প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমটা মনের মতো কাটেনি লিওনেল মেসির। বার্সেলোনার হয়ে গোলের রেকর্ড ভাঙা এ আর্জেন্টাইন মহাতারকা সাকূল্যে গোল পেয়েছেন ১১টি। তার ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগে।
স্বাভাবিকভাবেই মেসির এমন পারফরম্যান্স হতাশ করেছে পিএসজি ভক্তদের। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার পরের ম্যাচে মেসিকে দুয়োধ্বনিও দেন পিএসজির সমর্থকেরা। ওই ম্যাচের পর কাণাঘুষা শুরু হয় মৌসুম শেষে মেসির দল ছাড়া নিয়ে।
সেই গুঞ্জন জোর হাওয়া পায় নতুন কোচ ক্রিস্তোফ গলতিয়ে আসার পর। গলতিয়ে পিএসজির হয়ে সই করার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জোর গলায় বলেন, ক্লাবের চাকচিক্য দূর করতে চান তিনি। ইঙ্গিতটা পরিষ্কার ছিল দুই তারকা নেইমার ও মেসির দিকে।
তবে, স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানিয়েছে পুরো উলটো খবর। তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে মেসিকে বিক্রি করতে নয় বরং আরও এক বছরের জন্য বাড়তি চাইছে প্যারিসিয়ানরা।
মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তি ২০২৩ সাল পর্যন্ত। নতুন মৌসুমে প্যারিসিয়ানরা চাইছে আরও এক বছর চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে থাকুন তিনি।
এমন চাওয়ার কারণটা শুধু ফুটবল নয় বাণিজ্যিকও। মেসির আসার পর একমাসেই তার পেছনে খরচ করা ৮ কোটি ইউরো তুলে এনেছে। ৭ বারের এ ব্যলন ডরজয়ীর কারণে ক্লাবের ব্র্যান্ডভ্যালু, বিপণন সক্ষমতা ও বৈশ্বিক আবেদন বেড়েছে বহুগুণ। যে কারণে মেসিকে যে কোনো মূল্যে আরও একবছর রাখতে চায় পিএসজি।
তবে, মেসি এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। মার্কার দাবি বিশ্বকাপের পর পিএসজি নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
সাড়ে ৭ কোটি ইউরো খরচ করে ডারউইন নুনিয়েসকে দলে টানার পর তার কাছ থেকে পূর্বসূরি লুইস সুয়ারেসের মতোই গোলের বন্যার প্রত্যাশায় ছিল লিভারপুল। সুয়ারেসের মতো না হলেও গোওল করার দক্ষতার পরিচয় নিজের প্রথম ম্যাচে দিয়েছেন নুনিয়েস।
কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ও লিগের প্রথম ম্যাচে ফুলহ্যামের বিপক্ষে গোল করে জানান দেন তার পেছনে টাকা ঢেলে ভুল করেনি লিভারপুল।
তবে নিজের আনুষ্ঠানিক তৃতীয় ম্যাচে এসে করে বসলেন অদ্ভূত এক কান্ড। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে মাথা দিয়ে গুঁতো দেয়ার কারণে লাল কার্ড পান এ উরুগুইয়ান। ১০ জন নিয়ে খেলে ম্যাচে জয় বঞ্চিত হয় লিভারপুল।
ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করেছে লিভারপুল। উদ্বোধনী ম্যাচে ফুলহ্যামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাদেরকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
লিভারপুলের মাঠে সোমবার রাতে স্বাগতিকদের চমকে দিয়ে সফরকারী প্যালেসকে লিড এনে দেন উইলফ্রেড জাহা। ৩২ মিনিটে তার করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে থাকে ক্রিস্টাল প্যালেস।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লিভারপুল। প্যালেসের জোয়াকিম অ্যান্ডারসনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নুনিয়েজ। ফলে, বাকি আধঘণ্টা এক জন কম নিয়েই খেলতে হয় ইংলিশ জায়ান্টদের।
৬১ মিনিটে আরেক নতুন রিক্রুট লুইস দিয়াসের গোলে ম্যাচে ফেরে লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচশেষে বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। নুনিয়েসের মাঠ ছাড়ার হওয়ার পর সতীর্থদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল প্যালেসের বিপক্ষে এমনটা বলেন লিভারপুল বস।
ক্লপ বলেন, ‘সে নিজেই জানে কী করেছে। অবশ্যই এটা লাল কার্ড ছিল। নুনিয়েসকে উত্যক্ত করা হচ্ছিল সেটা ঠিক। কিন্তু ওর এভাবে জবাব দেয়া ঠিক হয়নি।’
টানা দুই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম অবস্থানে আছে লিভারপুল। সামনের মঙ্গলবার তারা খেলবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন:দলবদলের বাজারে আনহেল দি মারিয়ার মতো বড় তারকাকে দলে ভিড়িয়ে মৌসুম শুরুর আগে সেরি আর অন্য দলগুলোকে বেশ বড় বার্তা দিয়ে রেখেছিল ইউভেন্তাস। গতবারের হারানো লিগ শিরোপা ফিরে পেতে এবারে তারা বদ্ধপরিকর। হেড কোচ মাসিমিলানো আলেগ্রিও এ নিয়ে কোনো রাখঢাক করেননি।
লিগ শুরুর ম্যাচে ইউভেন্তাস তাদের ভক্তদের দারুণ এক পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে কথা রেখেছে। লিগ শিরোপার দিকে তারা মনোযোগী শুরুর ম্যাচ থেকেই- এটা প্রমাণ করতেই যেন সাসুয়োলোকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তুরিনের ক্লাবটি।
নিজেদের মাঠে সোমবার রাতে দি মারিয়া ২৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের শেষে আরেকটি গোল আসে দুসান ভ্লায়োভিকের পেনাল্টি থেকে। আর বিরতির পরপর ৫১ মিনিটে আরেকটি গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ভ্লায়োভিক।
তবে ইউভেন্তাসের বড় জয়ের দিনে ধাক্কা হয়ে আসে দি মারিয়ার ইনজুরি। ৬১ মিনিটে অ্যাবডাক্টর পেশির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় এ আর্জেন্টাইন তারকাকে।
ম্যাচ শেষে আলেগ্রি অবশ্য জানিয়েছেন চোট গুরুতর নয়। দি মারিয়ার এ চোট পুরোনো। আলেগ্রির প্রত্যাশা দ্রুত আবার মাঠে ফিরতে পারবেন দি মারিয়া।
তিনি ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মোটেও চিন্তিত নই। মঙ্গলবার ওর চোট পরীক্ষা করানো হবে, তারপর বোঝা যাবে। এ ধরনের চোট ফুটবলে হয়েই থাকে।’
একই রাতে বড় জয় পেয়েছে নাপোলিও। ভেরোনাকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:সঙ্কটে পড়ে গেল ভারতীয় ফুটবল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ফিফার বিবৃতির বরাতে মঙ্গলবার জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
ফিফা বলেছে, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সে দিন থেকে এই শাস্তি বাতিল হয়ে যাবে।’
আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল হওয়ার কথা। তবে ফিফার পদক্ষেপে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পথ আপাতত বন্ধ হলো।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফার শাস্তির অর্থ হলো, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’
ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়ে ফিফা বলছে, এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব।
দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ফেডারেশনের সভাপতি পদে বসেছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত চলতি বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি ভেঙে দেয়। ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে দেয়। একই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে।
এর মধ্যে আদালতে অভিযোগ করা হয়, পটেল এখনও ফেডারেশনের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছেন। তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও ওঠে। এমন অবস্থাতে পদক্ষেপ নিল ফিফা।
আরও পড়ুন:নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের অবস্থাটা এরকম যে ২-১ এ জয়ের দ্বারপ্রান্তে চেলসি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হল ব্লুজদের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রোববার হ্যারি কেইনের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে চেলসি।
ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিল দুই দল। তবে ম্যাচের ১৯ তম মিনিটে প্রথমবারের মতো লিড নেয় স্বাগতিকরা। কুকিরেল্লার মাপা কর্নার কিকে ডি বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে ব্লুজদের জার্সিতে প্রথমবারের মতো গোল করেন কালিদু কৌলিবালি।
এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আর গোলের দেখা মেলেনি কারোরই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্পার্সরা। সেই সুবাদে ৬৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরেন তারা। ডি বক্সের ভেতর ডেভিসের থেকে পাওয়া পাসে ডান পায়ের নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে সফরকারীদের সমতায় ফেরান পিয়েরে এমিলে।
তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকা সম্ভব হয়নি স্পার্সদের পক্ষে। ৯ মিনিটের মাথায় ফের লিড নেয় চেলসি। রহিম স্টারলিংয়ের পাসে লক্ষ্যভেদ করেন রিচ জেমস।
ম্যাচের ফলাফল যাচ্ছিল নিশ্চিতভাবেই চেলসির পক্ষে। ২-১ গোলে জয়ের পথেই হাঁটছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের ৬ষ্ঠ মিনিটে বিপত্তি বাধান হ্যারি কেইন।
চেলসির বোনা জয়ের স্বপ্ন চোখের পলকেই দুর্দান্ত এক হেডে ধূলিস্মাত করে দেন ইংলিশ এই দলপতি। আর তাতেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
আরও পড়ুন:শুরুতেই গোল হজম, সেখান থেকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত আলমেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-১ ব্যবধানে। লুকাস ভাস্কুয়েজ ও ডেভিড আলাবার নৈপূণ্যে জয় দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করল লস ব্লাংকোরা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদকে গার্ড অফ অনার দিলেও ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নেয় আলমেরিয়া। মাঝ মাঠ থেকে এগুয়ারেসের থ্রু পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে জালের ঠিকানা খুঁজে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসান লারজি রামাজানি।
শুরুতেই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু প্রতিবারই নবাগত আলমেরিয়ার গোলরক্ষক মার্টিনেজ বাধ সাধতে থাকেন প্রতিটি আক্রমণেই। যার ফলে প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখাই মেলেনি সফরকারীদের।
এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ম্যাচের ৬০তম মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখে আলমেরিয়া। ৬১ মিনিটের মাথায় সেয়াগতিকদের রক্ষণভাগ চিড়ে রিয়ালকে সলমাতায় ফেরান লুকাস ভাস্কুয়েজ।
সমতায় ফিরে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে লস ব্লাংকোসরা। মুহুর্মুহ আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলেন স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ।
সেই সুবাদে ৭৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বর্তমান শিরোপাধারীরা। এবারে গোলের নায়ক আলাবা। ম্যাচের বাকিটা সময় নিজেদের রক্ষণভাগ আগলে রেখেই ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন:লাতিন ফুটবলের অসংখ্য ভক্ত বাংলাদেশে। মেসি-নেইমারের মতো তারকাদের এ অঞ্চলের ফুটবল নাম কুড়িয়েছে বিশ্বজোড়া। সেখান থেকে রাফায়েল অগুস্তো ও রবসন রবিনিয়োর মতো ফুটবলাররা বাংলাদেশের লিগে খেলেন। এবারে ঘটছে ঠিক এর উল্টো ঘটনা।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় রিয়াসাত খাতন ডাক পেয়েছেন ভেনিজুয়েলার লিগে। লাতিন দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের দল দেপোর্তিভো রায়ো জুলিয়ানো এফসিতে নাম লিখিয়েছেন জার্মানিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার।
লাতিন ফুটবলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন রিয়াসাত। দক্ষিণ আমেরিকায় পা রেখে রোমাঞ্চিত তিনি।
নিউজবাংলাকে রিয়াসাত বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। আমি এর আগে কখনও লাতিন আমেরিকায় যাইনি। এটাই প্রথমবার। তাদের ফুটবল, লাইফস্টাইল নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল ছিল। এটা আমার জীবনের অনেক রোমাঞ্চকর একটা অধ্যায় ছিল।’
ক্লাবের জার্সিতে অভিষেকও করে ফেলেছেন রিয়াসাত। টেবিলের শীর্ষে থাকা দল তিতানেসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল টেবিলের দুইয়ে থাকা রিয়াসাতের দল রায়ো জুলিয়ানো। সেই ম্যাচে ৪-৪ গোলে ড্র করে দলটি।
মাঠে এক ম্যাচ খেললেও দলের সঙ্গে প্রায় এক মাস ধরে আছেন তিনি। চোট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরতে সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
তিনি যোগ করেন, ‘গত রোববার আমি প্রথম খেলেছি। কিন্তু এক মাস ধরে আমি ক্লাবে অবস্থান করছি। ইনজুরির কারণে অপেক্ষা করতে হয়েছে এতদিন। খেলাটা শেষে এক গোল খাওয়ায় ড্র হয়েছিল। তবে ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
রায়ো জুলিয়ানো ক্লাবটি পরের মৌসুমে প্রিমিয়ার ডিভিশনে প্রমোশনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার পরিকল্পনা রিয়াসাতের।
তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট ডিভিশনে ওঠার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে আছে আমাদের দল। টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে। ক্লাবের অধিকাংশ ফুটবলার প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। সাউথ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্সশিপেও খেলেছে। আমাদের দল শক্তিশালী। আমরা যদি ফার্স্ট ডিভিশনে খেলি আর আমি যাতে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে পারি সেই চেষ্টাই করছি।’
২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাক পান রিয়াসাত। পরে ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দ্বিতীয়বার ডাক পান তিনি। সেরা ফর্মে থাকার সময় দুবার জাতীয় দলে ডাক পান এ মিডফিল্ডার।
জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে অনুশীলনও করেন। কোচেরও পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তার পরও ‘অদৃশ্য কারণে’ দুবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্নটা এখনও অধরা থেকে গেছে রিয়াসাতের।
ব্যালন ডরের সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের নাম না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের ছয়জন খেলোয়াড় ফুটবলের মর্যাদাকর এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তারা হলেন থিবো কোঁতোয়া, কাসেমিরো, লুকা মড্রিচ, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও কারিম বেনজেমা। নতুন আরেক খেলোয়াড় আন্টোনিও রুডিগারের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকলেও ক্রুসের জায়গা হয়নি।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদ হেড কোচ বলেছেন, ‘সত্যিই দারুণ বিস্মিত হয়েছি। ক্রুস দারুণ একটি মৌসুম কাটিয়েছে। যোগ্য খেলোয়াড়দের তাদের প্রাপ্য সম্মান অবশ্যই দিতে হবে। আমি মনে করি, এই তালিকায় ফেদে ভালভের্দে, এদার মিলিটাও ও ডাভিড আলাবার মতো খেলোয়াড়দের নামও রাখা উচিত ছিল। এরা সবাই গত মৌসুমে দারুণ খেলেছে। আমি ব্যালন ডর জয়ের কথা বলছি না। তবে তালিকায় তাদের নাম থাকা উচিত ছিল।’
৩০ জনের শক্তিশালী এই তালিকায় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়রের নাম দেখে আনচেলত্তি বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জয়সূচক গোলটি সে করেছে। অসাধারণ একটি মৌসুম কাটানো ভিনিসিয়াস এখন দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ব্যালন ডর পুরস্কারে চতুর্থ কিংবা দ্বিতীয় হলেও তার কিছু যায় আসে না। একজন খেলোয়াড়ের জন্য দলীয় জয়টাই মূল। ভবিষ্যতে তার আরও ভালো করার সুযোগ আছে। ইতোমধ্যে সে আমাদের জন্য এই পুরস্কার জয় করে ফেলেছে।’
মন্তব্য