ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে রোববার। এবারের বিশ্ব আসরে ৩২টি দল ৮ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতি গ্রুপে খেলবে চারটি দল। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ২৬ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে প্রতিটি দেশ। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য দেয়া হলো ৩২টি দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড।
গ্রুপ-এ
ইকুয়েডর
গোলরক্ষক: মোয়েসেস রামিরেজ, আলেক্সান্দার ডোমিনগুয়েজ, হারনান গালিনডেজ।
ডিফেন্ডার: পিয়েরো হিনক্যাপি, রবার্ট আরবোলেডা, পারভিস এস্তুপিনান, এ্যাঞ্জেলো পেরেসিয়াডো, জ্যাকসন পোরোজো, জেভিয়ার আরেগা, ফেলিক্স তোরেস, দিয়েগো প্যালাসিওস ও উইলিয়াম পাচো।
মিডফিল্ডার: কার্লোস গ্রুয়েজো, হোসে সিফুয়েনটেস, এ্যালনা ফ্র্যাংকো, মোয়েসেস কেইসেডো, এ্যাঞ্জেল মেনা, জেরেমি সারমিনেটো, আয়ারটন প্রিসিয়াডো, সেবাস্টিয়ান মেনডেজ, গঞ্জালো প্লাটা ও রোমারিও ইবারা।
ফরোয়ার্ড: ডিওকোয়েছ রিয়াসকো, কেভিন রডরিগুয়েজ, মাইকেল এসট্রাডা ও এনার ভ্যালেন্সিয়া।
কাতার
গোলরক্ষক: সাদ আলসাহেব, মেশাল বারশাম ও ইউসুফ হাসান।
ডিফেন্ডার: পেড্রো মিগুয়েল, মুসাব খিদির, তারেক সালমান, বাসাম আল-রাউই, বুয়ালেম খুখি, আবদেলকারিম হাসান, হোমাম আহমেদ ও জাসেম গাবের।
মিডফিল্ডার: আলী আসাদ, আসিম মোদিবো, মোহাম্মদ ওয়াদ, সালেম আল-হাজরি, মোস্তফা তারেক, করিম বোদিয়াফ, আবদেলাজিজ হাতেম ও ইসমাইল মোহাম্মদ।
ফরোয়ার্ড: নায়েফ আল-হাদরামি, আহমেদ আল-ওয়াতানি, হাসান আল-হায়দোস, খালেদ মুনির, আকরাম আফিফ, আল-মৌজ আলী ও মুহাম্মদ মুনতারি।
নেদারল্যান্ডস
গোলরক্ষক: জাস্টিন বিলো, রেমকো পাসভির ও আন্দ্রিয়েস নোপার্ট।
ডিফেন্ডার: ন্যাথান আকে, ভার্জিল ফন ডিক, মাথিয়াস ডি লিট, জুরিয়েন টিম্বার, স্টিফেন ডি ভ্রিজ, ডিলে ব্লিন্ড, ডেনজেল ডামফ্রাইস, টাইরেল মালাকিয়া ও জেরেমি ফ্রিমপং।
মিডফিল্ডার: স্টিভেন বার্গুইস, ফ্রেংকি ডি জং, টিয়ান কুপমেইনার্স, ডেভি ক্লাসেন, মার্টিন ডি রুন, জাভি সিমন্স ও কেনেথ টেইলর।
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গুইন, মেমফিস ডিপে, কোডি গাকপো, ভিনসেন্ট জানসেন, লুক ডি জং, ওট ওয়েগর্স্ট ও নোয়া লাং।
সেনেগাল
গোলরক্ষক: এডুয়ার্ড মেন্ডি, আলফ্রেড গোমিস ও সেনি ডিয়েং।
ডিফেন্ডার: কালিডু কোলিবালি, আব্দু ডিয়ালো, ইউসুফ সাবালি, ফোডে বালো-টোরে, পাপে আব্দু সিসে, ইসমাইল জ্যাকবস ও ফরমোস মেন্ডি।
মিডফিল্ডার: ইদ্রিসা গুয়ে, চেইকু কুয়াতে, নামপালিস মেন্ডি, ক্রেপিন ডিয়াত্তা, পাপে গুয়ে, পাপে মাতার সার, পাথে সিস, মুস্তফা নামে ও লুম এডিয়ায়ে।
ফরোয়ার্ড: সাদিও মানে, ইসমাইলা সার, বুলয়ালে ডিয়া, বাম্বা ডিয়েং, ফামারা ডিয়েডহিউ, নিকোলাস জ্যাকসন ও ইলিমান এডিয়ায়ে।
গ্রুপ-বি
ইংল্যান্ড
গোলরক্ষক: জর্ডান পিকফোর্ড, নিক পোপ ও এ্যারন রামসডেল।
ডিফেন্ডার: হ্যারি ম্যাগুয়েরে, লুক শ, এরিক ডায়ার, জন স্টোনস, কাইল ওয়াকার, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, কনর কোডি, বেন হোয়াইট ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড।
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম, ম্যাসন মাউন্ট, ডিক্লান রাইস, জর্ডান হেন্ডারসন ও কালভিন ফিলিপস।
ফরোয়ার্ড: জেমস ম্যাডিসন, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রীলিশ, হ্যারি কেন, বুকায়ো সাকা, রাহিম স্টার্লিং, ক্যালুম উইলসন ও মার্কোস রাশফোর্ড।
যুক্তরাষ্ট্র
গোলরকক্ষক: এথান হোভার্থ, ম্যাট টার্নার ও সিন জনসন।
ডিফেন্ডার: টিম রিম, সার্জিনো ডেস্ট, এন্টোনি রবিনসন, ক্যামেরুন কার্টার-ভিকার্স, ওয়াকার জিমারমান, ডিআন্দ্রে ইয়েডলিন, শাক মুর, হো স্ক্যালি ও এ্যারন লং।
মিডফিল্ডার: ব্রেন্ডন এ্যারনসন, কেলিন এ্যাকোস্টা, টাইলার এ্যাডামস, লুকা ডি লা টোরে, ওয়েস্টন ম্যাককিনি, ইউনুস মুসা ও ক্রিস্টিয়ান রোলডান।
ফরোয়ার্ড: জেসুস ফেরেইরা, জর্ডান মোরিস, ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, গিও রেইনা, জোস সার্জেন্ট, টিমোথি ও হাজি রাইট।
ইরান
গোলরক্ষক: আলিরেজা বেইরানভান্ড, আমি আবেদজাদেহ, হোসেইন হোসেইনি ও পায়াম নিয়াজমান্ড।
ডিফেন্ডার: এহসান হাসাফি, মোর্তেজা পুরালিগাঞ্জি, রামিন রেজায়েইন, মিলাদ মোহাম্মাদী, হোসেইন কানানি, শোয়ায়ে খলিরজাদেহ, সাদেগ মোর্হারামি, রুজবেহ চেশষি, মাজিদ হোসেইনি ও আবুলফাজল জালালি।
মিডফিল্ডার: আহমাদ নুরুল্লাহি, সামান গুড্ডোস, ভাহিদ আমিরি, সাইদ এজাতোলাহি, আলিরেজা জাহানবাক্স, মেহদি তোরাবি, আলি গোলিজাদেহ ও আলি করিমি।
ফরোয়ার্ড: করিম আসনারফারদ, সর্দার আজমুন ও মেহদি তারেমি।
ওয়েলস
গোলরক্ষক: ওয়েইন হেনেসি, ড্যানি ওয়ার্ড ও এ্যাডাম ডেভিস।
ডিফেন্ডার: বেন ডেভিস, বেন কাবানগো, টম লকিয়ার, জো রোডোন, ক্রিস মেফাম, এথান আমপাডু, ক্রিস গান্টার, নিকো উইলিয়াম ও কনর রবার্টস।
মিডফিল্ডার: সোরবা থমাস, জো এ্যালেন, ম্যাথু স্মিথ, ডাইলান লেভিট, হ্যারি উইলসন, জো মোরেল, জনি উইলিয়ামস, এ্যারন রামসে ও রুবিন কলউইল।
ফরোয়ার্ড: গ্যারেথ বেল, কেইফার মুর, মার্ক হ্যারিস, ব্রেনান জসনসন ও ড্যানিযেল জেমস।
গ্রুপ-সি
আর্জেন্টাইন
গোলরক্ষক: ফ্র্যাংকো আরমানি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও জেরোনিমো রুলি।
ডিফেন্ডার: গঞ্জালো মনটিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, জারমান পেজ্জেলা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, নিকোলাস টাগলিয়াফিকো, মার্কোস এ্যাকুনা ও হুয়ান ফয়েথ।
মিডফিল্ডার: লিনড্রো পারেডেস, গুইডো রডরিগুয়েজ, এনজো ফার্নান্দেজ, রডরিগো ডি পল, এক্সেকুয়েল পালাকিওস, আলেহান্দ্রো গোমেজ ও এ্যালেক্সিস ম্যাক এ্যালিস্টার।
ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা, লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়া, নিকোলাস গঞ্জালেজ, জোয়াকুইন কোরেয়া, লটারো মার্টিনেজ ও জুলিয়ান আলভারেজ।
মেক্সিকো
গোলরক্ষক: রোডোলফো, গুইলারমো ওচোয়া ও আলফ্রেডো টালাভেরা।
ডিফেন্ডার: কেভিন আলভারেজ, নেস্তর আরাউজো, জেরার্ডো আরটিগা, জেসুস গালারডো, হেক্টর মোরেনো, সিজার মন্টেস, জর্জ সানচেজ ও ইয়োহান ভাসকুয়েজ।
মিডফিল্ডার: এডসন আলভারেজ, রবার্তো আলভার্দো, উরিয়েল আনটুনা, লুইস শাভেজ, আন্দ্রেস গুয়াডাডো, এরিক গুটিরেজ, হেক্টর হেরেরা, ওরবেলিন পিনেডা, কার্লোস রডরিগুয়েজ ও লুইস রোমো।
ফরোয়ার্ড: রোগেলিও ফুনেস মোরি, রাউল জিমিনেজ, হার্ভিং লোজানো, হেনরি মার্টিন ও এ্যালেক্সিস ভেগা।
পোল্যান্ড
গোলরক্ষক: ওজিনে সিজিসনি, লুকাজ স্কোরুপস্কি ও বারলোমি ড্রাগোভস্কি।
ডিফেন্ডার: ম্যাটি ক্যাশ, রবার্ট গামনি, রারটোজ বেরেসজিনিস্কি, কামিল গিলিক, ইয়ান বেডনারেক, জ্যাকুব কিউওর, মাতিয়াজ উইটেস্কা, আর্টার জারজিসিক ও নিকোলা জালেভস্কি।
মিডফিল্ডার: গ্রিজর্জ কিরিচুয়াক, ক্রিস্টিয়ান বিয়েলিক, ডামিয়ান সিজমানস্কি, পিওটর জিয়েলিনিস্কি, সেবাস্টিায়ান সিজিমানস্কি, সিজিমন জুরকোভস্কি, জ্যাকুব কামিনস্কি, প্রিজিমিসল ফ্রাঙ্কোভস্কি, কামিল গ্রসিকি ও মিখায়েল স্কোরাস।
ফরোয়ার্ড: রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি, কারোল সুইডারস্কি, আরকাডিয়াস মিলিক ও ক্রিজিজস্টো পিয়াটেক।
সৌদি আরব
গোলরক্ষক: মোহাম্মদ আল-ওয়েসিস, নাওয়াফ আল-আকিদি ও মোহাম্মদ আল-ইয়ামি।
ডিফেন্ডার: ইয়াসির আল-শাহরানি, আলি আল-বুলাইহি, আব্দুলেল্লাহ আল-আমরি, আব্দুল্লাহ মাদু, হাসান তামবাকতি, সুলতান আল-ঘানাম, মোহাম্মদ আল-বেরিত ও সৌদ আব্দুলহামিদ।
মিডফিল্ডার: সালমান আল-ফারাজ, রিয়াদ শারাহিলি, আলি আল-হাসান, মোহাম্মদ কানো, আব্দুলেল্লাহ আল-মালকি, সামি আল-নাজেয়ি, আব্দুল্লাহ ওতায়েফ, নাসির আল-ডসারি, আব্দুলরহমান আল-আবুদ, সারেশ আল-ডসারি ও হাত্তান বাহারবি।
ফরোয়ার্ড: হেইথাম আসিরি, সালেহ আল-শেহরি ও ফিরাস আল-বুরাইকান।
গ্রুপ-ডি
অস্ট্রেলিয়া
গোলরক্ষক: ম্যাট রায়ান, এ্যান্ড্রু রেডমায়নে ও ড্যানি ভুকোভিচ।
ডিফেন্ডার: মিলোস ডিগেনেক, আজিজ বেহিচ, জোয়েল কিং, ন্যাথ্যানিয়ের এ্যাটকিনসন, ফ্র্যান কারাসিচ, হ্যারি সুটার, কেই রোলেস, বেইলি রাইট ও থমাস ডেং।
মিডফিল্ডার: এ্যারন মুই, জ্যাকসন ইরভিন, আজডিন হ্রাস্টিক, কিনু বাক্কুস, ক্যামেরুন ডেভলিন ও রিলে ম্যাকগ্রী।
ফরোয়ার্ড: আওয়ার মাবিল, ম্যাথু লেকি, মার্টিন বোলে, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, মিচেল ডিউক, গারাং কুল ও ক্রেইগ গুডইউন।
ফ্রান্স
গোলরক্ষক: হুগো লোরিস, স্টিভ মানডানডা ও আলফোনসে আরেয়োলা।
ডিফেন্ডার: লুকাস হার্নান্দেহ, থিও হার্নান্দেজ, প্রিসনেল কিম্পেম্বে, ইব্রাহিমা কোনাটে, জুলেস কুন্ডে, বেঞ্জামিন পাভার্ড, উইলিয়াম সালিবা, রাফায়েল ভারানে ও ডায়ট উপামেকানো।
মিডফিল্ডার: এডুয়ার্ডো কামভিনগা, ইউসুফ ফোফানে, মাত্তেও গুয়েনডোজি, আদ্রিয়েন রাবোয়িত, অরেলিয়েন টিচুয়ামেনি ও জর্ডান ভেরেটুট।
ফরোয়ার্ড: কারিম বেনজেমা, কিংসলে কোম্যান, ওসমানে ডেম্বেলে, অলিভার গিরুদ, আঁতোয়া গ্রীজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে ও র্যান্ডাল কোলো মুয়ানিু।
ডেনমার্ক
গোলরক্ষক: কাসপার সিমিচেল, অলিভার ক্রিস্টেনসেন ও ফ্রেডেরিক রোনো।
ডিফেন্ডার: আলেক্সান্দার বাহ, ড্যানিয়েল ওয়াস, রাসমান নিসেন ক্রিস্টেনসেন, জেন স্ট্রাইগার লারসেন, জোয়াকিন মাহলে, আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, সাইমন কায়ের, জোয়াকিম এ্যান্ডারসেন ও ভিক্টর নেলসন।
মিডফিল্ডার: পিয়েরে-এমিলে হোবার্গ, থমাস ডিলানি, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন, মাথিয়াস জেনসেন, ক্রিস্টিয়ান নরগার্ড ও রবার্ট স্কোভ।
ফরোয়ার্ড: মিকেল ডামসগার্ড, আন্দ্রেস স্কোভ ওলসেন, জাসপার লিন্ডস্টর্ম, মার্টিন ব্রেথওয়েইট, কাসপার ডোলবার্গ, জোনাস উইন্ড, আন্দ্রেস কোরনেলিয়াস ও ইউসুফ পুলসেন।
তিউনিশিয়া
গোলরক্ষক: আয়মেন ডাহমেন, বেশির বেন সাইদ, মুয়েজ হাসেন ও আয়মেন মাথলুথি।
ডিফেন্ডার: আলি আবদি, ডাইলান ব্রন, মোহাম্মদ ড্রাগার, নাদের ঘানদ্রি, বিলের ইফা, ওয়াজদি কেচিরদা, আলি মালুল, ইয়াসিন মেরিয়াহ ও মোনতাসার তালবি।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ আলি বেন রোমধানে, ঘেলানে চালালি, আইসা লেইডুনি, হানিবাল মেজব্রি, ফেরজানি সাসি ও ইলিয়াস শাহিরি।
ফরোয়ার্ড: আনিস বেন সিলশানে, সেইফেডিন জাজিরি, ইসাম জেবালিম ওয়াহবি খাজরি, তাহা ইয়াসিন খেনিসি, ইউসুফ মাসাকনি ও নাইম সিলটি।
গ্রুপ-ই
কোস্টারিকা
গোলরক্ষক: কেইলর নাভাস, এস্তেবান আলভারাডো ও প্যাট্রিক সেকুয়েইরা।
ডিফেন্ডার: ফ্রান্সিসকো কালভো, হুয়ান পাবলো ভারগাস, কেন্ডাল ওয়াস্টন, ওস্কার ডুয়ার্তে, ড্যানিয়েল চাকোন, কেইশার ফুলার, কার্লোস মার্টিনেজ, ব্রায়ান ওভিডিও ও রোনাল্ড মাটারিটা।
মিডফিল্ডার: ইয়েলিস্টিন টাজেডা, সেলসো বোরগেস, ইউস্টিন সালাস, রোয়ার উইলসন, জারসন তোরেত, ডগলাস লোপেজ, জেইসন বেনেট্টে, আলভারো জামোরা, এন্থনি হার্নান্দেজ, ব্রেন্ডন আগুইরেলা ও ব্রায়ান রুইজ।
ফরোয়ার্ড: জোয়েল ক্যাম্পবেল, এন্থনি কানট্রেরাস ও ইয়োহান ভেনেগাস।
জার্মানি
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল নয়্যার, মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান ও কেভিন ট্র্যাপ।
ডিফেন্ডার: আর্মেল, বেলা কোচাপ, মাথিয়াস জিন্টার, ক্রিস্টিয়ান গুয়েনটার, থিলো কেহরার, লুকাস ক্লোস্টারম্যান, ডেভিড রম, এন্টোনিও রুডিগার, নিকো স্কোলোটারবাক ও নিকলাস সুলে।
মিডফিল্ডার: জুলিয়ান ব্র্যান্ডেট, সার্জি গ্যানাব্রি, লিঁও গোয়েতজা, মারিও গোটশে, ইকে গুনডোগান, জোনাস হফমান, জসুয়া কিমিচ, থমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালা ও লেরয় সানে।
ফরোয়ার্ড: কেই হাভার্টজ, নিকলাস ফুয়েলক্রুগ, কারিম আডেইয়েমি ও ইউসুফা মুকোকো।
জাপান
গোলরক্ষক: শুশি গোন্ডা, ড্যানিয়েল শিমিডিট ও এইজি কাওয়াশিমা।
ডিফেন্ডার: মিকি ইয়ামানে, হিরোকি সাকাই, মায়া ইউশিদা, তাকেইরো টোমিইয়াসু, শোগো তানিগুচি, কো ইতাকুরা, হিরোকি ইতো ও ইউতো নাগাতোম।
মিডফিল্ডার: ওয়াতারু এন্ডো, হিডেমাসা মোরিতা, আরো টানাকা, গাকু শিবাসাকি, কাউরু মিতোমা, ডাইচি কামাডা, রিটসু ডোয়ান, জুনিয়া ইতো, তাকুমি মিনামিনো, তাকেফুসা কুবো ও ইউকি সোমা।
ফরোয়ার্ড: ডেইজেন মিডা, তাকুমা আসানো, শুতো মাচিনো ও আয়াসে উয়েডা।
স্পেন
গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, রবার্ট সানচেজ ও ডেভিড রায়া।
ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জোর্দি আলবা, এরিক গার্সিয়া, অমারিক লাপোর্তে, পও তোরেস, হুগো গুইলামন, সিজার আজপিলিকুয়েটা ও ডানি কারভাহাল।
মিডফিল্ডার: রোড্রি, কোকে, মার্কোস লোরেন্টে, সার্জিও বাসকুয়েটস, গাভি, পেড্রি গঞ্জালেজ ও কার্লোস সোলার।
ফরোয়ার্ড: ডানি ওলমো, পাবলো সারাবিয়া, আলভারো মোরাতা, আনসু ফাতি, ফেরাস তোরেস, মার্কো আসেনসিও, নিকো উইলিয়ামস ও ইয়েরেমি পিনো।
গ্রুপ-এফ
বেলজিয়াম
গোলরক্ষক: থিবো কোর্তোয়া, সিমন মিগনোল্টে ও কোয়েন কাস্টিলস।
ডিফেন্ডার: টবি অল্ডারউয়েরেল্ড, ইয়ান ভারটনগেন, জেনো ডেবাস্ট, লিন্টার ডিনডনকার, ওট ফায়েস ও আর্থার থিটে।
মিডফিল্ডার: থমাস মুইনার, টিমোথি কাস্টাগনে, থ্রোগান হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, এ্যাক্সেল উইটসেল, ইউরি টিয়েলেমানস, আমাডু ওনানা, হান্স ভানাকেন ও ইয়ানিক কারাসকো।
ফরোয়ার্ড: এডেন হ্যাজার্ড, লিনড্রো ট্রোসার্ড, রোমেলু লুকাকু, মিশি বাটশুয়াই, চার্লস ডি কেটেলায়েরে, লোয়িস ওপেনডা, জারমি ডোকু ও ড্রিয়েস মার্টিনস।
কানাডা
গোলরক্ষক: জেমস পানটেমিস, মিলান বোয়ান ও ডাইনে সেন্ট ক্লেয়ার।
ডিফেন্ডার: স্যামুয়েল আডেকুজবে, জোয়ের ওয়াটারম্যান, এ্যালিস্টার জনস্টোন, রিচি লারেয়া, কামাল মিলার, স্টিভেন ভিক্টোরিয়া ও ডেরেক করনেলিয়াস।
মিডফিল্ডার: লিয়াম ফেসার, ইসমাইল কোনে, মার্ক-এ্যান্থনি কায়ে, ডেভিড উথারস্পুন, জোনাথন ওসোরিও, আটিবা হাচিনসন, স্টিফেন ইউস্টাকুইও ও স্যামুয়েল পিয়েত্তে।
ফরোয়ার্ড: টাওন বুখানান, লিয়াম মিলার, লুকাস কাভালিনি, ইকে উগবো, জুনিয়র হোইলেট, জোনাথন ডেভিড, কাইল লারিন ও আলফোনসো ডেভিস।
ক্রোয়েশিয়া
গোলরক্ষক: ডোমিনিক লিভাকোভিচ, ইভিচা ইভুসিচ ও ইভো গারবিচ।
ডিফেন্ডার: ডোমাহো ভিডা, ডিয়ান লোভরেন, বোনা বারিসিচ, জোসিপ জুরানোভিচ, জোসকো গাভারডিওল, বোনা সোসা, জোসিপ স্টানিসিচ, মার্টিন এরলিক ও জোসিপ সুটালো।
মিডফিল্ডার: লুকা মড্রিচ, মাতেও কোভাচি, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, মারিও পাসালিচ, নিকোল ভøাসিচ, লোভরো মায়ের, ক্রিস্টিয়ান জাকিচ ও লুকা সুচিচ।
ফরোয়ার্ড: ইভান পেরিসিস, আন্দ্রে ক্রামারিচ, ব্রুনো পেটকোভিচ, মিসলাভ ওরসিচ, আন্দ্রে বাডিমির ও মার্কো লিভায়া।
মরক্কো
গোলরক্ষক: ইয়াসিন বুনু, মুনির এল কাজুই ও আহমেদ টাগনাওতি।
ডিফেন্ডার: নায়েফ আগুয়ার্ড, ইয়াহিয়া আতিয়াত আল্লাহ, বাডার বেনুন, আর্চাফ ডারি, জাওয়াড এল ইয়ামিক, আর্চাফ হাকিমি, নুসাইর মাজরাউয়ি ও রোমেই সেইস
মিডফিল্ডার: সোফিয়ান আমরাবাত, সেলিম আমাল্লাহ, বিলাল এল খানুস, ইয়াহইয়া জাবরানে, আজেডিন উনাহি ও আব্দেলহামিদ সাবিরি।
ফরোয়ার্ড: জাকারিয়া আবুখালার, সোফিয়ানে বুফাল, ইলিয়স চেয়ার, ওয়ালিদ চেডিরা, ইউসেফ এন-নেসরি, আবদে এজ্জালজুলি, আবদেরাজাক হামাদ্দাল্লাহ, আমিনে হারিত ও হাকিম জিয়েচ।
গ্রুপ-জি
ব্রাজিল
গোলরক্ষক: এ্যালিসন, এডারসন ও উইভারটন।
ডিফেন্ডার: ডানি আলভেস, ডানিলো, এ্যালেক্স সান্দ্রো, এ্যালেক্স টেলাস, ব্রেমার, মারকুইনহোস, থিয়াগো সিরভা ও এডার মিলিটাও।
মিডফিল্ডার: ক্যাসেমিরো, ফ্যাবিনহো, ফ্রেড, এভারটন রিবেইরো, ব্রুনো গুইমারায়েস ও লুকাস পাকুয়েটা।
ফরোয়ার্ড: নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচারলিসন, রাফিনহা, রডরিগো, এন্টনি, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ও পেড্রো।
ক্যামেরুন
গোলরক্ষক: আন্দ্রে ওনানা, ডেভিস এপাসি ও সাইমন নাগাপানডুটেনবু।
ডিফেন্ডার: জিন-চার্লস কাস্তেলেত্তো, এনজো এবোসে, কলিন ফাই, অলিভার এমবাইজো, নুহু টোলো, নিকোলাস এনকুলু ও ক্রিস্টোফার উহ।
মিডফিল্ডার: অলিভার এনচাম, গায়েল ওনডুয়া, মার্টিন হোংলা, পিয়েওে কুন্ডে, স্যামুয়েল উম গুয়েট, আন্দ্রে-ফ্র্যাংক জাম্বো আনগুইসা ও জেরোম এনগম।
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস নাগামালেও, ক্রিস্টিয়ান বাসোগগ, ব্রায়ান এমবেমো, জর্জেস-কেভিন এনকুনডু, জিন-পিয়েরে এনসামে, ভিনসেন্ট আবুবকর, কার্ল টোকো-একাম্বি, এরিক ম্যাক্সিম ছুপো-মোটিং ও সুয়াইবু মারু।
সার্বিয়া
গোলরক্ষক: মার্কো ডিমিত্রোভিচ, প্রিড্রাগ রাজকেভিচ ও ভানয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচ।
ডিফেন্ডার: স্টিফান মিট্রোভিচ, নিকোলা মিলেকোভিড, স্ট্রাহিনজা পাভলোভিচ, মিলোস ভালকোভিচ, ফিলিপ এমলাডেনোভিচ, স্ট্রাহিনিজা এরাকোভিচ ও সারডিয়ান বাবিচ।
মিডফিল্ডার: নেমাঞ্জা গুডেল, সার্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচ, সাসা লুকিচ, মার্কো গ্রুজিচ, ফিলিপ কোস্টিচ, উরোস রাচিচ, নেমাঞ্জা মাকসিমোভিচ, ইভান ইলিচ, আন্দ্রিয়া জিভকোভিচ ও ডারকো লাজোভিচ।
ফরোয়ার্ড: ডুসান টাডিচ, আলেক্সান্দার মিট্রোভিচ, ডুসান ভøাহোভিচ, ফিলিপ ডুরিসিচ, লুকা জোভিচ ও নেমাঞ্জা রাডোনিচ।
সুইজারল্যান্ড
গোলরক্ষক: গ্রিগর কোবেল, ইয়ান সোমার, জোনাস ওমলিন ও ফিলিপ কোহন।
ডিফেন্ডার: ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, ইওে কমরেট, নিকো এলভেডি, ফাবিয়ান শার, সিলভান উইডমার, রিকার্ডো রডরিগুয়েজ ও এডিমিলসন ফার্নান্দেজ।
মিডফিল্ডার: মাইকেল আয়েবিশার, জিহার্দান শাকিরি, রেনাটো স্টিফেন, গ্রানিত জাকা, ডেনিস জাকারিয়া, ফাবিয়ান ফ্রেই, রেমো ফ্রুলার, নোয়া ওকাফোর, ফাবিয়ান রেইডার ও আরডন জাশারি।
ফরোয়ার্ড: ব্রিল এমবোলো, রুবেন ভারগাস, ডিজিব্রিল সো, হারিস সেফেরোভিচ ও ক্রিস্টিয়ান ফাসানশে।
গ্রুপ-এইচ
ঘানা
গোলরক্ষক: লরেন্স আতি, ডানলান্ড ইব্রাহিম ও মানাফ নুরুডিন।
ডিফেন্ডার: জোসেফ আইডু, ড্যানিয়েল অমার্তি, বাবা রহমান, আলেক্সান্দার ডিকু, তারিক লাম্পটে, গিডিয়ন মেনসাহ, ডেনিস ওডুই, মোহাম্মদ সালিসু ও আলিডু সেইডু।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে আইয়ু, মোহাম্মদ কুদুস, ড্যানিয়েল-কোফি কেরেহ এলিয়া ওউসু, থমাস পার্টে ও সালিস আব্দুল সামেদ।
ফরোয়ার্ড: ড্যানিয়েল আফ্রিয়ি, জর্ডান আইয়ু, ওসমান বুকারি, ইসাকু আব্দুল ফাতাউ, এন্টোনি সেমেনউ, কামাল সোয়াহ, কামালডিন সুলেমানা ও ইনাকি উইলিয়ামস।
পর্তুগাল
গোলরক্ষক: দিয়োগো কস্তা, হোসে সা ও রুই প্যাট্রিসিও।
ডিফেন্ডার: দিয়োগো ডালট, হুয়াও ক্যান্সেলো, ডানিলো পেরেইরা, পেপে, রুবেন ডিয়াস, এন্টোনিও সিলভা, নুনো মেনডেস ও রাফায়েল গুয়েরেইরো।
মিডফিল্ডার: হুয়াও পালিনহা, রুবেন নেভেস, বার্নান্ডো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, হুয়াও মারিও, ম্যাথিউস নুনেস, ভিটিনহা, উইলিয়াম কারভালহো ও ওটাভিও।
ফরোয়ার্ড: ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, হুয়াও ফেলিক্স, রাফায়েল লিয়াও, রিকার্ডো হোর্টা, গঞ্জালো রামোস ও আন্দ্রে সিলভা।
সাউথ কোরিয়া
গোলরক্ষক: কিম সেয়াং-গাইয়ু, জো হেয়ান-উ ও সং বুম-কেয়ান।
ডিফেন্ডার: কিম মিন-জায়ে, কিম ইয়ং-গুন, কুন কিয়ং-উন, চো ইউ-মিন, কিম মুন-হুয়ান, ইউন জং গাউ, কিম টায়ে-হুয়ান, কিম জিন-সু ও হং চুল।
মিডফিল্ডার: জুং উ-ইয়ং, সন জুন-হো, পাইক সেয়াং-হো, হুয়াং ইন-বেয়ম, লি হায়ে-সুং, কুন চাং-হুন, জেয়ং উ-ইয়ং, লি কাং-ইন, সন হেয়াং-মিন, হুয়াং হি-চান, না সাং-হো ও সং মিন-কু।
ফরোয়ার্ড: হুয়াং উই-জো, চো গুয়ে-সুং।
উরুগুয়ে
গোলরক্ষক: সার্জিও রোশে, ফার্নান্দো মুসলেরা ও সেবাস্টিয়ান সোসা।
ডিফেন্ডার: হোসে লুইস রডরিগুয়েজ, গুইলারমো ভারেলা, রোনাল্ড আরাউজো, হোসে মারিয়া জিমেনেজ, সেবাস্টিায়ান কোটস, দিয়েগো গোডিন, মার্টিন ক্যাসেরেস, মাটিয়াস ভিনা ও মাথিয়াস অলিভেরা।
মিডফিল্ডার: মাটিয়াস ভেসিনো, রডরিগো বেনটানকার, ফেডেরিকো ভালভার্দে, লুকাস টোরেইরা, ম্যানুয়েল উগার্টে, ফাকুন্ডো পেলিস্ট্রি, নিকোলাস ডি লা ক্রুজ, গিওর্গিয়ান ডি আরাসকায়েটা, অগাস্টিন কানোবিও ও ফাকুন্ডো তোরেস।
ফরোয়ার্ড: ডারউইন নুনেজ, লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানি ও ম্যাক্সিমালিয়ানো গোমেজ।
আরও পড়ুন:১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বায়ের লেভারকুসেন। রোববার ভার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের টানা আধিপত্য ভাঙতে সক্ষম হয়েছে শাবি আলোনসোর দল।
লিগের ২৯তম ম্যাচে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। পুরো মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা লেভারকুসেন এখন পর্যন্ত শুধু লিগে নয়, ইউরোপা লিগসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অপরাজিত রয়েছে।
ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের হ্যাটট্রিক এবং ভিক্টর বনিফেস ও গ্রানিট জাকার গোলে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এদিন লেভারনকুসেন টানা ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার গৌরব অর্জন করল।
এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ কখনও পাওয়া হয়নি লেভারকুসেনের। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সরে আসতে সমর্থ হয়েছে।
শিরোপা জয়ের আনন্দে কাল ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেই উদযাপন শুরু করে দেয় উচ্ছসিত সমর্থকরা। একে একে তারা সাইডলাইনে জড়ো হতে শুরু করেন। যদিও ম্যাচ তখনও চলছিল। লেভারকুসেনের খেলোয়াড়রা এক পর্যায়ে তাদের অনুরোধ জানায় গ্যালারিতে ফিরে যেতে। কিন্তু ৯০ মিনিটে পর পুরো স্ট্যান্ডই খালি হয়ে যায়, তখন সবাই ছিল মাঠের ভেতর। আবেগ আপ্লুত সমর্থকরা এ সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের এই বিজয় উৎসব উপভোগ করতে থাকেন।
এই জয়ে লেভারকুসেনের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯। জার্মান লিগ ইতিহাসে ২৯ ম্যাচ পর এটাই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের থেকে লেভারকুসেন ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।
ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান ভিয়ার্টস বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমি বলতে পারব না, আমরা কী করেছি। আমার এখন ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়ে শান্ত হয়ে বসতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি শুরু করে দিয়েছি।’
ম্যাচ শুরুর ৯০ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয় লেভারকুসেনের বাস। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ঘরের মাঠ বে আরেনাতে কাল পুরোটা সময়জুড়েই ছিল লাল-কালো জার্সিধারীদের আধিপত্য।
কোচ শাবি আলোনসোর সম্মানে শহরের বিমসার্ক স্ট্রিটটি সমর্থকরা সাময়িকভাবে ‘শাবি আলোনসো স্ট্রিট’ নামে আখ্যায়িত করে।
শিরোপা জয় নিশ্চিত হবার পর আলোনসোর এখন মূল লক্ষ্য বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লন্ডনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষেও ম্যাচটি। ওই ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মূল একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনেছিলেন আলোনসো। এ কারণে বদলি বেঞ্চে ছিলেন ভিয়ার্টস, জেরেমি ফ্রিমপং ও আলেক্স গ্রিমালদো। এদের মধ্যে মৌসুমে এই প্রথম ম্যাচ শুরু করার সুযোগ পাননি গ্রিমালদো। তার পরিবর্তে মাঠে নামা পিয়েরো হিনকেপি শুরুতেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
এদিন ব্রেমেন ডিফেন্ডার হুলিয়ান মালাতিনির বিপক্ষে ইয়োনাস হফমানের আদায় করা পেনাল্টি থেকে লেভারকুসেনকে এগিয়ে দেন বনিফেস। রেফারি সরাসরি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর পরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হতে হয়। বিরতির ঠিক আগে হফম্যান আবারও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার পাস থেকে আমিন আদলির শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলা শুরু করে ব্রেমেন, কিন্তু ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বনিফেসের পাস থেকে শক্তিশালী শটে জাকা ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ব্রেমেনর সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
আদলির পরিবর্তে মাঠে নামা ভিয়ার্টস আট মিনিট পর জাকার মতো প্রায় একইভাবে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে ভিয়ার্টস তার দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৯০তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২০ বছর বয়সী এ জার্মান ফুটবলার। শেষপর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে লেভারকুসেন।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে বড় চমক। লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ নয়, বায়ের লেভারকুজেনেই থেকে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাবি আলোনসো।
ট্রান্সফার মার্কেট গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগেই লেভারকুজেনের খেলোয়াড়দের শাবি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এ ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন।
ওই পোস্টে রোমানো লেখেন, শিষ্যদের তিনি (শাবি) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো বলেন, ‘লেভারকুজেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। সেখানে আমি তাদের জানিয়েছি, আগামী মৌসুমে আমি এখানেই নিজের কাজ চালিয়ে যাব।
‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, আমার জন্য বর্তমানে এটিই (লেভারকুজেন) সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা।’
এ স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ক্লাবকে আমি সাহায্য করতে চাই, খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে চাই। আমাদের ভক্তরা, (লেভারকুজেন) বোর্ডও অসাধারণ… এখানকার সবকিছুই চমৎকার।
‘ম্যানেজার হিসেবে আমি এখনও অনেক ছোট। তাই মনে করি, নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে এটিই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আমি এ কথাগুলো বলার আগে যথেষ্ট সময় নিয়েছি এবং এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, শিষ্যদের আমি ইতোমধ্যে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’
এ সময় লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ সম্পর্কে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নটি তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তারা (লিভারপুল ও বায়ার্ন) অবশ্যই অনেক বড় ক্লাব এবং দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমি যেখানে থাকতে চাই, সে জায়গাটিই এখন বেছে নিয়েছি।
‘নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার সময় এখনই নয় বলে মনে করছি। বায়ের লেভারকুজেনে আমি নিজেকে আরও উন্নীত করতে চাই।’
চলতি মৌসুমে লেভারকুজেনের খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকদের রূপকথার গালিচায় চড়িয়ে নিয়ে চলেছেন শাবি আলোনসো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শুধু তার দলই এখনও সব প্রতিযোগিতায় অপরাজিত।
বুন্দেসলিগায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একপ্রকার অজেয় বায়ার্ন মিউনিখকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তার শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলেও বেশ বড় ব্যবধানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বায়ার্নের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। দুই দলেরই হাতে রয়েছে কেবল আটটি করে ম্যাচ।
অনেক ফুটবলবোদ্ধার মতো বায়ার্নের সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামও মনে করেন, এবার লিগ শিরোপা লেভারকুজেনের ঘরেই যাচ্ছে। আর তা হলে ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জয়ের স্বাদ দিতে চলেছেন আলোনসো।
শুধু তা-ই নয়, শীর্ষ চারে থাকায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লেভারকুজেন।
গত ২৬ জানুয়ারি চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুলের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ক্লপের এমন ঘোষণায় লিভারপুল সমর্থকরা চমকে গেলেও তখন থেকে ইংলিশ ক্লাবটির পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় শুরু হয় জোর আলোচনা।
এক্ষেত্রে আলোনসোর নামটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে। আলোনসোর খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুর দিকে অল রেডদের জার্সি পরে খেলার কারণে তার প্রার্থিতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।
লিভারপুলের পরবর্তী কোচ হিসেবে আলোনসোকে দেখতে চেয়েছিলেন খোদ ক্লপও।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের ক্লপ বলেছিলেন, ‘সে (শাবি) বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল। কোচিং পরিবার থেকে আসায় এ কাজেও সে ভালো মনোবল পায়।
‘খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সে কোচের মতো ছিল। (লেভারকুসেনকে) যে ফুটবল সে খেলাচ্ছে, যেভাবে খেলোয়াড় এনে দল সাজিয়েছে- এককথায় অনবদ্য।’
লিভারপুলের পরবর্তী কোচ সম্পর্কে ক্লপ বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে আরও আট সপ্তাহ আগেও এই প্রশ্নটি করতে, তাহলেও আমি একই কথা বলতাম। ওর জন্য আমি যেকোনো মুহূর্তে স্থান ছেড়ে দিতে পারি।’
অন্যদিকে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে টিকে থাকা সত্ত্বেও গত বছরের মার্চে কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানকে ছাঁটাই করে বায়ার্ন মিউনিখ। দল জয় পেলেও ‘পারফরম্যান্স ভালো নয়’ অজুহাতে তাকে সরিয়ে ডর্টমুন্ড ও চেলসির সাবেক কোচ টমাস টুখেলকে দায়িত্ব দেয় ক্লাবটি।
তবে টুখেলের কোচিংয়েও সন্তুষ্ট নয় বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। এমনকি চলতি মৌসুম শেষে তার সঙ্গে ক্লাবটির সম্পর্কচ্ছেদের কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। ফলে নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে তারাও।
এদিকে বায়ার্নে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ করা আলোনসো যেভাবে লেভারকুজেনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার নামটি বায়ার্নেরও পরবর্তী কোচ হওয়ার তালিকায় উপরের দিকে স্থান পায়।
এসব বিষয় নিয়ে এতদিন টুঁ-শব্দ করেননি শাবি। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, লেভারকুজেন থেকে সরছেন না লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে মাঝমাঠ সামলানো সাবেক এ তারকা ফুটবলার।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ।
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানায় বিবিসি।
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার নিজ শহর সান্তোসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়।
ব্রাজিলের একটি আদালত বুধবার তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত রবিনহোর শাস্তি বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিদেশে অপরাধ সংঘটিত করে কোনো নাগরিক দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল সরকার। রায়ের আগেই রবিনহো ইতালি ছাড়ায় ব্রাজিলেই শাস্তি কার্যকরের অনুরোধ জানায় দেশটির আদালত।
ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার দ্বারা গৃহীত এ পদক্ষেপ স্থানীয় মিডিয়াতে অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, রবিনহো তার খ্যাতি এবং সম্পদের কারণে ন্যায়বিচার এড়িয়ে যাবেন।
তবে ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছর কাটানো এ ফুটবলার বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাইট ক্লাবের ঘটনাটি ওই নারীর ‘সম্মতিতে’ হয়েছিল।
আরও পড়ুন:মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রাজিয়া। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পর সাতক্ষীরায় মারা গেছেন এই রাইট উইঙ্গার।
রাজিয়া সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নূর আলী সরদারের মেয়ে।
জাতীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাজিয়া। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলেন তিনি। ভুটানে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন রাজিয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে জাতীয় দলে সাবিনা খাতুনদের সঙ্গেও খেলেছেন তিনি।
নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টিং ও এএফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জার্সিতে।
তার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে চাকরি করি। ইফতারির সময় বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোনটা ওর ছোট ভাই রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছি। কেউ আমাকে জানায়নি যে ওর পেইন (প্রসব ব্যথা) উঠেছে। আসলে ওর প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে গত রাত ১১টার দিকে জানায়, ছেলে ও মা সুস্থ আছে। কিন্তু পরে ওর প্রচুর রক্ত ঝরেছে। অচেতন হয়ে ছিল অনেক সময়। ভোর বেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আমি সিজার করাতে বলেছিলাম, কিন্তু ওরা শোনেনি।’
ইয়াম নিজেও ফুটবলার ছিলেন। খেলেছেন বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-১৮, সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন। ভালোবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজিয়াকে।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে টানা জয়ের পর শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারান প্রীতিরা।
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।
এর আগে ৮ মার্চ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দল সেদিন ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।
টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সাইফুল বারী টিটুর দল খেলার ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এরপর একে একে ৬টি গোল। সুরভী আকন্দ পেয়েছেন জোড়া গোল। বাকি ৪টি গোল করেছেন ফাতেমা, ক্রানুচিং, সাথী মানদা ও থুইনুই মারমার।
আগামী রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন প্রীতিরা।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের নারীরা।
শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সংঘবদ্ধ এক আক্রমণের প্রদর্শনীতে প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোল পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে থ্রু বল ঠেলে দেন প্রতিপক্ষের গোল বক্সের ভেতর। নেপালের গোলরক্ষক গোল বাঁচাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি দ্রুতগতিতে বক্সে প্রবেশ করে প্লেসিংয়ে গোল করেন।
৫ মিনিট পর গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রীতি নিজেই। বক্সের বাম দিকে দিয়ে আক্রমণে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়ার আলফি। গোলরক্ষক তাকে থামাতে গিয়ে গিয়ে ফেলে দেন মাটিতে। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন প্রীতি। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর স্বাগতিক নেপাল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেদ করেতে পারেনি। বারবার তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় আরিফার করা ক্রসে সুরভী প্রীতির প্লেসিং করা বল ফিরে আসে জালের পাশে লেগে। এরপর নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলায় গোল পায়নি আর কোনো দল।
এবারের সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।
মন্তব্য