নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে রান-পাহাড়ে জিম্বাবুয়েকে পিষ্ট করার পর এবার বল হাতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ১৩ ওভারেই স্বাগতিকদের পতন ঘটেছে তৃতীয় উইকেটের। ১৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৬৪ রান।
বাংলাদেশের করা ৩০৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও চেপে ধরা বোলিংয়ে ছন্দ হারায় জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ওভারের শেষ বলে রোডেশিয়ানদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওপেনার রেগিস চাকাভবাকে ২ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে শুভসূচনা করেন বাঁহাতি এ পেইসার।
চাখাবার বিদায়ের ধাক্কা সামলে নেয়ার আগে শরিফুলের বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন ৪ রান করা আরেক ওপেনার তারিসাই মুসাকান্দা। এতে করে দলীয় ৬ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারকে ফিরতে হয় সাজঘরে।
দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলি মাধেভেরে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শক্ত হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজন মিলে।
দুর্ভাগ্য ভর করে তাদের ওপরও। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে চতুর্দশ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাধেভেরেকে। আর তাতে ভাঙে তাদের ৫৬ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ১৯ রান।
এর আগে হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ছন্দে ফেরা ব্যাটিং লাইনআপে ভর করে দুই উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ক্যারিবীয় সফরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের করা ৬ উইকেটে ২৭৭ রানের জবাবে উইন্ডিজ দল ৯ উইকেটে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি।
গ্রস আইলেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সৌম্য সরকারের উইকেট হারালেও নাঈম শেখের আক্রমণাত্মক ইনিংসে বড় রানের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।
৬ রান করে শারমন লুইসের বলে আউট হন সৌম্য। সঙ্গীর বিদায়ের পর সাইফ হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন ও শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন নাঈম।
সাইফ ১৯, অধিনায়ক মিঠুন ২৮ ও শাহাদাত ২৪ রান করে আউট হন।
শেষ দিকে নাঈম ও সাব্বির রহমান মিলে দলের সংগ্রহ আড়াই শ ছাড়িয়ে নেন। নাঈম সেঞ্চুরি করে ১০৩ রানে আউট হন। আর সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৬২।
২৭৮ রানে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজের শুরুটা ভালো হয়। জশুয়া সিলভা ও তেজনারায়ণ চন্দরপাল দলকে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন।
চন্দরপাল ৩৮ ও সিলভা ৬৮ রান করে আউট হন। এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে না পারলে জয় বঞ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। টেডি বিশপের ৩১ ও ব্রায়ান চার্লসের ৩২ রানে ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে স্বাগতিক দল।
বাংলাদেশের পক্ষে মুকিদুল ইসলাম ৩টি ও রেজাউর রহমান রাজা ২টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে সাউথ আফ্রিকা। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৯ রান। ইংল্যান্ডের চেয়ে ১২৪ রানে এগিয়ে আছে তারা।
৪১ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মার্কো ইয়ানসেন। তার সঙ্গী কাগিসো রাবাডার সংগ্রহ ৩*।
৬ উইকেটে ১১৬ রানের সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ইংল্যান্ড ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে অলি পোপের ব্যাট থেকে। সাউথ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাডা ৫২ রানে ৫টি আর আনরিখ নরটিয়া ৬৩ রানে ৩টি উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে সাউথ আফ্রিকা। ডিন এলগার ও সারিল এরউই ৮৫ রানের জুটি গড়েন। ৪৬৭ রান করে এলগার আউট হলে ভাঙে সে জুটি।
এরপর কিগান পিটারসেন ও এইডেন মারক্রামকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন এরউই। পিটারসেন ২৪ ও মারক্রাম ১৬ রান করে আউট হন।
এরউই ছিলেন প্রোটিয়াদের পক্ষে সেরা ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে ৭৩। কেশাভ মহারাজ করেন ৪১। মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে ইয়ানসেন দলের লিড এক শ ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকর ৫৩ রানে নেন ৩টি উইকেট।
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বাজে সময় কাটাতে এবারে নতুন কোচের হাতে দলকে তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে বিসিবি। ভারতের সাবেক এ টেস্ট ক্রিকেটার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কোচ হচ্ছেন।
এতে করে কার্যত টি-টোয়েন্টি দলের ওপর থেকে রাসেল ডোমিঙ্গোর কর্তৃত্ব হ্রাস পেতে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একজন পরিচালক শুক্রবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রীধরন শ্রীরামকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছি আমরা। টেস্ট দলকে নির্দেশনা দেয়ার কাজটা আপাতত চালিয়ে যাবেন ডমিঙ্গো।’
পরে দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টির নিশ্চয়তা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, শ্রীরাম টি-টোয়েন্টি দলে টেকনিক্যাল কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরাম বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে। এরপর অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন।
সাকিব-মুশফিকদের দায়িত্ব বুঝে নিতে আগামী এক-দুইদিনের মধ্যে ঢাকায় আসবেন শ্রীরাম।
নতুন টি-টোয়েন্টি কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শ্রীরাম ২০০০ সালে অভিষেকের পর খেলেছেন ৮টি ওয়ানডে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তার সবশেষ ম্যাচটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
পাশাপাশি তামিলনাড়ুর হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে এক মৌসুমে হাজার রান করার রেকর্ড রয়েছে তার।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোচিংয়ে নাম লেখান শ্রীরাম। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তি শেষ হয় তার। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে কোচিং ক্যারিয়ারের নতুন ইনিংস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আরও পড়ুন:গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পর হেড কোচের অবস্থানটা কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে যায় রাসেল ডমিঙ্গোর। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে নিজেকে টিকিয়ে রাখেন তিনি। এরপরও জাতীয় দলে হেড কোচ হিসেবে তার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার কাঠগড়ায় তাকে দাঁড়াতে হয়েছে বারবার।
দেরিতে হলেও টনক নড়েছে বোর্ডের। ডমিঙ্গোকে বাদ দিয়ে এশিয়া কাপে নতুন কোচের হাতে জাতীয় দলকে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ড।
নতুন কোচের এই দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকও করেছেন অজি এই কোচ। একইসঙ্গে ক্রিকেটারদের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হওয়ার আগেই সাকিব, মুশফিক, মিরাজ, বিজয়দের নিয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের আলাদা সেশন শুরু করে দিয়েছে তিনি।
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামকেও টি-টোয়েন্টি কোচের প্রস্তাব দিয়েছে বোর্ড। এশিয়া কাপে ভালো করলে তার সঙ্গে চুক্তি বাড়াতেও প্রস্তুত বোর্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একজন পরিচালক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিসিবির ওই পরিচালক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে কোচ হিসেবে বোর্ডের পছন্দ দুইজন। একজন হল আমাদের সিডন্স আর আরেকজন ভারতের শ্রীধরণ শ্রীরাম। এই দুইজনের ভেতর আলোচনা করে একজনকে নেব আমরা। কাল বোর্ডসভা আছে। সেখানে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এ বিষয়ে।’
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্রীরাম আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে ছিলেন তিনি। আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার প্রতি বেশি আকর্ষণ রয়েছে বোর্ডের।
নতুন পরিকল্পনায় টি-টোয়েন্টি থেকে সরে গেলেও সিডন্সকে টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব রাখা হবে।
আরও পড়ুন:এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের করা ১৮৬ রানের স্কোরকে ৯৮ বল অক্ষত রেখে ও ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় সফরকারী দল।
রটারডামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের দুই পেইসার নাসিম শাহ ও হারিস রাউফের বোলিং তোপে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ডাচরা। ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা।
ভিক্রামজিত সিং ও ওয়েসলি বারেসিকে যথাক্রমে ১ ও ৩ রানে আউট করেন নাসিম। আর ১ রান করা ম্যাক্স-ও-ডাউডের উইকেট তুলে নেন রাউফ।
চতুর্থ উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন টম কুপার ও বাস ডে লিডে। ৬৬ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে কুপার আউট হলে ভাঙে এ জুটি।
এরপর শুরু হয় উইকেটের মিছিল। লোগান ফন বিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন ডি লিডে। ৮৯ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। ফন বিক করেন ১৩।
৪৪.১ ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে নাওয়াজ ৪২ রানে ও রাউফ ১৬ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ১১ রানের মধ্যে দুই পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হকের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় নেদারল্যান্ডস।
তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রান করে পাকিস্তানকে জয়ের পথে ফেরান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৭ রান করে আরিয়ান দাতের বলে আউট হন আজম। এরপর আর সাফল্য পাননি ডাচ বোলাররা।
রিজওয়ানের ৬৯* ও আগা সালমানের ৫০* রানের ইনিংসে জয় পায় সফরকারী দল। ম্যাচ সেরা হয় নাওয়াজ। একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে রোববার।
আরও পড়ুন:বড় জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ভারত। জিম্বাবুয়ের করা ১৮৯ রানকে সবগুলো উইকেট ও ১১৫ বল অক্ষত রেখে টপকে গেছে সফরকারী দল। ফলে ১০ উইকেটের বড় জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে তারা।
হারারেতে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় সিমারদের তোপে বিপাকে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০.১ ওভারে ৩১ রানে স্বাগতিক দল হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আফ্রিকান দলটি।
শুরুর ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ধাক্কা দেন দিপক চাহার। আর চতুর্থ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।
শেষ পর্যন্ত রেজিস চাকাবভা, ব্র্যাড ইভানস ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে দুই শর কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। চাকাবভা সর্বোচ্চ ৩৫, এনগারাভা ৩৪ ও ইভানস ৩৩ রান করেন। ৪০.৩ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দল।।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন প্রাসিধ কৃষ্ণা, দিপক চাহার ও আক্সার প্যাটেল।
১৯০ রানের লক্ষ্য খুব একটা ছোট না হলেও ভারতীয় দুই ওপেনার সেটা বানিয়ে দেন একেবারে মামুলি।
শিখর ধাওয়ান ও শুভমান গিল জিম্বাবুয়ের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন।
ধাওয়ান করেন ৮১* ও গিলের ব্যাট থেকে আসে ৮২*। ৩০.৫ ওভারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচসেরা হন দিপক চাহার।
শনিবার একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতির এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। মিরপুরে শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হলেও, অনেকেই নিজ উদ্যোগে ৪-৫ দিন আগে অনুশীলন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার মিরপুরে তাদের অনুশীলন দেখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ছিল বোর্ড। তবে সেটা কাটিয়ে ওঠায় ক্রিকেটেই পূর্ণ মনোনিবেশ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাংবাদিকদের পাপন বলেন, তার সঙ্গে প্রায় সব খেলোয়াড়ের নিয়মিত কথা হয়। তবে এশিয়া কাপের আগে সাকিবকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে তার।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। সোহানের সঙ্গে হয়। লিটন দাসের সঙ্গে হয়। আমি মোটামুটি সবার সঙ্গেই কথা বলি। আজকে জানতে চাচ্ছিলাম ওর (সাকিবের) কী মনে হচ্ছে।
‘একটা জিনিস দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ও তো সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকে। টুর্নামেন্টের আগে এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরি। এর মানে আমরা জিততে পারব।’
এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে দলের কাছ থেকে আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স আশা করেন পাপন। হার-জিতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লড়াকু মানসিকতা।
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘হারা বা জেতা নিয়ে আমার কথা না। কিন্তু খেলার মধ্যে জিততে পারব বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমি দেখতে পেয়েছি তাতে আমি খুশি। ওখানে আমরা কী করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে দল এবার ভালো খেলার চেষ্টা করবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য