ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন পেইসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার মেহেদী মিরাজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরিজের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এপ্রিলে সাউথ আফ্রিকা সিরিজের পর কাঁধের চোটে পড়েন তাসকিন। তাকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট বিসিবি তাসকিনকে ওয়ানডে স্কোয়াডে রেখেছিল শুরুতে। কিন্তু তার সেরে ওঠার হার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হওয়ায় বোর্ড তাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই দলে রাখছে।
তাসকিনের সঙ্গে দলে ফিরেছেন মেহেদী মিরাজও। ওয়ানডে ও টেস্ট দলে নিয়মিত হলেও টি-টোয়েন্টি দলে মিরাজ সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮-এর ডিসেম্বরে। ফলে প্রায় আড়াই বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে ফিরছেন তিনি।
শনিবার ডমিনিকায় ম্যাচের মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই ভেন্যুতে পরদিন হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। আর ৭ জুলাই গায়ানায় হবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশ দল: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, এনামুল বিজয়, মোসাদ্দেক সৈকত, নুরুল হাসান, মেহে্দী মিরাজ, মাহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও মুনিম শাহরিয়ার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়ে ক্লিন সুইপ এড়িয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে জয় দিয়ে রাঙ্গিয়েছে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে। জয়ের ম্যাচে রঙ্গিন পোশাকে অভিষেক হয়েছে পেইসার এবাদত হোসেনের।
অভিষেক জয় দিয়ে রাঙানোর পাশাপাশি বল হাতেও বেশ আগ্রাসী ছিলেন ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। দীর্ঘ তিন বছর টেস্ট খেলার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রঙ্গিন পোশাকে অভিষেকের দিনে তিনি ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৮ রানের খরচায় ঝুলিতে পুরেছেন ২ উইকেট।
তার শিকার হয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় ওয়েসলি মাধেভেরে ও ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি তুলে নেয়া সিকান্দার রাজাকে। আর সেই সুবাদেই জয়ের দিকে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারেই একপা দিয়ে রাখা সম্ভব হয় বাংলাদেশের।
ম্যাচ শেষে তাই এবাদতের ভূয়সী প্রশংসা তামিম ইকবালের কণ্ঠে।
ওয়ানডে দলপতি বলেন, ‘এবাদতকে আমরা লম্বা সময় ধরেই দেখছি। আমি অবাক হয়েছিলাম আগের ম্যাচগুলোতে তাকে একাদশে না দেখে। সৌভাগ্যবশত শেষ ম্যাচে আমরা তাকে পেয়েছি এবং সে দেখিয়ে দিয়েছে।’
লজ্জার হার এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার মত। ৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে যখন অথৈ সাগরে ভাসছিল বাংলাদেশ, সে সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন দলকে শক্ত হাতে হাল ধরে রেখে ভাসিয়ে রাখেন বাংলাদেশের রানের তরী।
রিয়াদ বিদায় নিলেও একাই দলকে তীরে ভেরানোর মিশনে নামেন আফিফ। কেউ সঙ্গ না দিলেও একাই টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। তার ৮১ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৫০ রানের পুঁজি পার করা সম্ভব হয় বাংলাদেশের।
তাই ম্যাচ শেষে আফিফের অনাবদ্য ইনিংসের কথাও জানাতে ভুললেন না ওয়ানডে দলপতি।
তামিম বলেন, ‘একটা সময় মনে হয়েছিল আমরা ধুঁকছি। আফিফ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, এটা আসলেই বেশ দৃষ্টিনন্দন ছিল। তার টাইমিং দুর্দান্ত ছিল, তার ব্যাটিংও ছিল দুর্দান্ত।
আমরা যখন ৩০০ করেও ম্যাচ হেরেছিলাম, তখন ২৫০ রানটাও আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল ২০০ রানের মতো। সৌভাগ্যবশত আমরা পাঁচ উইকেট খুব দ্রুত তুলে নিয়েছিলাম, যেটা কিনা আমাদের জন্য বেশ কার্যকরী ছিল।’
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মিশন ছিল ক্লিন সুইপ ঠেকানো। নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচ বাংলাদেশ রাঙিয়েছে জয় দিয়েই। জিম্বাবুয়েকে তৃতীয় ম্যাচে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী দল।
বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫১ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। তাই সান্ত্বনার জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করেছে তামিম ইকবালের দল।
আগের দুই ম্যাচে ৩০০-এর আশপাশে রান তাড়া করা জিম্বাবুয়ে শেষ ম্যাচে ৫ম বলে হোঁচট খায়। টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের পথ দেখিয়ে শুভ সূচনা করেন হাসান মাহমুদ।
পরের ওভারে টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে ১ রানে ফিরিয়ে চাপ বাড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশি বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের গতি বাড়াতে পারছিল না স্বাগতিক দল। ৫ ওভারে তারা মাত্র ১৬ রান যোগ করে বোর্ডে। এমন অবস্থায় জিম্বাবুয়ের শিবিরে আঘাত হানেন অভিষিক্ত এবাদত হোসেন।
ওয়েসলি মাধেভেরেকে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি করে ১ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান এ টাইগার পেইসার।
পরের বলে বিপজ্জনক সিকান্দার রাজাকে খালি হাতে ফেরান এবাদত। এতে করে ১৮ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
ইনিংসের নবম ওভারে শক্ত হাতে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া ইনোসেন্ট কাইয়াকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এর সুবাদে পাওয়া প্লেতে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় বাংলাদেশ।
উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ক্লাইভ মাডানডে। সাহায্য না পাওয়ায় বড় জুটি গড়ে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।
দলীয় ৮৩ রানে মাডানডের বিদায়ের মধ্য দিয়ে বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের। শেষ দিকে রিচার্ড এনগারাভা ও ভিক্টর নিয়াউচির ৬৮ রানের জুটিতে কেবল ব্যবধান কমিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে শেষতক সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সে সুবাদে বাংলাদেশ পায় ১০৫ রানের বড় জয়।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। আর ১টি করে উইকেট যায় হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঝুলিতে।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এনামুল বিজয় ও আফিফ হোসেনের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে চালকের আসনে বসেছে বাংলাদেশ। টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে পতন ঘটেছে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটের। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩২ রান।
বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের পঞ্চম বলে হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরের পথ দেখিয়ে শুভ সূচনা করেন হাসান মাহমুদ।
পরের ওভারেই টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে ১ রানে ফিরিয়ে চাপ বাড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশি বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের গতি বাড়াতে পারছিল না রোডেশিয়ানরা। ৫ ওভারে তারা মাত্র ১৬ রান যোগ করে বোর্ডের। এমন অবস্থায় জিম্বাবুয়ের শিবিরে আঘাত হানেন অভিষিক্ত এবাদত হোসেন।
ওয়েসলি মাধেভেরেকে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি করে ১ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান টাইগার এই পেইসার।
পরের বলে বিপজ্জনক সিকান্দার রাজাকে খালি হাতে ফেরান এবাদত। আর তাতে ১৮ রান তুলতে ৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের।
ইনিংসের নবম ওভারে শক্ত হাতে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়া ইনোসেন্ট কাইয়াকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এর সুবাদে পাওয়া প্লেতে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রঙিন পোশাকে দুই ফরম্যাটেই সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এ হারের প্রভাব র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে। ব্যাটাররা আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছেন। তবে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
বুধবার আইসিসি প্রকাশিত সবশেষ র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডে বোলারদের তালিকায় ১০ ধাপ এগিয়েছেন তাইজুল। ৮১ থেকে বর্তমানে ৪৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৭১ নম্বরে অবস্থান করছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুটি ফিফটি করলেও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়নি তামিম ইকবালের। আগের ১৬ নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। ১৭ থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৯ নম্বরে অবস্থান করছেন মুশফিকুর রহিম।
ইনজুরির কারণে ওয়ানডে সিরিজ না খেলায় লিটন দাস নেমে গেছেন ৪ ধাপ নিচে। ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটারের বর্তমান অবস্থান ২৮। আর এক ধাপ পিছিয়ে সাকিব রয়েছেন ৩০ নম্বরে।
এক ধাপ এগিয়ে ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। ২৪২ পয়েন্ট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ছয় নম্বরে অবস্থান করছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ ক্লিন সুইপ এড়িয়েছিল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে এসে সেই শঙ্কা জেগে উঠেছে বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও জয়ের দেখা মেলেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
তৃতীয় ম্যাচে এসে তাদের সংগ্রহ আরও কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৬ রানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতগতিতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল বিজয়।
৮ ওভারে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুইজন। নবম ওভারের প্রথম বলে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম। টাইগার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৯ রান।
পরের ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দশম ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড ইভানসের ডেলিভারিতে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
এর তিন বল পরই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
দ্রুত তিন উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল নিয়ে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও এনামুল বিজয়। দুইজন ৭৭ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে।
দলীয় ১২৪ রানে বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই প্রতিরোধ গড়া জুটি। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ বলে ৭৬ রান।
সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ। সঙ্গে নেন আফিফ হোসেনকে।
ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াদকে। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭৩ রানে পতন ঘটে টাইগারদের পঞ্চম উইকেটের।
উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে খুব একটা সাড়া না পাওয়ায় একা লড়াই চালিয়ে যান আফিফ হোসেন। তার অনবদ্য ৮১ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ আড়াই শ ছাড়ায় সফরকারী দল।
শেষ পর্যন্ত আফিফের অপরাজিত ৮৫ রানের সুবাদে ৯ উইকেটের খরচায় জিম্বাবুয়ের সামনে ২৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:গত রোববার কমনওয়েলথ গেমসে অস্ট্রেলিয়ার নারী দল ভারত নারী দলকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছে। সে সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতে বড় দুঃসংবাদ পেলো অস্ট্রেলিয়া নারী দল। দলের সেরা ব্যাটার ও সফল অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার এ তারকা ক্রিকেটার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের বিরতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মাধ্যমে বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে ল্যানিংতার সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। সিএ জানিয়েছে তার প্রত্যাবর্তনের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
বিবৃতিতে ল্যানিং বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে ক্রিকেটে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করেছি। এবার নিজের দিকে নজর দিতে চাই। সে কারণে ক্রিকেট থেকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জানানোর জন্য বোর্ডকে ধন্যবাদ।’
সিএ নারী ক্রিকেটের হেড অফ পারফরম্যান্স কর্মকর্তা শন ফ্লেলার এ সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘ল্যানিং আমাদেকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তার জন্য আমরা গর্বিত। তার ক্রিকেট থেকে বিরতি প্রয়োজন, আমরা এ সময়ে তাকে সমর্থন করব। তিনি গত এক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে একটি অবিশ্বাস্য অবদান রেখেছেন। ব্যক্তিগতভাবে ও দলের অংশ হিসাবে উল্লেখযোগ্য কীর্তি অর্জন করেছেন তিনি যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি উজ্জ্বল আদর্শ।’
১০০টি ওয়ানডে খেলে মেগ ল্যানিং রেকর্ড ১৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৪ হাজার ৪৬৩ রান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২৪টি ম্যাচ খেলে ৩ হাজার ২১১ রান করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্লিন সুইপ এড়ানোর মিশনে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ৩৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটের খরচায় সফরকারীরা বোর্ডে তুলেছে ১৮২ রান।
হারারেতে শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতগতিতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল বিজয়।
৮ ওভারে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুইজন। নবম ওভারের প্রথম বলে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম। টাইগার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৯ রান।
পরের ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দশম ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড ইভানসের ডেলিভারিতে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
এর তিন বল পরই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
দ্রুত তিন উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল নিয়ে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও এনামুল বিজয়। দুইজন ৭৭ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে।
দলীয় ১২৪ রানে বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই প্রতিরোধ গড়া জুটি। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ বলে ৭৬ রান।
সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ। সঙ্গে নেন আফিফ হোসেনকে।
ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াদকে। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭৩ রানে পতন ঘটে টাইগারদের পঞ্চম উইকেটের।
মন্তব্য