টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় টেস্ট ক্রিকেটে ১০০তম হারের শঙ্কা নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৪ রানের লিডের জবাবে ৬ উইকেট ১৩২ রান তুলে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের থেকে এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের লিড অল্পতেই আটকে দিয়ে নিজেদের শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ও নিজের ৪ রানেই কিমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে জশুয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তামিম।
তার বিদায়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। দেখেশুনে খেলতে থাকলেও ইনিংসের সপ্তম ওভারে রোচের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। খেই হারিয়ে ব্ল্যাকউডের তালুবন্দি হয়ে ২১ বলে ১৩ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ব্যর্থতার খাতায় নাম ওঠান এনামুল হক বিজয়ও। এক ওভার বাদেই সরাসরি স্টাম্প হারিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
৩২ রানেই তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে পালছেঁড়া নৌকার মতো দিশেহারা হয়ে পড়া বাংলাদেশের শিবিরে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন এ দুই ব্যাটার। সেই চেষ্টা পুরোপুরি বানচাল করে দেন জেইডেন সিলস।
এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে লিটন দাসকে ফেরান ১৯ রানে। এতে করে ৫৭ রানে পতন ঘটে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের সঙ্গে গড়া তার ৪৭ রানের জুটিতে ছন্দ ফিরে পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ১০৪ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান জোসেফ। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
শান্তর বিদায়ের রেশ না কাটতেই ১৬ রানে জোসেফ মাঠছাড়া করেন সাকিবকেও। আর তাতেই আরও একবার বড় পরাজয় চোখ রাঙানি দেয় বাংলাদেশকে।
দিনের শেষ ভাগে এসে আর বিপদ হতে দেননি সোহান ও মিরাজ। অপরাজিত থেকে ১৩২ রানের পুঁজি তুলে দিন শেষ করেন এই দুই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলার শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। নিজে উইকেটে থিতু হয়ে বসলেও সঙ্গী জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই।
উইকেটের পেছনে খালেদ আহমেদের বলে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
পরে মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে টিকিয়ে রাখতে শুরু করেন লড়াই, কিন্তু বাদ সাধে বৃষ্টি।
দিনের দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের খেলা।
বৃষ্টিবাধা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে কাইল মায়ার্স ফেরেন খালেদের শিকার হয়ে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান।
শেষের দিকে কিমার রোচের অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপের ৯ ও জেইডেন সিলসের ৫ রানে ভর করে ৪০০ রান পেরোয় উইন্ডিজ।
শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭৪ রানের লিড দিয়েই ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশি বোলাররা।
আরও পড়ুন:২০২২ থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত আইসিসি তাদের ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে আইসিসির সদস্য দেশগুলো কে কবে কার বিপক্ষে খেলবে।
সম্পন্ন হয়েছে-
মে, ২০২২- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (হোম)
জুন-জুলাই, ২০২২- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুলাই-আগস্ট, ২০২২- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)।
আসন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্টসমূহ-
আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২২- এশিয়া কাপ ২০২২ (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
অক্টোবর, ২০২২- ত্রিদেশীয় (বাকি দুই দল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড) টি-টোয়েন্টি সিরিজ (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২২- আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (অস্ট্রেলিয়া)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২২- ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (হোম)
মার্চ, ২০২৩- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৩- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
মে, ২০২৩- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৪ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুন-জুলাই, ২০২৩- আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (ভারত)
জুন, ২০২৩- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
সেপ্টেম্বর, ২০২৩- এশিয়া কাপ
সেপ্টেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে (হোম)
নভেম্বর, ডিসেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
ডিসেম্বর, ২০২৩- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০২৪- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
এপ্রিল, ২০২৪- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৫ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুন, ২০২৪- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র)
জুলাই, ২০২৪- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ২০২৪- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট (অ্যাওয়ে)
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ২০২৪- ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২৪- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২৪- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০২৫- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (পাকিস্তান)
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৫- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি ( হোম)
মে, ২০২৫- পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
জুন-জুলাই, ২০২৫- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
আগস্ট, ২০২৫- ভারতের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
সেপ্টেম্বর, ২০২৫- এশিয়া কাপ
অক্টোবর, ২০২৫- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
নভেম্বর, ডিসেম্বর, ২০২৫- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি
মার্চ-এপ্রিল, ২০২৬- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
এপ্রিল, ২০২৬- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুন, ২০২৬- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (হোম)
জুলাই-আগস্ট, ২০২৬- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
আগস্ট, ২০২৬- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে, ৩ টি-টোয়েন্টি (অ্যাওয়ে)
অক্টোবর-নভেম্বর, ২০২৬- ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
নভেম্বর-ডিসেম্বর, ২০২৬- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
ফেব্রুয়ারি, ২০২৭- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্ট (হোম)
মার্চ, ২০২৭- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ টেস্ট (অ্যাওয়ে)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চার দিনের টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টেস্ট সিরিজে মিঠুন-সাইফ বাদে সুবিধা করতে পারেনি কেউ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ছিল একই চিত্র সফরকারী বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩.২ ওভারে ৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ডাক পাওয়া সাব্বির রহমান ও স্ট্যান্ড বাই সৌম্য সরকারও এদিন ভালো করতে পারেননি। সাব্বির রহমান ৫ বল খেলে ৩ রান করেন। ২০ বলে ১৫ রান করেন সৌম্য সরকার।
দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র তিনজন ব্যাটার। সর্বোচ্চ ২৫ রান জাকের আলীর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের পক্ষে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জাস্টিন গ্রিভস। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও শারমন লুইস নেন দুটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। ১৮ বলে ১৭ রান করা জশুয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সিলভার আউটের পর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ।
দলীয় ৭০ রানে ৬ উইকেট হারালেও ছোট রান তাড়া করতে নেমে জয় বাগিয়ে নিতে বেগ পেতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের। জাস্টিন গ্রিভসের অপরাজিত ১১ বলে ৬ রান ও ব্রায়ান চার্লসের অপরাজিত ১৯ বলে ৩ রানে ভর করে জয় পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল
বাংলাদেশের দুই পেইসার মুকিদুল ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৬ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের রটারডামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাবর আজমের দল। দলটি পেয়েছে ১০ পয়েন্ট।
চতুর্থ দল হিসেবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছুঁয়েছে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক। অন্য তিন দল ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
ম্যাচের শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ সব শট খেলে ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন ফখর জামান। ওপেনার ইমামুল হক ২ রানে আউটের পর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনিং ব্যাটার ফখর। ১০৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস; তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তিনি পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
অধিনায়ক বাবর আজম খেলেন ৮৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডার দুই ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ ও খুশদিল শাহ ২১ রান করে আউট হলে শেষের দিকে ঝড় তোলেন শাদাব খান। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে।
পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার আগা সালমান ৩ চারে ১৬ বলে অপরাজিত থেকে ২৭ রান করেন। তাদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে আসে ৯৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারী পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ব্যস ডি লিডে ও বেন বিক নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া ভিভিয়ান কিংমা নেন একটি উইকেট।
জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ডাচ ওপেনার মাক্স ও’ডাউডকে এক রানে ফিরিয়ে দেন পেইসার নাসিম শাহ। এর ঠিক তিন ওভার পর ওয়েসলি বারেসিকে সাজঘরে ফেরান হারিস রউফ।
শুরুর ধাক্কা সামলে নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন আরেক ওপেনার বিক্রম সিং। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় ৯৮ বলে ৬৫ রান করে আউট হন তিনি।
এর আগে আগে দুই ছক্কা ও ছয় চারে ৫৪ বলে ৬৫ রান করেন টম কুপার। ব্যস দ্য লিডসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৬ রান।
পরে লড়াই চালিয়ে যান নেদারল্যান্ডসের নতুন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ৬০ বলে খেলেন ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস, তবে অন্য প্রান্তে যোগ্য সঙ্গ পাননি তিনি। তাই শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ডাচদের কখনও সেভাবে ম্যাচে এগিয়ে যেতে দেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে অভিষিক্ত পেইসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ নেন তিনটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীদের ক্রিকেটের ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২২-২৫ চক্রের ঘোষিত এফটিপিতে বাংলাদেশ খেলবে ২৪টি ওয়ানডে ও ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুই ফরম্যাটে মোট ৫০ ম্যাচ খেললেও এই চক্রে বাংলাদেশের জন্য কোনো টেস্ট রাখা হয়নি।
আইসিসির ২২-২৫ চক্রে ক্রিকেট খেলুড়ে ১০টি দল মোট ৩০১টি ম্যাচ খেলবে। যেখানে রয়েছে ৪টি করে হোম আর অ্যাওয়ে সিরিজ। এই চার হোম-অ্যাওয়ে সিরিজের ভেতর রয়েছে ৭টি টেস্ট, ১৩৫টি ওয়ানডে ও ১৫৯টি টি-টোয়েন্টি।
৭টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও সাউথ আফ্রিকা।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ চার সিরিজে লড়বে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ খেলবে টাইগ্রেসরা।
এফটিপির শুরুটা হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজের মধ্য দিয়ে। ডিসেম্বরে তিনটি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে কিউইদের দেশে যাবে টাইগ্রেসরা।
এরপর ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতকে আতিথেয়তা দেবে সালমা-রুমানারা। এই সিরিজে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এই সিরিজটিও তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে প্রোটিয়া মিশনে যাবে টাইগ্রেসরা। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
২০২৪ সালের মার্চে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আতিথ্য দেবে অজিদের। সেই সিরিজটি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির। একই বছর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ দিয়ে এফটিপি শেষ হবে টাইগ্রেসদের।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি। এ আসরকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুরু থেকেই টুর্নামেন্টটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা, কিন্তু আটটি আসরেও সেসব বিতর্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিসিবি।
নবম আসরের আগে নড়েচড়ে বসেছে বোর্ড। এরই অংশ হিসেবে আগামী আসর থেকে ঢালাওভাবে টুর্নামেন্টটি সাজাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক তৎপরতা।
আসন্ন আসরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে টুর্নামেন্টের আয়োজনে। বোর্ডের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির কথা ভাবছে বোর্ড। এতে করে লাভের মুখ দেখা সম্ভব হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
আগের আসরগুলোতে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের গড়িমসি দেখা গেছে। এতে বকেয়া পড়ে যেত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। এটি রোধে পন্থা নিতে যাচ্ছে বিসিবি।
পারিশ্রমিকের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিসিবিকে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। গ্যারান্টি হিসেবে সাড়ে আট কোটি টাকা দিতে হবে বোর্ডকে। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেড় কোটি টাকা তো আছেই। সব মিলিয়ে মৌসুম শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে গুনতে হবে ১০ কোটি টাকা।
২ আগস্ট শুরু হয়েছে বিপিএলে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের সময়। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত করা যাবে আবেদন।
গত আসরে বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ না থাকলেও নবম আসরে ফিরে আসছে এ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আরও পড়ুন:অলরাউন্ডার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও স্পিনার নুর হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করে এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। মঙ্গলবার বিকেলে মোহাম্মদ নাবির অধিনায়কত্বে ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসিবি।
বর্তমানে আয়ারল্যান্ড সফরে রয়েছে আফগানিস্তান। সফরে থাকা ১৬ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েছেন শরাফুদ্দিন আশরাফ। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন শিনওয়ারি। আর ১৭তম সদস্য হিসেবে দলে যুক্ত করা হয়েছে নুরকে।
এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা না হলেও, রিজার্ভে আছেন শরাফুদ্দিন। তার সঙ্গে আরও আছেন নিজাত মাসুদ ও কয়েস আহমেদ।
২০২০ সালের মার্চে আফগানিস্তানের হয়ে সবশেষ খেলেছেন শিনওয়ারি। ২০১৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে খেলেন শিনওয়ারি। ৬৪টি টি-টোয়েন্টিতে ১০১৩ রান ও ২৮ উইকেট আছে শিনওয়ারির।
২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। এবারের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে। প্রথম দিন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে আফগানরা।
আফগানিস্তান দল: মোহাম্মদ নাবি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, আফসার জাজাই, আসমতউল্লাহ ওমরজাই, ফারিদ আহমদ, ফজলহক ফারুকী, হাসমতউল্লাহ শাহিদি, হযরতউল্লাহ জাজাই, ইবরাহিম জাদরান, কারিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, নাভিন উল হক, নুর আহমদ, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রাশিদ খান ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
স্ট্যান্ডবাই: নিজাত মাসুদ, কয়েস আহমেদ ও শরাফউদ্দিন আশরাফ।
মিরপুরের ৭ বছর বয়সী নাঈম শেখ সাকিব আল হাসানের এতটাই ভক্ত যে তার নিজের নাম বদলে সাকিব আল হাসান রেখেছে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে তার নাম ‘সাকিব আল হাসান’। সাকিবের অনুশীলন দেখার জন্য প্রায়ই সে মিরপুরের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে।
আজ (মঙ্গলবার) ক্ষুদে নাঈমের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। অনুশীলনের জন্য মাঠে ঢোকার সময় সাকিবের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। সাকিব তাকে নাম জিজ্ঞেস করায় নাঈম উত্তর দিয়েছে, ‘সাকিব আল হাসান’।
এই নাম কে রেখেছেন এমনটা সাকিব জানতে চাওয়ায় ক্ষুদে ভক্তের উত্তর, ‘আমি নিজেই রেখেছি।’
এরপর ভক্তকে অনুশীলন দেখাতে নিয়ে যান সাকিব নিজেই। সেখানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিপক্ষে বলও করেছে ‘ক্ষুদে সাকিব’।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের কাছে তার আবদার ছিল ক্রিকেট কেডস ও জার্সির। সাকিব তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো কিনতে লোক পাঠান।
তবে মিরপুরের আসেপাশে ভালো মানের জার্সি ও জুতা পাওয়া না গেলে সাকিব ক্ষুদে এ ভক্তকে প্রতিশ্রুতি দেন ভালো মানের জার্সি, ট্রাউজার ও কেডস বুধবার উপহার দেবেন।
ভক্তের সঙ্গে মিরপুরে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান সাকিব। এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হবে শুক্রবার। তার আগে রোববার থেকে সাকিব ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করছেন মিরপুরে।
মন্তব্য