টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অবশেষে পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হারের বৃত্ত ভেঙে টাইগাররা ফিরেছেন জয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সাকিব-মুশফিক দুজনেরই একসঙ্গে অভিষেক হয়। এরপর থেকে প্রতিটি ওয়ানডেতেই সাকিব-মুশফিকের মধ্যে অন্তত একজন দলে ছিলেনই। ১৬ বছর পর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেই সাকিব-মুশফিক কেউই।
সাকিব আল হাসান দলে থাকা মানে একসঙ্গে দুজনকে পাওয়া। একজন ব্যাটার ও একজন বোলারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি একাই। এবার ব্যক্তিগত কারণে দলের বাইরে আছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
'সাকিবের অনুপস্থিতিতে একজন অতিরিক্ত ব্যাটার নাকি বোলার'- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, অতিরিক্ত ব্যাটারের চেয়ে পাঁচজন বোলার নিয়ে দল সাজানোর পক্ষে তিনি।
এ বিষয়ে রোববার খেলা শেষে সাংবাদিকদের তামিম ইকবাল বলেন, 'আমরা একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান না একজন অতিরিক্ত বোলার খেলাব তা নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। আমরা যদি একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতাম, তাহলে এটা নিরাপদ হতো। কিন্তু আপনাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, ওডিআই ফরম্যাটে, পাঁচজন সঠিক বোলার থাকতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আমি আশা করি, সব ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে খেলবে।
'আজ এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস হতে পারত যদি আমরা হেরে যেতাম। তখন আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, কেন আমরা একজন কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললাম। কিন্তু সব ঠিকঠাক ছিল বলে এই বিষয়ে কথা হচ্ছে না।'
শান্তর উচিত ছিল আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা শেষ করার। ৫০ বলে ৩৭ রান করে শান্ত ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়ায়, খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তামিম ইকবাল।
এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, 'যখন ছয়জন ব্যাটসম্যান থাকে, তখন কেউ একজন সেট হয়ে যায়, তাকেই তখন চালিয়ে যেতে হবে। শান্তর আজ খেলা শেষ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। আমি মনে করি, সে নিজেও খুব হতাশ, কারণ এই ধরনের সুযোগ সব সময় আসবে না।
'যখন সাকিব, মুশফিক এবং ইয়াসিররা ফিরে আসবে। তাই যখনই কোনো সুযোগ আসে, দুই হাতে ধরতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে।'
আরও পড়ুন:পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি সফরকারী আফগানিস্তান।
টানা পরাজয়ে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছিলেন আফগানরা। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল। সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশাও বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান।
আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ হারলেও সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এখনও এগিয়ে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।
বেলফাস্টে টস হেরে শুক্রবার ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। গুরবাজ-জাজাইয়ের ওপেনিং জুটিতে আসে ৯০ রান। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে ওপেনিং জুটি ভেঙে আউট হন গুরবাজ।
আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩৯ রান। এ ছাড়া ১৮ বলে ৫ ছক্কায় ৪২ রান করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। ইব্রাহিম জাদরান খেলেন ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।
দুই জাদরানের মারকুটে ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৩ রানের মাথায় পল স্টার্লিংকে হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিও। ৫ বল খেলে ১ রান করে আউট হন তিনি।
আইরিশ ব্যাটার লরকান টাকার ২১ বলে ৩১ রান ও ডকরেল ৩৭ বলে ৫৮ অপরাজিত ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। শেষের দিকে ফিওন হ্যান্ডের ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাটিং শেষে ৯ উইকেট ১৬৭ রানে থামে আয়ারল্যান্ড।
আফগানিস্তানের পক্ষে নাভিন উল হক তিনটি এবং ফজল হক ফারুকী ও মুজিব উর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে টনা তিন ম্যাচে উইকেট শূন্য থেকে গেলেন আফগান অলরাউন্ডার রশিদ খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ খোয়াল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও টপ অর্ডারের ব্যাটাররা আলো ছড়াতে পারেননি। হতাশাজনক পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জ্যামাইকার সাবিনা পার্ক স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে ৫ উইকেটে ২১৫ রানের পাহাড়সম পুঁজি দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে স্বাগতিকরা। এতে করে ৯০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় সফরকারীরা।
ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় কিউইরা। ছয় ছক্কা আর চারটি চারের মারে ৪১ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। পাশপাশি ড্যারিল মিচেল ২০ বলে ৪৮ ও কনওয়ে ৩৪ বলে ৪২ রান করেন।
বড় রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে নিকোলাস পুরানের দল। এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় স্বাগতিকদের।
নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরতে থাকেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। দুই কিউই বোলার মিলে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন ৩০ রান খরচায়। এ ছাড়া টিম সাউদি ও ইশ সোধি একটি করে উইকেট নেন।
আরও বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১৬তম ওভারে ক্যারিবীয়দের ৯ উইকেট তুলে নেয় নেয় নিউজিল্যান্ড।
সে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় রান ৮৭। সেখান থেকে দশম উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন হেইডেন ওয়ালশ ও ওবেদ ম্যাকয়। দশম উইকেটে এ ফরম্যাটে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তিন ম্যাচ টি-টয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে সোমবার মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরও পড়ুন:পরিবারকে সময় দেবেন বলে সম্প্রতি জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেইসার ট্রেন্ট বোল্ট। তবে পারিবারিক ইস্যুতে জাতীয় দল থেকে সরে আসার কথা জানালেও এবার আরব আমিরাতের লিগে নাম লেখালেন কিউই এই পেইসার।
আরব আমিরাত লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এমিরেটসে সরাসরি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বোল্ট।
এরইমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ১৪ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বোল্টের সঙ্গে আরও রয়েছেন কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো ও নিকোলাস পুরানের মতো তারকারা।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্ত্বাধিকারী রিলায়েন্স জিওর চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি বোল্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ খুশি আমাদের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় কাইরন পোলার্ডকে পেয়ে। পাশপাশি আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিকোলাস পুরান, ট্রেন্ট বোল্ট ও ডোয়াইন ব্রাভো। সবাইকেই স্বাগত।’
এর থেকেও অবাক করা বিষয় হলো, নিজের দেশের ঘরোয়া লিগ ছেড়ে আরব আমিরাতের লিগে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রোটিয়া স্পিনার ইমরান তাহির।
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আরব আমিরাতের চার খেলোয়াড়সহ, ১২ বিদেশি ও ২ সহযোগী দেশেরসহ মোট ১৮ জন ক্রিকেটারকে দলে ভেঢ়াতে পারবে।
আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গড়াবে টুর্নামেন্টটি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এমিরেটসের এখন পর্যন্ত যারা
কাইরন পোলার্ড, নিকোলাস পুরান, ডোয়াইন ব্রাভো, ট্রেন্ট বোল্ট, ইমরান তাহির, আন্দ্রে ফ্লেচার, সামিত প্যাটেল, উইল স্মিথ, জর্ডান থম্পসন, নাজিবুল্লাহ জাদরান, জাহির খান, ফজল হক ফারুকি, ব্র্যাডলি হুইল, বাস ডি লিডস।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর মাঠে নামেন এনামুল হক বিজয়। তখন আলো ছড়াতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট ছিল দ্যুতিময়।
লম্বা বিরতির পর জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে নিজের দাপুটে পারফরম্যান্সের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। তাদের সাহস ও প্রত্যাশায় ভালো করতে পেরেছেন বলে মনে করেন বিজয়।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে শুক্রবার দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে দেখা যায় বিজয়কে। সর্বশেষ ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০-এর বেশি। প্রতিটি ম্যাচেই তাকে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। সতীর্থদের থেকে সাপোর্ট পাওয়ায় এই কাজটা বেশ সহজ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘আমি যখন অনেক দিন পর দলে ফিরলাম, প্রতিটি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে দারুণভাবে সাপোর্ট পেয়েছি। তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে, জুনিয়রদের মধ্যে আফিফ, তাসকিন, মোসাদ্দেক, লিটনসহ সবাই আমাকে ভালোমতো গ্রহণ করেছেন। তারা বুঝতে দেননি, এখানে আমি অনেক দিন পর এসেছি। দলে আমরা এক পরিবারের মতো ছিলাম।’
সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজয় বলেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড়ই চাচ্ছিলেন আমি যেন রান পাই। ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য তারা অনেক বেশি উৎসাহিত করেছেন। এভাবে সহযোগিতা পেলে কাজ সহজ হয়ে যায়।
‘যেহেতু আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালো সময় পার করেছি। এ কারণে সবাই চাচ্ছিলেন যেন আমি জাতীয় দলেও পারফর্ম করি। সবার দোয়াটা কাজে লেগেছে। সবার চাওয়া ও সহযোগিতায় পারফরম্যান্স করা অনেক ইজি হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হারের ক্ষত ও ৪০০তম ওয়ানডে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে শুক্রবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের কোনটিতেই সময়টা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। টাইগারদের দেশে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতেই। শর্টার ফরম্যাটে তো নয়ই, নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটেও লাল সবুজের প্রতিনিধিদের হারতে হয়েছে।
ওয়ানডেতে তো ক্লিন সুইপের সম্ভাবনা জাগিয়েও সিরিজ হারতে হয়েছে। শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের জয় লজ্জার হাত থেকে কিছুটা নিস্তার দেয় তামিম-মুশফিকদের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশের কেবলমাত্র অর্জন দুই ফরম্যাটে দুটি জয়।
সদ্য শেষ হওয়া এই সিরিজে বাংলাদেশ শিবিরে ছিল ইনজুরির হানা। লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামকে ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছে। এর ভেতর সোহান ও লিটন ইতোমধ্যেই ছিটকে পড়েছেন আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও।
দেশে ফিরেই এখন এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে জাতীয় দল। ২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর।
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা সিরিজে বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কোনোটিতেই শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি দলটি, তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি আইরিশদের।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে বড় জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে ৫ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। এতে করে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।
বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাবে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।
আফগান ব্যাটার হাশমতুল্লাহ শহিদির ৩৬ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কারও ব্যাট এ দিন আলো ছড়াতে পারেনি। ইবরাহিম জদরানের ১৭ রান দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে ৬ ব্যাটারই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জশুয়া লিটল, মার্ক অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার ও গ্যারেন ডিলানি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের ভিত গড়ে দেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪৬ রান। এ ছাড়া ফর্মে থাকা লরকান টাকারের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
শেষের দিকে জর্জ ডকরেলের ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বালবার্নির দল।
এদিকে ৬৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্যারিয়ারে পরপর দুই ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি আফগান বোলার রশিদ খান। গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকেই ছন্দে নেই এ লেগস্পিনার। শেষ ১০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন আটটি উইকেট।
আরও পড়ুন:অনলাইন বেটিং কোম্পানি বেটউইনারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউজ বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করছেন সাকিব আল হাসান। নিজের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালক। তিনি বলেন যে, বিসিবি সাকিবের কাছ থেকে মৌখিক সিদ্ধান্ত পেয়েছে। লিখিত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
এর কিছু পরই সাকিবের লিখিত সিদ্ধান্ত বিসিবির হাতে পৌঁছায়। ফলে এশিয়া কাপের দলে জায়গা পেতে ও অধিনায়কত্ব করতে তার আর কোনো বাধা থাকল না। বিসিবি শুক্রবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করবে।
গত ২ আগস্ট সাকিব নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দেন নিউজ বেটউইনার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক, সাকিব বেটিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছেন; বিসিবির নীতিমালায় যা অবৈধ।
নিউজ বেটউইনার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে তারা শুধু একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বেটিংয়ের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তারপরও বিসিবি সভাপতি বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, সাকিব বেট উইনারের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন না করলে এশিয়া কাপের দলে জায়গা হবে না তার। এমনকী বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তিও বাতিল করা হতে পারে।
এরপরই সাকিব বিসিবিকে বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসার কথা বিসিবিকে জানিয়েছেন।
বিসিবি গত শুক্রবারের বোর্ড সভাতেই সাকিবকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করতে চেয়েছিল। তবে সাকিবের সঙ্গে বেটউইনারের চুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য