আর মাত্র বাকি একদিন। এরপরই কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। দল হিসেবে না থাকলেও এই বিশ্বকাপের উম্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে।
মহল্লায় মহল্লায় উড়ছে প্রিয় ফুটবল দলের পতাকা। মূলত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকারই প্রাধান্য। চায়ের আড্ডায়, বন্ধুদের আসরে, অফিসের করিডোরে এখন ফুটবল নিয়ে আলোচনা, তর্ক প্রিয় খেলোয়াড় নিয়ে। একটি মাস ফুটবল জ্বরে কাঁপবে সারা দেশ।
ফুটবলের এই উন্মাদনা সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। এই উম্মাদনা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে। বিশ্বকাপের রংয়েই যেন সাজানো হয়েছে এই হলকে।
হল পাড়ার শেষ প্রান্তে থাকা এই হলে অপরিচিত কেউ ঢুকলে তাকে পদে পদে দ্বিধায় পড়তে হতে পারে। শুরুতে মনে হতে পারে এটা হয়ত আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপের কোনো ভেন্যু। পাঁচ তলা হলের পূর্ব-দক্ষিণ অংশের সকল রুমের বারান্দা হল গেট থেকে দেখা যায়। আর এসব রুমের প্রতিটির বারান্দায় শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের খেলোয়াড়ের ব্যানার লাগিয়ে রেখেছে।
পাঁচ তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত লম্বালম্বি ঝোলানো দুটি ব্যানারে মেসি এবং নেইমারের ছবি। এ ছাড়া হলের ছাদের কিনারে লাগানো আর্জেন্টিনা ব্রাজিল, জার্মানি এবং পর্তুগাল দলের পতাকা পতপত করে উড়ছে।
তবে এই অংশে ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। হলের পূর্বপাশে পাঁচ তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত লম্বালম্বি আর্জেন্টিনার পতাকা লাগানো হলেও চোখে পড়েনি ব্রাজিলের এরকম কোনো পতাকা।
হলের ভেতরে প্রবেশ করলে আরও তাক লেগে যেতে হয়। লম্বা করিডোরের দুই পাশে আড়াআড়ি করে লাগানো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্ধশত পতাকা। মনে হতে পারে এই করিডোর দিয়েই খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করবেন।
হলের সামনে বসানো হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের ফটো বুথও। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ উপলক্ষে হলটির এই ভিন্ন রুপ শিক্ষার্থীদের অভিভূত করছে।
হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্টার। আমরা শুরু থেকেই চেয়েছিলাম আমাদের হলে বিশ্বকাপের আমেজটা নিয়ে আসতে। এরপর ব্রাজিল সাপোর্টাররাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করায় আমরা হলকে ভিন্ন রূপ দিতে উদ্যোগ নেই। হলের আর্জেন্টিনা ব্রাজিল দল সাপোর্ট করা শিক্ষার্থীদের অর্থায়ন এবং সাবেক বড় ভাইদের সহযোগিতার ফলেই আজকের এই ভিন্ন রূপ।’
তিনি বলেন, ‘আজ অন্যান্য হলের চেয়ে আমাদের হলের ভিন্ন সাজ সবাইকে আকৃষ্ট করছে দেখে মনে হচ্ছে আমাদের কষ্ট সার্থক।’
জিয়া হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের প্রধান ফটকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা শোভা পাচ্ছে। তবে মেয়েদের হলে খুব বেশি এই উম্মাদনা পৌঁছাতে পারেনি। বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাগানো হয়নি কোনো দলের পতাকাও৷
শুধু পতাকা লাগানোতেই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ নেয়। হলের প্রতিটি মোড়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বুথ বসিয়ে বিভিন্ন দলের জার্সি বিক্রি করছেন। সেসব থেকে শিক্ষার্থীরা পছন্দের দলের জার্সিও কিনছেন।
কবি জসিমউদদীন হলের সামনে থেকে জার্সি কিনতে যাওয়া শিক্ষার্থী আারমান হোসেন বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলে এসেছে। প্রিয় দল ব্রাজিলের জার্সি কিনতে এসেছি। আসলে এই জার্সি গায়ে দিয়ে হাঁটতেও একটা উম্মাদনা এবং উৎসব কাজ করে।’
এখানে জার্সি বিক্রি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের শুরু থেকে আমি হলের সামনে জার্সি বিক্রি শুরু করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছি। বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকার। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার জার্সি বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্রাজিল সাপোর্টার। তারপরও সবার মাঝে ফুটবল উম্মাদনা ছড়িয়ে দিতে সুলভ মূল্যে জার্সি সরবরাহ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
এসবেও যেন শেষ হওয়ার নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল উম্মাদনা। শুক্রবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব পটিয়া। কবি জসিমউদদীন হল মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলার মূল পর্ব ১-১ স্কোরে ড্র হলেও ট্রাইবেকারে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিলের সমর্থকেরা।
এ ছাড়া রাত হলেই বিভিন্ন হল থেকে মেসি-নেইমার এবং আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের নামে স্লোগান এবং মিছিল যেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন হল এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের কমিটিও। তাদের প্রতিটি কমিটিতে থাকছে বিপক্ষ দলের সমর্থকদের প্রতিরোধ বিষয়ক সম্পাদক। তবে কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ধরণের আয়োজনে আতঙ্কের কিছু নেই। এটি তর্ক এবং বিরোধী দলের ছোড়া বিভিন্ন তথ্যের জবাব দেওয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ব্রাজিল সমর্থকেরা তাদের দলের ১০০ ফুট পতাকা বানিয়ে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে। তবে তাদের বিশাল এই পতাকা ধরতে সমর্থকের সংকট ছিল বলে অভিযোগ আর্জেন্টাইন সাপোর্টার নাইমুর রহমানের।
তিনি বলেন, ‘শুধু পতাকা বানালে তো কাজ হবে না। সেই পতাকা ধরার জন্য মানুষও থাকতে হবে। কিন্তু ব্রাজিলের সেদিনের সেই মিছিলে তাদের সমর্থক সংকট ছিল। আমাদের বেশ কিছু সাপোর্টারকে তারা নাস্তার বিনিময়ে মিছিলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সেদিনের ব্রাজিলের মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা জামান কাউসার। তিনি বলেন, ‘এইসব অভিযোগ মিথ্যা। ব্রাজিল সমর্থকদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে।’
ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থককদের এই ফুটবল উম্মাদনা ছুঁয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিকেও। শুক্রবার বিকেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ ফুটবল বিতর্ক। বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘এই সংসদ মনে করে কাতার বিশ্বকাপ আমার।’ এই ছায়া সংসদে সরকারি দল ছিল আর্জেন্টিনা আর বিরোধী দল ছিল ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনার পক্ষে অংশগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল মুতি আসাদ, অর্পিতা গুলজার এবং জুনায়েদ আহমেদ মৌসম। আর ব্রাজিলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ মাহমুদ মুন্সি, মাহফুজুর রহমান নৌশিন এবং সোহানুর রহমান।
এই বিতর্ক আয়োজনের কারণ হিসেবে আয়োজকদের অন্যতম বিজয় একাত্তর হল ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মাসুম বলেন, ‘ফুটবলকে নিয়ে আমাদের যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, উদ্দীপনা এবং আবেগ-অনুভূতি এই বিতর্কের মাধ্যমে ডিইউডিএস সেটির বহিঃপ্রকাশ করতে চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফুটবল যেন সবসময় আমাদের আনন্দের উৎস হয়েই থাকে, এটি যেন আমাদের মাঝে বিভাজন না ছড়িয়ে সম্প্রীতি ছড়ায় সেই ইতিবাচক চিন্তা থেকে ডিইউডিএস এই আয়োজন করেছে।’
আরও পড়ুন:পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’
নিজ ভেরিফায়েড পেজে ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করে ওপেনার তামিম ইকবাল এক বাক্যে লিখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’
এ দুই তারকা ছাড়াও অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ সকলকে।’
নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেন, ‘আনন্দ, উন্নতি ও শুভকামনার বার্তা নিয়ে নতুন বছরের সূচনায় ভরে উঠুক সকলের জীবন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।’
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।’
আরও পড়ুন:দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’
শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’
ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’
দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’
স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’
নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।
বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।
লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।
সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।
লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনানীতে শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমা) ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেট রোববার শেষ হয়।
এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি ।
এ খেলায় ফাইনালে দীপ্ত টিভিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন গান বাংলার শাওন।
ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ইমার সভাপতি আনিসুর রহমান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম চৌধুরী, গান বাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি, প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নীরব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য