ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের দেয়া ১০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় সফরকারীরা।
এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টানা ১০ ওয়ানডে অপরাজিত থাকার নজির গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ মন্থর গতিতেই করেন দুই টাইগার ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবাল। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ৪৮ রানের জুটিতে শুভসূচনা হয় টাইগারদের।
দলীয় ৪৮ রানে শান্তর বিদায়ে থামেনি বাংলাদেশ। সাবলীলভাবে বাকি কাজ সারেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দলকে ৯ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই জন।
গায়ানায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই বিপর্যয় সঙ্গী হয় ক্যারিবীয়দের। শুরুটা হয় দলীয় ২৭ রানে কাইল মায়ার্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাত ধরে প্রথম সফলতার মুখ দেখে বাংলাদেশ।
৩৬ বলে ১৭ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে মেইল মায়ার্সকে মাঠ ছাড়তে হয় সৈকতের প্রথম শিকার বনে।
উইন্ডিজ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শামারহ ব্রুকসে ৫ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার পতন ঘটান দ্বিতীয় উইকেটের।
এরপর ম্যাচের ১৮ তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শাই হোপকে ১৮ ও নিকোলাস পুরানকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে পতন ঘটান ক্যারিবীয়দের চতুর্থ উইকেটের।
এরপর কিং ও পাওয়েল মিলে টেনে ধরেন উইকেটের লাগাম। দুই জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে বেশিক্ষণ এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি শরিফুল ইসলাম। ১৩ রানে পাওয়েলকে মাঠ ছাড়া করে ভাঙেন সেই জুটি।
এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১০৮ রানের পুঁজি দাড় করাতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টাইগারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিরাজ ও নাসুম।
আরও পড়ুন:ব্যাক টু ব্যাক পরাজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর এবার ওয়ানডে সিরিজেও পরাজয়কে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হেরেছে তামিম ইকবালের দল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছিল ৩০৩ রানের পুঁজি গড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে পুঁজি আরও কিছুটা কম। এর বিপরীতে সিকান্দার রাজার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে আরও একবার পরাজয়কে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বাংলাদেশের করা ২৯০ রানের জবাবে ৫ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় জিম্বাবুয়ে।
দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। এর ভেতর সিকান্দার রাজা করেছেন দুটি আর ইনোসেন্ট কাইয়া ও রেগিস চাকভাবার একটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। আর তাদের সেঞ্চুরিতে ভর করেই দুই ম্যাচে দুর্দান্ত দুই জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
আর এটাই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হেরে যাওয়ার মূল কারণ বলে মানছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
একইসঙ্গে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেও হারের কারণ হিসবে উল্লেখ করেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘পার্থক্যটা এখানে যে ওদের চারটা সেঞ্চুরি আর আমাদের একটিও নেই। আমাদের সংগ্রহটা উপযুক্তই ছিল। আমাদের শুরুটাও বেশ ভালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ দিকে সেটি কেউ ধরে রাখতে পারেনি।
‘শুরু থেকেই উইকেট বেশ ভাল ছিল। এটা স্পিনারদের পক্ষে অতটা সহজ ছিল না। সব কৃতিত্ব জিম্বাবুয়ের। তারা এই সিরিজে বেশ ভাল দল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারিনি। আর সে কারণেই আমরা আজকের এই অবস্থানে।’
আরও পড়ুন:সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফরম্যাট বদলেও ভাগ্যের বদল ঘটাতে পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। স্বাগতিক দলের সিকান্দার রাজার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৫ উইকেটে।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় রকমের হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।
রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জিম্বাবুয়ের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে তার দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এই পর্যায়ে বাংলাদেশি বোলারদের সমীহ করে খেলতে থাকেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। এই জুটি শক্ত হাতে রোধ করে উইকেটের পতন।
উইকেটের পতন থামিয়ে দিলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারছিল না স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মাঠছাড়া করেন তিনি। আর ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৪২ বলে ২৫ করা টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান রোডেশিয়ানদের চতুর্থ উইকেটের।
ডুবতে বসা জিম্বাবুয়ের হাল আরও একবার শক্ত হাতে ধরেন সিকান্দার রাজা। রেগিস চাকভবার সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। অর্ধশতক হাঁকিয়ে সামাল দেন বিপর্যয়।
বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চলতি সিরিজে টানা দ্বিতীয় শতক তুলে নেন রাজা। সঙ্গী চাকাভবাও থেমে থাকেননি। ৭৩ বলে ঝড়ো শতক তুলে নেন জিম্বাবুয়ের এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে। ১২৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাজা।
৭৫ বলে ১০২ রান করে আউট হন চাকাভবা। শেষ দিকে টনি মুনিওঙ্গা ১৬ বলে ৩০ রান করে রাজাকে যোগ্য সহায়তা দেন।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সিকান্দার রাজার ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত জয় বাগিয়ে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সিকান্দার রাজা আবার বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন বাধা হয়ে। রাজা ও রেগিস চাকাভবার ব্যাটে ভর করে দলীয় স্কোর দেড় শ পার করেছে রোডেশিয়ানরা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় রকমের হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।
রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় ডান হাতি এই ব্যাটারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জিম্বাবুয়ের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে তার দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। যার ফলে বাংলাদেশি বোলারদের সমীহ করে খেলতে থাকেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। শক্ত হাতে রোধ করেন উইকেটের পতন।
উইকেটের পতন থামিয়ে দিলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারছিল না স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে মাঠছাড়া করেন। আর তাতেই ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৪২ বলে ২৫ করা টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান রোডেশিয়ানদের চতুর্থ উইকেটের।
ডুবতে বসা জিম্বাবুয়ের হাল আরও একবার শক্ত হাতে ধরেন সিকান্দার রাজা। রেগিস চাকভবার সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। অর্ধশতক হাঁকিয়ে সামাল দেন বিপর্যয়ের। একই সঙ্গে আরও একবার জয়ের সুবাস এনে দিতে থাকেন জিম্বাবুয়েকে।
দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন:সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে শুরুতে চাপে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তারা খুইয়েছে ৩ উইকেট। বিনিময়ে বোর্ডে তারা তুলতে সক্ষম হয়েছে ৩০ রান।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় রকমের হোঁচট খায় রোডেশিয়ানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।
রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জিম্বাবুয়ের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে তার দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। যার ফলে বাংলাদেশি বোলারদের সমীহ করে খেলতে থাকেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। শক্ত হাতে রোধ করেন উইকেটের পতন।
উইকেটের পতন থামিয়ে দিলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারছিল না স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে মাঠছাড়া করেন। আর তাতেই ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তামিম-বিজয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসের সুবাদে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা জমকালো হয়েছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তুলোধোনা করে ৪৩ বলে অধিনায়ক তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে ধরে খেলছিলেন বিজয়।
উইকেট শূন্য থেকেই পাওয়ার প্লে শেষ করে সফরকারীরা। তবে প্রথম পাওয়ার প্লের পার করে পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা।
অর্ধশতক তুলে নেয়ার দুই বল পর টানাকা চিভাঙ্গার বলে আউট হন তামিম। তার বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এনামুল হক বিজয়কেও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান।
দ্রুত দুই উইকেট পতনের রেশ কাটাতে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মিশনে নামেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক হাঁকানো ডান হাতি এই ব্যাটারকে এবারে ফিরতে হয় অর্ধেক রান করে। ৩১ বলে ২৫ রান করে মাদভেরের শিকার বনে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মুশির বিদায়ের পর লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। ৫৫ বলে ৩৮ করা এই টপ অর্ডারকে সাজঘরের পথ ধরতে হয় মাধভেরের দ্বিতীয় শিকার বনে।
১৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা। এ সময় ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৮১ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে পথে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ২২৯ রানে আফিফ ৪১ রানে সাজঘরের পথ ধরলেও উইকেটে অবচল থেকে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ।
ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেয়ার পাশাপাশি মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুলের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এনে দেন ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৪ বলে ৮০ রান করে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরির পর এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর।
আরও পড়ুন:সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছন্দ পতন হয়েছে বাংলাদেশের। ভালো শুরুর পরও দলীয় দেড় শ রান তুলতে সফরকারীরা হারিয়েছে ৪ উইকেট। ৩৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৭ রান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে নামা এনামুল হক বিজয় দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকলেও মারকুটে ভূমিকায় ছিলেন তামিম ইকবাল।
দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬২ রান তোলে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তুলোধুনা করে ৪৩ বলে অধিনায়ক তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। অর্ধশতক তুলে নেয়ার দুই বল পর টানাকা চিভাঙ্গার বলে আউট হন তিনি।
তামিমের বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এনামুল হক বিজয়কেও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান।
শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মিশনে নামেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক হাঁকানো ডানহাতি এই ব্যাটারকে এবারে ফিরতে হয় অর্ধেক রান করে। ৩১ বলে ২৫ রান করে মাদভেরের শিকার বনে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মুশির বিদায়ের পর লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। ৫৫ বলে ৩৮ করা এই টপ অর্ডারকে সাজঘরের পথ ধরতে হয় মাধভেরের দ্বিতীয় শিকার বনে।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে ৫ ম্যাচের সব কটিতে টস হেরেছে বাংলাদেশ।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সফরকারী দল একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছে। চোট পাওয়া লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:সিরিজে ফেরার ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতগতিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ করেই সফরকারী দল টানা দুই উইকেট হারিয়েছে। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৭ রান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে নামা এনামুল হক বিজয় দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকলেও মারকুটে ভূমিকায় ছিলেন তামিম ইকবাল।
দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬২ রান তোলে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তুলোধুনা করে ৪৩ বলে অধিনায়ক তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। অর্ধশতক তুলে নেয়ার দুই বল পর টানাকা চিভাঙ্গার বলে আউট হন তিনি।
তামিমের বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এনামুল হক বিজয়কেও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে ৫ ম্যাচের সব কটিতে টস হেরেছে বাংলাদেশ।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সফরকারী দল একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছে। চোট পাওয়া লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য