আর মাত্র বাকি একদিন। এরপরই কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। দল হিসেবে না থাকলেও এই বিশ্বকাপের উম্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে।
মহল্লায় মহল্লায় উড়ছে প্রিয় ফুটবল দলের পতাকা। মূলত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকারই প্রাধান্য। চায়ের আড্ডায়, বন্ধুদের আসরে, অফিসের করিডোরে এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা, তর্ক প্রিয় খেলোয়াড় নিয়ে। একটি মাস ফুটবল জ্বরে কাঁপবে সারা দেশ।
ফুটবলের এই উন্মাদনা সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। এই উম্মাদনা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে। বিশ্বকাপের রংয়েই যেন সাজানো হয়েছে এই হলকে।
হল পাড়ার শেষ প্রান্তে থাকা এই হলে অপরিচিত কেউ ঢুকলে তাকে পদে পদে দ্বিধায় পড়তে হতে পারে। শুরুতে মনে হতে পারে এটা হয়ত আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপের কোনো ভেন্যু। পাঁচ তলা হলের পূর্ব-দক্ষিণ অংশের সকল রুমের বারান্দা হল গেট থেকে দেখা যায়। আর এসব রুমের প্রতিটির বারান্দায় শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের খেলোয়াড়ের ব্যানার লাগিয়ে রেখেছে।
পাঁচ তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত লম্বালম্বি ঝোলানো দুটি ব্যানারে মেসি এবং নেইমারের ছবি। এ ছাড়া হলের ছাদের কিনারে লাগানো আর্জেন্টিনা ব্রাজিল, জার্মানি এবং পর্তুগাল দলের পতাকা পতপত করে উড়ছে।
তবে এই অংশে ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। হলের পূর্বপাশে পাঁচ তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত লম্বালম্বি আর্জেন্টিনার পতাকা লাগানো হলেও চোখে পড়েনি ব্রাজিলের এরকম কোনো পতাকা।
হলের ভেতরে প্রবেশ করলে আরও তাক লেগে যেতে হয়। লম্বা করিডোরের দুই পাশে আড়াআড়ি করে লাগানো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্ধশত পতাকা। মনে হতে পারে এই করিডোর দিয়েই খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করবেন।
হলের সামনে বসানো হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের ফটো বুথও। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ উপলক্ষে হলটির এই ভিন্ন রুপ শিক্ষার্থীদের অভিভূত করছে।
হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্টার। আমরা শুরু থেকেই চেয়েছিলাম আমাদের হলে বিশ্বকাপের আমেজটা নিয়ে আসতে। এরপর ব্রাজিল সাপোর্টাররাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করায় আমরা হলকে ভিন্ন রূপ দিতে উদ্যোগ নেই। হলের আর্জেন্টিনা ব্রাজিল দল সাপোর্ট করা শিক্ষার্থীদের অর্থায়ন এবং সাবেক বড় ভাইদের সহযোগিতার ফলেই আজকের এই ভিন্ন রূপ।’
তিনি বলেন, ‘আজ অন্যান্য হলের চেয়ে আমাদের হলের ভিন্ন সাজ সবাইকে আকৃষ্ট করছে দেখে মনে হচ্ছে আমাদের কষ্ট সার্থক।’
জিয়া হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের প্রধান ফটকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা শোভা পাচ্ছে। তবে মেয়েদের হলে খুব বেশি এই উম্মাদনা পৌঁছাতে পারেনি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাগানো হয়নি কোনো দলের পতাকাও৷
শুধু পতাকা লাগানোতেই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ নেয়। হলের প্রতিটি মোড়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বুথ বসিয়ে বিভিন্ন দলের জার্সি বিক্রি করছেন। সেসব থেকে শিক্ষার্থীরা পছন্দের দলের জার্সিও কিনছেন।
কবি জসিমউদদীন হলের সামনে থেকে জার্সি কিনতে যাওয়া শিক্ষার্থী আারমান হোসেন বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলে এসেছে। প্রিয় দল ব্রাজিলের জার্সি কিনতে এসেছি। আসলে এই জার্সি গায়ে দিয়ে হাঁটতেও একটা উম্মাদনা এবং উৎসব কাজ করে।’
এখানে জার্সি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের শুরু থেকে আমি হলের সামনে জার্সি বিক্রি শুরু করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছি। বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকার। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার জার্সি বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্রাজিল সাপোর্টার। তারপরও সবার মাঝে ফুটবল উম্মাদনা ছড়িয়ে দিতে সুলভ মূল্যে জার্সি সরবরাহ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
এসবেও যেন শেষ হওয়ার নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল উম্মাদনা। শুক্রবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব পটিয়া। কবি জসিমউদদীন হল মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলার মূল পর্ব ১-১ স্কোরে ড্র হলেও ট্রাইবেকারে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিলের সমর্থকেরা।
এ ছাড়া রাত হলেই বিভিন্ন হল থেকে মেসি-নেইমার এবং আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের নামে স্লোগান এবং মিছিল যেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন হল এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের কমিটিও। তাদের প্রতিটি কমিটিতে থাকছে বিপক্ষ দলের সমর্থকদের প্রতিরোধ বিষয়ক সম্পাদক। তবে কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ধরণের আয়োজনে আতঙ্কের কিছু নেই। এটি তর্ক এবং বিরোধী দলের ছোড়া বিভিন্ন তথ্যের জবাব দেওয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ব্রাজিল সমর্থকেরা তাদের দলের ১০০ ফুট পতাকা বানিয়ে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে। তবে তাদের বিশাল এই পতাকা ধরতে সমর্থকের সংকট ছিল বলে অভিযোগ আর্জেন্টাইন সাপোর্টার নাইমুর রহমানের।
তিনি বলেন, ‘শুধু পতাকা বানালে তো কাজ হবে না। সেই পতাকা ধরার জন্য মানুষও থাকতে হবে। কিন্তু ব্রাজিলের সেদিনের সেই মিছিলে তাদের সমর্থক সংকট ছিল। আমাদের বেশ কিছু সাপোর্টারকে তারা নাস্তার বিনিময়ে মিছিলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সেদিনের ব্রাজিলের মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা জামান কাউসার। তিনি বলেন, ‘এইসব অভিযোগ মিথ্যা। ব্রাজিল সমর্থকদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে।’
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থককদের এই ফুটবল উম্মাদনা ছুঁয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিকেও। শুক্রবার বিকেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ ফুটবল বিতর্ক। বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘এই সংসদ মনে করে কাতার বিশ্বকাপ আমার।’ এই ছায়া সংসদে সরকারি দল ছিল আর্জেন্টিনা আর বিরোধী দল ছিল ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনার পক্ষে অংশগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল মুতি আসাদ, অর্পিতা গুলজার এবং জুনায়েদ আহমেদ মৌসম। আর ব্রাজিলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ মাহমুদ মুন্সি, মাহফুজুর রহমান নৌশিন এবং সোহানুর রহমান।
এই বিতর্ক আয়োজনের কারণ হিসেবে আয়োজকদের অন্যতম বিজয় একাত্তর হল ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মাসুম বলেন, ‘ফুটবলকে নিয়ে আমাদের যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, উদ্দীপনা এবং আবেগ-অনুভূতি এই বিতর্কের মাধ্যমে ডিইউডিএস সেটির বহিঃপ্রকাশ করতে চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফুটবল যেন সবসময় আমাদের আনন্দের উৎস হয়েই থাকে, এটি যেন আমাদের মাঝে বিভাজন না ছড়িয়ে সম্প্রীতি ছড়ায় সেই ইতিবাচক চিন্তা থেকে ডিইউডিএস এই আয়োজন করেছে।’
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য