দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিল ও ট্রেন্ট বোল্টকে বাদ দিয়েই ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। শুক্রবার সফরকারী ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল।
দুই ফরম্যাটের দলে রাখা হয়েছে হার্ড-হিটার ওপেনার ফিন অ্যালেনকে। গাপটিলের জায়গায় এসেছেন অ্যালেন। বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ১৯ গড় ও ১৮৬ স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান করেছেন অ্যালেন।
প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে খেলবেন অ্যালেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত ৮টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই বছরের শুরুতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অ্যালেন। ২৩ টি-টোয়েন্টিতে ৫৬৪ রান করেন তিনি। ৮ ওয়ানডেতে ৩০৮ রান আছে তার।
বোল্ট বাদ পড়ায় ২০১৭ সালের পর আবারও ওয়ানডে দলে ফিরেছেন অ্যাডাম মিলনে। এই বছরের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বোল্ট। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন স্টার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ২৬ রানে যখন দুই ওপেনার ফিরে গেলেন, তখন আরও একটি হতাশাজনক ম্যাচের ইঙ্গিত পেয়ে স্টেডিয়াম, টিভি-মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু এরপরই পাল্টে দেল পট; এখান থেকে দলকে টেনে তুলে ফিরে আসার পুরনো গল্পকে নতুন করে লিখলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। পরে মুমিনুল ফিরে গেলেও শান্তর কাঁধে আস্থার হাত রাখলেন মুশফিক। আর এদের কীর্তিতে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পর ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রানে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। আজ প্রথম সেশনে কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ধৈর্য পরীক্ষার পর ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ হয় তাদের। এতে মাত্র সাত রানের লিড পায় কিউইরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলেন শান্ত ও মুমিনুল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪০ রান করে মুমিনুল যখন ফিরে যাচ্ছেন, তার মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপর মুশফিক আসলে ফের আরেকটি বড় জুটির দিকে এগাতে থাকে বাংলাদেশ। এই জুটি পরে আর ভাঙতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ফলে স্কোরবোর্ডে ৯৬ রান যোগ করে দিন শেষে মাঠ ছাড়েন শান্ত ও মুশফিক।
মুশফিক ৭১ বল মোকাবিলা করে ৪৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যপ্রান্তে বিরল এক কীর্তি ঘটিয়েছেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম লেখালেন।
তৃতীয় দিন শেষে ১০৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন শান্ত। ২০৫ রানের লিডকে আরও বড় আকার দিতে টাইগারদের ঝুলিতে রয়েছে আরও সাত অস্ত্র। চতুর্থ দিন কতটা এগিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চূড়ান্ত লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ, সেটি এখন দেখার বিষয়।
৩১৭ রানে সিলেট টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে নিউজিল্যান্ডের লিড ৭ রানের লিড। মুমিনুল হক ৩ উইকেট নেন, যার মধ্যে ২টি তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে নেয়া হয়।
দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। খবর ইউএনবির
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে সেঞ্চুরি করে ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন কেন উইলিয়ামসন। ড্যারিল মিচেল ৪১ ও গ্লেন ফিলিপস ৪২ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যিনি পঞ্চাশ রান অতিক্রম করেন।
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা আশাব্যঞ্জক শুরু করলেও তাদের ইনিংসকে কাজে লাগাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ফিলিপস বল হাতে অপ্রত্যাশিত নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন এবং তার দ্বিতীয় টেস্টে চার উইকেট নেন।
এই সিরিজটি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, যা টাইগারদের জন্য এই ইভেন্টের প্রথম হোম সিরিজ।
আরও পড়ুন:সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে ৮৫ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১০ রান করেছিল বাংলাদেশ। বুধবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে বাংলাদেশের শেষ উইকেটের পতন হয়। খবর বাসসের
আগের দিন ১৩ রানে অপরাজিত থাকা শরিফুল ইসলামকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক পেসার টিম সাউদি। ৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
বাংলাাদেশের পক্ষে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-মোমিনুল হক ৩৭ রান করে, নুরুল হাসান ২৯, অভিষেক হওয়া শাহাদাত হোসেন ২৪ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন। কাইল জেমিসন-আজাজ প্যাটেল ২টি করে এবং ইশ সোধি-সাউদি ১টি করে উইকেট নেন।
সিলেটের উইকেটে স্পিনাররা যে বাড়তি সুবিধা পাবেন- এটা অনুমিতই ছিল। হয়েছেও সেটি। ৯ উইকেট হারানোর দিন সাতটি উইকেটই গিয়েছে কিউই স্পিনারদের পকেটে। শুরুতে জয়, মুমিনুল শান্তদের ব্যাটে দৃঢ়তার আভাস দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কেবল মিইয়ে গিয়েছে। প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১০ রান তুলেছে শান্তর দল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে টিম সাউদিকে চার মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে পরের ওভারেই বিপদের সম্ভাবনা জেগেছিল। কাইল জেমিসনের মিডল স্টাম্পে করা ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন জাকির হাসান। বল প্যাডে লাগলেও আম্পায়ার নিউজিল্যান্ডের আবেদনে সাড়া দেননি। কিউেইরা রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় বল জাকিরের প্যাডে লাগার লাগে তার ব্যাট ছুঁয়েছে। ফলে রিভিউ হারিয়ে দিনের শুরু করতে হয় কিউইদের।
এরপর গুছিয়ে খেলতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। তাদের ব্যাটেই প্রথম দশ ওভার পার করে বাংলাদেশ। শুরুতে পেসাররা সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হলে পরে স্পিনার এইজাজ প্যাটেলের হাতে বল তুলে দেন টিম সাউদি। সাফল্য পেতে খুব বেশি সময় নেননি প্যাটেল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি।
বাঁহাতি এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের ইন সুইঙ্গার ডেলিভারিটি জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন জাকির। কিন্তু ব্যাটে বলের সংযোগ না ঘটায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। জাকির ৪১ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে এসে কিছুটা আক্রমণাত্বক খেলা শুরু করেন শান্ত। কিন্তু ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে গিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ইনিংস শুরু করা শান্ত বিদায় নেন ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই। ৩৫ বলে ৩৭ রান করে শান্ত যখন ফিরছেন, তখন দলীয় সংগ্রহ দুই উইকেটে ৯২ রান।
এরপর ফের টেস্টের মেজাজ ফিরিয়ে আনেন মুমিনুল ও জয়। এর মাঝে ৯৩ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। এ দুজনের ব্যাটে জমে ওঠে বাংলাদেশের ইনিংস। কিন্তু ত্রিশের কোটায় নিজের রান তোলার পর ফিরে যান মুমিনুলও। গ্লেন ফিলিপসের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি। তিনি ৩৭ রান করে ফিরলে পরের ওভারে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা জয়কে বিদায় করেন ইশ সোধি। ৮৬ রানে জয় ফেরার পর চার উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এরপর ইনিংসের রাশ ধরার কথা থাকলেও তা পারেননি মুশফিক, শাহাদাৎ, মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে তারা একে করে এসেছেন, আবার ফিরে গেছেন। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে নামা উইকেটরক্ষক সোহানও দেখিয়েছেন একই দৃশ্য।
পরে তাইজুল-শরীফুলের ব্যাটে শেষ বিকেলে ফের একবার জমে ওঠে ম্যাচ। প্রথম দিনই বাংলাদেশকে অল আউট করতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ উইকেট। তবে তাদের হতাশ করেছেন শেষের এ দুই ব্যাটার।
আলোকস্বল্পতার কারণে ৫ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন ফিলিপস চারটি, জেমিসন ও প্যাটেল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। তাইজুল ৮ ও শরীফুল ১৩ রানে অপরাজিত থেকে বিশ্রামে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)
বাংলাদেশ: ৩১০/৯ (৮৫ ওভার) (জয় ৮৬, জাকির ১২, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ১২, মিরাজ ২০, দিপু ২৪, সোহান ২৯; ফিলিপস ৪/৫৩)
আরও পড়ুন:সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের।
সিরিজের প্রথম টেস্টে এক পেসার, তিন স্পিনার ও আট ব্যাটার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। একাদশে একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম এবং তিন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান। খবর বাসসের
এ ম্যাচে বাংলাদেশের ১০২তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয়েছে ডান-হাতি ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপুর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২২ ম্যাচের ৪০ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ১১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৩৮৩ রান করেছেন ২১ বছর বয়সী শাহাদাত।
এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৭বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ১টিতে, নিউজিল্যান্ডের জয় ১৩টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: টিম সাউদি (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে, টম লাথাম, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, কাইল জেমিসন, ইশ সোধি ও আজাজ প্যাটেল।
আরও পড়ুন:ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমান গিলের সঙ্গে এক্সে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হওয়া ছবিটি বাস্তব নয় জানিয়ে শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারাহ টেন্ডুলকার দাবি করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে তাকে হেয় করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে।
নিজের ভেরিফাইড ইন্সট্রগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেয়া এক বার্তায় তিনি এ দাবি করেন। পাশাপাশি তার কোনো এক্স অ্যাকাউন্ট নেই বলেও স্পষ্ট করেছেন সারাহ।
তিনি লিখেছেনন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের আনন্দ, দুঃখ ও প্রতিদিনকার ঘটনা শেয়ার করার চমৎকার একটি প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু প্রযুক্তির অপব্যবহারে এটি মানুষকে সত্য থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি এক্সে আমার কিছু মিথ্যা ছবি দেখলাম, যা আমার ভক্ত ও অন্য মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য বানানো হয়েছে। এক্সে আমার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।’
বিনোদনের উদ্দেশ্য কাউকে ছোট করা নয় জানিয়ে তিনি এক্স কর্তৃপক্ষের কাছে এসব ছবি তৈরিতে জড়িত অ্যাকাউন্ট বন্ধের দাবি জানান।
শচীনকন্যা সারা ও ক্রিকেটার শুভমান গিলের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। শচীন কন্যার আগেও ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল, রাশমিকাসহ অনেক অভিনেত্রী এই ডিপফেইক ছবির বিষয়ে জানিয়েছেন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের শুরু থেকে দাপুটে খেলেও শিরোপা নিজেদের করতে পারেনি স্বাগতিক ভারত। আসরজুড়ে ঘরের মাঠে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন দলটির অনেক ক্রিকেটার। এর বাইরে এবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ‘চোকার্স’ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের কিছু খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সও ছিল দেখার মতো।
বিশ্বকাপের এ আসরের সেসব খেলোয়াড়ের অর্জন এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে দ্য গার্ডিয়ান।
রোহিত শর্মা (ভারত): বিশ্বকাপের সদ্যসমাপ্ত আসরটি রোহিত শর্মার জন্য ছিল ব্যক্তিগত অর্জনের বড় উপলক্ষ। এ আসরে ৫৪ দশমিক ২৭ গড়ে ৫৯৭ রান করেন তিনি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল রোহিতের। তার স্ট্রাইক রেট ১২৫। আর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান।
কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা): দল চূড়ান্ত কোনো সাফল্য না পেলেও বিশ্বকাপের এবারের আসরটি কুইন্টন ডি ককের জন্য ছিল অর্জনের। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার ৫৯৪ রান করেন ৫৯ দশমিক চার গড়ে। চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৭। বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৪ করা দক্ষিণ আফ্রিকার এ উইকেটরক্ষক ১৯টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি করেন একটি স্টাম্পিং।
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড): বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল নিউজিল্যান্ডের এ ব্যাটার দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টে ৬৪ দশমিক ২২ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৭৮ রান। কিউই এ ব্যাটার তিনটি শতকের পাশাপাশি দুটি অর্ধশতক করেন, যার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৬। তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ অপরাজিত ১২৩ রান।
বিরাট কোহলি (ভারত): দলের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ভুল করেননি। তিনি ৯৫ দশমিক ছয় গড়ে আসরের সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান করেন। টুর্নামেন্টে তিনটি শতকের পাশাপাশি ছয়টি অর্ধশতক ছিল তার। সর্বোচ্চ ১১৭ রান করা এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ৯০ দশমিক ৩১।
ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ড): টু্র্নামেন্টে দুইটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ কিউই ব্যাটার ৬৯ দশমিক দুই গড়ে রান করেন ৫৫২। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১১১। তিনি সর্বোচ্চ রান করেন ১৩৪।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া): বিশ্বকাপজয়ী দলের এ অলরাউন্ডার এ আসরে ৬৬ দশমিক ছয় গড়ে ৪০০ রান করেন। দুটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০ দশমিক ৩৭। তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ২০১। এর বাইরে ছয়টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ শামি (ভারত): টুর্নামেন্টে ২৪টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ভারতের এ পেসার। তার ইকোনমি ছিল পাঁচ দশমিক ২৬। এক ম্যাচে ৫৭ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেয়াটা ছিল টু্র্নামেন্টে তার সেরা বোলিং ফিগার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য