১৮ বছর বয়সে নিজের দেশ উরুগুয়ে ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছিলেন। পরের দেড় দশকে নিজেকে পরিণত করেছেন বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজনে। আয়াক্স আমস্টার্ডাম, লিভারপুল, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ইউরোপ সেরা ক্লাবে খেলার পর লুইস সুয়ারেস অবশেষে ফিরছেন নিজের প্রথম ক্লাব নাসিওনালে।
উরুগুয়ের শীর্ষ এ ক্লাবে যোগ দেয়ার ঘোষণা সুয়ারেস নিজেই ভক্তদের দেন। টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ৩৫ বছর বয়সী সুয়ারেস জানান নিজ দেশের ক্লাবটির সঙ্গে তার প্রাথমিক কথাবার্তাও শেষ।
ক্যারিয়ারজুড়ে তার পাশে থাকার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে সুয়ারেস বলেন, ‘নাসিওনালে খেলার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেয়াটা অনেকটাই অসম্ভব একটা ব্যাপার। প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ ওদের সঙ্গে। খুব শিগগিরই সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
‘আশা করি, নতুন এ চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করব। সবার সঙ্গে দ্রুত দেখা হবে। সবার প্রতি ভালোবাসা ও ধন্যবাদ।’
গত মৌসুম শেষে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় সুয়ারেসের। তারপর থেকে ফ্রি-এজেন্ট অবস্থায় আছেন তিনি। মাঝে আমেরিকার মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে তার যোগ দেয়ার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমেরিকায় খেলার সিদ্ধান্ত নেননি সুয়ারেস।
নাসিওনাল অ্যাকাডেমিতে ১৪ বছর বয়সে যোগ দেন সুয়ারেস। চার বছর পর ২০০৫ সালে নাসিওনালের হয়ে খেলেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন সুয়ারেস। পরের বছর নেদারল্যান্ডসের ক্লাব খ্রোনিংখেনে যোগ দেন। আয়াক্সে ৪ বছর কাটিয়ে ২০১১ সালে যোগ দেন লিভারপুলে।
তবে ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর বিশ্বসেরাদের একজন হয়ে ওঠেন সুয়ারেস। মেসি ও নেইমারের সঙ্গে মিলে গড়েন বিখ্যাত এমএসএন ত্রয়ী। বার্সেলোনার হয়ে একাধিক লিগ শিরোপাসহ জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ।
২০২০ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেন ও জিতে নেন লিগ শিরোপা।
— Luis Suarez (@LuisSuarez9) July 26, 2022আরও পড়ুন:
নব্বইয়ের দশকে ডিয়েগো ম্যারাডোনা পরবর্তী যুগে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। নিজের প্রজন্মের অন্যতম সেরা এ স্ট্রাইকার জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েন।
১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপের আসরে খেলেন বাতিগোলখ্যাত এ তারকা। একসময় আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডও তার ছিল। পরে লিওনেল মেসি তার এ রেকর্ড ভাঙেন।
বাতিস্তুতা মনে করেন, মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা এখন অনেকটাই নির্ভার। বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের ভালো করার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে ১০ গোল করা এ স্ট্রাইকার বলেন, বর্তমান স্কোয়াডের প্রতিটি খেলোয়াড়ের আলাদা দক্ষতা আছে।
বাতিস্তুতা বলেন, ‘দলের বর্তমান সব খেলোয়াড়েরই আলাদা ব্যক্তিত্ব আছে। অনেক দিন ধরে তারা কষ্ট করছে। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। মেসি নিজেও এদের সঙ্গে খেলাটা উপভোগ করছে। তারা সবাই মেসির ওপর নির্ভর করে। আমি দলে থাকলে আমিও তাই করতাম।’
চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মেসি। ২০১৪ সালে দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার তালিসমান। এবারও তার ওপর ভরসা আর্জেন্টিনার। বাতিস্তুতা জানেন, মেসিকে কেমন চাপ নিতে হয়। তবে মেসি সেটা সামলে নিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে মনে করেন তিনি।
বাতিস্তুতা বলেন, ‘সবাই তার (মেসি) কাছ থেকেই সবকিছু প্রত্যাশা করে। মেসি সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে এসেছে। সে জানে কীভাবে সামলাতে হবে। সবাই যদি একসঙ্গে খেলে তাহলে কতটা দারুণ হবে ভাবুন একবার।’
আরও পড়ুন:মৌসুমের শুরু থেকে দল ছাড়তে চাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। গত বছর অনেক ঘটা করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার পর দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হওয়ায় জোর করেই দল বদল করতে চাচ্ছেন এ পর্তুগিজ তারকা।
কয়েক মাস ধরে ইউনাইটেড ও রোনালডোর মধ্যে এ নাটক চলছে। শুরুতে এরিক টেন হাখ রোনালডোকে ছাড়তে চাননি। রোনালডো এ মৌসুমে আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে বিশ্বাস এ ডাচ কোচের।
রোনালডো হাখের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। লিগের প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে ইউনাইটেড। দুই ম্যাচে রোনালডো ছিলেন নিষ্প্রভ। গোল বা অ্যাসিস্ট পাননি উল্টো তাকে বদলি হিসেবে উঠিয়ে নেয়ার পর প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন ড্রেসিং রুমে।
সব মিলিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এ তারকার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ টেন হাখ। ব্রিটিশ মিডিয়া জানাচ্ছে, তিনি অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোনালডোকে ক্লাব ছাড়া করার। ব্রিটিশ ক্রীড়া রেডিও টক স্পোর্টস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে রোনালডোকে ক্লাবছাড়া করাটা সহজ হবে না ইউনাইটেডের জন্য। একে তো তার বয়স বেশি। তার ওপর রয়েছে উচ্চ পারিশ্রমিক।
যে কারণে মৌসুমের শুরুতে একে একে রোনালডোর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পিএসজি, ইন্টার মিলান, মিলান ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাব। এমনকি নাপোলিও তাকে নিতে চায়নি।
রোনালডো ও তার এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেসের হাতে সুযোগ কমে আসছে। পাঁচবারের ব্যালন ডরজয়ী তারকার মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে সেল্টিকস, মার্শেই ও আরবি লাইপসিগের মতো ক্লাব। এ ছাড়া নিজ দেশ পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবনের কথাও ভেবে দেখতে পারেন রোনালডো।
আরও পড়ুন:সাড়ে ৭ কোটি ইউরো খরচ করে ডারউইন নুনিয়েসকে দলে টানার পর তার কাছ থেকে পূর্বসূরি লুইস সুয়ারেসের মতোই গোলের বন্যার প্রত্যাশায় ছিল লিভারপুল। সুয়ারেসের মতো না হলেও গোওল করার দক্ষতার পরিচয় নিজের প্রথম ম্যাচে দিয়েছেন নুনিয়েস।
কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ও লিগের প্রথম ম্যাচে ফুলহ্যামের বিপক্ষে গোল করে জানান দেন তার পেছনে টাকা ঢেলে ভুল করেনি লিভারপুল।
তবে নিজের আনুষ্ঠানিক তৃতীয় ম্যাচে এসে করে বসলেন অদ্ভূত এক কান্ড। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে মাথা দিয়ে গুঁতো দেয়ার কারণে লাল কার্ড পান এ উরুগুইয়ান। ১০ জন নিয়ে খেলে ম্যাচে জয় বঞ্চিত হয় লিভারপুল।
ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করেছে লিভারপুল। উদ্বোধনী ম্যাচে ফুলহ্যামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাদেরকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
লিভারপুলের মাঠে সোমবার রাতে স্বাগতিকদের চমকে দিয়ে সফরকারী প্যালেসকে লিড এনে দেন উইলফ্রেড জাহা। ৩২ মিনিটে তার করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে থাকে ক্রিস্টাল প্যালেস।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। প্যালেসের জোয়াকিম অ্যান্ডারসনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নুনিয়েজ। ফলে, বাকি আধঘণ্টা এক জন কম নিয়েই খেলতে হয় ইংলিশ জায়ান্টদের।
৬১ মিনিটে আরেক নতুন রিক্রুট লুইস দিয়াসের গোলে ম্যাচে ফেরে লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচশেষে বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। নুনিয়েসের মাঠ ছাড়ার হওয়ার পর সতীর্থদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল প্যালেসের বিপক্ষে এমনটা বলেন লিভারপুল বস।
ক্লপ বলেন, ‘সে নিজেই জানে কী করেছে। অবশ্যই এটা লাল কার্ড ছিল। নুনিয়েসকে উত্যক্ত করা হচ্ছিল সেটা ঠিক। কিন্তু ওর এভাবে জবাব দেয়া ঠিক হয়নি।’
টানা দুই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম অবস্থানে আছে লিভারপুল। সামনের মঙ্গলবার তারা খেলবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন:দলবদলের বাজারে আনহেল দি মারিয়ার মতো বড় তারকাকে দলে ভিড়িয়ে মৌসুম শুরুর আগে সেরি আর অন্য দলগুলোকে বেশ বড় বার্তা দিয়ে রেখেছিল ইউভেন্তাস। গতবারের হারানো লিগ শিরোপা ফিরে পেতে এবারে তারা বদ্ধপরিকর। হেড কোচ মাসিমিলানো আলেগ্রিও এ নিয়ে কোনো রাখঢাক করেননি।
লিগ শুরুর ম্যাচে ইউভেন্তাস তাদের ভক্তদের দারুণ এক পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে কথা রেখেছে। লিগ শিরোপার দিকে তারা মনোযোগী শুরুর ম্যাচ থেকেই- এটা প্রমাণ করতেই যেন সাসুয়োলোকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তুরিনের ক্লাবটি।
নিজেদের মাঠে সোমবার রাতে দি মারিয়া ২৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের শেষে আরেকটি গোল আসে দুসান ভ্লায়োভিকের পেনাল্টি থেকে। আর বিরতির পরপর ৫১ মিনিটে আরেকটি গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ভ্লায়োভিক।
তবে ইউভেন্তাসের বড় জয়ের দিনে ধাক্কা হয়ে আসে দি মারিয়ার ইনজুরি। ৬১ মিনিটে অ্যাবডাক্টর পেশির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় এ আর্জেন্টাইন তারকাকে।
ম্যাচ শেষে আলেগ্রি অবশ্য জানিয়েছেন চোট গুরুতর নয়। দি মারিয়ার এ চোট পুরোনো। আলেগ্রির প্রত্যাশা দ্রুত আবার মাঠে ফিরতে পারবেন দি মারিয়া।
তিনি ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মোটেও চিন্তিত নই। মঙ্গলবার ওর চোট পরীক্ষা করানো হবে, তারপর বোঝা যাবে। এ ধরনের চোট ফুটবলে হয়েই থাকে।’
একই রাতে বড় জয় পেয়েছে নাপোলিও। ভেরোনাকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:সঙ্কটে পড়ে গেল ভারতীয় ফুটবল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ফিফার বিবৃতির বরাতে মঙ্গলবার জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
ফিফা বলেছে, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সে দিন থেকে এই শাস্তি বাতিল হয়ে যাবে।’
আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল হওয়ার কথা। তবে ফিফার পদক্ষেপে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পথ আপাতত বন্ধ হলো।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফার শাস্তির অর্থ হলো, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’
ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়ে ফিফা বলছে, এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব।
দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ফেডারেশনের সভাপতি পদে বসেছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত চলতি বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি ভেঙে দেয়। ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে দেয়। একই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে।
এর মধ্যে আদালতে অভিযোগ করা হয়, পটেল এখনও ফেডারেশনের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছেন। তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও ওঠে। এমন অবস্থাতে পদক্ষেপ নিল ফিফা।
আরও পড়ুন:নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের অবস্থাটা এরকম যে ২-১ এ জয়ের দ্বারপ্রান্তে চেলসি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হল ব্লুজদের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রোববার হ্যারি কেইনের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে চেলসি।
ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিল দুই দল। তবে ম্যাচের ১৯ তম মিনিটে প্রথমবারের মতো লিড নেয় স্বাগতিকরা। কুকিরেল্লার মাপা কর্নার কিকে ডি বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে ব্লুজদের জার্সিতে প্রথমবারের মতো গোল করেন কালিদু কৌলিবালি।
এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আর গোলের দেখা মেলেনি কারোরই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্পার্সরা। সেই সুবাদে ৬৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরেন তারা। ডি বক্সের ভেতর ডেভিসের থেকে পাওয়া পাসে ডান পায়ের নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে সফরকারীদের সমতায় ফেরান পিয়েরে এমিলে।
তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকা সম্ভব হয়নি স্পার্সদের পক্ষে। ৯ মিনিটের মাথায় ফের লিড নেয় চেলসি। রহিম স্টারলিংয়ের পাসে লক্ষ্যভেদ করেন রিচ জেমস।
ম্যাচের ফলাফল যাচ্ছিল নিশ্চিতভাবেই চেলসির পক্ষে। ২-১ গোলে জয়ের পথেই হাঁটছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের ৬ষ্ঠ মিনিটে বিপত্তি বাধান হ্যারি কেইন।
চেলসির বোনা জয়ের স্বপ্ন চোখের পলকেই দুর্দান্ত এক হেডে ধূলিস্মাত করে দেন ইংলিশ এই দলপতি। আর তাতেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
আরও পড়ুন:শুরুতেই গোল হজম, সেখান থেকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত আলমেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-১ ব্যবধানে। লুকাস ভাস্কুয়েজ ও ডেভিড আলাবার নৈপূণ্যে জয় দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করল লস ব্লাংকোরা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদকে গার্ড অফ অনার দিলেও ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নেয় আলমেরিয়া। মাঝ মাঠ থেকে এগুয়ারেসের থ্রু পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে জালের ঠিকানা খুঁজে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসান লারজি রামাজানি।
শুরুতেই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু প্রতিবারই নবাগত আলমেরিয়ার গোলরক্ষক মার্টিনেজ বাধ সাধতে থাকেন প্রতিটি আক্রমণেই। যার ফলে প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখাই মেলেনি সফরকারীদের।
এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ম্যাচের ৬০তম মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখে আলমেরিয়া। ৬১ মিনিটের মাথায় সেয়াগতিকদের রক্ষণভাগ চিড়ে রিয়ালকে সলমাতায় ফেরান লুকাস ভাস্কুয়েজ।
সমতায় ফিরে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে লস ব্লাংকোসরা। মুহুর্মুহ আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলেন স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ।
সেই সুবাদে ৭৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বর্তমান শিরোপাধারীরা। এবারে গোলের নায়ক আলাবা। ম্যাচের বাকিটা সময় নিজেদের রক্ষণভাগ আগলে রেখেই ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য