জিম্বাবুয়ে সিরিজে একের পর এক ইনজুরিতে পড়ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শুরুতে নুরুল হাসান সোহান, এরপর অভিজ্ঞ ওপেনার লিটন দাস। দুজনই ইতোমধ্যেই ছিটকে পড়েছেন সিরিজ থেকে। একইসঙ্গে শঙ্কায় রয়েছেন পেইসার শরিফুল ইসলামও।
শরিফুলের এশিয়া কাপে খেলা নিয়ে খুব একটা শঙ্কা না থাকলেও অনেকটাই অনিশ্চিত লিটন ও সোহানের খেলা। কেননা সোহানকে যেতে হবে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে। লিটনকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে ৩-৪ সপ্তাহ।
দলের সঙ্গে না থাকলেও এশিয়া কাপের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। কিন্তু শঙ্কা এখনও যায়নি তাকে নিয়েও। আর এখনও ফিট হয়ে উঠতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ইনজুরিতে পড়া ইয়াসির রাব্বিও।
এশিয়া কাপের পরপরই আবার বিশ্বকাপ মিশন। যে কারণে খেলোয়াড়দের ইনজুরি নতুন করে ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।
এদিকে ৮ আগস্ট এশিয়া কাপের দল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও খেলোয়াড়দের ইনজুরির কারণে এখনও স্কোয়াড ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। ইনজুরিতে পড়া ক্রিকেটারদের সর্বশেষ অবস্থা বিবেচনা করে ঘোষণা করতে হবে। আর সে কারণে বাড়তি কিছু সময় চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছে আবেদন করেছিল বিসিবি।
বোর্ডের আবেদনে সাড়া দিয়েছে এসিসি। ৮ আগস্টের পরিবর্তে দল ঘোষণার সময় ১১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে এশিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।
জালাল বলেন, ‘আমাদের অনেক ক্রিকেটারই চোটে পড়েছে, যারা আমাদের মূল খেলোয়াড়। আরও আগে চোটে পড়া ক্রিকেটাররা কী অবস্থায় আছে বা কতটা সেরে উঠেছে, সেটাও নিশ্চিত হতে হবে। মেডিকেল বিভাগের মূল্যায়ন জরুরি। একটু সময় লাগবে। বাড়তি সময় চেয়েছিলাম আমরা এবং তা পেয়েছি। ১১ আগস্টের মধ্যে দল ঘোষণা করলেই হবে।’
সেন্ট লুসিয়ায় সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সাইফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে শুরুটা দারুণ করে বাঁহাতি পেইসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওই দিনের খেলায় ৯ উইকেটে ৩৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩ তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে। এতে করে ২০৫ রানে এগিয়ে আছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তৃতীয় দিনেও পিছু ছাড়েনি বৃষ্টি। এ কারণে মাঠে গড়িয়েছে ৬০.৪ ওভার।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ২১৭ বলে ৬৩ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন সাইফ। শুক্রবার তৃতীয় দিন মাঠে নেমে ২৮০ বলে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সব মিলিয়ে ৩৪৮ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪৬ রান করেন।
পরে দলীয় ৩৪৮ রানের মাথায় নবম ব্যাটার হিসেবে সাইফ সাজঘরে ফিরে গেলে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মিঠুন। ইনিংস ঘোষণার আগে জাকের আলি অনিক ৩৩ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
ক্যারিবীয়দের হয়ে অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও কলিন্স আর্চিবাল্ড নেন তিনটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দেয়া ৩৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ২৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন জেরেমি সোলোজানো। এরপর শূন্য রানে কেসি কার্টি আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন মৃত্যুঞ্জয়।
শেষ দিনের খেলায় শনিবার মাঠে নামবেন দুই অপরাজিত ক্যারিবীয় ব্যাটার ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল ও অধিনায়ক জশুয়া ডা সিলভা। ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল করেন ৫৭ বলে ২১ রান। অন্যদিকে জশুয়া ডা সিলভার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১২ রান।
আরও পড়ুন:পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি সফরকারী আফগানিস্তান।
টানা পরাজয়ে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছিলেন আফগানরা। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল। সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশাও বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান।
আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ হারলেও সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এখনও এগিয়ে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।
বেলফাস্টে টস হেরে শুক্রবার ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। গুরবাজ-জাজাইয়ের ওপেনিং জুটিতে আসে ৯০ রান। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে ওপেনিং জুটি ভেঙে আউট হন গুরবাজ।
আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩৯ রান। এ ছাড়া ১৮ বলে ৫ ছক্কায় ৪২ রান করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। ইব্রাহিম জাদরান খেলেন ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।
দুই জাদরানের মারকুটে ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৩ রানের মাথায় পল স্টার্লিংকে হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিও। ৫ বল খেলে ১ রান করে আউট হন তিনি।
আইরিশ ব্যাটার লরকান টাকার ২১ বলে ৩১ রান ও ডকরেল ৩৭ বলে ৫৮ অপরাজিত ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। শেষের দিকে ফিওন হ্যান্ডের ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাটিং শেষে ৯ উইকেট ১৬৭ রানে থামে আয়ারল্যান্ড।
আফগানিস্তানের পক্ষে নাভিন উল হক তিনটি এবং ফজল হক ফারুকী ও মুজিব উর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে টনা তিন ম্যাচে উইকেট শূন্য থেকে গেলেন আফগান অলরাউন্ডার রশিদ খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ খোয়াল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও টপ অর্ডারের ব্যাটাররা আলো ছড়াতে পারেননি। হতাশাজনক পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জ্যামাইকার সাবিনা পার্ক স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে ৫ উইকেটে ২১৫ রানের পাহাড়সম পুঁজি দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে স্বাগতিকরা। এতে করে ৯০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় সফরকারীরা।
ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় কিউইরা। ছয় ছক্কা আর চারটি চারের মারে ৪১ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। পাশপাশি ড্যারিল মিচেল ২০ বলে ৪৮ ও কনওয়ে ৩৪ বলে ৪২ রান করেন।
বড় রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে নিকোলাস পুরানের দল। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় স্বাগতিকদের।
নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরতে থাকেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। দুই কিউই বোলার মিলে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন ৩০ রান খরচায়। এ ছাড়া টিম সাউদি ও ইশ সোধি একটি করে উইকেট নেন।
আরও বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১৬তম ওভারে ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেট তুলে নেয় নেয় নিউজিল্যান্ড।
সে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় রান ৮৭। সেখান থেকে দশম উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন হেইডেন ওয়ালশ ও ওবেদ ম্যাকয়। দশম উইকেটে এ ফরম্যাটে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তিন ম্যাচ টি-টয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে সোমবার মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরও পড়ুন:পরিবারকে সময় দেবেন বলে সম্প্রতি জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেইসার ট্রেন্ট বোল্ট। তবে পারিবারিক ইস্যুতে জাতীয় দল থেকে সরে আসার কথা জানালেও এবার আরব আমিরাতের লিগে নাম লেখালেন কিউই এই পেইসার।
আরব আমিরাত লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এমিরেটসে সরাসরি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বোল্ট।
এরইমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ১৪ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বোল্টের সঙ্গে আরও রয়েছেন কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো ও নিকোলাস পুরানের মতো তারকারা।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্ত্বাধিকারী রিলায়েন্স জিওর চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি বোল্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ খুশি আমাদের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় কাইরন পোলার্ডকে পেয়ে। পাশপাশি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিকোলাস পুরান, ট্রেন্ট বোল্ট ও ডোয়াইন ব্রাভো। সবাইকেই স্বাগত।’
এর থেকেও অবাক করা বিষয় হলো, নিজের দেশের ঘরোয়া লিগ ছেড়ে আরব আমিরাতের লিগে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রোটিয়া স্পিনার ইমরান তাহির।
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আরব আমিরাতের চার খেলোয়াড়সহ, ১২ বিদেশি ও ২ সহযোগী দেশেরসহ মোট ১৮ জন ক্রিকেটারকে দলে ভেঢ়াতে পারবে।
আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গড়াবে টুর্নামেন্টটি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এমিরেটসের এখন পর্যন্ত যারা
কাইরন পোলার্ড, নিকোলাস পুরান, ডোয়াইন ব্রাভো, ট্রেন্ট বোল্ট, ইমরান তাহির, আন্দ্রে ফ্লেচার, সামিত প্যাটেল, উইল স্মিথ, জর্ডান থম্পসন, নাজিবুল্লাহ জাদরান, জাহির খান, ফজল হক ফারুকি, ব্র্যাডলি হুইল, বাস ডি লিডস।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর মাঠে নামেন এনামুল হক বিজয়। তখন আলো ছড়াতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট ছিল দ্যুতিময়।
লম্বা বিরতির পর জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে নিজের দাপুটে পারফরম্যান্সের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। তাদের সাহস ও প্রত্যাশায় ভালো করতে পেরেছেন বলে মনে করেন বিজয়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে শুক্রবার দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে দেখা যায় বিজয়কে। সর্বশেষ ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০-এর বেশি। প্রতিটি ম্যাচেই তাকে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। সতীর্থদের থেকে সাপোর্ট পাওয়ায় এই কাজটা বেশ সহজ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘আমি যখন অনেক দিন পর দলে ফিরলাম, প্রতিটি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে দারুণভাবে সাপোর্ট পেয়েছি। তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে, জুনিয়রদের মধ্যে আফিফ, তাসকিন, মোসাদ্দেক, লিটনসহ সবাই আমাকে ভালোমতো গ্রহণ করেছেন। তারা বুঝতে দেননি, এখানে আমি অনেক দিন পর এসেছি। দলে আমরা এক পরিবারের মতো ছিলাম।’
সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজয় বলেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড়ই চাচ্ছিলেন আমি যেন রান পাই। ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য তারা অনেক বেশি উৎসাহিত করেছেন। এভাবে সহযোগিতা পেলে কাজ সহজ হয়ে যায়।
‘যেহেতু আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালো সময় পার করেছি। এ কারণে সবাই চাচ্ছিলেন যেন আমি জাতীয় দলেও পারফর্ম করি। সবার দোয়াটা কাজে লেগেছে। সবার চাওয়া ও সহযোগিতায় পারফরম্যান্স করা অনেক ইজি হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হারের ক্ষত ও ৪০০তম ওয়ানডে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে শুক্রবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের কোনটিতেই সময়টা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। টাইগারদের দেশে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতেই। শর্টার ফরম্যাটে তো নয়ই, নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটেও লাল সবুজের প্রতিনিধিদের হারতে হয়েছে।
ওয়ানডেতে তো ক্লিন সুইপের সম্ভাবনা জাগিয়েও সিরিজ হারতে হয়েছে। শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের জয় লজ্জার হাত থেকে কিছুটা নিস্তার দেয় তামিম-মুশফিকদের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশের কেবলমাত্র অর্জন দুই ফরম্যাটে দুটি জয়।
সদ্য শেষ হওয়া এই সিরিজে বাংলাদেশ শিবিরে ছিল ইনজুরির হানা। লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামকে ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছে। এর ভেতর সোহান ও লিটন ইতোমধ্যেই ছিটকে পড়েছেন আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও।
দেশে ফিরেই এখন এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে জাতীয় দল। ২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা সিরিজে বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কোনোটিতেই শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি দলটি, তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি আইরিশদের।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে বড় জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে ৫ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। এতে করে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।
বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাবে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।
আফগান ব্যাটার হাশমতুল্লাহ শহিদির ৩৬ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কারও ব্যাট এ দিন আলো ছড়াতে পারেনি। ইবরাহিম জদরানের ১৭ রান দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে ৬ ব্যাটারই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জশুয়া লিটল, মার্ক অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার ও গ্যারেন ডিলানি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের ভিত গড়ে দেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪৬ রান। এ ছাড়া ফর্মে থাকা লরকান টাকারের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
শেষের দিকে জর্জ ডকরেলের ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বালবার্নির দল।
এদিকে ৬৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্যারিয়ারে পরপর দুই ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি আফগান বোলার রশিদ খান। গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকেই ছন্দে নেই এ লেগস্পিনার। শেষ ১০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন আটটি উইকেট।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য