শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে থেকে সেঞ্চুরি করেছেন বাবর আজম। পাকিস্তান দলের কোনো ব্যাটার যেখানে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি সেখানে বাবর একাই খেলেন ১১৯ রানের দারুণ ইনিংস।
বাবরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভর করে লঙ্কানদের দেয়া ২২২ রানের জবাবে সব ইউকেট হারিয়ে ২১৮ রান সংগ্রহ করে সফরকারী পাকিস্তান। ফলে ৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ করে দলটি।
শ্রীলঙ্কায় গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় দিনে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারী পাকিস্তান। ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাবর আজমের দল। এমন বিপর্যয়ের পর দলীয় ১৪৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা পানিস্তানিরা।
দলের এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক বাবর আজম নিজের কাঁধে তুলে নিলেন গুরুদায়িত্ব। শেষ উইকেট জুটিতে নাসিম শাহকে নিয়ে খেলেন ৩০.৫ ওভার বা ১৮৫ বল। ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে নাসিম অবিশ্বাস্যভাবে সঙ্গ দেন বাবরকে। ৫২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
আর বাকি বলগুলো খেলেন বাবর আজম। শুধু তাই নয়, যেখানে লঙ্কান বোলিংয়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তানি ব্যাটরারা সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। পাকিস্তানের ২১৮ রানের মধ্যে একাই ১১৯ রান করলেন বাবর। অবশিষ্ট ৯৯ রান করেছে বাকি সবাই মিলে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। ১৮ রান করেন ইয়াসির শাহ ও ১৭ রান করেন হাসান আলি।
বাবরের দলকে যারা কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে তাদের নায়ক লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে ৬টি করে মোট ১২ উইকেট নিয়ে দেখিয়েছিলেন নিজের সামর্থ্য।
সে ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের বিপক্ষেও। তিনি একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। আস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ সহ তিন ইনিংসে মোট ১৭ ইউকেট নিয়েছেন এ স্পিনার। এ ছাড়া মহেশ থিকসানা এবং রামেশ মেন্ডিস নিয়েছেন ২টি করে ইউকেট। আর একটি উইকেট শিকার করেন কাসুন রাজিথা।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে, শ্রীলঙ্কা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান সংগ্রহ করেছে। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে দিমুথ করুণারত্ন ২৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন। লঙ্কানদের পক্ষে ৩৫ বলে ১৭ রান নিয়ে ওশাদা ফার্নান্দো ও ৭ বলে ৩ রান করে অপরাজিত আছেন কাসুন রাজিথা।
আরও পড়ুন:অলরাউন্ডার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও স্পিনার নুর হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করে এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। মঙ্গলবার বিকেলে মোহাম্মদ নাবির অধিনায়কত্বে ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসিবি।
বর্তমানে আয়ারল্যান্ড সফরে রয়েছে আফগানিস্তান। সফরে থাকা ১৬ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েছেন শরাফুদ্দিন আশরাফ। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন শিনওয়ারি। আর ১৭তম সদস্য হিসেবে দলে যুক্ত করা হয়েছে নুরকে।
এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা না হলেও, রিজার্ভে আছেন শরাফুদ্দিন। তার সঙ্গে আরও আছেন নিজাত মাসুদ ও কয়েস আহমেদ।
২০২০ সালের মার্চে আফগানিস্তানের হয়ে সবশেষ খেলেছেন শিনওয়ারি। ২০১৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে খেলেন শিনওয়ারি। ৬৪টি টি-টোয়েন্টিতে ১০১৩ রান ও ২৮ উইকেট আছে শিনওয়ারির।
২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। এবারের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে। প্রথম দিন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে আফগানরা।
আফগানিস্তান দল: মোহাম্মদ নাবি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, আফসার জাজাই, আসমতউল্লাহ ওমরজাই, ফারিদ আহমদ, ফজলহক ফারুকী, হাসমতউল্লাহ শাহিদি, হযরতউল্লাহ জাজাই, ইবরাহিম জাদরান, কারিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, নাভিন উল হক, নুর আহমদ, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রাশিদ খান ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
স্ট্যান্ডবাই: নিজাত মাসুদ, কয়েস আহমেদ ও শরাফউদ্দিন আশরাফ।
মিরপুরের ৭ বছর বয়সী নাঈম শেখ সাকিব আল হাসানের এতটাই ভক্ত যে তার নিজের নাম বদলে সাকিব আল হাসান রেখেছে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে তার নাম ‘সাকিব আল হাসান’। সাকিবের অনুশীলন দেখার জন্য প্রায়ই সে মিরপুরের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে।
আজ (মঙ্গলবার) ক্ষুদে নাঈমের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। অনুশীলনের জন্য মাঠে ঢোকার সময় সাকিবের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। সাকিব তাকে নাম জিজ্ঞেস করায় নাঈম উত্তর দিয়েছে, ‘সাকিব আল হাসান’।
এই নাম কে রেখেছেন এমনটা সাকিব জানতে চাওয়ায় ক্ষুদে ভক্তের উত্তর, ‘আমি নিজেই রেখেছি।’
এরপর ভক্তকে অনুশীলন দেখাতে নিয়ে যান সাকিব নিজেই। সেখানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিপক্ষে বলও করেছে ‘ক্ষুদে সাকিব’।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের কাছে তার আবদার ছিল ক্রিকেট কেডস ও জার্সির। সাকিব তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো কিনতে লোক পাঠান।
তবে মিরপুরের আসেপাশে ভালো মানের জার্সি ও জুতা পাওয়া না গেলে সাকিব ক্ষুদে এ ভক্তকে প্রতিশ্রুতি দেন ভালো মানের জার্সি, ট্রাউজার ও কেডস বুধবার উপহার দেবেন।
ভক্তের সঙ্গে মিরপুরে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান সাকিব। এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হবে শুক্রবার। তার আগে রোববার থেকে সাকিব ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করছেন মিরপুরে।
বেলফাস্টে সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। রাশিদ খানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে তারা। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আফগানরা ২৭ রানে হারিয়েছে আইরিশদের। এতে করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে ১১ ওভারে নামিয়ে আনা হয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। মারমুখী মেজাজে শুরু করেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৩ বল খেলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ বলে ৩৭ রান করে আফগানিস্তান।
গুরবাজের আউটের পর এলোমেলো হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। এক প্রান্ত আগলে দ্রুত রান তুলেছেন অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ জাদরান।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউটের আগে ২২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজিবুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মাত্র ১০ বল খেলে অপরাজিত ৩১ রান তুলে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রাশিদ। নির্ধারিত ১১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে আফগানরা।
জয়ের জন্য ১১ ওভারে ১৩৩ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও বড় জুটি গড়তে পারেননি আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। ১০ বলে ২৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন পল স্ট্রার্লিং ও অ্যান্ডি বলবার্নি ব্যালবির্নি।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ফলে আস্কিং রেটও বেড়ে যায় তাদের। তার পরও লড়াই করার চেষ্টা করেন ৫ নম্বরে নামা জর্জ ডকরেল। সতীর্থদের সহায়তা না পাওয়ায় ডকরেলের ২৭ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। ১০৫ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
আফগানিস্তানের ফারিদ আহমেদ তিনটি, রাশিদ ও নাভিন উল হক দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন রাশিদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের বিরতি নেয়ার পর বাংলাদেশ ভুগছে ওপেনিং স্লট নিয়ে। গত ৮টি টি-টোয়েন্টিতে ৫টি ওপেনিং কম্বিনেশন খেলিয়েছে বিসিবি। তবে তাতে সাফল্য খুব একটা আসেনি।
এশিয়া কাপেও দলে ওপেনার সংকটে ভুগতে হতে পারে দলকে। লিটন দাস আহত হয়ে দলের বাইরে। জিম্বাবুয়ে সফরে যে কম্বিনেশনগুলো পরখ করে দেখা হয়েছে সেগুলো সাফল্য এনে দিতে পারেনি।
সে ক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেন।
তিনি বলেন, ‘ওপেনাররা কেউ ভালো করছে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। উইকেট অনুযায়ী আমরা হয়তো মেক-শিফট করব। কে হবে বা কে করবে না, এটা এখনই বলছি না।’
নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সুজন জানান এশিয়া কাপে অভিজ্ঞদেরকেও দেয়া হতে পারে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘দলে ওপেনার আছে এনামুল বিজয় ও পারভেজ ইমন। অনেকেই অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেন করেছে। মুশফিকও করতে পারে। সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদিও ওপেন করেছে। অনেকগুলো সম্ভাবনাই আছে আমাদের হাতে।’
২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপের আসর বসছে আরব আমিরাতে। ২০ আগস্ট থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে টাইগাররা। তবে এরই মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সাকিবসহ বেশ কয়েকজন মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিন সুইপ এড়াল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোববার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে সফরকারী দল।
শেষ ম্যাচে জ্যামাইকায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। দলের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় নবম ওভারে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপস। মার্টিন গাপটিল ১৫, ডেভন কনওয়ে ২১ ও মিচেল স্যান্টনার ১৩ রান করেন।
১৫ রানের ইনিংস খেলে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান গাপটিল।
চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে শতরান পার করান অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস। ২৭ বলে ২৪ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। তবে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ফিলিপস। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
ফিলিপসের বিদায়ের পর শেষ ৩ ওভারে ২৪ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান বোর্ডে জমা করে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওডেন স্মিথ ৩টি ও আকিল হোসেন ২টি উইকেট নেন।
১৪৬ রানের টার্গেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও শামারহ ব্রুকস। ১৩.১ ওভারে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৫ বলে ৫৩ রান তুলে আউট হন কিং।
৩ নম্বরে নামা ডেভন টমাস ৫ রানে থামলেও, এ ম্যাচের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন ব্রুকস। ৫৯ বল খেলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন পাওয়েল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কিং। আর সিরিজ সেরা হন ফিলিপস।
১৮ আগস্ট থেকে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শোক জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। পিছিয়ে নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটাররা শোক জানিয়েছেন জাতির পিতা ও তার পরিবারের রুহের মাগফিরাত কামনায়।
জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টের অন্যান্য শহীদদের।’
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ফেসবুকে ‘এখনও হৃদয়ের রক্তের দাগ মুছে নাই’ শীর্ষক একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা কখনই ভুলতে পারব না যে জাতির পিতা আমাদের জন্য কি করেছেন। আমরা শোকাহত।’
বাঁহাতি অলরাউন্ডার, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লিখেন, ‘এই দিনে পৃথিবী হারিয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন যেন আমরা সবাই সগর্বে বলতে পারি যে এই দেশটি আমার। জাতীয় শোক দিবসে সমগ্র জাতির সাথে আমরাও সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
এদিকে শোক দিবস উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও দরিদ্রদের খাবার বিতরণ করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আয়োজনে উপস্থিত থেকে খতম শেষে মোনাজাতে অংশ নেন।
২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসরটি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবারের আসরটির আয়োজক শ্রীলঙ্কা হলেও খেলাগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো না। সাম্প্রতিক পাফরম্যান্স সেটিই বলে। এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বাংলাদেশের হাতে আর সময় আছে মাত্র ১২ দিন।
ইতোমধ্যেই সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দল ঘোষণা করলেও এখনও দলীয় অনুশীলন শুরু হয়নি টাইগারদের। কেননা জেমি সিডন্স ছাড়া কোচিং স্টাফদের কেউই নেই দেশে।
বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে ১৯ আগস্টের ভেতর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা চলে আসবেন সবাই। এরপর আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন।
১৯ আগস্টের আগে দলীয় অনুশীলনের কোনো সম্ভাবনা যে নেই সেটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সংবাদমাধ্যমকে নান্নু বলেন, ‘১৯ তারিখের আগে আনুষ্ঠানিক অনুশীলনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কেউ যদি নিজের মতো করে ফিজিক্যাল ফিটনেস ট্রেনিং ও স্কিল ট্রেনিং করতে চায় করবে। তাতে কোনো অসুবিধা নেই।’
লম্বা সময় ধরে খেলার ভেতর থাকায় অনুশীলনের পাশাপাশি বিশ্রামটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
নান্নু বলেন, ‘ছেলেরা খেলার ভেতরেই আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই চলছে টানা অনুশীলন ও খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরে মাত্র চার দিন বিরতির পর জাতীয় দল গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দেশে ফিরে আবার এশিয়া কাপের মতো বড় আসর। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিশ্রামও প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য