নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তিনটিতেই বড় ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। আইসিসির সহযোগী দেশটিকে ক্লিন সুইপ করে বাংলাদেশকে টপকে ইংলিশরা এখন ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে।
বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১২৫। দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০।
স্থানীয় সময় বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠ ভিআরএ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। ২৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে জেসন রয় ও জস বাটলারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩০.১ ওভারে দাপুটে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড ৬৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৬৪ রান। ব্যাস ডি লিডে করেন ৭৮ বলে ৫৬ রান। ৪৯ ওভার ২ বল খেলে ২৪৪ রান তুলে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করলেও দলীয় ৮৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ৩০ বলে ৪৯ রান করে ফিরেন। তার আউট হওয়ার পর ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যান ডাউয়িড মালান। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি সফরকারীদের।
জেসন রয়ের ৮৬ বলে ১০১ এবং অধিনায়ক জস বাটলারের ৬৪ বলে ৮৬ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে জয় পেয়ে যায় ইংলিশরা। এ দুজনই ঝড় তোলেন ডাচ বোলারদের ওপর। ১৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা।
১০১ রানে অপরাজিত জেসন রয় পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৮৬ রানে অপরাজিত থাকা জস বাটলার জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৪৯৮ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচে ২৩৫ রান টপকে যায় মাত্র ৩৬ ওভারে।
আরও পড়ুন:England go top of #CWCSL after their series win over the Netherlands!
— ICC (@ICC) June 23, 2022
More on the road to India 2023 👉 https://t.co/9nMvUjheGW pic.twitter.com/oe9eBHxxub
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টি বাধায় রাত ১১ টায় টস হওয়ার কথা থাকলেও ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে ১২.৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় টস। বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া একটায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ১৬ ওভারে অনুষ্ঠীত হবে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
এখন পর্যন্ত শর্টার ফরম্যাটের ক্রিকেটে ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই ১৩ বারের দেখায় ৭ বারই শেষ হাসি হেসেছে ক্যারিবীয়রা। বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৫ জয়। একটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজে শেষ মুহূর্তে দলে নেয়া হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। পাশপাশি উদ্বোধনী জুটিতে যাচাই করে নেয়ার অংশ হিসেবে দেখা যাবে নতুন এক জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে এনামুল হক বিজয় ও মুনিম শাহরিয়ারকে।
বাংলাদেশ একাদশ: এনামুল হক বিজয়, মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং, কাইল মায়ার্র্স, ডেভন টমাস (উইকেটকিপার), রভম্যান পাওয়েল, হাইডেন ওলজ, সামারা ব্রোকস, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, ওডেন স্মিথ ও ওবেদ ম্যাকয়।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাগড়া বেধেছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও হয়নি টস। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টায় ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও সে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও টস অনুষ্ঠিত হয়নি।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
এখন পর্যন্ত শর্টার ফরম্যাটের ক্রিকেটে ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই ১৩ বারের দেখায় ৭ বারই শেষ হাসি হেসেছে ক্যারিবীয়রা। বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৫ জয়। একটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজে শেষ মুহূর্তে দলে নেয়া হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। পাশপাশি উদ্বোধনী জুটিতে যাচাই করে নেয়ার অংশ হিসেবে দেখা যাবে নতুন এক জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে এনামুল হক বিজয় ও মুনিম শাহরিয়ারকে।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: এনামুল হক বিজয়, মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং, কাইল মায়ার্র্স, ডেভন টমাস (উইকেটকিপার), রভম্যান পাওয়েল, কিমো পল, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ওডেন স্মিথ ও ওবেদ ম্যাকয়।
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশ লম্বা সময় ধরেই পরীক্ষা চালাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শর্টার ফরম্যাটে নিজেদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তিন ওপেনিং জুটির দেখা মিলেছে।
সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের সিরিজের প্রথম টেস্টে আরও একটি নতুন জুটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ডমিনিকায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ৭ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের। উইকেটের অপরপ্রান্তে তার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন মুনিম শাহরিয়ার।
নতুন এই জুটি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। পাওয়ার প্লের সর্বোচ্চ ব্যবহারের লাইসেন্স দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজনকে পাঠানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার রাজশাহীতে এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের মধ্যকার তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান জাতীয় দলের এই নির্বাচক।
বাশার বলেন, ‘নতুন ওপেনিং জুটি (বিজয়-মুনিম)। তবে দুজনেই এক্সাইটিং ক্রিকেট খেলে থাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা এবার আমরা ভিন্নভাবে খেলতে চাচ্ছি এবার। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া। গত কিছুদিন আমরা পাওয়ার প্লেটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। আশা করছি, নতুন এই দুজন ওপেনার পাওয়ার প্লে টা কাজে লাগাতে পারবে।’
‘সে চিন্তা থেকেই তাদের নেয়া হয়েছে। অবশ্যই তাদের ওপর কোনো চাপ দেয়া হচ্ছে না। আমরা চাই তারা স্বাভাবিক খেলাটা যেন খেলে। পাওয়ার প্লেতে আমরা যে ব্যাটিংটা দেখতে চাই আরকি। সেটা করতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হলেও আমরা কিছু মনে করব না।’
এদিকে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারলেও এই দুই ওপেনারের প্রতি অভিযোগ রাখবে না বোর্ড। সেই বিষয়েও নিশ্চয়তা দেন বাশার।
তিনি বলেন, ‘তাদের লাইসেন্স দিয়েই দলে নেয়া হয়েছে। তারা যেন তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে এবং প্রথম ৬ ওভার ব্যবহার করে। সে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হলেও সমস্যা নাই। আমরা চাই তারা যেন ওই ইন্টেন্ট নিয়ে খেলে।’
এর আগে শেষ পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে দেখা গিয়েছিল মুনিম শাহরিয়ার ও নাইম শেখ (আফগানিস্তান সিরিজ), পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে নাইম শেখ ও সাইফ হাসান ও শেষ ম্যাচে নাইম শেখের আর নাজমুল হোসেন শান্তকে।
আরও পড়ুন:টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর এবারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়।
সিরিজের প্রথম দুটি টেস্ট হবে ডমিনিকায়। এখন পর্যন্ত দুই দলের ১৩ দেখায় বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখেছে মাত্র ৫ ম্যাচে। বাকি ৭টিতেই হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ শক্তিশালী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘরের মাঠের সুবিধা। আর সে কারণেই টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। টিম গেম ছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আর কোনো উপায় দেখছেন না তিনি।
রাজশাহীতে চলমান এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের মধ্যকার তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
বাশার বলেন, ‘ডমিনিকা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে যথেষ্ট ভালো। আমরা যখন জিতি টিম গেম খেলে জিতি। টিম গেম খেলা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দল এমন নয় যে কেউ এসে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে যাবে বা ৫ উইকেট নেবে।’
তবে ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন এই নির্বাচক।
বাশার বলেন, ‘তারপরও কিন্তু এই দল নিয়ে অনেক সিরিজ জিতেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগেও হারিয়েছি। কঠিন চ্যালেঞ্জ, কিন্তু যে ক্রিকেট খেলে সফল হই সেই টিম গেম খেললে ভালো খেলা সম্ভব। চ্যালেঞ্জ ব্যাটার বোলার সবারই। দুই বিভাগেই সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে।’
আরও পড়ুন:বার্মিংহাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন চলছে। ম্যাচের পরিস্থিতিটা এমন ছিল যে, ৩৭১ রানে পতন ঘটেছে ভারতের অষ্টম উইকেটের। এ অবস্থায় নবম ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামেন ভারতীয় অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ।
নেমেই তিনি ভেঙ্গে দেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার গড়া অনন্য এক রেকর্ড। ভারতের এই দলপতি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান নেয়া ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডবুকে।
ইনিংসের তখন শুরু হতে যাচ্ছে ৮৪তম ওভার। বল হাতে ক্রিজে স্টুয়ার্ট ব্রড। তাকে দেখেই যেন ক্ষেপে গেলেন বুমরাহ। ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা শুরু করেন ওভারের প্রথম বল থেকেই।
ব্রডের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে বসেন বুমরাহ। দ্বিতীয় বলে ওয়াইডের সঙ্গে যোগ হয় চার রান। পরের বলটি ব্রড করেন নো। সেই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন ভারতের টেস্ট দলপতি।
এরপর টানা তিন চার হাঁকান বুমরাহ। ওভারের তখন চারটি বল হয়েছে মাত্র। ইতোমধ্যেই রান এসেছে ২৮। ওভারের পঞ্চম বলটি ছক্কায় পরিণত করেন বুমরাহ। আর তাতেই ব্রায়ান লারাকে টপকে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নেন ভারতের এই পেইসার। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন তিনি।
ব্রডের সেই ওভারে ব্যাট হাতে বুমরাহ নেন ২৯ রান। আর অতিরিক্তের সুবাদে আসে ৬ রান। সেই ওভারে মোট রান আসে ৩৫।
এতদিন টেস্ট ক্রিকেটের এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ২৮। এই রেকর্ডের মালিকানা যৌথভাবে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান চার্লস লারা, অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলি এবং সাউথ আফ্রিকার কেশাভ মহারাজের দখলে।
২০০৩ সালে সাউথ আফ্রিকার রবিন পিটারসনের ওভারে ২৮ রান নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন লারা। সেই রেকর্ড গড়ার ১০ বছর পর ২০১৩ সালে ইংলিশ পেইসার জেমস অ্যান্ডারসনের ওভারে ২৮ রান নিয়ে লারার রেকর্ডে ভাগ বসান বেইলি।
আর সবশেষ ২০২০ সালে সাউথ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার মহারাজ ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক জো রুটের ওভারে ২৮ রান নিয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে নাম লেখান রেকর্ডবুকে।
আরও পড়ুন:উইন মরগানের অবসরের পর ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন জস বাটলার। মরগানের বিদায়ের পর বাটলারেরই অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০১৫ সাল থেকে মরগানের পাশাপাশি থেকে দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাটলার। চোট ও বিশ্রামের কারণে মরগানের অবর্তমানে ইংল্যান্ডকে ১৪ ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার।
২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মরগান মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এর একদিনের ব্যবধানে দুই ফরম্যাটে নতুন অধিনায়ক হিসাবে উইন মরগানকে দায়িত্ব দিল ইসিবি।
এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার জস বাটলার জানান, ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব নেয়ার ফলে সমাপ্তি ঘটতে পারে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের।
বাটলার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করলেও টেস্ট ক্রিকেটে সেই তুলনায় সাফল্য অনেক কম। ৫৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুটিতে। ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্টেও জায়গা হয়নি দলে।
জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ হারে ইংল্যান্ড। সেই সিরিজেই বাটলার খেলেছিলেন সবশেষ টেস্ট ম্যাচ।
বাটলার বলেন, 'আমি মনে করি সাদা বলের অধিনায়কত্ব সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। যেখানে পুরো সময় মনোযোগের প্রয়োজন। এটাও বেশ স্পষ্ট যে, এ মুহূর্তে আমি যোগ্যতার ভিত্তিতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছি। অ্যাশেজ সিরিজে আমার তেমন কোনো অবদান ছিল না। যে কারণে আমি এই মুহূর্তে দলের অংশও নই।
‘টেস্টে নতুন দলটি দুর্দান্ত খেলছে। এমন একটি দলে নতুন কাউকে প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
বিশ্বকাপ জয়ী ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তারকা বাটলার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একজন দুর্দান্ত রান-স্কোরার।
বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই সাদা বলের দলের অধিনায়ক হওয়া আমার অগ্রাধিকার। সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য আমি খুবই মনোযোগী এবং উত্তেজিতও।’
আরও পড়ুন:সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোনো টেস্টে জয় নেই বাংলাদেশের। শেষ তিন সিরিজের ৬টি টেস্ট ম্যাচের সবই হারতে হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। তবে টেস্ট হারের হতাশা ভুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগাতে চান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটি।
চলমান সিরিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টে ক্লিনসুইপের পর খুব বেশি চিন্তিত নন মাহমুদউল্লাহ। সাদা বলের ব্যর্থতার প্রভাব লাল বলে পড়বে না বলেই মনে করছেন তিনি। টেস্টের হার ভুলে আগ্রাসী ক্রিকেট চান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এখন আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি দরকার। টি–টোয়েন্টিতে সময় খুবই কম থাকে। এখানে আপনাকে বেশি সচেতন হতে হয় কন্ডিশনের ওপর। কারণ সফরকারী দল হিসেবে তা আমাদের হাতে থাকে না। খেলায় বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে খেলায় সফল হওয়া এবং একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক হওয়া।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাহমুদউল্লাহ মনে করেছেন নতুনদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া দরকার। তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে তিনি বলেন, ‘হোম কন্ডিশনে আমি মনে করি, আমরা ধারাবাহিক আছি, কিন্তু বাইরের কন্ডিশনে আমাদের উন্নতির অভাব রয়েছে। অনেক খেলোয়াড় এখনও তরুণ ও অনভিজ্ঞ। তাদের পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ দিতে হবে।’
শনিবার নিজের প্রথম ম্যাচ নিয়েও আশাবাদী এ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমিসহ সাকিব, লিটন, আফিফ, সোহান ও মোসাদ্দেক, শেখ মেহেদীও আছে। আমার মনে হয় আমরা খুব ভালো ব্যাটিং লাইনআপ পেয়েছি এবং আমাদের বোলিং আক্রমণ বৈচিত্র্যের সঙ্গে দারুণ ভালো।’
তিনি বলেন, ‘ডোমিনিকাতে শেষবার টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা হারিয়ে ছিলাম, যা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।’
ডোমিনিকাতে শনিবার নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। রোববার একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে গায়ানায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য