ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে রোববার। এবারের বিশ্ব আসরে ৩২টি দল ৮ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতি গ্রুপে খেলবে চারটি দল। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ২৬ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে প্রতিটি দেশ। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য দেয়া হলো ৩২টি দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড।
গ্রুপ-এ
ইকুয়েডর
গোলরক্ষক: মোয়েসেস রামিরেজ, আলেক্সান্দার ডোমিনগুয়েজ, হারনান গালিনডেজ।
ডিফেন্ডার: পিয়েরো হিনক্যাপি, রবার্ট আরবোলেডা, পারভিস এস্তুপিনান, এ্যাঞ্জেলো পেরেসিয়াডো, জ্যাকসন পোরোজো, জেভিয়ার আরেগা, ফেলিক্স তোরেস, দিয়েগো প্যালাসিওস ও উইলিয়াম পাচো।
মিডফিল্ডার: কার্লোস গ্রুয়েজো, হোসে সিফুয়েনটেস, এ্যালনা ফ্র্যাংকো, মোয়েসেস কেইসেডো, এ্যাঞ্জেল মেনা, জেরেমি সারমিনেটো, আয়ারটন প্রিসিয়াডো, সেবাস্টিয়ান মেনডেজ, গঞ্জালো প্লাটা ও রোমারিও ইবারা।
ফরোয়ার্ড: ডিওকোয়েছ রিয়াসকো, কেভিন রডরিগুয়েজ, মাইকেল এসট্রাডা ও এনার ভ্যালেন্সিয়া।
কাতার
গোলরক্ষক: সাদ আলসাহেব, মেশাল বারশাম ও ইউসুফ হাসান।
ডিফেন্ডার: পেড্রো মিগুয়েল, মুসাব খিদির, তারেক সালমান, বাসাম আল-রাউই, বুয়ালেম খুখি, আবদেলকারিম হাসান, হোমাম আহমেদ ও জাসেম গাবের।
মিডফিল্ডার: আলী আসাদ, আসিম মোদিবো, মোহাম্মদ ওয়াদ, সালেম আল-হাজরি, মোস্তফা তারেক, করিম বোদিয়াফ, আবদেলাজিজ হাতেম ও ইসমাইল মোহাম্মদ।
ফরোয়ার্ড: নায়েফ আল-হাদরামি, আহমেদ আল-ওয়াতানি, হাসান আল-হায়দোস, খালেদ মুনির, আকরাম আফিফ, আল-মৌজ আলী ও মুহাম্মদ মুনতারি।
নেদারল্যান্ডস
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিলো, রেমকো পাসভির ও আন্দ্রিয়েস নোপার্ট।
ডিফেন্ডার: ন্যাথান আকে, ভার্জিল ফন ডিক, মাথিয়াস ডি লিট, জুরিয়েন টিম্বার, স্টিফেন ডি ভ্রিজ, ডিলে ব্লিন্ড, ডেনজেল ডামফ্রাইস, টাইরেল মালাকিয়া ও জেরেমি ফ্রিমপং।
মিডফিল্ডার: স্টিভেন বার্গুইস, ফ্রেংকি ডি জং, টিয়ান কুপমেইনার্স, ডেভি ক্লাসেন, মার্টিন ডি রুন, জাভি সিমন্স ও কেনেথ টেইলর।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গুইন, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ভিনসেন্ট জানসেন, লুক ডি জং, ওট ওয়েগর্স্ট ও নোয়া লাং।
সেনেগাল
গোলরক্ষক: এডুয়ার্ড মেন্ডি, আলফ্রেড গোমিস ও সেনি ডিয়েং।
ডিফেন্ডার: কালিডু কোলিবালি, আব্দু ডিয়ালো, ইউসুফ সাবালি, ফোডে বালো-টোরে, পাপে আব্দু সিসে, ইসমাইল জ্যাকবস ও ফরমোস মেন্ডি।
মিডফিল্ডার: ইদ্রিসা গুয়ে, চেইকু কুয়াতে, নামপালিস মেন্ডি, ক্রেপিন ডিয়াত্তা, পাপে গুয়ে, পাপে মাতার সার, পাথে সিস, মুস্তফা নামে ও লুম এডিয়ায়ে।
ফরোয়ার্ড: সাদিও মানে, ইসমাইলা সার, বুলয়ালে ডিয়া, বাম্বা ডিয়েং, ফামারা ডিয়েডহিউ, নিকোলাস জ্যাকসন ও ইলিমান এডিয়ায়ে।
গ্রুপ-বি
ইংল্যান্ড
গোলরক্ষক: জর্ডান পিকফোর্ড, নিক পোপ ও এ্যারন রামসডেল।
ডিফেন্ডার: হ্যারি ম্যাগুয়েরে, লুক শ, এরিক ডায়ার, জন স্টোনস, কাইল ওয়াকার, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, কনর কোডি, বেন হোয়াইট ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড।
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম, ম্যাসন মাউন্ট, ডিক্লান রাইস, জর্ডান হেন্ডারসন ও কালভিন ফিলিপস।
ফরোয়ার্ড: জেমস ম্যাডিসন, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রীলিশ, হ্যারি কেন, বুকায়ো সাকা, রাহিম স্টার্লিং, ক্যালুম উইলসন ও মার্কোস রাশফোর্ড।
যুক্তরাষ্ট্র
গোলরকক্ষক: এথান হোভার্থ, ম্যাট টার্নার ও সিন জনসন।
ডিফেন্ডার: টিম রিম, সার্জিনো ডেস্ট, এন্টোনি রবিনসন, ক্যামেরুন কার্টার-ভিকার্স, ওয়াকার জিমারমান, ডিআন্দ্রে ইয়েডলিন, শাক মুর, হো স্ক্যালি ও এ্যারন লং।
মিডফিল্ডার: ব্রেন্ডন এ্যারনসন, কেলিন এ্যাকোস্টা, টাইলার এ্যাডামস, লুকা ডি লা টোরে, ওয়েস্টন ম্যাককিনি, ইউনুস মুসা ও ক্রিস্টিয়ান রোলডান।
ফরোয়ার্ড: জেসুস ফেরেইরা, জর্ডান মোরিস, ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, গিও রেইনা, জোস সার্জেন্ট, টিমোথি ও হাজি রাইট।
ইরান
গোলরক্ষক: আলিরেজা বেইরানভান্ড, আমি আবেদজাদেহ, হোসেইন হোসেইনি ও পায়াম নিয়াজমান্ড।
ডিফেন্ডার: এহসান হাসাফি, মোর্তেজা পুরালিগাঞ্জি, রামিন রেজায়েইন, মিলাদ মোহাম্মাদী, হোসেইন কানানি, শোয়ায়ে খলিরজাদেহ, সাদেগ মোর্হারামি, রুজবেহ চেশষি, মাজিদ হোসেইনি ও আবুলফাজল জালালি।
মিডফিল্ডার: আহমাদ নুরুল্লাহি, সামান গুড্ডোস, ভাহিদ আমিরি, সাইদ এজাতোলাহি, আলিরেজা জাহানবাক্স, মেহদি তোরাবি, আলি গোলিজাদেহ ও আলি করিমি।
ফরোয়ার্ড: করিম আসনারফারদ, সর্দার আজমুন ও মেহদি তারেমি।
ওয়েলস
গোলরক্ষক: ওয়েইন হেনেসি, ড্যানি ওয়ার্ড ও এ্যাডাম ডেভিস।
ডিফেন্ডার: বেন ডেভিস, বেন কাবানগো, টম লকিয়ার, জো রোডোন, ক্রিস মেফাম, এথান আমপাডু, ক্রিস গান্টার, নিকো উইলিয়াম ও কনর রবার্টস।
মিডফিল্ডার: সোরবা থমাস, জো এ্যালেন, ম্যাথু স্মিথ, ডাইলান লেভিট, হ্যারি উইলসন, জো মোরেল, জনি উইলিয়ামস, এ্যারন রামসে ও রুবিন কলউইল।
ফরোয়ার্ড: গ্যারেথ বেল, কেইফার মুর, মার্ক হ্যারিস, ব্রেনান জসনসন ও ড্যানিযেল জেমস।
গ্রুপ-সি
আর্জেন্টাইন
গোলরক্ষক: ফ্র্যাংকো আরমানি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও জেরোনিমো রুলি।
ডিফেন্ডার: গঞ্জালো মনটিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, জারমান পেজ্জেলা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, নিকোলাস টাগলিয়াফিকো, মার্কোস এ্যাকুনা ও হুয়ান ফয়েথ।
মিডফিল্ডার: লিনড্রো পারেডেস, গুইডো রডরিগুয়েজ, এনজো ফার্নান্দেজ, রডরিগো ডি পল, এক্সেকুয়েল পালাকিওস, আলেহান্দ্রো গোমেজ ও এ্যালেক্সিস ম্যাক এ্যালিস্টার।
ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা, লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়া, নিকোলাস গঞ্জালেজ, জোয়াকুইন কোরেয়া, লটারো মার্টিনেজ ও জুলিয়ান আলভারেজ।
মেক্সিকো
গোলরক্ষক: রোডোলফো, গুইলারমো ওচোয়া ও আলফ্রেডো টালাভেরা।
ডিফেন্ডার: কেভিন আলভারেজ, নেস্তর আরাউজো, জেরার্ডো আরটিগা, জেসুস গালারডো, হেক্টর মোরেনো, সিজার মন্টেস, জর্জ সানচেজ ও ইয়োহান ভাসকুয়েজ।
মিডফিল্ডার: এডসন আলভারেজ, রবার্তো আলভার্দো, উরিয়েল আনটুনা, লুইস শাভেজ, আন্দ্রেস গুয়াডাডো, এরিক গুটিরেজ, হেক্টর হেরেরা, ওরবেলিন পিনেডা, কার্লোস রডরিগুয়েজ ও লুইস রোমো।
ফরোয়ার্ড: রোগেলিও ফুনেস মোরি, রাউল জিমিনেজ, হার্ভিং লোজানো, হেনরি মার্টিন ও এ্যালেক্সিস ভেগা।
পোল্যান্ড
গোলরক্ষক: ওজিনে সিজিসনি, লুকাজ স্কোরুপস্কি ও বারলোমি ড্রাগোভস্কি।
ডিফেন্ডার: ম্যাটি ক্যাশ, রবার্ট গামনি, রারটোজ বেরেসজিনিস্কি, কামিল গিলিক, ইয়ান বেডনারেক, জ্যাকুব কিউওর, মাতিয়াজ উইটেস্কা, আর্টার জারজিসিক ও নিকোলা জালেভস্কি।
মিডফিল্ডার: গ্রিজর্জ কিরিচুয়াক, ক্রিস্টিয়ান বিয়েলিক, ডামিয়ান সিজমানস্কি, পিওটর জিয়েলিনিস্কি, সেবাস্টিায়ান সিজিমানস্কি, সিজিমন জুরকোভস্কি, জ্যাকুব কামিনস্কি, প্রিজিমিসল ফ্রাঙ্কোভস্কি, কামিল গ্রসিকি ও মিখায়েল স্কোরাস।
ফরোয়ার্ড: রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি, কারোল সুইডারস্কি, আরকাডিয়াস মিলিক ও ক্রিজিজস্টো পিয়াটেক।
সৌদি আরব
গোলরক্ষক: মোহাম্মদ আল-ওয়েসিস, নাওয়াফ আল-আকিদি ও মোহাম্মদ আল-ইয়ামি।
ডিফেন্ডার: ইয়াসির আল-শাহরানি, আলি আল-বুলাইহি, আব্দুলেল্লাহ আল-আমরি, আব্দুল্লাহ মাদু, হাসান তামবাকতি, সুলতান আল-ঘানাম, মোহাম্মদ আল-বেরিত ও সৌদ আব্দুলহামিদ।
মিডফিল্ডার: সালমান আল-ফারাজ, রিয়াদ শারাহিলি, আলি আল-হাসান, মোহাম্মদ কানো, আব্দুলেল্লাহ আল-মালকি, সামি আল-নাজেয়ি, আব্দুল্লাহ ওতায়েফ, নাসির আল-ডসারি, আব্দুলরহমান আল-আবুদ, সারেশ আল-ডসারি ও হাত্তান বাহারবি।
ফরোয়ার্ড: হেইথাম আসিরি, সালেহ আল-শেহরি ও ফিরাস আল-বুরাইকান।
গ্রুপ-ডি
অস্ট্রেলিয়া
গোলরক্ষক: ম্যাট রায়ান, এ্যান্ড্রু রেডমায়নে ও ড্যানি ভুকোভিচ।
ডিফেন্ডার: মিলোস ডিগেনেক, আজিজ বেহিচ, জোয়েল কিং, ন্যাথ্যানিয়ের এ্যাটকিনসন, ফ্র্যান কারাসিচ, হ্যারি সুটার, কেই রোলেস, বেইলি রাইট ও থমাস ডেং।
মিডফিল্ডার: এ্যারন মুই, জ্যাকসন ইরভিন, আজডিন হ্রাস্টিক, কিনু বাক্কুস, ক্যামেরুন ডেভলিন ও রিলে ম্যাকগ্রী।
ফরোয়ার্ড: আওয়ার মাবিল, ম্যাথু লেকি, মার্টিন বোলে, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, মিচেল ডিউক, গারাং কুল ও ক্রেইগ গুডইউন।
ফ্রান্স
গোলরক্ষক: হুগো লোরিস, স্টিভ মানডানডা ও আলফোনসে আরেয়োলা।
ডিফেন্ডার: লুকাস হার্নান্দেহ, থিও হার্নান্দেজ, প্রিসনেল কিম্পেম্বে, ইব্রাহিমা কোনাটে, জুলেস কুন্ডে, বেঞ্জামিন পাভার্ড, উইলিয়াম সালিবা, রাফায়েল ভারানে ও ডায়ট উপামেকানো।
মিডফিল্ডার: এডুয়ার্ডো কামভিনগা, ইউসুফ ফোফানে, মাত্তেও গুয়েনডোজি, আদ্রিয়েন রাবোয়িত, অরেলিয়েন টিচুয়ামেনি ও জর্ডান ভেরেটুট।
ফরোয়ার্ড: কারিম বেনজেমা, কিংসলে কোম্যান, ওসমানে ডেম্বেলে, অলিভার গিরুদ, আঁতোয়া গ্রীজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে ও র্যান্ডাল কোলো মুয়ানিু।
ডেনমার্ক
গোলরক্ষক: কাসপার সিমিচেল, অলিভার ক্রিস্টেনসেন ও ফ্রেডেরিক রোনো।
ডিফেন্ডার: আলেক্সান্দার বাহ, ড্যানিয়েল ওয়াস, রাসমান নিসেন ক্রিস্টেনসেন, জেন স্ট্রাইগার লারসেন, জোয়াকিন মাহলে, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, সাইমন কায়ের, জোয়াকিম এ্যান্ডারসেন ও ভিক্টর নেলসন।
মিডফিল্ডার: পিয়েরে-এমিলে হোবার্গ, থমাস ডিলানি, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন, মাথিয়াস জেনসেন, ক্রিস্টিয়ান নরগার্ড ও রবার্ট স্কোভ।
ফরোয়ার্ড: মিকেল ডামসগার্ড, আন্দ্রেস স্কোভ ওলসেন, জাসপার লিন্ডস্টর্ম, মার্টিন ব্রেথওয়েইট, কাসপার ডোলবার্গ, জোনাস উইন্ড, আন্দ্রেস কোরনেলিয়াস ও ইউসুফ পুলসেন।
তিউনিশিয়া
গোলরক্ষক: আয়মেন ডাহমেন, বেশির বেন সাইদ, মুয়েজ হাসেন ও আয়মেন মাথলুথি।
ডিফেন্ডার: আলি আবদি, ডাইলান ব্রন, মোহাম্মদ ড্রাগার, নাদের ঘানদ্রি, বিলের ইফা, ওয়াজদি কেচিরদা, আলি মালুল, ইয়াসিন মেরিয়াহ ও মোনতাসার তালবি।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ আলি বেন রোমধানে, ঘেলানে চালালি, আইসা লেইডুনি, হানিবাল মেজব্রি, ফেরজানি সাসি ও ইলিয়াস শাহিরি।
ফরোয়ার্ড: আনিস বেন সিলশানে, সেইফেডিন জাজিরি, ইসাম জেবালিম ওয়াহবি খাজরি, তাহা ইয়াসিন খেনিসি, ইউসুফ মাসাকনি ও নাইম সিলটি।
গ্রুপ-ই
কোস্টারিকা
গোলরক্ষক: কেইলর নাভাস, এস্তেবান আলভারাডো ও প্যাট্রিক সেকুয়েইরা।
ডিফেন্ডার: ফ্রান্সিসকো কালভো, হুয়ান পাবলো ভারগাস, কেন্ডাল ওয়াস্টন, ওস্কার ডুয়ার্তে, ড্যানিয়েল চাকোন, কেইশার ফুলার, কার্লোস মার্টিনেজ, ব্রায়ান ওভিডিও ও রোনাল্ড মাটারিটা।
মিডফিল্ডার: ইয়েলিস্টিন টাজেডা, সেলসো বোরগেস, ইউস্টিন সালাস, রোয়ার উইলসন, জারসন তোরেত, ডগলাস লোপেজ, জেইসন বেনেট্টে, আলভারো জামোরা, এন্থনি হার্নান্দেজ, ব্রেন্ডন আগুইরেলা ও ব্রায়ান রুইজ।
ফরোয়ার্ড: জোয়েল ক্যাম্পবেল, এন্থনি কানট্রেরাস ও ইয়োহান ভেনেগাস।
জার্মানি
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল নয়্যার, মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান ও কেভিন ট্র্যাপ।
ডিফেন্ডার: আর্মেল, বেলা কোচাপ, মাথিয়াস জিন্টার, ক্রিস্টিয়ান গুয়েনটার, থিলো কেহরার, লুকাস ক্লোস্টারম্যান, ডেভিড রম, এন্টোনিও রুডিগার, নিকো স্কোলোটারবাক ও নিকলাস সুলে।
মিডফিল্ডার: জুলিয়ান ব্র্যান্ডেট, সার্জি গ্যানাব্রি, লিঁও গোয়েতজা, মারিও গোটশে, ইকে গুনডোগান, জোনাস হফমান, জসুয়া কিমিচ, থমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালা ও লেরয় সানে।
ফরোয়ার্ড: কেই হাভার্টজ, নিকলাস ফুয়েলক্রুগ, কারিম আডেইয়েমি ও ইউসুফা মুকোকো।
জাপান
গোলরক্ষক: শুশি গোন্ডা, ড্যানিয়েল শিমিডিট ও এইজি কাওয়াশিমা।
ডিফেন্ডার: মিকি ইয়ামানে, হিরোকি সাকাই, মায়া ইউশিদা, তাকেইরো টোমিইয়াসু, শোগো তানিগুচি, কো ইতাকুরা, হিরোকি ইতো ও ইউতো নাগাতোম।
মিডফিল্ডার: ওয়াতারু এন্ডো, হিডেমাসা মোরিতা, আরো টানাকা, গাকু শিবাসাকি, কাউরু মিতোমা, ডাইচি কামাডা, রিটসু ডোয়ান, জুনিয়া ইতো, তাকুমি মিনামিনো, তাকেফুসা কুবো ও ইউকি সোমা।
ফরোয়ার্ড: ডেইজেন মিডা, তাকুমা আসানো, শুতো মাচিনো ও আয়াসে উয়েডা।
স্পেন
গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, রবার্ট সানচেজ ও ডেভিড রায়া।
ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জোর্দি আলবা, এরিক গার্সিয়া, অমারিক লাপোর্তে, পও তোরেস, হুগো গুইলামন, সিজার আজপিলিকুয়েটা ও ডানি কারভাহাল।
মিডফিল্ডার: রোড্রি, কোকে, মার্কোস লোরেন্টে, সার্জিও বাসকুয়েটস, গাভি, পেড্রি গঞ্জালেজ ও কার্লোস সোলার।
ফরোয়ার্ড: ডানি ওলমো, পাবলো সারাবিয়া, আলভারো মোরাতা, আনসু ফাতি, ফেরাস তোরেস, মার্কো আসেনসিও, নিকো উইলিয়ামস ও ইয়েরেমি পিনো।
গ্রুপ-এফ
বেলজিয়াম
গোলরক্ষক: থিবো কোর্তোয়া, সিমন মিগনোল্টে ও কোয়েন কাস্টিলস।
ডিফেন্ডার: টবি অল্ডারউয়েরেল্ড, ইয়ান ভারটনগেন, জেনো ডেবাস্ট, লিন্টার ডিনডনকার, ওট ফায়েস ও আর্থার থিটে।
মিডফিল্ডার: থমাস মুইনার, টিমোথি কাস্টাগনে, থ্রোগান হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, এ্যাক্সেল উইটসেল, ইউরি টিয়েলেমানস, আমাডু ওনানা, হান্স ভানাকেন ও ইয়ানিক কারাসকো।
ফরোয়ার্ড: এডেন হ্যাজার্ড, লিনড্রো ট্রোসার্ড, রোমেলু লুকাকু, মিশি বাটশুয়াই, চার্লস ডি কেটেলায়েরে, লোয়িস ওপেনডা, জারমি ডোকু ও ড্রিয়েস মার্টিনস।
কানাডা
গোলরক্ষক: জেমস পানটেমিস, মিলান বোয়ান ও ডাইনে সেন্ট ক্লেয়ার।
ডিফেন্ডার: স্যামুয়েল আডেকুজবে, জোয়ের ওয়াটারম্যান, এ্যালিস্টার জনস্টোন, রিচি লারেয়া, কামাল মিলার, স্টিভেন ভিক্টোরিয়া ও ডেরেক করনেলিয়াস।
মিডফিল্ডার: লিয়াম ফেসার, ইসমাইল কোনে, মার্ক-এ্যান্থনি কায়ে, ডেভিড উথারস্পুন, জোনাথন ওসোরিও, আটিবা হাচিনসন, স্টিফেন ইউস্টাকুইও ও স্যামুয়েল পিয়েত্তে।
ফরোয়ার্ড: টাওন বুখানান, লিয়াম মিলার, লুকাস কাভালিনি, ইকে উগবো, জুনিয়র হোইলেট, জোনাথন ডেভিড, কাইল লারিন ও আলফোনসো ডেভিস।
ক্রোয়েশিয়া
গোলরক্ষক: ডোমিনিক লিভাকোভিচ, ইভিচা ইভুসিচ ও ইভো গারবিচ।
ডিফেন্ডার: ডোমাহো ভিডা, ডিয়ান লোভরেন, বোনা বারিসিচ, জোসিপ জুরানোভিচ, জোসকো গাভারডিওল, বোনা সোসা, জোসিপ স্টানিসিচ, মার্টিন এরলিক ও জোসিপ সুটালো।
মিডফিল্ডার: লুকা মড্রিচ, মাতেও কোভাচি, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, মারিও পাসালিচ, নিকোল ভøাসিচ, লোভরো মায়ের, ক্রিস্টিয়ান জাকিচ ও লুকা সুচিচ।
ফরোয়ার্ড: ইভান পেরিসিস, আন্দ্রে ক্রামারিচ, ব্রুনো পেটকোভিচ, মিসলাভ ওরসিচ, আন্দ্রে বাডিমির ও মার্কো লিভায়া।
মরক্কো
গোলরক্ষক: ইয়াসিন বুনু, মুনির এল কাজুই ও আহমেদ টাগনাওতি।
ডিফেন্ডার: নায়েফ আগুয়ার্ড, ইয়াহিয়া আতিয়াত আল্লাহ, বাডার বেনুন, আর্চাফ ডারি, জাওয়াড এল ইয়ামিক, আর্চাফ হাকিমি, নুসাইর মাজরাউয়ি ও রোমেই সেইস
মিডফিল্ডার: সোফিয়ান আমরাবাত, সেলিম আমাল্লাহ, বিলাল এল খানুস, ইয়াহইয়া জাবরানে, আজেডিন উনাহি ও আব্দেলহামিদ সাবিরি।
ফরোয়ার্ড: জাকারিয়া আবুখালার, সোফিয়ানে বুফাল, ইলিয়স চেয়ার, ওয়ালিদ চেডিরা, ইউসেফ এন-নেসরি, আবদে এজ্জালজুলি, আবদেরাজাক হামাদ্দাল্লাহ, আমিনে হারিত ও হাকিম জিয়েচ।
গ্রুপ-জি
ব্রাজিল
গোলরক্ষক: এ্যালিসন, এডারসন ও উইভারটন।
ডিফেন্ডার: ডানি আলভেস, ডানিলো, এ্যালেক্স সান্দ্রো, এ্যালেক্স টেলাস, ব্রেমার, মারকুইনহোস, থিয়াগো সিরভা ও এডার মিলিটাও।
মিডফিল্ডার: ক্যাসেমিরো, ফ্যাবিনহো, ফ্রেড, এভারটন রিবেইরো, ব্রুনো গুইমারায়েস ও লুকাস পাকুয়েটা।
ফরোয়ার্ড: নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচারলিসন, রাফিনহা, রডরিগো, এন্টনি, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ও পেড্রো।
ক্যামেরুন
গোলরক্ষক: আন্দ্রে ওনানা, ডেভিস এপাসি ও সাইমন নাগাপানডুটেনবু।
ডিফেন্ডার: জিন-চার্লস কাস্তেলেত্তো, এনজো এবোসে, কলিন ফাই, অলিভার এমবাইজো, নুহু টোলো, নিকোলাস এনকুলু ও ক্রিস্টোফার উহ।
মিডফিল্ডার: অলিভার এনচাম, গায়েল ওনডুয়া, মার্টিন হোংলা, পিয়েওে কুন্ডে, স্যামুয়েল উম গুয়েট, আন্দ্রে-ফ্র্যাংক জাম্বো আনগুইসা ও জেরোম এনগম।
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস নাগামালেও, ক্রিস্টিয়ান বাসোগগ, ব্রায়ান এমবেমো, জর্জেস-কেভিন এনকুনডু, জিন-পিয়েরে এনসামে, ভিনসেন্ট আবুবকর, কার্ল টোকো-একাম্বি, এরিক ম্যাক্সিম ছুপো-মোটিং ও সুয়াইবু মারু।
সার্বিয়া
গোলরক্ষক: মার্কো ডিমিত্রোভিচ, প্রিড্রাগ রাজকেভিচ ও ভানয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচ।
ডিফেন্ডার: স্টিফান মিট্রোভিচ, নিকোলা মিলেকোভিড, স্ট্রাহিনজা পাভলোভিচ, মিলোস ভালকোভিচ, ফিলিপ এমলাডেনোভিচ, স্ট্রাহিনিজা এরাকোভিচ ও সারডিয়ান বাবিচ।
মিডফিল্ডার: নেমাঞ্জা গুডেল, সার্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচ, সাসা লুকিচ, মার্কো গ্রুজিচ, ফিলিপ কোস্টিচ, উরোস রাচিচ, নেমাঞ্জা মাকসিমোভিচ, ইভান ইলিচ, আন্দ্রিয়া জিভকোভিচ ও ডারকো লাজোভিচ।
ফরোয়ার্ড: ডুসান টাডিচ, আলেক্সান্দার মিট্রোভিচ, ডুসান ভøাহোভিচ, ফিলিপ ডুরিসিচ, লুকা জোভিচ ও নেমাঞ্জা রাডোনিচ।
সুইজারল্যান্ড
গোলরক্ষক: গ্রিগর কোবেল, ইয়ান সোমার, জোনাস ওমলিন ও ফিলিপ কোহন।
ডিফেন্ডার: ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, ইওে কমরেট, নিকো এলভেডি, ফাবিয়ান শার, সিলভান উইডমার, রিকার্ডো রডরিগুয়েজ ও এডিমিলসন ফার্নান্দেজ।
মিডফিল্ডার: মাইকেল আয়েবিশার, জিহার্দান শাকিরি, রেনাটো স্টিফেন, গ্রানিত জাকা, ডেনিস জাকারিয়া, ফাবিয়ান ফ্রেই, রেমো ফ্রুলার, নোয়া ওকাফোর, ফাবিয়ান রেইডার ও আরডন জাশারি।
ফরোয়ার্ড: ব্রিল এমবোলো, রুবেন ভারগাস, ডিজিব্রিল সো, হারিস সেফেরোভিচ ও ক্রিস্টিয়ান ফাসানশে।
গ্রুপ-এইচ
ঘানা
গোলরক্ষক: লরেন্স আতি, ডানলান্ড ইব্রাহিম ও মানাফ নুরুডিন।
ডিফেন্ডার: জোসেফ আইডু, ড্যানিয়েল অমার্তি, বাবা রহমান, আলেক্সান্দার ডিকু, তারিক লাম্পটে, গিডিয়ন মেনসাহ, ডেনিস ওডুই, মোহাম্মদ সালিসু ও আলিডু সেইডু।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে আইয়ু, মোহাম্মদ কুদুস, ড্যানিয়েল-কোফি কেরেহ এলিয়া ওউসু, থমাস পার্টে ও সালিস আব্দুল সামেদ।
ফরোয়ার্ড: ড্যানিয়েল আফ্রিয়ি, জর্ডান আইয়ু, ওসমান বুকারি, ইসাকু আব্দুল ফাতাউ, এন্টোনি সেমেনউ, কামাল সোয়াহ, কামালডিন সুলেমানা ও ইনাকি উইলিয়ামস।
পর্তুগাল
গোলরক্ষক: দিয়োগো কস্তা, হোসে সা ও রুই প্যাট্রিসিও।
ডিফেন্ডার: দিয়োগো ডালট, হুয়াও ক্যান্সেলো, ডানিলো পেরেইরা, পেপে, রুবেন ডিয়াস, এন্টোনিও সিলভা, নুনো মেনডেস ও রাফায়েল গুয়েরেইরো।
মিডফিল্ডার: হুয়াও পালিনহা, রুবেন নেভেস, বার্নান্ডো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, হুয়াও মারিও, ম্যাথিউস নুনেস, ভিটিনহা, উইলিয়াম কারভালহো ও ওটাভিও।
ফরোয়ার্ড: ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, হুয়াও ফেলিক্স, রাফায়েল লিয়াও, রিকার্ডো হোর্টা, গঞ্জালো রামোস ও আন্দ্রে সিলভা।
সাউথ কোরিয়া
গোলরক্ষক: কিম সেয়াং-গাইয়ু, জো হেয়ান-উ ও সং বুম-কেয়ান।
ডিফেন্ডার: কিম মিন-জায়ে, কিম ইয়ং-গুন, কুন কিয়ং-উন, চো ইউ-মিন, কিম মুন-হুয়ান, ইউন জং গাউ, কিম টায়ে-হুয়ান, কিম জিন-সু ও হং চুল।
মিডফিল্ডার: জুং উ-ইয়ং, সন জুন-হো, পাইক সেয়াং-হো, হুয়াং ইন-বেয়ম, লি হায়ে-সুং, কুন চাং-হুন, জেয়ং উ-ইয়ং, লি কাং-ইন, সন হেয়াং-মিন, হুয়াং হি-চান, না সাং-হো ও সং মিন-কু।
ফরোয়ার্ড: হুয়াং উই-জো, চো গুয়ে-সুং।
উরুগুয়ে
গোলরক্ষক: সার্জিও রোশে, ফার্নান্দো মুসলেরা ও সেবাস্টিয়ান সোসা।
ডিফেন্ডার: হোসে লুইস রডরিগুয়েজ, গুইলারমো ভারেলা, রোনাল্ড আরাউজো, হোসে মারিয়া জিমেনেজ, সেবাস্টিায়ান কোটস, দিয়েগো গোডিন, মার্টিন ক্যাসেরেস, মাটিয়াস ভিনা ও মাথিয়াস অলিভেরা।
মিডফিল্ডার: মাটিয়াস ভেসিনো, রডরিগো বেনটানকার, ফেডেরিকো ভালভার্দে, লুকাস টোরেইরা, ম্যানুয়েল উগার্টে, ফাকুন্ডো পেলিস্ট্রি, নিকোলাস ডি লা ক্রুজ, গিওর্গিয়ান ডি আরাসকায়েটা, অগাস্টিন কানোবিও ও ফাকুন্ডো তোরেস।
ফরোয়ার্ড: ডারউইন নুনেজ, লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানি ও ম্যাক্সিমালিয়ানো গোমেজ।
আরও পড়ুন:টার্ফের সবুজ গালিচায় মৃদু আলোর অপরূপ দৃশ্য। চারপাশে সারিবদ্ধ দর্শকের ভিড়। থেমে থেমে উল্লাসের সুর বেজে উঠছে দর্শক ও খেলোয়াড়দের মাঝে।
রেফারি বাঁশিতে ফুঁ দিতেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। তবে এ যুদ্ধ সংঘাতের নয়, সৌহার্দ্যের ফুটবল যুদ্ধ।
প্রথম দিন প্রতিটি ম্যাচে ফুটবল শৈলীতে শেষমেশ জয়ের হাসি হাসে ছয়টি দল। তবে গোলে স্বপ্নভঙ্গ হলেও দারুণ খেলে সবার মন কেড়েছে প্রতিটি ফুটবল দল।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় ছয়টি ম্যাচ। হালিশহর কেএসআরএম টুর্নামেন্টের গতকালের চিত্র এটি।
নগরের হালিশহরের কেএসআরএম টার্ফে শুক্রবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজুদ্দৌলা, সেলিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন ও সরওয়ার জাহান।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (করপোরেট) শামসুল হক ও পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জসিম উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ২৮টি দল। প্রথম দিনে ১২টি দলই তাদের নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হয়।
৫২ ম্যাচের প্রতিযোগিতামূলক এ টুর্নামেন্টের খেলা চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:ঐতিহ্যবাহী সান মামেসে ম্যাচ শুরুর পর থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে থাকেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ফুটবলাররা। প্রথম মিনিট থেকেই রিয়াল মাদ্রিদকে চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা চালান তারা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম গোলটিও পেয়ে যায় বিলবাও।
ওই গোলের ১৫ মিনিট পরই বিলবাও গোলরক্ষকের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দুর্বল স্পটকিকের কারণে হুলেন আগিরেসাবালাকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হন তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
মিনিট দশেক পর বেলিংহ্যামের গোলে রিয়াল মাদ্রিদ সমতায় ফিরলেও ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের।
ম্যাচ হেরে, বিশেষ করে পেনাল্টি থেকে গোল আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পিএসজির পাঠ চুকিয়ে চলতি মৌসুমে রিয়াল শিবিরে যোগ দেয়া এমবাপ্পে।
এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে দুটি পেনাল্টি নিয়ে ব্যর্থ ফরাসি স্ট্রাইকার। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের ম্যাচেও পেনাল্টি মিস করেন এমবাপ্পে। মাঝে লা লিগায় গেটাফের বিপক্ষে জয়ের রাতে আরও একটি পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেটি নিজে না নিয়ে জুড বেলিংহ্যামকে দেন ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তা থেকে দলকে গোলও এনে দেন বেলিংহ্যাম। তবে পরের ম্যাচেই পেনাল্টি পেয়ে নিজে শট নিয়ে ব্যর্থ এমবাপ্পে।
এর ফলে ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমবাপ্পে এক সপ্তাহে দুটি পেনাল্টি মিস করলেন। আর পিএসজি ও রিয়াল মিলিয়ে এ বছর তার পেনাল্টি মিসের সংখ্যা মোট চারটি। এক বছরে চারটি পেনাল্টি মিস করার ঘটনাও তার ক্যারিয়ারে এই প্রথম।
টানা দুই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করায় ‘ট্রল ফুটবল’ নামের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি মিম শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন মিস ইউনিভার্সের শরীরের ওপর এমবাপ্পের মাথা লাগিয়ে ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে- আমাদের নতুন ‘মিস পেনাল্টি’।
তবে এমন কঠিন সময়েও ভেঙে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘বাজে ফল। যে ম্যাচে ছোটখাটো বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এটি বড় ধরনের ভুল। এর পুরোটা দায় আমি নিচ্ছি। কঠিন মুহূর্ত! তবে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার এবং আমি কে, তা দেখিয়ে দেওয়ার এখনই সেরা সময়।’
তবে শিষ্যের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও এখনই তাকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না এই ইতালিয়ান।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। তবে পেনাল্টি দিয়ে আমি একজন খেলোয়াড়কে মূল্যায়ন করতে পারি না। নিশ্চিতভাবেই সে হতাশ ও ভারাক্রান্ত। তবে আমাদের নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
‘জানি, সে তার সেরা ফর্মে নেই। কিন্তু (দলে) মানিয়ে নিতে তাকে আমাদের সময় দিতে হবে। এরই মধ্যে সে (মাদ্রিদের জার্সিতে) ১০ গোল করেছে। আরও ভালো করার সামর্থ্য সে রাখে এবং সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কোপা আমেরিকা জয় এবং ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে দারুণ সময় কাটালেও এ বছরের ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে বছরজুড়ে মেসির কাজের স্বীকৃতি দিতে ভোলেনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০২৪ সালে ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’-এর তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে মেসির নাম।
মেসি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি। তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদেরই রয়েছেন ছয়জন- ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, দানি কারভাহাল, ফেদেরিকো ভালভার্দে, টনি ক্রুস ও কিলিয়ান এমবাপে।
এছাড়াও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড, বেয়ার লেভারকুসেনের ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস ও বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামাল জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ বারই মনোনয়ন পেলেন মেসি। এর মধ্যে তিনি পুরস্কারটি জিতেছেন তিনবার- ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে।
‘দ্য বেস্ট’ পুরুষ ফুটবলারের পাশাপাশি আরও ১০টি পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। এর মধ্যে রয়েছে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা গোলরক্ষক, বর্ষসেরা একাদশ ও বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার। এছাড়া দেয়া হবে ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।
পুরস্কারগুলোর প্রতিটির জন্য ভোট দিতে পারেন ভক্ত-সমর্থকরা। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ ও সেরা গোলরক্ষক নির্বাচনে মোট ভোটের এক-চতুর্থাংশ রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য। বাকি তিন ভাগ দেন ফিফার সদস্য দেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। সেরা গোল ও একাদশ নির্বাচনে ভক্তদের ভোটের হার অর্ধেক।
ফিফার ওয়েবসাইটে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। ‘দ্য বেস্ট’-এর ১১ জনের মধ্যে ইউরোপের বাইরের ক্লাব থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শুধু মেসিই।
মেসিকে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাখ্যায় ফিফা বলেছে, বয়স ৩৭ হয়ে গেলেও ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনা দলে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন মেসি। তার অনুপ্রেরণামূলক পারফরম্যান্সে ২০২৩ লিগস কাপের পর রেকর্ডসংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করে ২০২৪ সালের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছে মায়ামি। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বে কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমনকি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে জয় দিয়ে বছর শেষ করা আর্জেন্টিনা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায়, আর এই আসরে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ গোল নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন মেসি।
এক নজরে ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
সেরা পুরুষ ফুটবলার: জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড/রিয়াল মাদ্রিদ), দানিয়েল কারভাহাল (স্পেন/রিয়াল মাদ্রিদ), আর্লিং হলান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (জার্মানি/রিয়াল মাদ্রিদ), কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স/রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/ইন্টার মায়ামি), রদ্রিগো এরনান্দেস (স্পেন/ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (উরুগুয়ে/রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (ব্রাজিল/রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (জার্মানি/বেয়ার লেভারকুসেন) ও লামিন ইয়ামাল (স্পেন/বার্সেলোনা)।
সেরা কোচ: শাবি আলোনসো (বেয়ার লেভারকুসেন), কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ), লুইস দে লা ফুয়েন্তে (স্পেন), পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি) ও লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা)।
সেরা গোলরক্ষক: জানলুইজি দোন্নারুম্মা (ইতালি/পিএসজি), এদেরসন মোরায়েস (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার সিটি), আন্দ্রিই লুনিন (ইউক্রেন/রিয়াল মাদ্রিদ), মাইক মাইনিয়ঁ (ফ্রান্স/এসি মিলান), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (আর্জেন্টিনা/অ্যাস্টন ভিলা), দাভিদ রায়া (স্পেন/আর্সেনাল), উনাই সিমোন (স্পেন/আথলেটিক বিলবাও)।
আরও পড়ুন:চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রোববার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পিন্টু। আরও কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ায় তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছিল।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা গঠন করেছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। দেশের মানুষের মুক্তির পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করেছিল এই ফুটবল দল।
জাকারিয়া পিন্টু ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত অধিনায়ক। তিনি একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৬টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। এর ১২টিতেই জিতেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ওই ম্যাচের টিকিট বিক্রির অর্থ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তুলে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে।
১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দেন জাকারিয়া পিন্টু। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেরও প্রথম অধিনায়ক। মোহামেডানের সাবেক এই তারকা সংগঠন হিসেবেও মোহামেডানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন।
১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তির ফুটবলের শুরু পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে। ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টানা খেলেছেন মোহামেডানে। ক্লাবটির কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানুয়ারিতে বাংলাদেশে যুব উৎসবে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আসন্ন যুব উৎসবে যোগদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান এবং বিশ্বজুড়ে স্বনামধন্য কয়েকটি নারী ফুটবল দলকে বাংলাদেশে আনার বিষয়ে তার সহযোগিতা চান।
জবাবে ফিফা প্রেসিডেন্ট তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং যুব উৎসবে উপস্থিত থাকার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দু’বার শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাদের টানা নৈপুণ্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার নেপালে ২০২৪ সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য দেড় কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)
শনিবার সাবিনা-তহুরাদের জন্য দেড় কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে।
তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বাফুফের নতুন কমিটির প্রথম সভা ছিল শনিবার। টানা কয়েক ঘণ্টার সভা শেষে সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু সংবাদ মাধ্যমে এমন কথা জানান।
এছাড়া সভায় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। চার বছরের জন্য গঠিত ফিন্যান্স কমিটির দায়িত্ব থাকবে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অধীনে। এছাড়া অন্য কমিটিগুলো হবে এক বছর মেয়াদি।
বাফুফের সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কমিটির পক্ষ থেকে সাফজয়ী মেয়েদেরকে দেড় কোটি টাকা বোনাস দেয়া হবে। সভায় এটাই ছিল প্রথম সিদ্ধান্ত।’
গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে আবারও সংবর্ধনা দেয়া হয় তাদের।
পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও।
আরও পড়ুন:চোটের কারণ দেখিয়ে অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফ্রান্স দলে ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। এবার নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের পঞ্চম ম্যাচে ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলকে আতিথ্য দেবে দিদিয়ের দেশমের দল। এর তিন দিন পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০২১ সালের শিরোপাজয়ীরা।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করা লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়েঁ। তবে ঘোষিত স্কোয়াডে জায়াগা হয়নি এমবাপের।
অক্টোবরে চোটের কারণ দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে থেকে যান এমবাপে। এরপর ইউরোপীয় সংবাদধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রান্স যখন নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলছে, তখন তিনি সুইডেনের একটি ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছেন। ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অধিনায়ক।
স্টকহোমের যে হোটেলে তখন তিনি ছিলেন, সে সময় সেখানে একটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। এ খবর চাউর হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পোশাকের একটি বিজ্ঞাপন থেকেও সরিয়ে দেয়। এবার রিয়ালের জার্সিতে মাঠে বেশ কিছুদিন ধরে বিবর্ণ থাকার পর ফ্রান্স দলেও ব্রাত্য হলেন এই ফরোয়ার্ড।
স্কোয়াড ঘোষণার সময় এমবাপের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশম বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এটিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।’
এমবাপেকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ফুটবলের বাইরের কোনো কারণ নেই জানিয়ে কোচ বলেন, ‘আমি কিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। সে দলে ফিরতে চায়। তবে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এটি একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত।’
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লুকা শেভালিয়েঁ (লিল), মাইক মাইনিয়ঁ (এসি মিলান) ও ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লুস (নিস), লুকা দিনিয়ে (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেও এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) ও দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতেও গেন্দুসি (লাৎসিও), এনগলো কান্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (রোমা), আদ্রিয়েন রাবিও (অলিম্পিক মার্শেই) ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বারকোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু (চেলসি), মিকেল অলিস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও মার্কাস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য