বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডে সিরিজের অপেক্ষায় জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)।
চোটের কারণে দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন। হ্যামস্ট্রিং ও হাঁটুর চোটের কারণে বাদ পড়েছেন তিনি। তার পরিবর্তে নেতৃত্ব সামলাবেন উইকেটরকিপার ব্যাটার রেজিস চাকাবভা। ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া চাকাভবা প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন।
তারকা অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামসও থাকছেন না এ সিরিজে। ব্যক্তিগত কারণে ছুটি চাইলে মঞ্জুর করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিন ক্রিকেটার ইভান্স, মুনিয়োঙ্গা ও নিয়াউচি।
উইলিয়ামসন ও আরভিনের জায়গায় ওয়ানডে দলে নেয়া হয়েছে তাকুদওয়ানাশে কাইতানো ও তারিসাই মুসাকান্দাকে। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাকি ১৩ জনের সবাই ওয়ানডে দলেও নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। আর শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ ও ১০ আগস্ট। সবগুলো ম্যাচ বাংলাদেশ সময় সোয়া ১টায় জিম্বাবুয়ের হারারেতে হবে।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, ব্র্যাডলি ইভান্স, লুক জঙ্গওয়ে, ইনসেন্ট কাইয়া, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, ওয়েসলে মাধেভেরে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এনগারাভা, সিকান্দার রাজা, ভিক্টর নিয়ুচি, ও মিল্টন শুম্বা।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের করা ১৮৬ রানের স্কোরকে ৯৮ বল অক্ষত রেখে ও ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় সফরকারী দল।
রটারডামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের দুই পেইসার নাসিম শাহ ও হারিস রাউফের বোলিং তোপে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ডাচরা। ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা।
ভিক্রামজিত সিং ও ওয়েসলি বারেসিকে যথাক্রমে ১ ও ৩ রানে আউট করেন নাসিম। আর ১ রান করা ম্যাক্স-ও-ডাউডের উইকেট তুলে নেন রাউফ।
চতুর্থ উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন টম কুপার ও বাস ডে লিডে। ৬৬ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে কুপার আউট হলে ভাঙে এ জুটি।
এরপর শুরু হয় উইকেটের মিছিল। লোগান ফন বিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন ডি লিডে। ৮৯ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। ফন বিক করেন ১৩।
৪৪.১ ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে নাওয়াজ ৪২ রানে ও রাউফ ১৬ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ১১ রানের মধ্যে দুই পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হকের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় নেদারল্যান্ডস।
তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রান করে পাকিস্তানকে জয়ের পথে ফেরান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৭ রান করে আরিয়ান দাতের বলে আউট হন আজম। এরপর আর সাফল্য পাননি ডাচ বোলাররা।
রিজওয়ানের ৬৯* ও আগা সালমানের ৫০* রানের ইনিংসে জয় পায় সফরকারী দল। ম্যাচ সেরা হয় নাওয়াজ। একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে রোববার।
আরও পড়ুন:বড় জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে ভারত। জিম্বাবুয়ের করা ১৮৯ রানকে সবগুলো উইকেট ও ১১৫ বল অক্ষত রেখে টপকে গেছে সফরকারী দল। ফলে ১০ উইকেটের বড় জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে তারা।
হারারেতে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় সিমারদের তোপে বিপাকে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ১০.১ ওভারে ৩১ রানে স্বাগতিক দল হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আফ্রিকান দলটি।
শুরুর ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ধাক্কা দেন দিপক চাহার। আর চতুর্থ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ।
শেষ পর্যন্ত রেজিস চাকাবভা, ব্র্যাড ইভানস ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে দুই শর কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। চাকাবভা সর্বোচ্চ ৩৫, এনগারাভা ৩৪ ও ইভানস ৩৩ রান করেন। ৪০.৩ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দল।।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন প্রাসিধ কৃষ্ণা, দিপক চাহার ও আক্সার প্যাটেল।
১৯০ রানের লক্ষ্য খুব একটা ছোট না হলেও ভারতীয় দুই ওপেনার সেটা বানিয়ে দেন একেবারে মামুলি।
শিখর ধাওয়ান ও শুভমান গিল জিম্বাবুয়ের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন।
ধাওয়ান করেন ৮১* ও গিলের ব্যাট থেকে আসে ৮২*। ৩০.৫ ওভারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচসেরা হন দিপক চাহার।
শনিবার একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতির এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। মিরপুরে শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হলেও, অনেকেই নিজ উদ্যোগে ৪-৫ দিন আগে অনুশীলন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার মিরপুরে তাদের অনুশীলন দেখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ছিল বোর্ড। তবে সেটা কাটিয়ে ওঠায় ক্রিকেটেই পূর্ণ মনোনিবেশ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাংবাদিকদের পাপন বলেন, তার সঙ্গে প্রায় সব খেলোয়াড়ের নিয়মিত কথা হয়। তবে এশিয়া কাপের আগে সাকিবকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে তার।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। সোহানের সঙ্গে হয়। লিটন দাসের সঙ্গে হয়। আমি মোটামুটি সবার সঙ্গেই কথা বলি। আজকে জানতে চাচ্ছিলাম ওর (সাকিবের) কী মনে হচ্ছে।
‘একটা জিনিস দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ও তো সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকে। টুর্নামেন্টের আগে এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরি। এর মানে আমরা জিততে পারব।’
এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে দলের কাছ থেকে আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স আশা করেন পাপন। হার-জিতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লড়াকু মানসিকতা।
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘হারা বা জেতা নিয়ে আমার কথা না। কিন্তু খেলার মধ্যে জিততে পারব বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমি দেখতে পেয়েছি তাতে আমি খুশি। ওখানে আমরা কী করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে দল এবার ভালো খেলার চেষ্টা করবে।’
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নিয়মিত ভুগতে হয় পাওয়ার হিটিং-এর অভাবে। পাওয়ার প্লে বা ডেথ ওভারে বাউন্ডারি-বা ওভার বাউন্ডারির অভাবে বাংলাদেশের স্কোর ১৮০-২০০ রানের কাছাকাছি যায় না টি-টোয়েন্টিতে।
ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স এ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে হয়তো বাইরে থেকে আপাতত পাওয়ার হিটিং কোচ আনতে হচ্ছে না বিসিবিকে।
বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার মিরপুরে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেখে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পাপন বলেন, ‘জেমি (সিডন্স) চলে এসেছে। ওর সঙ্গে বসেছিলাম। কী করছে না করছে, পাওয়ার হিটিংয়ের ওপর কাজ করছে। এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা চিন্তা করছিলাম পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বাইরে থেকে বিশেষ কাউকে নিয়ে আসব।’
টিম ম্যানেজমেন্ট মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে খেলোয়াড়দের মানসিকতাকে। সেটা পরিবর্তন করতেই কাজ করবেন সিডন্স।
পাপন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের খেলোয়াড় আছে। সমস্যাটা হচ্ছে মানসিকতা বদলাতে হবে। টি-টোয়েন্টির মানসিকতা আলাদা থাকতে হবে যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই। ১৩০-৪০ করে হয়তো একটা ম্যাচ জিতে যাব। কিন্তু নিয়মিত সেটা হবে না। আমাদের ১৮০-৯০, ২০০ করতে হবে।
‘আমাদের যে পরিকল্পনা এখন চলছে সেখানে তেমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। খেলার মধ্যেও দেখি না। সেজন্য কী করা যায় এটা নিয়ে আলাপ করেছি। তখন জেমি বলল ও এটাতে (পাওয়ার হিটিং) খুব আগ্রহী।’
শেষ ৩ সিরিজের ৯ ম্যাচে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে দারুণ ফর্মে থাকা ব্ল্যাক ক্যাপদের এবার পরাজয়ের স্বাদ দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ পরাজয়ের আগে চলতি বিশ্বকাপের আগে একমাত্র অজেয় দল ছিল নিউজিল্যান্ড।
বার্বেডসের কেনসিংটন ওভালে বুধবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ৮ বছর পর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল সফরকারীরা।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী দল। ছোট রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা শুরুটা ভালো করলেও তা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটার আলো ছড়াতে পারেননি।
মাইকেল ব্রেসওয়েল ৩১, মিচেল স্যান্টনার ২৫, ফিন অ্যালেন ২৫, মার্টিন গাপটিল ২৪, ড্যারেল মিচেল ২০ ও টিম সাউদি করেন ১২ রান। মূলত ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনারের ৪০ রানে ভর করেই এ লক্ষ্য দাঁড় করায় সফরকারী দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও আলজারি জোসেফ। জেসন হোল্ডার নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া দুই অভিষিক্ত কেভিন সিনক্লেয়ার ও ইয়ানিক কারিয়া শিকার করেন একটি করে উইকেট।
জবাবে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েন স্বাগতিকরা। শামার ব্রুকস ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ৭৫ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের দিকেই এগোতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নয়টি চার ও একটি ছয়ের মারে ৯১ বলে ৭৯ রান করে আউট হন ব্রুকস। তবে জার্মেইন ব্ল্যাকউড ১৮ বলে ১২ ও জেসন হোল্ডার ২৫ বলে ১৩ রান করেন। দুই জনই অপরাজিত থেকে ১১ ওভার আগে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন:জোর পারফরম্যান্স না থাকার পরও আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিং তালিকায় শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের পেইসার মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ তালিকা বুধবার প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। তাতে ১৬তম স্থান থেকে দশম স্থানে জায়গা করে নেন তিনি। ইংল্যান্ডের পেইসার ক্রিস ওকসের সঙ্গে স্থানটি ভাগাভাগি করতে হচ্ছে ফিজকে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মুস্তাফিজ। ৫৭ রানে এক উইকেট নেন তিনি। ওই ম্যাচ জিতে ৯ বছর পর বাংলাদেশকে হারায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেননি ফিজ। ইনজুরি ও ফর্মের কারণে তৃতীয় ম্যাচে শরিফুল বাদ পড়লে তার জায়গায় ঠাঁই হয় মুস্তাফিজের।
এর আগে ২০১৮ সালে র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছিলেন ফিজ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেয়ায় র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে স্পিনার তাইজুল ইসলামেরও। ১৮ ধাপ এগিয়ে ৫৩তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হলেও বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। র্যাঙ্কিংয়ের অষ্টম স্থানে আছেন তিনি।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই ম্যাচ জিতে সমতা আনে আফগানিস্তান। ফলে শেষ ম্যাচ অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হলে, নিজেদের ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো আইরিশরা।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বুধবার বেলফাস্টে টস জিতে প্রথমে আফগানদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী আফগানিস্তান।
দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পরেন আফগানরা। ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ৬ বলে ১০ রান করে আউট হন। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৪৪ রান করেন ওসমান গনি। গনি অপরাজিত থাকলেও অপরপ্রান্তে তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি।
১৫ ওভার খেলার পর বৃষ্টি শুরু হলে, ততক্ষণে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
পরে বৃষ্টি না থামলে ডার্কওয়াথ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে যেতে হয় আম্পায়ারদের। এই পদ্ধতিতে আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৫৬ রানের।
আইরিশদের হয়ে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান মার্ক অ্যাডায়ার।
অল্প ওভারে এই লক্ষ্য তাড়ায় বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আয়ারল্যান্ডের। শুরুতেই ভিত গড়ে দিয়ে মুজিব উর রহমানের শিকার হন পল স্টার্লিং। ১০ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বালবার্নির ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
তিনে নেমে লরকান টাকার খেলেন ১৪ রানের ইনিংস। এরপর হ্যারি টেক্টরের ৯ এবং জর্জ ডক্রেলের ৭ রানের ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৭ উইকেটে জয়ের দেখা পায় তারা।
এদিকে মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩০০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রান পূর্ণ করেন পল স্টারলিং।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য