তারকাসমৃদ্ধ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) গেল মৌসুম থেকেই ফুটবল বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে। মেসি-নেইমার-এমবাপের মতো তারকারা যে ক্লাবে আছেন সে ক্লাব নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকবে- এটাই স্বাভাবিক।
গত মৌসুমে নাটকীয়তা শেষে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে নতুন করে ৩ বছরের চুক্তি নবায়ন করে পিএসজি। যার বাড়তি চাপ পড়েছে মেসি-নেইমাদের ওপর।
অন্যদিকে ধারাবাহিক চোটের কারণে দিন দিন নেইমারের ফর্মের অবনতি হচ্ছে। তা ছাড়া এমবাপের চুক্তিতে বাড়তি আর্থিক চাপেও আছে ক্লাবটি। যে কারণে উপযুক্ত মূল্য পেলে নেইমারকে ছেড়ে দিতে চায় ক্লাবটি।
এবার গুঞ্জন উঠেছে নেইমারের সঙ্গে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওলেন মেসিকেও বিদায় করতে চায় পিএসজি। পিএসজিতে নেইমারের ভবিষ্যতের সঙ্গে এবার শঙ্কায় পড়েছে মেসির ভবিষ্যৎ।
স্প্যানিশ সাংবাদিক পেদ্রো মোরাতার দাবি, প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের নতুন স্পোর্টিং ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা লুইস ক্যাম্পোস ও আন্তেরো হেনরিক দুজনেই চান পিএসজিকে নতুন করে সাজাতে। যে কারণে চলতি মৌসুমেই নেইমার ও মেসিকে বিক্রি করে ঘর পরিষ্কার করতে চায় পিএসজি।
বর্তমানে পিএসজি কম তারকা খেলোয়াড় নিয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক দল গঠন করতে চায় বলেও জানান স্প্যানিশ সাংবাদিক পেদ্রো। সাবেক এফসি পোর্তো মিডফিল্ডার ভিতিনহার আগমনের পর পিএসজিকে ঢেলে সাজানোর এমন প্রক্রিয়া শুরু করেন।
মোরাতা জানান, মেসি-নেইমারের উচ্চ পারিশ্রমিকের কারণে বেশিরভাগ ক্লাব তাদেরকে দলে ভেড়াতে চাইবে না। ফলে, তাদের জন্য ক্লাব পরিবর্তনের বাজার সীমিত। তবে স্প্যানিশ সাংবাদিক মনে করেন, মেসি-নেইমার দুজনই চাইবে পিএসজি ছেড়ে দিতে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের স্থগিত ম্যাচটি গত বছর সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও মাঠে গড়ায়নি এখনও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের খেলা নিয়ে জটিলতা বেড়েই চলছে। ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী মাসে ব্রাজিলে ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর কথা। তবে ব্রাজিল ম্যাচটি বাতিল করতে চাইছে। ফিফার কাছে আবেদন করেছে তারা ।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হেড কোচ লিওনার্দো তিতের মতে বিশ্বকাপের আগে এ ম্যাচ খেলার কিছু অসুবিধা রয়েছে। আনুষ্ঠানিক ম্যাচ হওয়ায় যদি কোনো খেলোয়ার লাল বা হলুদ কার্ড পান তাহলে তা বিশ্বকাপের ম্যাচেও তা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞায় থাকা খেলোয়াড়রা গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিও ম্যাচটি খেলতে আগ্রহী নন। ওই ম্যাচের বদলে আমেরিকা বা ক্যানাডার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চায় আর্জেন্টিনা।
বাছাইপর্ব পূর্ণতার জন্য ফিফা চেয়েছিল ম্যাচটি সম্পন্ন করতে। তবে দুই দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কড়াকড়ি নিয়মের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন না মেনে আর্জেন্টিরা চার খেলোয়ার মূল একাদশে মাঠে নামলে বাধে বিপত্তি। তাদের মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার জন্য ম্যাচ শুরু ৫ মিনিটের মধ্যে হাজির হন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে থেমে যায় দুই দলের ম্যাচটি।
শিরোপা জয়ে মৌসুম শেষ। নতুন মৌসুম শুরু শিরোপা দিয়েই। রিয়াল মাদ্রিদের এমন অর্জন বলছে দুর্দান্ত হতে যাচ্ছে তাদের চলতি মৌসুমটি।
আগেরবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগজয়ীর মধ্যে এক ম্যাচের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জয় পেল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।
ফিনল্যান্ডের হেলসেংকিতে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে ইউয়েফা সুপার কাপ শিরোপা জিতল কার্লো আনচেলত্তির দল। এ নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফিটি জিতল রিয়াল। রিয়ালের হয়ে ডেভিড আলাবা ও কারিম বেনজেমা গোল পান।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনাল খেলা একাদশ নিয়ে মাঠে নামেন আনচেলত্তি। ৬২ বছর পর বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কোনো প্রতিযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। সর্বশেষ ১৯৬০ সালে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৭-৩ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল।
খেলা শুরুর ৩৭তম মিনিটে ডেভিড আলাবার গোলে লিড নেয় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫তম মিনিটের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কারিম বেনজেমা, তবে ম্যাচের শুরু থেকে লড়াই করেও গোলের দেখা পায়নি ফ্রাঙ্কফুর্ট । বেশ কিছু সুযোগও নষ্ট করেছে গত মৌসুমে ইউরোপা লিগজয়ী দলটি।
এই শিরোপা জয়ে সুপার কাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড গড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা ও এসি মিলান। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে আনচেলত্তির রিয়াল।
এর আগে ২০০২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে শিরোপা জিতেছিল দলটি।
ক্লাবের রেকর্ড গড়ার দিনে কারিম বেনজেমা নিজেও গড়েছেন নতুন রেকর্ড। রিয়ালের জার্সি গায়ে ৩২৪টি গোল করেছেন তিনি।
রাউল গনসালেসের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে বেনজেমা এখন রিয়ালের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর রিয়ালের হয়ে ৪৫০টি গোল করে শীর্ষে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের নভেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। কাতারের আয়োজনের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ২১ নভেম্বর। তবে আয়োজক দেশের কথা ভেবে এক দিন আগে টুর্নামেন্ট শুরু করতে যাচ্ছে ফিফা।
২১ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্টের। কিন্তু আয়োজক দেশ কাতারের অনুরোধে তাদেরকেই উদ্বোধনী দিনে রাখছে ফিফা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে ২০ নভেম্বর কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের।
বিশ্বকাপের গ্রুপ-এতে খেলবে কাতার। তাদের গ্রুপসঙ্গী নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল ও ইকুয়েডর।
২০ বছর পর এশিয়ার মাটিতে হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। সবশেষ ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আয়োজন করেছিল এ টুর্নামেন্ট।
কাতার আয়োজক হওয়ার পর এই প্রথম নভেম্বর-ডিসেম্বরে হচ্ছে এ টুর্নামেন্ট। জুন-জুলাই মাসে কাতারে গরমের কথা ভেবেই ফিফা টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়েছে শীতকালে।
সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। ২০ বছর আগে এশিয়াতে অনুষ্ঠিত ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ছিলেন রোনালডো। এবারও বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এশিয়াতে। পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক সে রোনালডো উন্মোচন করলেন কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের নতুন জার্সি।
প্রতিবারের মতো এবারও ব্রাজিলের জার্সি তৈরি করছে ক্রীড়াসামগ্রী তৈরি প্রতিষ্ঠান নাইকি। নাইকি ও রোনালডো মিলে উদ্বোধন করেন ব্রাজিলের হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি।
ব্রাজিলের হোম জার্সিটি প্রতিবারের মতো হলুদ রঙের থাকছে। নতুন নকশায় ঐতিহ্যবাহী আদলেই তৈরি হয়েছে হোম জার্সি। জার্সিটির বোতামের ডিজাইন করা হয়েছে ব্রাজিলের পতাকার রং অনুযায়ী।
দ্বিতীয় জার্সিটি অর্থাৎ অ্যাওয়ে জার্সিটি সাধারণত নীল রঙের হয়। এবারও তেমন থাকছে। তবে এই জার্সিতে হাতের দিকটিতে হলুদ ও সবুজের নকশা রাখা হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্সি বাজারে ছাড়বে নাইকি। এই জার্সি গায়ে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নামবে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল।
আরও পড়ুন:নতুন মৌসুম শুরুর আগে দলবদলের বাজারে দারুণ ব্যস্ত ছিল বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, ফ্র্যাংক কেসিয়ে ও আন্ড্রেস ক্রিস্টিয়ানসেনের মতো প্রতিষ্ঠিতদের পাশাপাশি তারা দলে ভিড়িয়েছে রবার্ট লেওয়ানডোভস্কির মতো সুপারস্টারকে।
দলে আসার তালিকায় আরও আছেন চেলসির ডিফেন্ডার মার্কোস অলোনসো ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভা।
তবে বার্সেলোনাকে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে খেলোয়াড় বিক্রি নিয়ে। দেড় বিলিয়ন ইউরো দেনার দায়ে থাকা ক্লাবটি সম্প্রতি টিভি স্বত্বের ২৫ শতাংশ বিক্রি করে ৬০ কোটি ইউরো তহবিল জোগাড় করেছে, যা দিয়ে এখন পর্যন্ত খেলোয়াড় কেনা ও অন্যান্য খরচ চালাচ্ছে তারা।
লা লিগার নতুন নিয়মে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের মাত্রা ঠিক রাখতে আরও অন্তত ১০ কোটি ইউরো জোগাড় করতে হবে বার্সেলোনাকে এবং সেটা খেলোয়াড় বিক্রি করেই।
বার্সেলোনার বিক্রির তালিকায় আছেন ফরোয়ার্ড মেম্ফিস ডিপায়, মার্টিন ব্র্যাথওয়েইট ও পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। রয়েছেন ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতি, মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচ।
এর মধ্যে ডিপায়ের জন্য বার্সেলোনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইউভেন্তাস আর অবামেয়াংকে নিতে চায় চেলসি। আর গত মৌসুম থেকে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংকে দলে নিতে চাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ডি ইয়ংয়ের জন্য ১০ কোটি ইউরো দিতে রাজি ইউনাইটেড। সবকিছুই ঠিক ছিল, শেষ মুহূর্তে বাগড়া দিয়েছেন ডি ইয়ং নিজে। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দলবদলের সময় পাচ্ছে বার্সেলোনা। এর মধ্যে তাদের তালিকায় থাকা খেলোয়াড় বিক্রি করতে না পারলে আর্থিকভাবে বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে চাভি এরনান্দেসের দলকে।
আরও পড়ুন:কমিউনিটি শিল্ড শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দারুণ একটি সুযোগ মিস করে ভক্ত সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েন ম্যানচেস্টার সিটিতে সদ্য যোগ দেয়া আর্লিং হালান্ড। ওই ম্যাচের পর সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা বলেন, তিনি হালান্ডের বিষয়ে চিন্তিত নন।
লিগের প্রথম ম্যাচেই হালান্ড দেখান নিজের সামর্থ্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজের অভিষেক ম্যাচে জোড়া গোল করেন তিনি। তবে হ্যাটট্রিক না পাওয়াতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ২২ বছর বয়সী এ নরওয়েজিয়ান।
তবে ওই ম্যাচের পর হালান্ডের পারফরম্যান্সকে লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করেছেন গার্দিওলা। গোলের ক্ষুধায় দিক থেকে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে হালান্ডের মিল পেয়েছেন সিটির ম্যানেজার।
এক সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা সোমবার বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে মেসির ম্যানেজার ছিলাম। যখন সে ২ গোল করত, সে ৩ নম্বরটি করতে চাইত। ৩টি করলে ৪ নম্বরটি করতে চাইত। সেরা গোলদাতারা কখনই সন্তুষ্ট হয় না। তারা গোলের জন্য সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে।’
কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচের পর হালান্ডকে নিয়ে সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে গার্দিওলা বলেন, গোল করার পর সমালোচকরা তাকে বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনা করছে।
তিনি যোগ করেন, ‘এক সপ্তাহ আগে একটি মিসের কারণে তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা হচ্ছিল। আর এখন ওকে অনরি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।’
হালান্ডের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করে গার্দিওলা যোগ করেন, ‘যখনই পেনাল্টি দেয়া হলো, সে বল নিয়ে এগিয়ে গেল। এটা দারুণ। যার আত্মবিশ্বাস আছে, তারই পেনাল্টি নেয়া উচিত। হালান্ড দুটি গোল করেছে। এটি তার নিজের ও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে আমাদের নতুন অস্ত্র।’
আরও পড়ুন:রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে জুনে চুক্তি শেষ হয়ে যায় মিডফিল্ডার ইসকোর। তারপর থেকে নতুন ক্লাবের সন্ধানে ছিলেন তিনি। নতুন মৌসুম শুরু হবার আগে লা লিগার আরেক দল সেভিয়ার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন এ মিডফিল্ডার। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেভিয়া।
ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘ইসকোর সঙ্গে আমরা নীতিগত সমঝোতায় পৌঁছেছি। এবারের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইসকো আমাদের ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ইসকো সেভিয়া এসেছেন। তার সঙ্গে আমাদের দুই বছরের চুক্তি হচ্ছে।’
এবারের গ্রীষ্মে দুই ডিফেন্ডারকে দলে ভিড়িয়েছে সেভিয়া। ধারে গালাতাসারে থেকে মারকাও ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে অ্যালেক্স টেলেস দলে এসেছেন।
স্পেনের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ইসকো ৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন। নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে ইসকো আবার স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ হুলেন লোপেতেগির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। ৯ বছর আগে ৩০ মিলিয়ন ইউরোতে মালাগা থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ইসকো। গ্যালাকটিকোদের হয়ে এই দীর্ঘ সময়ে ইসকো ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি লা লিগা ও একটি কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছেন।
৩০ বছর বয়সী ইসকো রিয়ালের হয়ে ৩৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন। এ পর্যন্ত ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছেন। যার মধ্যে ২০১৭ সালে ইউভেন্তাস ও ২০১৮ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে মূল একাদশে ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে মূল দলে খুব একটা সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
গত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের মিশনে কোনো ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। পিঠের ইনজুরিতে পুরো মৌসুমে মাত্র ১৭ ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে তিনটিতে খেলেছেন মূল একাদশে।
মন্তব্য