১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়সে উপমহাদেশে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন বাংলাদেশের নিয়াজ মোর্শেদ। সে সময় পুরো এশিয়ায় গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন মাত্র চারজন।
এরপর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১৫ বছর। ২০০২ সালে দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার হন জিয়াউর রহমান। ২০০৬ সালে রিফাত বিন সাত্তার, ২০০৭ সালে আবদুল্লাহ আল রাকিব।
পঞ্চম গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজিব নর্ম অর্জন করেন ২০০৮ সালে। অথচ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বর্তমানে গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যা ৭৩।
১৪ বছরেও দেশে নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার না পাওয়ার আক্ষেপ দিন দিন বেড়ে চলছে। ভারতের পাইপলাইনে যে পরিমাণ দাবাড়ু আছে, তার ছিটেফোঁটাও নেই বাংলাদেশে।
গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্বকাপ দাবায় প্যারাগুয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার নিউরিস দেলগাদো রামিরেসের বিপক্ষে খেলছেন বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ। ফাইল ছবি
নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি না হওয়ার পেছনে দাবাড়ুরা আর্থিক সহযোগিতা ও স্পন্সরশিপের অভাবকে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে স্পন্সরের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না দেশের খেলোয়াড়রা। এ কারণে আসছেন না নতুন গ্র্যান্ডমাস্টার।
আন্তর্জাতিক দাবা দিবস (২০ জুলাই) উপলক্ষে নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক নর্ম টুর্নামেন্ট না খেললে পয়েন্ট অর্জন করা কঠিন একজন দাবাড়ুর পক্ষে। আর আর্থিক সহায়তা না পেলে নিয়মিত দেশের বাইরে টুর্নামেন্ট খেলা কঠিন।’
জিয়া বলেন, ‘আমরা যে পাঁচ জন গ্র্যান্ডমাস্টার আছি, সবাই শুরু থেকে পরিবার থেকে একটা ভালো সহায়তা পেয়েছি। তখন আসলে সরকারি-বেসরকারি সমর্থন ও পরিবারের সহায়তায় এটা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
‘এখনকার বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে শুরুতে আর্থিক একটা সমস্যায় ভুগতে হয়। অনেকেই পরিবার থেকে অর্থিক সহযোগিতা পায় না। শুধু ফেডারেশনের সাপোর্ট নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে হয়। ১০ বছর ধরে আমি এই সমস্যাটা দেখছি।’
দাবার বোর্ডে ঘুঁটির চাল দিয়ে ‘জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা টুর্নামেন্ট’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতের উঠতি খেলোয়াড়দের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জিয়া বলেন, তারা অনেক বেশি আন্তর্জাতিক ও নর্ম টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারছে, যে কারণে তাদের জন্য নর্ম পয়েন্ট অর্জন সহজ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারতের দোমারাজু গুকেশের কথা বলি, সে বাংলাদেশে খেলতে ২০২১ সালে এসেছিল। ভারতের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার সে। বয়স মাত্র ১৬। ২৫৫০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সে বাংলাদেশে খেলতে এসেছিল। আর এখন ১ বছরের মধ্যে ওর রেটিং হয়েছে ২৭০০। পরিবার ও সরকার থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা পাচ্ছে সে।’
বাংলাদেশের দাবা ফেডারেশনের এখনও নিজস্ব কোনো ভবন নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) দেয়া অস্থায়ী ভবনে চলে কার্যক্রম। দাবা ফেডারেশন অনেক ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও সেটাকে যথেষ্ট মনে করছেন না গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া।
তিনি বলেন, ‘ফেডারেশন আসলে এই মুহূর্তে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে বেশি আগ্রহী। তারা ব্যস্ত শুধু ছোট বাচ্চাদের কীভাবে দাবায় নিয়ে আসতে হয়, সেটায়, কিন্তু যারা বর্তমানে ভালো দাবাড়ু, তাদের উন্নতির দিকে খুব বেশি নজর নিচ্ছেন না।
‘গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরিতে যে আর্থিক সহযোগিতা দরকার, সেটাও দেখা যাচ্ছে না। এটা যখন হবে, তখন নতুন জিএম (গ্র্যান্ডমাস্টার) পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’
প্রাথমিক ধাপগুলোতে মনোযোগের আহ্বান
দাবার সর্বোচ্চ খেতাব গ্র্যান্ডমাস্টার হতে হয় কয়েকটি ধাপে। শুরুতে ক্যান্ডিডেট মাস্টার থেকে ফিদে মাস্টার। এরপর আন্তর্জাতিক মাস্টার ও সবশেষে নির্ধারিত নর্ম পয়েন্ট নিয়ে একজন দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব লাভ করেন।
গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি করতে হলে প্রাথমিক ধাপগুলোতে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান দেশের সবশেষ গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য দেশে গ্র্যান্ডমাস্টার থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার বেশি থাকে। আবার ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার থেকে ফিদে মাস্টার আরও বেশি থাকে। হঠাৎ করে তো কেউ একজন গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারবে না।
‘ওই ধাপগুলো পার করে তাকে আসতে হবে। আমাদের আসলে ফোকাস করতে হবে ওই জায়গাগুলোতে। দেখতে হবে আমাদের অনেক ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ফিদে মাস্টার তৈরি হচ্ছে কি না।’
জিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে একমত রাজীব। উদাহরণ হিসেবে সুইজারল্যান্ডে চলমান দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সুইজারল্যান্ডে একটি টুর্নামেন্ট চলছে, যেখানে অনেক ভারতীয় দাবাড়ু খেলছেন। বাংলাদেশ থেকে কিন্তু দাবাড়ুরা ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।
‘আমার মতে, আমাদেরও প্রচুর প্রতিভা আছে, যারা বিভিন্ন খেতাব অর্জন করতে পারে, কিন্তু সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা সেটা পারছে না।’
আরও পড়ুন:ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ৪৪তম ফিদে দাবা অলিম্পিয়াড টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। ওপেন বিভাগে বাংলাদেশ পুরুষ দল ১৮৬টি দেশের ১৮৮টি দলের মধ্যে ৬৬তম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। নারী বিভাগে বাংলাদেশ ১৬০টি দেশের ১৬২টি দলের মধ্যে ৫৬তম স্থান লাভ করেছে।
পুরুষ ও নারী দল সমানসংখ্যক ১১ রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে দুই দলই ১২ পয়েন্ট নিয়ে এবারের অলিম্পিয়াড টুর্নামেন্ট শেষ করল।
একাদশ বা শেষ রাউন্ডের খেলায় মঙ্গলবার ওপেন বিভাগে বাংলাদেশ দল ১.৫-২.৫ পয়েন্টে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে হেরে যায়।
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ইন্দোনেশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার প্রিয়াসমোরো নবেন্দ্রকে পরাজিত করলেও গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ইন্দোনেশিয়ার মেঘারান্ত সুসান্তের সঙ্গে ড্র করেন।
বাংলাদেশের দুই ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও মেহেদী হাসান পরাগ ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার এরভান মোহাম্মদ ও ফিদে মাস্টার কুরনিয়াওয়ান মোহম্মদ আগুসের কাছে হেরে যান।
অন্যদিকে নারী বিভাগে বাংলাদেশের নারী দল শেষ রাউন্ডের খেলায় ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে সাউথ আফ্রিকাকে পরাজিত করে।
নারী বিভাগে বাংলাদেশের ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম, ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস ও ফিদে মাস্টার নাজরানা খান ইভা জয়ী হন সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে।
অন্যদিকে সাউথ আফ্রিকার নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার ভ্যান জিল চালির্জের সঙ্গে ড্র করেন আন্তর্জাতিক মাস্টার শারমীন সুলতানা শিরিন।
ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস অলিম্পিয়াড থেকে নারী ফিদে মাস্টারের খেতাব পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের হয়ে ওপেন বিভাগে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ফিদে ইনস্ট্রাক্টর মাসুদুর রহমান মল্লিক। অন্যদিকে নারী বিভাগে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ন্যাশনাল ইনস্ট্রাক্টর ও ফিদে মাস্টার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি।
আরও পড়ুন:ক্রিকেট
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় ওয়ানডে
দুপুর সোয়া ১টা, টি স্পোর্টস
বাংলাদেশ ‘এ’-উইন্ডিজ ‘এ’ দ্বিতীয় চারদিনের টেস্ট
রাত ৮টা, ইউটিউব/উইন্ডিজ ক্রিকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি
রাত সাড়ে ১২টা, আইসিসি টিভি
টি-টোয়েন্টি
মহারাজা ট্রফি
বিকেল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা, স্টার স্পোর্টস ২
ফুটবল
ইউয়েফা সুপার কাপ
রিয়াল মাদ্রিদ-ফ্রাঙ্কফুর্ট
রাত ১টা, সনি টেন ২
অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপ ফুটবল
জার্মানি-কলম্বিয়া
রাত ১১টা, টি স্পোর্টস ও স্পোর্টস ১৮-১
নিউজিল্যান্ড-মেক্সিকো
রাত ২টা, টি স্পোর্টস ও স্পোর্টস ১৮-১
স্পেন-ব্রাজিল
ভোর ৫টা, স্পোর্টস ১৮-১
ভক্তদের মনে আশঙ্কাটা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে সত্য হলো সেটা। টেনিস কোর্ট থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকান কিংবদন্তি সেরিনা উইলিয়ামস। লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ভোগের এক কলামে তিনি মঙ্গলবার নিজের এ সিদ্ধান্ত জানান।
তার লেখায় সরাসরি অবসরের কথা লেখেননি সেরিনা। ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী তারকা লেখেন যে, ‘অন্যান্য বিষয় তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ আরও লেখেন যে, ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।’
আগস্টের ইউএস ওপেনই হতে যাচ্ছে তার সবশেষ টুর্নামেন্ট, এমন ইঙ্গিত দেন ৪১ বছর বয়সী এ তারকা। এরপর টেনিস কোর্ট ছেড়ে আরেকটি সন্তানের মা হতে চান তিনি।
ভোগকে সেরিনা আরও বলেন এ সিদ্ধান্তটি নেয়া তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে পাশে থাকার জন্য ভক্তদেরকে ধন্যবাদ জানান ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী এ চ্যাম্পিয়ন।
তিনি লেখেন, ‘আমি জানি এটা বলার মতো গতানুগতিক বিষয় নয়। এ কথা বলতেও আমার কষ্ট হচ্ছে। এটি কল্পনা করা আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন। আমি চাই না এটা শেষ হোক। তবে একই সঙ্গে আমি পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছি।
‘আমি ঠিকমতো বিদায় জানাতে পারি না। কিন্তু এটা মনে রাখবেন আমি আপনাদের কাছে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ। এতটাই যে সেটা প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই আমার কাছে।’
টেনিসের ওপেন যুগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন সেরিনা উইলিয়ামস। তার চেয়ে বেশি ২৪টি আছে শুধু মার্গারেট কোর্টের। ২৩ গ্র্যান্ডস্ল্যামের সবশেষটি সেরিনা জিতেছেন ২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এরপর ৫ বছর আর সাফল্য আসেনি। গত দুই বছর লড়াই করেছেন ইনজুরির সঙ্গে।
সেরিনা অকপটে স্বীকারও করে নিলেন সে কথা। তিনি লেখেন, সেরা ছন্দে নেই তিনি। ইউএস ওপেনে মার্গারেট কোর্টকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা এখন তার কাছে এক অসম্ভব স্বপ্ন।
তিনি যোগ করেন, ‘আমি এ বছর উইম্বলডনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। নিউ ইয়র্কেও খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব কি না জানি না। কিন্তু আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব। ফ্যানদের প্রত্যাশা ছিল আমি উইম্বলডনে মার্গারেটকে ছুঁয়ে ফেলব আর নিউ ইয়র্কে তাকে ছাড়িয়ে যাব। এটা চমৎকার একটা কল্পনা। তবে আমি আসলে বিদায় বেলায় তেমন কিছু ভাবছি না।’
চলমান ক্যানাডিয়ান ওপেনে খেলছেন সেরিনা। প্রথম রাউন্ডের খেলায় স্পেনের নুরিয়া দিয়াসকে হারিয়ে সোমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন তিনি।
১৯৮১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া সেরিনা ১৪ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস খেলা শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে ইউএস ওপেন জিতে শুরু হয় তার গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়।
২৭ বছরের ক্যারিয়ারে সেরিনা জিতেছেন ৭টি উইম্বলডন, ৭টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ৬টি ইউএস ওপেন ও ৩টি ফ্রেঞ্চ ওপেন। এ ছাড়া ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকেও স্বর্ণ জেতেন সর্বকালের অন্যতম সেরা নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃত সেরিনা।
আরও পড়ুন:এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন রাশিয়ান টেনিস তারকা ডানিল মেডভেডেভ। গত বছর ইউএস ওপেন জয়ের পর চলতি বছরের আগস্টে তিনি ধরে রেখেছেন তার জায়গা।
র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা জার্মানির আলেক্সান্ডার সেফেরেফের চেয়ে ১০০০ রেটিং পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন রাশান এ তারকা। তিন নম্বরে রয়েছেন রাফায়েল নাদাল।
অস্ট্রেলিয়ান তারকা নিক কিরিওস ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর র্যাঙ্কিংয়ে সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন। উইম্বলডনের ফাইনালে খেলা কিরিওস বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে ৩৭তম স্থান থেকে ২৬তম স্থানে উঠে এসেছেন।
এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০:
১. ডানিল মেডভেডেভ (রাশিয়া)- ৭৮৭৫ রেটিং পয়েন্ট
২. আলেক্সান্দার সেফেরেফ (জার্মানি)- ৬৭৬০ রেটিং পয়েন্ট
৩. রাফায়েল নাদাল (স্পেন)- ৫৬২০ রেটিং পয়েন্ট
৪. কার্লোস আলকারাস (স্পেন)- ৫০৩৫ রেটিং পয়েন্ট
৫. স্টিফানোস সিসিপাস (গ্রিস)- ৫০০০ রেটিং পয়েন্ট
৬. নোভাক জকোভিচ (সার্বিয়া)- ৪৭৭০ রেটিং পয়েন্ট
৭. কাসপার রুড (নরওয়ে)- ৪৬৮৫ রেটিং পয়েন্ট
৮. আন্দ্রে রুবলেভ (রাশিয়া)- ৩৭১০ রেটিং পয়েন্ট
৯. ফিলিক্স অজে-অলিয়াসিম (কানাডা)- ৩৪৯০ রেটিং পয়েন্ট
১০. হুবার্ট হুরকাতস (পোল্যান্ড)- ৩০১৫ রেটিং পয়েন্ট
নারী এককে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইগা স্ফিয়নটেক। তবে মারিয়া সাক্কারিকে হঠিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের তিনে উঠে এসেছেন স্প্যানিশ পাওলো বাদোসা।
গত সপ্তাহে স্যান হোসেতে শিরোপা জয়ের পুরস্কার পেয়েছেন রুশ তারকা ডারিয়া কাসাতকিনা। ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মত
ডব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০:
১. ইগা স্ফিয়নটেক (পোল্যান্ড)- ৮৩৯৬ রেটিং পয়েন্ট
২. অ্যানেট কোনটাভিট (এস্তোনিয়া)- ৪৪৭৬ রেটিং পয়েন্ট
৩. পওলা বাদোসা (স্পেন)- ৪১৯০ রেটিং পয়েন্ট
৪. মারিয়া সাক্কারি (গ্রিস)- ৪১৯০ রেটিং পয়েন্ট
৫. ওনস জেবায়ের (তিউনিশিয়া)- ৪০১০ রেটিং পয়েন্ট
৬. আরিনা সাবালেঙ্কা- ৩৩৬৬ রেটিং পয়েন্ট
৭. জেসিকা পেগুলা (যুক্তরাষ্ট্র)- ৩১১৬ রেটিং পয়েন্ট
৮. গারবিনিয়ে মুহুরুসা (স্পেন)- ২৮৮৬ রেটিং পয়েন্ট
৯. ডারিয়া কাসাতকিনা- ২৮০০ রেটিং পয়েন্ট
১০. এমা রাদুচানু (যুক্তরাজ্য)- ২৭৭২ রেটিং পয়েন্ট
আরও পড়ুন:দাবা অলিম্পিয়াডে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন বিভাগে ৩.৫-০.৫ গেম পয়েন্টের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ দল। আর নারী দল ২.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে মিসরের কাছে হেরেছে।
ভারতের চেন্নাইয়ে ৪৪তম ফিদে দাবা অলিম্পিয়াডের দশম রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ রাউন্ডের খেলায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ফিদে মাস্টার মেহেদী হাসান পরাগ থাইল্যান্ডের দাবাড়ুদের বিপক্ষে জয় পান।
অন্যদিকে গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব থাইল্যান্ডের ফিদে মাস্টার কুলপ্রুয়েথানন থানাডোনের সঙ্গে ড্র করেন।
ওপেন বিভাগে বাংলাদেশ দল ১০ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ৫৩তম স্থানে রয়েছে।
দশম রাউন্ডের খেলায় নারী বিভাগে বাংলাদেশের মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস মিসরের গ্র্যান্ড মাস্টার মোয়াতাজ আয়াহর বিপক্ষে জয়ী হন।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার শারমীন সুলতানা শিরিন মিসরের সঙ্গে ড্র করলেও ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম ও ফিদে মাস্টার নাজরানা খান ইভা মিসরের কাছে হেরে যান।
নারী দল ১০ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৬৯তম স্থানে রয়েছে।
শেষ রাউন্ডের খেলায় মঙ্গলবার ওপেন বিভাগে বাংলাদেশ লড়বে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে এবং নারী বিভাগে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন:বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রীড়াযজ্ঞ কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসরের পর্দা নেমেছে সোমবার।
গেমসের পদক তালিকায় শীর্ষ তিন দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও কানাডা।
এবারের আসরে চতুর্থ স্থান দখল করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থান ১৮তম। বিপরীতে ৭ ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের ১২ অ্যাথলেট অংশ নিলেও জিততে পারেননি কোনো পদক।
টেবিল টেনিসে বাংলাদেশ দল আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি কেউই। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে স্বর্ণ জয়ের দৌড়ে ছিটকে পড়েন তারা।
ভারোত্তোলনে ৫৫ কিলোগ্রামের গ্রুপে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে বাংলাদেশের আশিকুর ২১১ কিলোগ্রাম তুলে পঞ্চম হন।
একই খেলার ৬৪ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে মাবিয়া অষ্টম স্থানে থেকেই শেষ করেন এবারের আসর।
এদিকে ২০১৮ সালে তিন নম্বরে থাকা ভারত এবার এক ধাপ পিছিয়ে আসর শেষ করে। আগেরবার শুটিং থেকে ১৬টি পদক পেয়েছিল ভারত। এবার গেমসে শুটিং না থাকায় স্বর্ণ জেতার সংখ্যাও কমে।
বার্মিংহামে ভারত ২২টি সোনা, ১৬টি রুপা ও ২৩টি ব্রোঞ্জ পায়। গেমসের ১১তম দিনে চারটি স্বর্ণ জেতে ভারত। তিনটি ব্যাডমিন্টন ও একটি টেবিল টেনিস থেকে আসে।
এর আগে জমকালো আয়োজনে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক নিয়ে আলেকজান্ডার স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়েছিল এবারের কমনওয়েলথ গেমসের। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ১১ দিনব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়াযজ্ঞের পর সোমবার পর্দা নামল আসরের।
আরও পড়ুন:ক্রিকেট
আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টি
রাত সাড়ে ৮টা, টি স্পোর্টস।
টি-টোয়েন্টি
মহারাজা ট্রফি
বিকেল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা, স্টার স্পোর্টস ২।
টেনিস
মন্ট্রিয়ল মাস্টার্স
রাত ১০টা, স্পোর্টস ১৮-১
মন্তব্য