× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Police at Safjayi Ankhis house
google_news print-icon

সাফজয়ী আঁখির বাড়িতে পুলিশ

সাফজয়ী-আঁখির-বাড়িতে-পুলিশ
মা-বাবার সঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ছবি: নিউজবাংলা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের ডিফেন্ডার আঁখি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানা থেকে এসআই মামুন আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাবাকে আদালতের একটি কাগজে সই করতে বলে। আমার বাবা সেই কাগজে সই করেননি। তাই আমার বাবাকে এসআই মামুন থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয় এবং গালাগাল করে। পরে বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান।’

নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নারী ফুটবল দল দেশে ফেরে বুধবার দুপুরে। বিমানবন্দরে নামার পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালোবাসা, শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ফুটবলাররা। এমন দিন শেষে সন্ধ্যায় আদালতের নথি নিয়ে পুলিশ গেছে নারী দলের অন্যতম ফুটবলার আঁখি খাতুনের সিরাজগঞ্জের বাড়িতে।

কী বলছেন আঁখি ও তার বাবা

এ বিষয়ে ডিফেন্ডার আঁখি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানা থেকে এসআই মামুন আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাবাকে আদালতের একটি কাগজে সই করতে বলে। আমার বাবা সেই কাগজে সই করেননি। তাই আমার বাবাকে এসআই মামুন থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয় এবং গালাগাল করে।

‘পরে বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এসআই নাকি বলেছে, আমি বাড়ি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকে। আসলে গতকাল এমন এক আনন্দঘন মুহূর্তে এমন সংবাদে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।’

আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় থানা থেকে এসআই মামুন সাহেব এসে আমাকে একটা কাগজ দিয়ে বলে, ‘আঁখি তো বাড়িতে নেই। তার পরিবর্তে আপনি এই কাগজে সই দেন।’ আমি বলি কেন সই দেব? আমি তো বাদী বা আসামি কোনোটাই না। আমি পুলিশকে বলেছি, আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।

“তখন আমাকে কটূক্তি করেছে, আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে। আসলে এই জায়গা তো আমাদের সরকার দিয়েছে। কোনো মামলা বা অভিযোগ হলে সরকারের নামে হবে। আমাদের নামে কেন আদালত সমন পাঠাবে?”

পুলিশ ও ইউএনওর ভাষ্য

শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আসলে গতকালের যে ঘটনাটা আপনারা বলছেন, তা সত্য না। আঁখির নামে শাহজাদপুরের দাবারিয়ায় একটি জায়গা আছে। সেই জায়গা নিয়ে মোকাররম হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে অভিযোগ করে।

‘সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত শান্তির লক্ষ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে একটি নোটিশ প্রেরণ করে। আমি বিজ্ঞ আদালতের সেই কাগজটিতে একটি স্বাক্ষর দিতে বলি, কিন্তু আঁখির বাবা সেই স্বাক্ষর দিতে রাজি না হলে আমি থানায় চলে আসি। আমি তাকে কোনো প্রকার হুমকি-ধমকি দিইনি বা থানায়ও নিয়ে আসতে চাইনি।’

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে গতকালের ঘটনাটা একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে রাতেই আমি মিষ্টি নিয়ে ও আমার এসআইকে সঙ্গে নিয়ে আঁখিদের বাড়িতে যাই এবং এই ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনাটা মিউচ্যুয়াল করে দিই।

‘আসলে আদালতের সমন এলে আমাদের সেই কাজ করতে হয়। বিষয়টি তেমন কিছু না।’

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের (নারী দলের ফুটবলার) ঘিরে যখন গোটা দেশ মেতেছে উৎসবে, তখন এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিতই বটে, তবে আমি রাতে শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওসি সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে আঁখিদের বাড়িতে যাই। আঁখির বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলি। আর আঁখিকে যে জায়গা দেয়া হয়েছে, সেটা সরকারের একটা নিষ্কণ্টক জায়গা।

‘এখানে কোনো সমস্যা নেই, তবে এক ব্যক্তি যে অভিযোগ দিয়েছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখব। সেই সঙ্গে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব। আঁখির এই জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’

আরও পড়ুন:
খোলা ছাদের বাসে মাথায় আঘাত ঋতুপর্ণার
যত পুরস্কার সাবিনা-কৃষ্ণাদের
সেরা গোলকিপার রূপনাকে বাড়ি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এ জয় বাংলাদেশের সবার: সাবিনা
চ্যাম্পিয়নদের নগর শোভাযাত্রা শেষ হলো বাফুফেতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Five passengers were detained at Shahjalal Airport along with 7 kg of gold

শাহজালাল বিমানবন্দরে ৭ কেজি স্বর্ণসহ পাঁচ যাত্রী আটক

শাহজালাল বিমানবন্দরে ৭ কেজি স্বর্ণসহ পাঁচ যাত্রী আটক ছবি: সংগৃহীত।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার গভীর রাতে মালয়েশিয়া থেকে আসা দুটি ফ্লাইটের পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে লুকানো সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করে কাস্টমস, যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা দুটি ফ্লাইটের পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে লুকানো সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ। জব্দ করা স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

সোমবার রাতে এই পরিমাণ স্বর্ণসহ তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- রুবেল হোসেন, দুলাল আহম্মেদ, সামিউল ইসলাম, সবুজ আলী ও সাগর মিয়া।

বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. আল আমিন মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া থেকে আসা এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট সোমবার রাত আড়াইটায় বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাটিক এয়ারের একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউজের প্রিভেন্টিভ দল দুটি ফ্লাইটের পাঁচ সন্দেহভাজন যাত্রীর সঙ্গে আনা কম্বলে প্যাঁচানো অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ওয়েল্ডিং মেশিন চিহ্নিত করে স্ক্যান করে। এ সময় প্রতিটি ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে মোট পাঁচটি স্বর্ণের চাকতি, দুটি স্বর্ণেরর টুকরো ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জব্দ স্বর্ণের মোট ওজন প্রায় সাত কেজি এবং বাজার মূল্য সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলো স্বর্ণ বলে নিশ্চিত হলে জব্দ করা হয়। আটক যাত্রীদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা স্বর্ণের উৎস শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

খেলা
25 injured including 11 gunshots in Dirai

দিরাইয়ে বন্দুকযুদ্ধ, ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫

দিরাইয়ে বন্দুকযুদ্ধ, ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫ গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি শুনেছি সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে গ্রামে অভিযান চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ মুহিবুর রহমান চৌধুরী, আঞ্জু চৌধুরী, সোহেল চৌধুরী, জুয়েল চৌধুরী, আকমল চৌধুরী, কনর চৌধুরী, শুভ চৌধুরী, ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী, জাবেদ চৌধুরী, তাসিম চৌধুরী, রাবেল চৌধুরী, জুবেদ চৌধুরী ও মুর্শেদ চৌধুরীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাড়ইল গ্রামে আনু মিয়া চৌধুরী ও নানু মিয়া চৌধুরীর সঙ্গে একই গ্রামের জসীম উদ্দিন চৌধুরী ও সুমন চৌধুরীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমাও দায়ের করেছে।

আনু চৌধুরীর করা একটি মামলায় মঙ্গলবার সকালে তদন্তে যায় দিরাই থানা পুলিশ। তদন্ত শেষ করে পুলিশ গ্রাম থেকে ফেরার পর উভয় পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রশান্ত দাস গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন।

ডা. প্রশান্ত সাগর দাস বলেন, আহতদের শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি শুনেছি সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে গ্রামে অভিযান চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

মন্তব্য

খেলা
Two students imprisoned in terrorism case got bail under the management of Khoobi

খুবির উদ্যোগ, জামিন পেলেন জঙ্গি মামলায় কারাবন্দি দুই শিক্ষার্থী

খুবির উদ্যোগ, জামিন পেলেন জঙ্গি মামলায় কারাবন্দি দুই শিক্ষার্থী প্রিজন ভ্যানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক ও মোজাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ইতোমধ্যে ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মোট পাঁচ মামলার মধ্যে দুটিতে জামিন মিলেছে। তবে এখনই মুক্তি মিলছে না তাদের। অন্যান্য মামলা থেকে জামিন পেলেই তারা কারামুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে করা মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর ৩০ বছরের সাজা হয়েছিল। তবে ছাত-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার পর কারা অভ্যন্তরে তারা অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে আইনি সহায়তা দেয়া শুরু করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতোমধ্যে ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মোট পাঁচ মামলার মধ্যে দুটিতে জামিন মিলেছে। তবে এখনই মুক্তি মিলছে না তাদের। অন্যান্য মামলা থেকে জামিন পেলেই তারা কারামুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

খুলনার মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার গত রোববার ওই দুই শিক্ষার্থীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বেগম আক্তার জাহান (রুকু)। মামলাটি পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেল।

চার বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি ওই দু’জন হলেন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ’১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ’১৭ ব্যাচের মো. মোজাহিদুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী থানা কৃষক লীগ কার্যালয় ও ৫ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার গাড়ি রাখার গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এই দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে সোনাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরও দুটি মামলা করা হয়। একই সময়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়।

মামলাগুলোর মধ্যে তাদের দু’জনকে সোনাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপর মামলায় তাদের দুজনের ১০ বছরের সাজা হয়েছে।

এছাড়া খুলনার খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানা এবং ময়মনসিংহ জেলায় তাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে, যেগুলো আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানার মামলা দুটিতে তারা জামিন পেয়েছেন।

কারাবন্দী দুই শিক্ষার্থীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে দীর্ঘ ১৭ দিন বগুড়া ডিবি হেফাজতে নিয়ে গুম করে নির্যাতন করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে।

তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিগত সরকারের দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জনমত গড়ে তোলার কারণে এ প্রহসনের মামলার শিকার হয়েছেন। তারা এখন মুক্তি চান। মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তারা কারা অভ্যন্তরে অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জানান, তাদের অনশনের বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে কারাবন্দি দুই শিক্ষার্থীর জামিনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল সেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা পরিচালনার জন্য সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেগম আক্তার জাহানকে নিযুক্ত করা হয়।

আইনজীবী গত ১ ডিসেম্বর জামিন শুনানিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দুই শিক্ষার্থীর বর্তমান শারীরিক অসুস্থতার বিষয় তুলে ধরেন। পরে সার্বিক দিক বিবেচনা করে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।

মন্তব্য

খেলা
The commission has asked for opinions and proposals by December 7
বিচার বিভাগ সংস্কার

৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছে কমিশন

৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছে কমিশন
বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে কারও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তার সফট কপি কমিশনের ই-মেইলে ([email protected]:,[email protected]) এবং মুদ্রিত কপি কমিশনের ঠিকানায় (বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১৫ কলেজ রোড, ঢাকা-১০০০) পাঠানো যাবে।’

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আগামী ৭ ডিসেম্বরে মধ্যে অংশীজনদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট মতামত ও প্রস্তাব চেয়েছে।

কমিশনের সচিব মোহাম্মদ ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের জন্য কমিশন একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা: www.jrc.gov.bd

ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শ্রেণীর জনগোষ্ঠী, অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পৃথক প্রশ্নমালা সন্নিবেশিত হয়েছে।

সাধারণ জনসাধারণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

এছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে কারও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে। প্রস্তাবের সফট কপি কমিশনের ই-মেইলে ([email protected]:,[email protected]) এবং প্রস্তাবের মুদ্রিত কপি কমিশনের ঠিকানায় (বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ১৫ কলেজ রোড, ঢাকা-১০০০) পাঠানো যাবে।’

আরও পড়ুন:
সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দ বাদের সুপারিশ যাচ্ছে
৫ সংস্কার কমিশনপ্রধানের মর্যাদা-সুবিধা, সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ
সংবিধান সংস্কারে আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী জরিপ শুরু: আলী রীয়াজ
মতামত গ্রহণে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট চালু
সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ কমিশনকে একগুচ্ছ পরামর্শ সুধীজনদের

মন্তব্য

খেলা
The Law Ministry has asked for information on harassment cases during the A League period

আ.লীগ আমলের হয়রানিমূলক মামলার তথ্য চেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

আ.লীগ আমলের হয়রানিমূলক মামলার তথ্য চেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনীতিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে সরকারি কৌঁসুলিদের। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে সলিসিটর বরাবর ওই মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা গায়েবি মামলার তথ্য চেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

উপ-সলিসিটর জানান, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনীতিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে সরকারি কৌঁসুলিদের।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের বলা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে সলিসিটর বরাবর ওই মামলাগুলোর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ মামলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরি করে দেয়া ছকে ক্রম, সংশ্লিষ্ট জেলার নামসহ আদালতের নাম, মামলার নম্বর, এজাহারকারী/নালিশকারীর নাম ও পরিচয়, মোট আসামির সংখ্যা এবং এর মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা (যদি থাকে), এজাহার/নালিশে উল্লিখিত ঘটনার তারিখ, মামলাটি কোন আইনের কোন ধারায় দায়েরকৃত, মামলাটি কোন পর্যায়ে (তদন্তাধীন নাকি বিচারাধীন) আছে সেসব তথ্য সন্নিবেশ করতে বলা হয়েছে।

সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে বিশেষত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে এবং তৎপরবর্তীতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও অন্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা (যা অনেক ক্ষেত্রে গায়েবি মামলা নামে পরিচিত) দায়ের করা হয়। এসব মামলা সম্পর্কিত সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় আইনানুগভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় চিঠিতে উল্লিখিত ছক অনুসারে উক্ত মামলাগুলোর তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে পাওয়া একান্ত আবশ্যক।

এমতাবস্থায়, চিঠিতে উল্লিখিত ছক অনুসারে সব জেলা/মহানগরে দায়েরকৃত রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার তালিকা আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সলিসিটর, সলিসিটর অনুবিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা বরাবর অথবা [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, মামলার তালিকা প্রণয়নে বিশেষভাবে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়াসহ সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রাপ্ত মামলার তালিকা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।

মন্তব্য

খেলা
1 lakh 46 thousand crore rupees in service sector bribery in 15 years TIB 

১৫ বছরে সেবা খাতে ঘুষ লেনদেন ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার: টিআইবি 

১৫ বছরে সেবা খাতে ঘুষ লেনদেন ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার: টিআইবি  টিআইবির লোগো। ফাইল ছবি
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতা খানার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ বলেছে, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। ঘুষ আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে। জরিপবর্ষে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে (২০০৯ থেকে এপ্রিল-২০২৪) ঘুষ লেনদেনের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, গত ১৫ বছরে দেশে সার্বিকভাবে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। বেশি দুর্নীতি হয়েছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।

রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে মঙ্গলবার ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ-২০২৩’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতা খানার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ বলেছে, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। ঘুষ আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে। জরিপবর্ষে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে (২০০৯ থেকে এপ্রিল-২০২৪) ঘুষ লেনদেনের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় খানা জরিপ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর করে আসছে টিআইবি। এই জরিপ ধারণাভিত্তিক গবেষণা নয়, সেবা নিতে গিয়ে যে হয়রানি শিকার হতে হয়, তাদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক।’

তিনি জানান, ১৫ হাজার ৫১৫টি খানার ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, ভূমি, কৃষি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং, বিআরটিএ, কর ও শুল্ক, এনজিও, পাসপোর্ট, বিমা, গ্যাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তা এবং এনআইডি সেবা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে গড়ে ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। বিচারিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চহার অব্যাহত, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বড় বাধা।

তিনি বলেন, ভূমি সেবা, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষ বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, তদারকি জোরদার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, অভিযোগের ব্যবস্থা সম্পর্কে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত সম্পদের হিসাব প্রকাশ ও নিয়মিত গণশুনানির আয়োজনের ওপর জোর দিতে বলেছে টিআইবি।

আরও পড়ুন:
রোববার রাতে ৩ ঘণ্টা বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা
কর্তৃত্ববাদ পতনের বাস্তবতা মেনে নিতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে: টিআইবি
শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় অনুঘটক ছিল বিচার বিভাগ: ইফতেখারুজ্জামান 
‘গণমাধ্যমের ওপর হামলা বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থী’
সড়কে ১৪ বছরে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি

মন্তব্য

খেলা
Allegation against the former chairman for occupying the land and building the structure 

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ 

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ  ৮৪ দাগে জমি কেনা আছে এবং ওই দাগই দখল করেছেন বলে দাবি করেন আবদুল হামিদ। ছবি: নিউজবাংলা
পত্নীতলা থানার ওসি শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আদালত থেকে নোটিশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো পক্ষই যেন কাজ করতে না পারে, নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদালতে বিষয়টির সুরাহা না পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।’

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরে জমি জবরদখল করে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন আবদুল হামিদ, যার বাড়ি উপজেলার হরিরামপুর এলাকায়।

গত ৫ নভেম্বর সকাল ৯টায় জমিটি দখলে নেয়ার অভিযাগ রয়েছে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

জমির মালিক দাবিদার রেজাউল মাসুদ স্বপনের বাড়ি নজিপুর সরদারপাড়ায়।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা কলিমুদ্দীন সরদার তার জীবদ্দশায় মোট ৪৬ শতক জমির মধ্যে আইয়ুব আলী দেওয়ানের কাছে ১৯৮৮ সালে ৪৬৫১ নম্বর দলিলে ১৪ শতক ও ৪৯৩৫ নম্বর দলিলে ১৪ শতক বিক্রি করেন। এ ছাড়া তিনি আছির উদ্দিনের কাছে ১৯৮৭ সালে ৮৯৯৫ নম্বর দলিলে ১৩ শতক, নজির হোসেনের কাছে একই বছরে ৯৬০৫ নম্বর দলিলে ২দশমিক ৫ শতক এবং ৯৬১০ নম্বর দলিলে ২ দশমিক ৫ শতক জমি বিক্রি করেন। এরপর দখলশূন্য অবস্থায় তিনি মারা যান।

আবদুল হামিদ মূলধনী কলিমুদ্দিন সরদারের মৃত্যুর ২৫ বছর পর তার ছেলে তৈফুর সরদারের কাছ থেকে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ৪৬৮৭ নম্বর দলিলে ১১৩ নম্বর খতিয়ানে হাল ২৮৪ নম্বর দাগে ৪৬ শতক জমির মধ্যে ৬ শতক জমি কবলা দলিল করে বিষয়টি গোপন রাখেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর গত ৫ নভেম্বর সকাল ৯টায় নজিপুর সরদারপাড়া মৌজার হাল ২৮৪ দাগের জমির দলিল দেখিয়ে একই মৌজার হাল ২৮৫ দাগের (২৮৪ দাগের পাশের) ১০ শতক জমিতে থাকা বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যান আবদুল হামিদ। তিনি ৮ শতক পরিমাণ জমি দখলে নেন। এরপর সেখানে ইট দিয়ে প্রাচীর দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জমির আসল মালিক দাবি করা রেজাউল মাসুদ স্বপন প্রতিকার চেয়ে আবদুল হামিদ ও তৈফুর সরদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন, কিন্তু এরপরও জমিতে কাজ করছেন আবদুল হামিদ।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) বলেন, ‘জ্ঞান হওয়ার পর দেখে আসছি এই জমি রেজাউল মাসুদ স্বপনরা ভোগদখল করে আসছে। এক মাস আগে আবদুল হামিদ এই জমি দখল করে আম, কদম ও ইউক্যালিপটাসহ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে ফেলে। এর আগে কখনও এই জমি নিয়ে ঝামেলা হতে দেখিনি।’

রেজাউল মাসুদ স্বপন বলেন, ‘আমার পৈত্রিক সূত্রে খতিয়ানভুক্ত ১০ শতক জমি ৬০ থেকে ৬৫ বছর থেকে ভোগদখল করে আসছি। এর মধ্যে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে ৫ নভেম্বর জোরপূর্বক ৮ শতক জমি দখল করে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ করেন আবদুল হামিদ।

‘তাদের নিষেধ করা হলেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। সুরাহা পেতে আদালতে মামলা করেছি, কিন্তু তারপরও কাজ করছে।’

এ বিষয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘২০১২ সালে জমি কিনা ছিল। খাজনা-খারিজ সব ঠিক করা আছে। বিএনপি করায় ওই জমিতে নামতে পারিনি। এখন দখলে নিয়ে কাজ করছি।

‘৮৪ দাগে আমার জমি কিনা আছে এবং ওই দাগই দখল করেছি, কিন্তু আদালত ৮৫ দাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

পত্নীতলা থানার ওসি শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘আদালত থেকে নোটিশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো পক্ষই যেন কাজ করতে না পারে, নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদালতে বিষয়টির সুরাহা না পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় সড়কে প্রাণ গেল তিনজনের
নওগাঁয় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৭৬ জন
১০ লাখ টাকার চেক হাতে সংবাদ সম্মেলনে সেই বিএনপি নেতা
নওগাঁয় গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও, আটক ৪
সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষপানে আত্মহত্যা

মন্তব্য

p
উপরে