ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে সেইন্ট লুসিয়ায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি। এ অবস্থায় ১০ ওভার পরই বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা। এই ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। অপরদিকে পতন ঘটেছে তাদের দুটি উইকেটের।
১১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটের খরচায় ৩৭৬ রান। লিড ১৪২ রানের। ১৪০ রানে অপরাজিত কাইল মায়ার্স। তাকে ৭ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন কিমার রোচ।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দিনের শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। তবে জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। খালেদ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে নিতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। দিনের শুরুতে দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা।
এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ১৬ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের রটারডামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ১-০তে এগিয়ে গেছে বাবর আজমের দল। দলটি পেয়েছে ১০ পয়েন্ট।
চতুর্থ দল হিসেবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছুঁয়েছে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক। অন্য তিন দল ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
ম্যাচের শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ সব শট খেলে ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন ফখর জামান। ওপেনার ইমামুল হক ২ রানে আউটের পর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনিং ব্যাটার ফখর। ১০৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস; তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তিনি পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
অধিনায়ক বাবর আজম খেলেন ৮৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডার দুই ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ ও খুশদিল শাহ ২১ রান করে আউট হলে শেষের দিকে ঝড় তোলেন শাদাব খান। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে।
পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার আগা সালমান ৩ চারে ১৬ বলে অপরাজিত থেকে ২৭ রান করেন। তাদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে আসে ৯৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারী পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ব্যস ডি লিডে ও বেন বিক নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া ভিভিয়ান কিংমা নেন একটি উইকেট।
জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ডাচ ওপেনার মাক্স ও’ডাউডকে এক রানে ফিরিয়ে দেন পেইসার নাসিম শাহ। এর ঠিক তিন ওভার পর ওয়েসলি বারেসিকে সাজঘরে ফেরান হারিস রউফ।
শুরুর ধাক্কা সামলে নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন আরেক ওপেনার বিক্রম সিং। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় ৯৮ বলে ৬৫ রান করে আউট হন তিনি।
এর আগে আগে দুই ছক্কা ও ছয় চারে ৫৪ বলে ৬৫ রান করেন টম কুপার। ব্যস দ্য লিডসের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৬ রান।
পরে লড়াই চালিয়ে যান নেদারল্যান্ডসের নতুন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ৬০ বলে খেলেন ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস, তবে অন্য প্রান্তে যোগ্য সঙ্গ পাননি তিনি। তাই শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ডাচদের কখনও সেভাবে ম্যাচে এগিয়ে যেতে দেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে অভিষিক্ত পেইসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ নেন তিনটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন:ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীদের ক্রিকেটের ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২২-২৫ চক্রের ঘোষিত এফটিপিতে বাংলাদেশ খেলবে ২৪টি ওয়ানডে ও ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুই ফরম্যাটে মোট ৫০ ম্যাচ খেললেও এই চক্রে বাংলাদেশের জন্য কোনো টেস্ট রাখা হয়নি।
আইসিসির ২২-২৫ চক্রে ক্রিকেট খেলুড়ে ১০টি দল মোট ৩০১টি ম্যাচ খেলবে। যেখানে রয়েছে ৪টি করে হোম আর অ্যাওয়ে সিরিজ। এই চার হোম-অ্যাওয়ে সিরিজের ভেতর রয়েছে ৭টি টেস্ট, ১৩৫টি ওয়ানডে ও ১৫৯টি টি-টোয়েন্টি।
৭টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও সাউথ আফ্রিকা।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ চার সিরিজে লড়বে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ খেলবে টাইগ্রেসরা।
এফটিপির শুরুটা হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজের মধ্য দিয়ে। ডিসেম্বরে তিনটি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে কিউইদের দেশে যাবে টাইগ্রেসরা।
এরপর ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতকে আতিথেয়তা দেবে সালমা-রুমানারা। এই সিরিজে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এই সিরিজটিও তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে প্রোটিয়া মিশনে যাবে টাইগ্রেসরা। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
২০২৪ সালের মার্চে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আতিথ্য দেবে অজিদের। সেই সিরিজটি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির। একই বছর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ দিয়ে এফটিপি শেষ হবে টাইগ্রেসদের।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি। এ আসরকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুরু থেকেই টুর্নামেন্টটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা, কিন্তু আটটি আসরেও সেসব বিতর্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিসিবি।
নবম আসরের আগে নড়েচড়ে বসেছে বোর্ড। এরই অংশ হিসেবে আগামী আসর থেকে ঢালাওভাবে টুর্নামেন্টটি সাজাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক তৎপরতা।
আসন্ন আসরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে টুর্নামেন্টের আয়োজনে। বোর্ডের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির কথা ভাবছে বোর্ড। এতে করে লাভের মুখ দেখা সম্ভব হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
আগের আসরগুলোতে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের গড়িমসি দেখা গেছে। এতে বকেয়া পড়ে যেত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। এটি রোধে পন্থা নিতে যাচ্ছে বিসিবি।
পারিশ্রমিকের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিসিবিকে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। গ্যারান্টি হিসেবে সাড়ে আট কোটি টাকা দিতে হবে বোর্ডকে। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দেড় কোটি টাকা তো আছেই। সব মিলিয়ে মৌসুম শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে গুনতে হবে ১০ কোটি টাকা।
২ আগস্ট শুরু হয়েছে বিপিএলে আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের সময়। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত করা যাবে আবেদন।
গত আসরে বেক্সিমকো ও জেমকন গ্রুপ না থাকলেও নবম আসরে ফিরে আসছে এ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আরও পড়ুন:অলরাউন্ডার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও স্পিনার নুর হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করে এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। মঙ্গলবার বিকেলে মোহাম্মদ নাবির অধিনায়কত্বে ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসিবি।
বর্তমানে আয়ারল্যান্ড সফরে রয়েছে আফগানিস্তান। সফরে থাকা ১৬ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েছেন শরাফুদ্দিন আশরাফ। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন শিনওয়ারি। আর ১৭তম সদস্য হিসেবে দলে যুক্ত করা হয়েছে নুরকে।
এশিয়া কাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা না হলেও, রিজার্ভে আছেন শরাফুদ্দিন। তার সঙ্গে আরও আছেন নিজাত মাসুদ ও কয়েস আহমেদ।
২০২০ সালের মার্চে আফগানিস্তানের হয়ে সবশেষ খেলেছেন শিনওয়ারি। ২০১৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে খেলেন শিনওয়ারি। ৬৪টি টি-টোয়েন্টিতে ১০১৩ রান ও ২৮ উইকেট আছে শিনওয়ারির।
২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। এবারের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে। প্রথম দিন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে আফগানরা।
আফগানিস্তান দল: মোহাম্মদ নাবি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, আফসার জাজাই, আসমতউল্লাহ ওমরজাই, ফারিদ আহমদ, ফজলহক ফারুকী, হাসমতউল্লাহ শাহিদি, হযরতউল্লাহ জাজাই, ইবরাহিম জাদরান, কারিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, নাভিন উল হক, নুর আহমদ, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রাশিদ খান ও সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
স্ট্যান্ডবাই: নিজাত মাসুদ, কয়েস আহমেদ ও শরাফউদ্দিন আশরাফ।
মিরপুরের ৭ বছর বয়সী নাঈম শেখ সাকিব আল হাসানের এতটাই ভক্ত যে তার নিজের নাম বদলে সাকিব আল হাসান রেখেছে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে তার নাম ‘সাকিব আল হাসান’। সাকিবের অনুশীলন দেখার জন্য প্রায়ই সে মিরপুরের গেটে দাঁড়িয়ে থাকে।
আজ (মঙ্গলবার) ক্ষুদে নাঈমের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। অনুশীলনের জন্য মাঠে ঢোকার সময় সাকিবের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। সাকিব তাকে নাম জিজ্ঞেস করায় নাঈম উত্তর দিয়েছে, ‘সাকিব আল হাসান’।
এই নাম কে রেখেছেন এমনটা সাকিব জানতে চাওয়ায় ক্ষুদে ভক্তের উত্তর, ‘আমি নিজেই রেখেছি।’
এরপর ভক্তকে অনুশীলন দেখাতে নিয়ে যান সাকিব নিজেই। সেখানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিপক্ষে বলও করেছে ‘ক্ষুদে সাকিব’।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের কাছে তার আবদার ছিল ক্রিকেট কেডস ও জার্সির। সাকিব তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো কিনতে লোক পাঠান।
তবে মিরপুরের আসেপাশে ভালো মানের জার্সি ও জুতা পাওয়া না গেলে সাকিব ক্ষুদে এ ভক্তকে প্রতিশ্রুতি দেন ভালো মানের জার্সি, ট্রাউজার ও কেডস বুধবার উপহার দেবেন।
ভক্তের সঙ্গে মিরপুরে ঘণ্টাখানেক সময় কাটান সাকিব। এশিয়া কাপের আনুষ্ঠানিক ক্যাম্প শুরু হবে শুক্রবার। তার আগে রোববার থেকে সাকিব ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করছেন মিরপুরে।
বেলফাস্টে সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। রাশিদ খানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে তারা। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আফগানরা ২৭ রানে হারিয়েছে আইরিশদের। এতে করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে ১১ ওভারে নামিয়ে আনা হয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। মারমুখী মেজাজে শুরু করেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৩ বল খেলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৪ রান করেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ বলে ৩৭ রান করে আফগানিস্তান।
গুরবাজের আউটের পর এলোমেলো হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। এক প্রান্ত আগলে দ্রুত রান তুলেছেন অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ জাদরান।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউটের আগে ২২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজিবুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মাত্র ১০ বল খেলে অপরাজিত ৩১ রান তুলে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন রাশিদ। নির্ধারিত ১১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান করে আফগানরা।
জয়ের জন্য ১১ ওভারে ১৩৩ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও বড় জুটি গড়তে পারেননি আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। ১০ বলে ২৮ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন পল স্ট্রার্লিং ও অ্যান্ডি বলবার্নি ব্যালবির্নি।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ফলে আস্কিং রেটও বেড়ে যায় তাদের। তার পরও লড়াই করার চেষ্টা করেন ৫ নম্বরে নামা জর্জ ডকরেল। সতীর্থদের সহায়তা না পাওয়ায় ডকরেলের ২৭ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। ১০৫ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
আফগানিস্তানের ফারিদ আহমেদ তিনটি, রাশিদ ও নাভিন উল হক দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন রাশিদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের বিরতি নেয়ার পর বাংলাদেশ ভুগছে ওপেনিং স্লট নিয়ে। গত ৮টি টি-টোয়েন্টিতে ৫টি ওপেনিং কম্বিনেশন খেলিয়েছে বিসিবি। তবে তাতে সাফল্য খুব একটা আসেনি।
এশিয়া কাপেও দলে ওপেনার সংকটে ভুগতে হতে পারে দলকে। লিটন দাস আহত হয়ে দলের বাইরে। জিম্বাবুয়ে সফরে যে কম্বিনেশনগুলো পরখ করে দেখা হয়েছে সেগুলো সাফল্য এনে দিতে পারেনি।
সে ক্ষেত্রে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেন।
তিনি বলেন, ‘ওপেনাররা কেউ ভালো করছে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। উইকেট অনুযায়ী আমরা হয়তো মেক-শিফট করব। কে হবে বা কে করবে না, এটা এখনই বলছি না।’
নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সুজন জানান এশিয়া কাপে অভিজ্ঞদেরকেও দেয়া হতে পারে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘দলে ওপেনার আছে এনামুল বিজয় ও পারভেজ ইমন। অনেকেই অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেন করেছে। মুশফিকও করতে পারে। সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদিও ওপেন করেছে। অনেকগুলো সম্ভাবনাই আছে আমাদের হাতে।’
২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপের আসর বসছে আরব আমিরাতে। ২০ আগস্ট থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে টাইগাররা। তবে এরই মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সাকিবসহ বেশ কয়েকজন মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য