজম খান।

ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মুনিম শাহরিয়ার, সাব্বির রহমান, দাসুন শানাকা, ভ্যান ডার ম্যাকক্রেইন, শফিকুল ইসলাম, প্রীতিম কুমার, হাবিবুর রহমান সোহান, মাহমুদুল হাসান জয়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: বিপিএলের কারা খেলবেন চট্টগ্রাম দলে সেটি আগে থেকেই অনেকটা নির্ধারিত ছিল। কোন চমক ছাড়াই এবারও দল সাজিয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: আফিফ হোসেন, বিশ্ব ফার্নেন্দো, আশান প্রিয়ঞ্জন, কার্টিস ক্যাম্পের।

ড্রাফট থেকে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শুভাগত হোম চৌধুরী, মেহেদী হাসান রানা, ইরফান শুক্কুর, মেহেদি মারুফ, জিয়াউর রহমান, ম্যাক্সয়েল প্যাট্রিক, উন্মুক্ত চাঁদ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ফরহাদ রেজা, তৌফিক খান তুষার।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফ্র্যাঞ্চাইজির থাকার কথাই ছিল না এবারের আসরে। শেষ সময়ে নাটকের জন্ম দিয়ে দল নেয় তারা। আর দল পেয়েই এক্বের পর এক চমক দিতে শুরু করে দলটির ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড।

পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলি, খুশদিল শাহকে শুরুতেই সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ায় তারা। আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবির পাশাপাশি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকেও সরাসরি চুক্তিতে দলে টেনে নেয় তারা।

সবাইকে অবাক করে কুমিল্লা দলপতি ইমরুল কায়েসকে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে ড্রাফট থেকে টেনে নেয় কুমিল্লা। এছাড়াও ড্রাফট থেকে তারা টেনে নেয় লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। বিদেশিদের ভেতর তারা নিয়েছে শন উইলিয়ামস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকে।

সরাসরি চুক্তি: মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নবি, আবরার আহমেদ।

ড্রাফট থেকে: লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তানভীর ইসলাম, ইমরুল কায়েস, আশিকুজ্জামান, জাকের আলী অনিক, শন উইলিয়ামস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, সৈকত আলী, আবু হায়দার রনি, নাইম হাসান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

রংপুর রাইডার্স: বিপিএলে এক আসর বিরতির পর যুক্ত হয়েছে রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহান, শোয়েব মালিক, পাথুম নিশাঙ্কা, হারিস রউফ, সিকান্দার রাজা, মোহাম্মদ নাওয়াজের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ানোর পর ড্রাফট থেকে তারা টেনে নেয় শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাঈম শেখ, রাকিবুল হাসান, শামীম পাটোয়ারিকে।

সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, শোয়েব মালিক, পাথুম নিশানকা, হারিস রউফ, সিকান্দার রাজা, মোহাম্মদ নাওয়াজ, জেফ্রি ভ্যান্ডার্সি।

ড্রাফট থেকে: শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাঈম শেখ, রাকিবুল হাসান, শামীম পাটোয়ারি, রিপন মণ্ডল, হাশমতউল্লাহ উমরজাই, অ্যারেন জোনস, রনি তালুকদার, পারভেজ হোসেন ইমন, রবিউল হক, আলাউদ্দিন বাবু।

ঢাকা ডমিনেটর্স: বিপিএলের আসর বসবে আর ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নাটক হবে না সেটি আশা করাটাও যেন ভুল। অতীতের ‘ঐতিহ্য’ বজায় রেখে নবম আসরেও ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে হয় নাটক।

শুরুতে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে প্রগতি গ্রুপকে বোর্ড নির্বাচিত করলেও হুট করেই সেটি বাতিল করে বোর্ড। ফের শুরু হয় নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খোঁজার মিশন। দুই দিন বাদেই রূপা ফ্যাব্রিক্স লিমিটেডকে দায়িত্ব দিলেও ড্রাফটের তিন দিন আগে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিশিপও বাতিল করে বোর্ড।

আর ড্রাফটের আগের দিন তাদেরকেই আবার দেয়া হয় দলের দায়িত্ব। ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে শেষ সময়ে দায়িত্ব পেলেও খুব একটা খারাপ হয়নি তাদের দল সাজানো।

সরাসরি চুক্তিতে তারা দলে ভিড়িয়েছে তাসকিন আহমেদ, চামিকা করুনারত্নে ও দিলশান মুনাওয়ারাকে। আর ড্রাফট থেকে মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল-আমিন হোসেনের পাশাপাশি শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ, উসমান ঘানিকে দলে টেনে নেয় তারা।

সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মুনাওয়ারা।

ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল-আমিন হোসেন, শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ, অলক কাপালি, মুনির হোসেন খান, আরিফুল হক, মুক্তার আলী, মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, উসমান ঘানি, সালমান ইরশাদ।

আরও পড়ুন:
ঢাকার মালিকানা পেল রূপা ফ্যাব্রিকস
ক্রিকেটারদের ব্যস্ত রাখতেই শুরু হচ্ছে বিসিএল
বিসিএলে জাতীয় দলের তারকা মেলা, দল পাননি সাব্বির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Tamim stepped out of BCB elections

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিনে হঠাৎ বিসিবিতে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খোলা হয় বিসিবির নির্বাচনী কার্যালয়। আর তামিম সেখানে উপস্থিত হন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে।

নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে তামিম কিছু জানাননি তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন তিনি।

আজ দুপুর ১২টায় পরিচালক পদের প্রার্থীতা বাতিলের শেষ সময়। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দুপুর ২টায়।

এই সময়ের মধ্যে তামিম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে, জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।

মন্তব্য

খেলা
Enamuls Failure continuity The story of Run vacancies in Sri Lanka tour

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।

মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।

এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মন্তব্য

খেলা
Rumana Ahmed sought justice from BCB

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।

গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’

২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।

দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’

৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।

মন্তব্য

খেলা
Tamims condition should improve at rest Doctor

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক তামিমের স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর (ডানে) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’

সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।

‌‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।

‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।

‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের
নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

মন্তব্য

খেলা
The ring is worn on Tamims heart

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।

বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।

‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মন্তব্য

খেলা
Cricketer Shakibs property in the Czech Digon case

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ


চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি সাকিব আল হাসান। ছবি: বাসস
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।

আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে পলক
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেল আইসিটি

মন্তব্য

খেলা
Tamim Iqbal at the hospital with chest pain

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।

‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’

টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
সরকারি হাসপাতালে দুই দিন ধরে নেই পানি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মন্তব্য

p
উপরে