গল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের খরচায় ১৭৬ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩২৩ রানে। ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২৭ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন দিমুথ কারুনারত্নে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার করা ৩৭৮ রানের জবাবে ২৩১ রানেই গুটিয়ে যায় সফররত পাকিস্তান। আর ১৪৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা।
কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন ওপেনার নিরোশান দিকভেলা। আরেক ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ফেরেন ১৮ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ১৫ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ফলে ৫৯ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
চতুর্থ উইকেটে কিছুটা চাপ সামলে উঠে লঙ্কানরা। কিন্তু পাক পেইসার আঘা সালমানের কল্যাণে তা পোক্ত হয়নি বেশিক্ষণের জন্য। ব্যক্তিগত ৩৫ ও দলীয় ১০০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফেরান তিনি।
নাসিম শাহের বলে ২১ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় দিনেশ চান্দিমালকে। শেষদিকে দিমুথ করুনারত্নে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার কল্যাণে দিনের শেষে আর উইকেট পতন ঘটেনি শ্রীলঙ্কার। দিন শেষ হওয়া পর্যন্ত এই দুই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ৭ উইকেটে ১৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করতেই অলআউট হয় পাকিস্তান। আর সেই সুবাদে বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পরও নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা মেলায় ক্লিন সুইপের হাত থেকে রক্ষা পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে শর্টার ফরম্যাটে ক্লিন সুইপের হাত থেকে বাঁচলেও ওয়ানডেতে এসে বাংলাদেশের স্মৃতিতে ভাসছে ২১ বছর আগের এক সিরিজ। ২০০১ সালের পর বাংলাদেশকে ক্লিন সুইপের শঙ্কা জাগিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
২১ বছর আগে গড়া সেই রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর মিশনে বুধবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
ইতোমধ্যেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের সামনে মিশন ক্লিন সুইপ এড়ানো। সেই মিশনে বুধবার দুই পরিবর্তন আসতে পারে বাংলাদেশের একাদশে। শেষ ম্যাচে খেলার সুযোগ মিলতে পারে নাঈম শেখ ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এবাদত হোসেনের।
হারারের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভালো করলেও বোলারদের ধারহীন আক্রমণ প্রতি ম্যাচেই ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। শুরুতে দ্রুত উইকেট তুলে নিলেও হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বোলাররা হারাচ্ছেন তাদের লাইন ও লেংথ। শেষ ম্যাচে তাই বোলিং ইউনিটে বেশি নজর রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জিম্বাবুয়ের ব্যাটার সিকান্দার রাজা স্বভাবত দুশ্চিন্তার কারণ তামিম ইকবালের দলের জন্য। সে সঙ্গে রেগিস চাকভাবা, ইনোসেন্ট কাইয়া তাদের দাপুটে পারফরম্যান্সে সহজেই কুপোকাত করার ক্ষমতা রাখছেন বাংলাদেশকে।
সিরিজের দুই ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। সেটি ৮০ রানের। বোলিং ইউনিটের সঙ্গে ব্যাট হাতেও বড় ইনিংস খেলার দিকে নজর দিতে হবে টাইগারদের।
ক্লিন সুইপ এড়াতে ভালো খেলার বিকল্প দেখছেন না টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। সেরা ক্রিকেট খেলে অন্তত একটি জয় বাগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য টাইগার দলপতির।
তামিম বলেন, ‘আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি এবং সে কারণেই আমরা এই অবস্থানে আছি। অন্তত একটা ম্যাচ জিততে হলে পরের ম্যাচে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। আশা করি আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারবো।’
শেষ ম্যাচে ইনজুরির কারণে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে শরীফুল ইসলামকে। তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা হতে পারে রঙ্গিন পোশাকে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এবাদত হোসেনের।
এদিকে সিরিজের শেষ ম্যাচেও টসে জিতে বোলিং নেয়া দল জয়ের দিকে এগিয়ে থাকবে বেশ কিছুটা। হারারের উইকেট এখন পর্যন্ত সেই বার্তাই দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল বিজয়/মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।
জিম্বাবুয়ে সম্ভাব্য একাদশ: রেগিস চাকাভবা (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, সিকান্দার রাজা, ব্র্যাড ইভানস, টানাকা চিভাঙ্গা, টনি মুনিয়োঙা, টাকুডজানাওয়াশে কাইটানো, লুক জঙ্গওয়ে, ভিক্টর নিয়াউচি ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সময় বেশি বাকি নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি টুর্নামেন্টের আগ মুহূর্তে জাতীয় দলের গলার কাঁটা হয়ে আছে খেলোয়াড়দের ইনজুরি। এতে জর্জরিত গোটা বাংলাদেশ শিবির।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে নুরুল হাসান সোহান ও মাঝপথে লিটন দাস ইনজুরির কারণে অনেকটাই অনিশ্চিত এশিয়া কাপে। ইনজুরির সমস্যা রয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ইয়াসির আলি রাব্বির। এদিকে মুস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলামকেও পড়তে হয়েছিল ইনজুরির কবলে।
হুট করেই কেন টানা এমন ইনজুরি? স্বভাবতই উত্তর আসে যে টানা ব্যস্ত সূচির কারণে লম্বা সময় ধরে খেলায় ক্রিকেটারদের পড়তে হচ্ছে এই ইনজুরিতে। একইসঙ্গে চোঁটের মিছিলে ক্রিকেটারদের যোগ দেয়ার বিষয়টি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সবার কপালে।
সবাই চিন্তিত হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল ইউনিট চিন্তিত নন ইনজুরির মিছিল নিয়ে। তাদের মতে টানা খেলার সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক ইনজুরির কোন সম্পর্ক নেই।
একই সঙ্গে বোর্ডের দাবি ক্রিকেটারদের ব্যস্ত সূচি কোনো প্রভাব বিস্তার করছে না ইনজুরিতে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এমনটাই দাবি করেছেন। টানা খেলায় পেইস বোলারদের ইনজুরির শঙ্কা থাকলেও সেই বিষয়ে ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে বোর্ড বলেও জানান তিনি।
নিজবাংলাকে দেবাশীষ বলেন, ‘ইনজুরিটা দু রকমের। একটা হল আঘাতপ্রাপ্ত ইনজুরি। ফ্র্যাকচার হয়েছে, রান বা ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাসল পুল হয়েছে। সেটার সঙ্গে টানা খেলার কোনো সম্পর্ক নেই। আরেকটা হল ওভার ইউজড ইনজুরি। সেটা বারবার খেলার জন্য হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যেগুলো হয়েছে সেগুলো সবই আঘাতজনিত ইনজুরি। ওভার ইউজড নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেইস বোলারদের কিছু সমস্যা হতে পারে। ব্যাটার ও স্পিনারদের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন পেইস বোলারদের বোলিং ওভারলোড ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে। সেটার ফলে ওভার ইউজড ইনজুরির সম্ভাবনা কমে আসবে।’
একের পর এক ক্রিকেটার যোগ দিচ্ছেন ইনজুরির মিছিলে। কিন্তু আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ইনজুরির লম্বা মিছিল আর লম্বা হবে না বলে মনে করছেন বোর্ডের এই চিকিৎসক।
দেবাশীষ বলেন, ‘সামনে আমাদের বেশিরভাগই শর্টার ভার্শনের খেলা। এখানে টানা বোলিং করতে হয় না, বা টানা ব্যাটিংও করা লাগে না। যে কারণে এ ধরণের ইনজুরির সম্ভাবনা বেশ কম। টানা খেলা হলেও সম্ভাবনা কম কারণ খেলার মাঝখানে যেই গ্যাপ থাকে তাতে খেলোয়াড়দের রিকোভারি হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এশিয়া কাপও হচ্ছে শর্টার ভার্শনে, বিশ্বকাপও শর্টার ভার্শনে। সবই কিন্তু শর্টার ভার্শনের খেলা। এগুলোতে আসলে থিওরিটিক্যালি বললে ওভার ইউজড ইনজুরির সম্ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন:আইসিসির এলিট প্যানেলের সাউথ আফ্রিকান আম্পায়ার রুডি কোয়ের্টজেন আর নেই। সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩ বছর বয়সে নিহত হন প্রোটিয়া এই আম্পায়ার।
মঙ্গলবার কেপটাউন থেকে ইস্টার্ন কেপে যাওয়ার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি।
কোয়ের্টজেনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন তার ছেলে রুডি কোয়ের্টজেন জুনিয়র।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অ্যাগোলা নিউজকে তিনি বলেন, ‘তিনি (রুডি) বন্ধুদের সঙ্গে একটি গলফ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সোমবার তার ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরেক রাউন্ড খেলে ফিরবেন। তবে ফেরা আর হল না।’
কোয়ার্টজেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার আলিম দার।
তিনি বলেন, ‘সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেট ও তার পরিবারের জন্য এটি বড় ক্ষতি। আমি তার সাথে বেশ কয়েকটি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছি। শুধু আম্পায়ার হিসেবেই নয়, সহকর্মী হিসেবেও তিনি ছিলেন অসাধারণ।’
প্রোটিয়া আম্পায়ার মারিসাস ইরোসমাস শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘রুডি সাউথ আফ্রিকানদের আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি সত্যিকারপক্ষে একজন কিংবদন্তি। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে রুডির অভিষেক হয়েছিল ৪৩ বছর বয়সে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ভারত-সাউথ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের একটি ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন।
২০০৭ বিশ্বকাপের পর আইসিসির এলিট আম্পায়ার হিসেবে তিনি জায়গা করে নেন।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি ‘মেমোরিজ অফ ক্রিকেট আম্পায়ার (উইথ চার্লস শুম্যান) নামে একটি বই লিখেছিলেন।
২০১১ সালের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যকার ম্যাচে শেষবার আম্পারারিং করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে সফরে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয় দলের। দুই ফরম্যাটে বাজেভাবে সিরিজ হারতে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। এর সঙ্গে যোগ হলো আইসিসির জরিমানা।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্লো ওভার রেটে জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। নির্ধারিত সময়ে দুই ওভার কম করায় ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত সময়ে দুই ওভার কম বল করার অপরাধে বাংলাদেশ ভেঙেছে আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ধারা ২.২২। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
সেখানে আরও বলা হয়, ‘মন্থর ওভার রেটের ক্ষেত্রে প্রতি ওভারের জন্য খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফির অন্তত ২০ শতাংশ জরিমানা করার বিধান রয়েছে। সেই মোতাবেক ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশ জরিমানা ধরা হয়েছে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল এ দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। সে কারণে আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
আরও পড়ুন:সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। চোটের কারণে জাসপ্রিত বুমরাহ ছিটকে গেলেও দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল।
বিসিসিআই সোমবার এ টুর্নামেন্টের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই দল রাখার চিন্তা করছে বিসিসিআই।
প্রায় তিন বছরে ধরে ফর্মে না থাকা বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে। এশিয়া কাপের মধ্য দিয়ে তিনি আবারও যুক্ত হচ্ছেন ভারতের জাতীয় দলে। কুচকির চোটের কারণে বাইরে থাকা কেএল রাহুলও ফিরছেন এশিয়া কাপে।
ভারতের নির্বাচক কমিটি সঞ্জু স্যামসনের ও দীপক হুদার পরিবর্তে মিডল অর্ডারে যুক্ত করেছেন শ্রেয়াস আইয়ারকে, তবে তিন খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। এ তিনজনের মধ্যে রয়েছেন শেয়াস আইয়ার। এ ছাড়া আক্সার প্যাটেল ও দীপক চাহার রয়েছেন স্ট্যান্ডবাইয়ের তালিকায়।
বুমরা ও হার্শালের চোটজনিত অনুপস্থিতিতে ভারত দলে আছেন তিন স্বীকৃত পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদীপ সিং ও আবেশ খান। তাদের সঙ্গে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
এশিয়া কাপে ভারতের স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সুরিয়াকুমার ইয়াদভ, রিশভ পান্ট, দিনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, আরশদীপ সিং, রবি বিষ্ণোই, আভেশ খান, দীপক হুডা ও ইউজবেন্দ্র চাহাল।
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জিম্বাবুয়ে সফর শেষে হেড কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের অপারেশনস প্রধান জালাল ইউনূস।
সোমবার সাংবাদিকদের ইউনূস বলেন বিসিবি হাথুরুসিংহের মতো আক্রমণাত্মক কোচ চাইছে। বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দক্ষ কোচ হলেও তার মধ্যে আরও আগ্রাসীভাব দেখতে চায় বোর্ড।
ইউনুস বলেন, ‘তাদের কোচিংয়ের ধরণ আলাদা। কেউ কিছুটা আক্রমণাত্মক। কেউ আবার আক্রমণাত্মক হয় না। হাথুরুসিংহের কোচিং ছিল আক্রমণাত্মক। যেটা আমাদের দরকার।আমাদের যে সাপোর্ট স্টাফ, প্রধান কোচ, ব্যাটিং কোচ- তারা খুবই জ্ঞানী কোচ কিন্তু তেমন আক্রমণাত্মক না, যেটা আমরা চাই।’
জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কোচদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। নিজ দেশ থেকে এশিয়া কাপের ভেন্যুতে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেয়া পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সফর শেষে ও এশিয়া কাপের আগে বিসিবি কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে বসতে চায়।
একই সঙ্গে এশিয়া কাপের দলও গুছিয়ে ফেলেছে বিসিবি। অধিনায়ক চূড়ান্ত করে ফেলেছে বোর্ড। এ সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দল।
ইউনূস বলেন, ‘একজনকে অধিনায়ক ধরেই এশিয়া কাপের পরিকল্পনা চলছে। ১-২ দিনের মধ্যেই অধিনায়কের নাম জেনে যাবেন। আমরা ইঞ্জুরির তালিকাটা দেখব। এরপর একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে।
‘আমরা এশিয়া কাপে এমন একটা দল চাচ্ছি যেটা দিয়ে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত চালিয়ে নেয়া যাবে। যে কারণে কিছুটা সময় নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে সাকিব আল হাসানের চুক্তি বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের আশাবাদ দ্রুত একটা সমাধান আসবে এ ইস্যুতে।
২ আগস্ট সাকিব নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দেন বেটউইনার নিউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক, সাকিব বেটিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছেন; বিসিবির নীতিমালায় যা অবৈধ।
বেটউইনার নিউজ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে তারা শুধু একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বেটিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও বিসিবি সাকিবের সঙ্গে এ ইস্যুতে কথা বলেছে বলে জানান ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান জালাল ইউনূস।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি সোমবার বলেন, ‘এ ইস্যুতে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগে আছি। বিষয়টা আমাদের সমাধান করা দরকার। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা তার সঙ্গে আলাপ করছি। আশা করি দুই-এক দিনের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন।’
বেটিং বা ফিক্সিং বিষয়ে বিসিবির জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে জালাল যোগ করেন, ‘সাকিবের এ ধরনের কোনো একটা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমরা তাকে জানিয়েছি। সাকিব জানে ব্যাপারটা। এটা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
মন্তব্য