বাংলাদেশের দেয়া রান-পাহাড় তাড়ার মিশনে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সেটি সামলে উঠেছে জিম্বাবুয়ে। ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে পথে ফিরেছে স্বাগতিক দল। ৩১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৭ রান।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩০৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে টাইগার বোলারদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা।
ইনিংসের প্রথম দুই ওভারের ভেতর মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের বোলিং তোপ সামলাতে না পেরে সাজঘরে ফেরার পথ বেছে নেন দুই রোডেশিয়ান ওপেনার রেগিস চাকাভবা ও তারিসাই মুসাকান্দা।
মুস্তাফিজের শিকার বনে ২ রানে মাঠ ছাড়েন চাকাভবা আর শরীফুল তুলে নেন মুসাকান্দার উইকেট।
দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলি মাধেভেরে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শক্ত হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজন মিলে।
দুর্ভাগ্য ভর করে তাদের ওপরও। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে চতুর্দশ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাধেভেরেকে। আর তাতে ভাঙে তাদের ৫৬ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ১৯ রান।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন সিকান্দার রাজা। সঙ্গে নেন কাইয়াকে। দুজনে মিলে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
এর আগে হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ছন্দে ফেরা ব্যাটিং লাইনআপে ভর করে দুই উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের খুদে ভক্ত নাঈম শেখের আবদার ছিল জার্সি ও জুতার। মঙ্গলবার সাকিব তাকে কথা দেন আজ (বুধবার) তাকে পছন্দমতো জার্সি কিনে দেবেন।
মিরপুরবাসী ৭ বছরের নাঈম সাকিব আল হাসানের ভক্ত। এতটাই যে সে নিজের নাম বদলে রেখেছে সাকিব আল হাসান। সাকিব এ কথা জানার পর দেখা করেন তার সঙ্গে।
আর গতকাল নাঈমকে অনুশীলন দেখাতে নিয়ে যান সাকিব। একই সঙ্গে জার্সি ও ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ভালো মানের পাওয়া না যাওয়ায় পরদিন অর্থাৎ বুধবার নাঈমকে সেগুলো উপহার দেবেন বলে জানান তিনি।
আজ নাঈম শেখকে সাকিব তার কথামতো কিনে দিয়েছেন ক্রিকেট খেলার জার্সি ও জুতা।
তবে শুধু জার্সি ও জুতাই দেননি সাকিব, নাঈমকে একই সঙ্গে ব্যাট, বল, ট্রাউজারও উপহার দিয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সির সঙ্গে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিও পেয়েছে খুদে নাঈম।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার ভক্ত সাকিব। আর সাকিবের ভক্ত নাঈমেরও প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। উপহার পেয়ে সেগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবিও তুলেছে নাঈম।
এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হবে শুক্রবার। তবে ক্রিকেটাররা নিজ উদ্যোগে রোববার থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী মিরাজের অনুশীলন দেখতে বুধবার মিরপুরে হাজির হন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
সাকিব-মুশফিকদের প্রিয় ‘ফাহিম স্যার’ কাছ থেকে দেখেছেন শিষ্যদের অনুশীলন। টেকনিকে কোনো ঘাটতি চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
অনুশীলনের ফাঁকে ফাহিম জানালেন শিষ্যদের সঙ্গে বল হিট করা নিয়ে কথা বলেছেন। আর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছোটখাটো কথাবার্তা তো হয়ই (সব সময়)। স্বাভাবিকভাবেই বড় আলাপ আলোচনা না। দেখেছি যে ওরা ভালো বল মারছিল। সেটা নিয়ে আলাপ করলাম। খুব বিশেষ কিছু না। ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আলাদা।
‘ওরা ভালো করলে ওদেরকে সেটা বলা যে ভালো হচ্ছে। ভালো না করলে কোন জায়গায় একটু ভালো করার সুযোগ আছে, এটা নিয়ে আলাপ করা। যেহেতু ওদের খেলার ধরনটা আমি জানি। তাই কোথায় পরিবর্তন হয়েছে সেটা মনে করিয়ে দেয়া।’
সাকিব ও মুশফিকের অনুশীলন দেখার পাশাপাশি তাদের কোচের সঙ্গেও আলাপ করেছেন ফাহিম। সাকিবের ব্যাটিং মনে ধরেছে তার। একই সঙ্গে মুশফিকের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট তিনি।
ফাহিম যোগ করেন, ‘শেষ বিপিএলেও আমরা এটা দেখেছি সাকিব বেশ ভালো পাওয়ার হিটিং করেছে। অনেক ছক্কা মেরেছে। ব্যাট দিয়ে বোধ হয় দলের সেরা পারফর্মার ছিল ও। মুশফিকের সঙ্গেও মাস দুয়েক আগে কাজ করেছি। ওদের কোচ আছে, তার সঙ্গে আরও কাজ করেছে মাঝখানে। এই মুহূর্তে ওদের কী অবস্থা এটা দেখা (উদ্দেশ্য)। ফিডব্যাক দেয়া। মুশফিকের খেলা দেখেছি জিম্বাবুয়ে সিরিজে, সেটা নিয়ে একটু আলাপ করব।’
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এও আভাস দিয়েছেন যে প্রয়োজনে সাকিব-মুশফিককে ওপেনিংয়েও দেখা যেতে পারে।
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মিডল অর্ডারে স্বাচ্ছন্দ্য। এক-দুইবার ওপেনিং যে করেননি তেমনটা নয়। কিন্তু এ দুই অভিজ্ঞ তারকা ৩-৪-৫ এই বাংলাদেশের হয়ে সাফল্য নিয়ে এসেছেন। তাই তাদেরকে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ওপেনিং করানোর ঝুঁকি কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে সাকিব ও মুশফিকের শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে ওপেনিং করতে তাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মুশফিকের কথা আলাদা করে বলেন ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘মুশফিক হতে পারে (ওপেনার)। ও যখন খেলা শুরু করেছিল, বিকেএসপিতে ওপেনার হয়ে এসেছে এটা আমি জানি। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে এসেছে। অবশ্যই ও মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটার। ওপেন করাটা সব সময় চ্যালেঞ্জিং। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।’
মুশফিক, সাকিব ও মিরাজ বুধবার অনুশীলন করেন মিরপুরে। পাওয়ার হিটিংয়ে টাইগারদের যে দুর্বলতা আছে, সে জায়গায় কাজ করেছেন সাকিব ও মুশফিক। তাদের এ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছেন ফাহিম। দলে পাওয়ার হিটারের দায়িত্ব নিতে পারবেন মুশফিক এমনটা বিশ্বাস দেশের অন্যতম সেরা এ কোচের।
তিনি বলেন, ‘মুশফিকের ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী। জিম্বাবুয়েতে পাওয়ার হিটিংয়ের সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেছে ও। এমন একটা জায়গায় ছিল পাওয়ার হিটিং করতে পারত। কেন সুযোগটা নেয়নি আমি জানি না। আমার মনে হয় ও নিজেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে পাওয়ার হিটিংটা কী।
‘আজকে দেখলাম কিছু ভালো শট খেলেছে। আমি নিশ্চিত সামনে আর দু-চার দিন অনুশীলন করলে, আরও বেশি আয়ত্তে আসবে। হয়তো আরও কার্যকরভাবে ওভার দ্য টপ খেলতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে চার ছক্কা মারার যে ব্যাপার, সেটা সফল হবে।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে মাঠে নামেননি ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্ড্রে রাসেল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সব শেষ ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে মেরুন জার্সিতে খেলতে নামেন তিনি। এর পর কোনো সংস্করণে আর দেখা যায়নি রাসেলকে। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলছেন নিয়মিত।
মারকুটে এ ব্যাটারের সম্ভাবনা রয়েছে জাতীয় দলের হয়ে আবারও খেলার। অন্তত দুটি বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে চান তিনি। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেন তিনি।
বর্তমান সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নেই অনেক তারকা খেলোয়াড়। বিভিন্ন লিগে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন তারা। রাসেল, সুনিল নারিন, এভিন লুইসের মত খেলোয়াড়দের দলে জাতীয় দলে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট।
এমন পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্স আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘জাতীয় দলে খেলার জন্য কারও হাত-পা ধরা সম্ভব নয়।’
প্রধান কোচের এমন বক্তব্যের পর জাতীয় দলে না খেলার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা রাসেল নিজেই খোলাসা করেন।
রাসেল বর্তমানে খেলছেন দ্য হান্ড্রেড লিগে। সেখানে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের হয়ে খেলছেন তিনি। সেই খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে স্কাই স্পোর্টসে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেছেন, ‘অবশ্যই! ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরুন জার্সি আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয়।’
তিনি যোগ করে বলেন, ‘সত্যি বলতে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমার দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে। তবে সেঞ্চুরিগুলো যদি জাতীয় দলের জার্সিতে হতো তাহলে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লাগত। হ্যাঁ জ্যামাইকা তালাওয়াজের হয়েও আমি খেলি। কিন্তু সব কিছু থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আলাদা যেখানে ভালো কিছু করার অনুভূতিটাও বেশি ভালো লাগে’
জাতীয় দলের হয়ে জিততে চান আরও দুটি বিশ্বকাপ। এমন আকাঙ্খার কথা জানিয়ে রাসেল বলেছেন, ‘এখন আমি চাইলেই সবকিছু নতুন করে শুরু করতে পারব না। আমার বয়স এখন ৩৪। শেষ করার আগে আমি আরও একটি বা দুইটি বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি এমনটাই ভাবছি!’
আরও পড়ুন:২০২২ থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত আইসিসি তাদের ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে আইসিসির সদস্য দেশগুলো কে কবে কার বিপক্ষে খেলবে।
সম্পন্ন হয়েছে
মে, ২০২২- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (হোম)
জুন-জুলাই, ২০২২- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুলাই-আগস্ট, ২০২২- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)।
আসন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্ট
২০২২
আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২২- এশিয়া কাপ ২০২২ (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
অক্টোবর, ২০২২- ত্রিদেশীয় (বাকি দুই দল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড) টি-টোয়েন্টি সিরিজ (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২২- আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (অস্ট্রেলিয়া)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২২- ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (হোম)
২০২৩
মার্চ, ২০২৩- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৩- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
মে, ২০২৩- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৪ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুন-জুলাই, ২০২৩- আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (ভারত)
জুন, ২০২৩- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
সেপ্টেম্বর, ২০২৩- এশিয়া কাপ
সেপ্টেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে (হোম)
নভেম্বর, ডিসেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
ডিসেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
২০২৪
ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০২৪- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
এপ্রিল, ২০২৪- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৫ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুন, ২০২৪- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র)
জুলাই, ২০২৪- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২৪- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট (অ্যাওয়ে)
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ২০২৪- ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২৪- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২৪- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
২০২৫
ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০২৫- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (পাকিস্তান)
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৫- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি ( হোম)
মে, ২০২৫- পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুন-জুলাই, ২০২৫- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
আগস্ট, ২০২৫- ভারতের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
সেপ্টেম্বর, ২০২৫- এশিয়া কাপ
অক্টোবর, ২০২৫- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
নভেম্বর, ডিসেম্বর, ২০২৫- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি
২০২৬
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৬- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
এপ্রিল, ২০২৬- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুন, ২০২৬- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুলাই-আগস্ট, ২০২৬- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
আগস্ট, ২০২৬- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২৬- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২৬- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
২০২৭
ফেব্রুয়ারি, ২০২৭- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
মার্চ, ২০২৭- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ টেস্ট (অ্যাওয়ে)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চার দিনের টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টেস্ট সিরিজে মিঠুন-সাইফ বাদে সুবিধা করতে পারেনি কেউ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ছিল একই চিত্র সফরকারী বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩.২ ওভারে ৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ডাক পাওয়া সাব্বির রহমান ও স্ট্যান্ড বাই সৌম্য সরকারও এদিন ভালো করতে পারেননি। সাব্বির রহমান ৫ বল খেলে ৩ রান করেন। ২০ বলে ১৫ রান করেন সৌম্য সরকার।
দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র তিনজন ব্যাটার। সর্বোচ্চ ২৫ রান জাকের আলীর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের পক্ষে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জাস্টিন গ্রিভস। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও শারমন লুইস নেন দুটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। ১৮ বলে ১৭ রান করা জশুয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সিলভার আউটের পর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ।
দলীয় ৭০ রানে ৬ উইকেট হারালেও ছোট রান তাড়া করতে নেমে জয় বাগিয়ে নিতে বেগ পেতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ১১ বলে ৬ রান ও ব্রায়ান চার্লসের অপরাজিত ১৯ বলে ৩ রানে ভর করে জয় পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল
বাংলাদেশের দুই পেইসার মুকিদুল ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৬ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের রটারডামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাবর আজমের দল। দলটি পেয়েছে ১০ পয়েন্ট।
চতুর্থ দল হিসেবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছুঁয়েছে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক। অন্য তিন দল ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
ম্যাচের শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ সব শট খেলে ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন ফখর জামান। ওপেনার ইমামুল হক ২ রানে আউটের পর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনিং ব্যাটার ফখর। ১০৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস; তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তিনি পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
অধিনায়ক বাবর আজম খেলেন ৮৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডার দুই ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ ও খুশদিল শাহ ২১ রান করে আউট হলে শেষের দিকে ঝড় তোলেন শাদাব খান। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে।
পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার আগা সালমান ৩ চারে ১৬ বলে অপরাজিত থেকে ২৭ রান করেন। তাদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে আসে ৯৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারী পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ব্যস ডি লিডে ও বেন বিক নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া ভিভিয়ান কিংমা নেন একটি উইকেট।
জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ডাচ ওপেনার মাক্স ও’ডাউডকে এক রানে ফিরিয়ে দেন পেইসার নাসিম শাহ। এর ঠিক তিন ওভার পর ওয়েসলি বারেসিকে সাজঘরে ফেরান হারিস রউফ।
শুরুর ধাক্কা সামলে নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন আরেক ওপেনার বিক্রম সিং। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় ৯৮ বলে ৬৫ রান করে আউট হন তিনি।
এর আগে আগে দুই ছক্কা ও ছয় চারে ৫৪ বলে ৬৫ রান করেন টম কুপার। ব্যস দ্য লিডসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৬ রান।
পরে লড়াই চালিয়ে যান নেদারল্যান্ডসের নতুন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ৬০ বলে খেলেন ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস, তবে অন্য প্রান্তে যোগ্য সঙ্গ পাননি তিনি। তাই শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ডাচদের কখনও সেভাবে ম্যাচে এগিয়ে যেতে দেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে অভিষিক্ত পেইসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ নেন তিনটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য