সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে ধুঁকছে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। ২০ ওভারেও স্বাগতিকদের ছোঁয়া সম্ভব হয়নি ৫০ রান। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে চার টপ অর্ডারকে।
২৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেট খরচায় ৬৯ রান।
গায়ানায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ক্যারিবীয়দেরা। শুরুটা হয় দলীয় ২৭ রানে কাইল মায়ার্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাত ধরে প্রথম সফলতার মুখ দেখে বাংলাদেশ।
৩৬ বলে ১৭ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে মেইল মায়ার্সকে মাঠ ছাড়তে হয় সৈকতের প্রথম শিকার বনে।
উইন্ডিজ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শামারহ ব্রুকসে ৫ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার পতন ঘটান দ্বিতীয় উইকেটের।
এরপর ম্যাচের ১৮ তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। শাই হোপকে ১৮ ও নিকোলাস পুরানকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে পতন ঘটান ক্যারিবীয়দের চতুর্থ উইকেটের।
এরপর কিং ও পাওয়েল জুটি উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন। দুই জনের ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে বেশিক্ষণ এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি শরিফুল ইসলাম। ১৩ রানে পাওয়েলকে মাঠ ছাড়া করে ভাঙেন সেই জুটি।
বেলফাস্টে সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। রাশিদ খানের অলরাউন্ড নৈপুন্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে তারা। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আফগানরা ২৭ রানে হারিয়েছে আইরিশদের। এতে করে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে ১১ ওভারে নামিয়ে আনা ম্যাচের দৈর্ঘ্য। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। মারমুখী মেজাজে শুরু করেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৩ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ বলে ৩৭ রান করে আফগানিস্তান।
গুরবাজের আউটের পর এলোমেলো হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। এক প্রান্ত আগলে, দ্রুত রান তুলেছেন অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ জাদরান।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউটের আগে ২২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান নাজিবুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। শেষদিকে মাত্র ১০ বল খেলে অপরাজিত ৩১ রান তুলে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রাশিদ। নির্ধারিত ১১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে আফগানরা।
জয়ের জন্য ১১ ওভারে ১৩৩ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও বড় জুটি গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। ১০ বলে ২৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন পল স্ট্রার্লিং ও অ্যান্ডি বলবার্নি ব্যালবির্নি।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ফলে আস্কিং রেটও বেড়ে যায় তাদের। তারপরও লড়াই করার চেষ্টা করেন পাঁচ নম্বরে নামা জর্জ ডকরেল। সতীর্থদের সহায়তা না পাওয়ায় ডকরেলের ২৭ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। ১০৫ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
আফগানিস্তানের ফারিদ আহমেদ ৩টি, রাশিদ ও নাভিন উল হক ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন রাশিদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের বিরতি নেয়ার পর বাংলাদেশ ভুগছে ওপেনিং স্লট নিয়ে। গত ৮টি টি-টোয়েন্টিতে ৫টি ওপেনিং কম্বিনেশন খেলিয়েছে বিসিবি। তবে তাতে সাফল্য খুব একটা আসেনি।
এশিয়া কাপেও দলে ওপেনার সংকটে ভুগতে হতে পারে দলকে। লিটন দাস আহত হয়ে দলের বাইরে। জিম্বাবুয়ে সফরে যে কম্বিনেশনগুলো পরখ করে দেখা হয়েছে সেগুলো সাফল্য এনে দিতে পারেনি।
সে ক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেন।
তিনি বলেন, ‘ওপেনাররা কেউ ভালো করছে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। উইকেট অনুযায়ী আমরা হয়তো মেক-শিফট করব। কে হবে বা কে করবে না, এটা এখনই বলছি না।’
নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সুজন জানান এশিয়া কাপে অভিজ্ঞদেরকেও দেয়া হতে পারে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘দলে ওপেনার আছে এনামুল বিজয় ও পারভেজ ইমন। অনেকেই অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেন করেছে। মুশফিকও করতে পারে। সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদিও ওপেন করেছে। অনেকগুলো সম্ভাবনাই আছে আমাদের হাতে।’
২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপের আসর বসছে আরব আমিরাতে। ২০ আগস্ট থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে টাইগাররা। তবে এরই মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সাকিবসহ বেশ কয়েকজন মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিন সুইপ এড়াল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোববার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে সফরকারী দল।
শেষ ম্যাচে জ্যামাইকায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। দলের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারায় নবম ওভারে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপস। মার্টিন গাপটিল ১৫, ডেভন কনওয়ে ২১ ও মিচেল স্যান্টনার ১৩ রান করেন।
১৫ রানের ইনিংস খেলে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যান গাপটিল।
চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে শতরান পার করান অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস। ২৭ বলে ২৪ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। তবে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ফিলিপস। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
ফিলিপসের বিদায়ের পর শেষ ৩ ওভারে ২৪ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান বোর্ডে জমা করে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওডেন স্মিথ ৩টি ও আকিল হোসেন ২টি উইকেট নেন।
১৪৬ রানের টার্গেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও শামারহ ব্রুকস। ১৩.১ ওভারে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৫ বলে ৫৩ রান তুলে আউট হন কিং।
৩ নম্বরে নামা ডেভন টমাস ৫ রানে থামলেও, এ ম্যাচের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে ২৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন ব্রুকস। ৫৯ বল খেলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন পাওয়েল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন কিং। আর সিরিজ সেরা হন ফিলিপস।
১৮ আগস্ট থেকে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শোক জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। পিছিয়ে নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটাররা শোক জানিয়েছেন জাতির পিতা ও তার পরিবারের রুহের মাগফিরাত কামনায়।
জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টের অন্যান্য শহীদদের।’
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ফেসবুকে ‘এখনও হৃদয়ের রক্তের দাগ মুছে নাই’ শীর্ষক একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা কখনই ভুলতে পারব না যে জাতির পিতা আমাদের জন্য কি করেছেন। আমরা শোকাহত।’
বাঁহাতি অলরাউন্ডার, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লিখেন, ‘এই দিনে পৃথিবী হারিয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন যেন আমরা সবাই সগর্বে বলতে পারি যে এই দেশটি আমার। জাতীয় শোক দিবসে সমগ্র জাতির সাথে আমরাও সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
এদিকে শোক দিবস উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও দরিদ্রদের খাবার বিতরণ করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আয়োজনে উপস্থিত থেকে খতম শেষে মোনাজাতে অংশ নেন।
২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসরটি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবারের আসরটির আয়োজক শ্রীলঙ্কা হলেও খেলাগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো না। সাম্প্রতিক পাফরম্যান্স সেটিই বলে। এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর শুরুর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বাংলাদেশের হাতে আর সময় আছে মাত্র ১২ দিন।
ইতোমধ্যেই সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দল ঘোষণা করলেও এখনও দলীয় অনুশীলন শুরু হয়নি টাইগারদের। কেননা জেমি সিডন্স ছাড়া কোচিং স্টাফদের কেউই নেই দেশে।
বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে ১৯ আগস্টের ভেতর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা চলে আসবেন সবাই। এরপর আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন।
১৯ আগস্টের আগে দলীয় অনুশীলনের কোনো সম্ভাবনা যে নেই সেটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সংবাদমাধ্যমকে নান্নু বলেন, ‘১৯ তারিখের আগে আনুষ্ঠানিক অনুশীলনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কেউ যদি নিজের মতো করে ফিজিক্যাল ফিটনেস ট্রেনিং ও স্কিল ট্রেনিং করতে চায় করবে। তাতে কোনো অসুবিধা নেই।’
লম্বা সময় ধরে খেলার ভেতর থাকায় অনুশীলনের পাশাপাশি বিশ্রামটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
নান্নু বলেন, ‘ছেলেরা খেলার ভেতরেই আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই চলছে টানা অনুশীলন ও খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরে মাত্র চার দিন বিরতির পর জাতীয় দল গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দেশে ফিরে আবার এশিয়া কাপের মতো বড় আসর। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিশ্রামও প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:আনুষ্ঠানিকভাবে ধারাভাষ্য থেকে বিদায় নিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ৪৩ বছর ধারাভাষ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন চ্যাপেল। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যাপেলের ধারাভাষ্য ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল।
১৯৮০ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন চ্যাপেল। আর ১৯৮০-৮১ সালে চ্যানেল নাইনের সঙ্গে ধারাভাষ্যকার হিসেবে চুক্তি করেন তিনি। পাশাপাশি এবিসিতে ক্রীড়া সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেন চ্যাপেল।
টনি গ্রেগ ও বিল লরির সঙ্গে মিলে ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে জনপ্রিয় ও সেরা প্যানেলের অংশ ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্ব ক্রিকেটে চ্যাপেলের বিশ্লেষণকে ধরা হতো অন্যতম সেরা।
আধুনিক যুগের মাইকেল স্ল্যাটার, নাসের হুসেইন, মার্ক নিকোলাসরা ধারাভাষ্যে চ্যাপেলকে অন্যতম শিক্ষক মেনেছেন শুরু থেকে। সহ-ধারাভাষ্যকারদের কাছে প্রিয় ‘চ্যাপেলি’ ছিলেন একাধারে পথপ্রদর্শক ও বন্ধু। কমেন্ট্রি বক্স থেকে অবসরের সঙ্গে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অবসরের মিল পেয়েছেন চ্যাপেল।
তিনি বলেন, ‘আমার ওই দিনের কথা মনে পড়ে। যখন আমি বুঝেছিলাম যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময়টা ছিল ৫টা ১১ মিনিট এবং ওই সময় ভাবলাম আমাকে যেতে হবে।’
১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৫ টেস্টে ৫,৩৪৫ ও ১৬ ওয়ানডেতে ৬৭৩ রান করেছেন চ্যাপেল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের টেস্ট ড্রয়ের পর দ্বিতীয়টিতেও ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জয়ের লক্ষ্য থাকলেও বৃষ্টি আর কন্ডিশনের বাধায় ম্যাচে সফলতা আসেনি বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ এ দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৬৭ রানে। ফিফটি করেন কেবল মিঠুন। দ্বিতীয় ম্যাচে সাইফ হাসানের ব্যাটিংয়ের কারণে বাকিদের ব্যর্থতা চোখে পড়েনি । ৩৪৮ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাইফ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ফিফটির দেখা পাননি। ৯ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দল।
দুই ম্যাচ ড্রয়ে আশানুরূপ ফল না এলেও সব মিলিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ এ দলের কোচ মিজানুর রহমান।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিওতে রোববার তিনি বলেন, ‘এক দেশ থেকে অন্য দেশে এলে যে ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় আমরাও সে রকম সমস্যায় পড়েছি। উইকেটের সঙ্গে শুরুতে মানিয়ে নিতে পারিনি। পেশাদার খেলোয়াড়দের এসব মানিয়ে নিতে হয়। এ দলের এগুলো শিক্ষার বিষয়। এসব শিখে সিনিয়র টিমে খেলবে।
‘যে বাউন্সটা ছিল সেটার সঙ্গে শুরুর দিকে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলার মধ্যেই ছিলাম। যে কারণে আমরা ১৬৭ রান করেছি, কম ওভার খেলেছি। প্রথম ম্যাচে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে মিথুনই ৫০ রান করতে পেরেছে।’
দুই টেস্টে মিঠুন ও সাইফ ছাড়া রান করেননি কেউই। তার পরও কোচ মিজানুর রহমান দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, ‘এখানে এসে অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু উন্নতি হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী। লংগার ভার্সনের দুটো ম্যাচে যে পারফরম্যান্স হয়েছে তাতে আমি দারুণ খুশি। ম্যাচগুলো যদি সম্পূর্ণ শেষ করা যেত, তাহলে আমার মনে হচ্ছে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খারপ করলেও আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম। যেটা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে করতে পেরেছি, সেটা হয়তো আমরা প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই করতে পারতাম।’
ক্যারিবীয়দের তুলনায় টেস্ট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় বাংলাদেশ দলে ছিল বেশি। তবে মাঠের ক্রিকেটে সেই পার্থক্য খুব একটা চোখে পড়েনি।
মিজান যোগ করেন, ‘প্রথম ম্যাচের পর আমরা এ বিষয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছি। দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। এখানে রান করতে হলে কীভাবে করতে হবে, তা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বুঝতে পেরেছি। এখানে তারা দারুণ ব্যাট করেছে। ৩০০ রান করতে পেরেছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য