ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ফলে ৫ সেশনের খেলা বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
এতটাই বাজে ছিল ব্যাটারদের পারফরম্যান্স যে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩ জনের পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে ২ অঙ্কের রান। বাকি ৭ জনকে থাকতে হয়েছে এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকে। এই ৭ জনের ৬ জনকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রানের খাতা খোলার আগে।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের অভাবকে দুষেছেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একই সুরে গান গাইলেও যোগ করেছেন ব্যাটারদের টেকনিক্যাল সমস্যার কথা।
ব্যাটারদের টেকনিক্যাল সমস্যা যে রয়েছে সেই বিষয়ে সাকিবের সঙ্গে একমত জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়।
দুর্জয় মনে করেন ঘরের মাঠ ও বাইরের মাঠে উইকেটের ভিন্নতা মাথায় রেখে খেলার ধারণাটা তৈরি হয়নি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মনে। ফলে কখনও বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে ব্যাটিং ইউনিট, কখনও বা বোলিং ইউনিট।
দুর্জয় বলেন, ‘সাকিব যেটা বলেছে ঠিকই বলেছে যে টেকনিক্যালি সাউন্ড ব্যাটার নাই। কিছু বিশেষ জায়গা আছে টেস্টে, সেটা স্পিনারদের ক্ষেত্রে বলেন ব্যাটারদের ক্ষেত্রে বলেন। পেস বোলারদের বল সুইং করাতে হবে, স্পিনারদের টার্ন করাতে হবে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির মতো একই প্রক্রিয়ায় যদি বল করে যাই সেটা টেস্টে তেমন ফল দেয় না।’
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক দুর্জয়ের মতে একেক ফরম্যাটের প্রস্তুতি একেক রকম হতে হবে। আর কোন দেশে সফর হচ্ছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে খেলোয়াড়দের।
তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো ঘরে আমরা যে ধরণের উইকেটে খেলি আর এখানে বল যেমন আচরণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা সাউথ আফ্রিকার উইকেটে একই আচরণ করবে না। ঐ কন্ডিশনের জন্য আলাদা কাজ করতে হবে। আলাদা কৌশল নিতে হবে। ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও একই। প্রতিপক্ষ দলের পেইসাররাও চেষ্টা করাবে বল সুইং করানোর বা জোরে করার। আমাদের ব্যাটারের সেটা সামলানোর গুণ থাকতে হবে। সবারই এই প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে অজিদের বোলিং তোপে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৯৮ রান।
শ্রীলঙ্কার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিন্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। লঙ্কান দুই ওপেনারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ রান।
এরপর কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিনেশ চান্ডিমালের ব্যর্থতায় ৯৭ রানে লঙ্কানরা হারায় ৫ উইকেট। এরপর নিরোশান ডিকভেলার ৫৮ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ৩৯ রানের সাহায্যে ২১২ রান তুলতে সমর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে অজি স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছেন। নেইথান লায়ন একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। মিচেল সোয়েপসন তুলে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স একটি করে উইকেট নেন।
ব্যাট করতে নেমে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন উসমান খোয়াজা ও ডেভিড ওয়ার্নার। রমেশ মেন্ডিসের বোলিংয়ে ওয়ার্নার ফেরেন ২৪ বলে ২৫ রান করে। ১৯ বলে ১৩ রান করে একই বোলারের শিকারে পরিণত হন মার্নাস লাবুশেইন।
এরপর নিরোশান ডিকভেলার থ্রোয়ে রানআউট হয়ে স্টিভ স্মিথ ফিরলে ধাক্কা খায় সফরকারীরা।
দিনশেষে খোয়াজা ৪৭ ও ট্র্যাভিস হেড ৬ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১১৪ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন:ইনজুরির কারনে গত এপ্রিল থেকে দলের বাইরে বাংলাদেশের পেইসার তাসকিন আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরে খুশি তাসকিন।
ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও, তাসকিনের বোলিংয়ে আগ্রাসী মনোভাবটাই দেখতে চান বাংলাদেশের পেইস বোলিং কোচ অ্যালান ডনাল্ড। তাসকিনকে গতি ও আগ্রাসন অব্যাহত রাখার পরামর্শ কোচের। দলের সঙ্গে অনুশীলন শেষে বুধবার ভোরে তাসকিন এমনটা জানান।
তিনি বলেন, ‘ইনজুরি থেকে ফেরার পর আমার দায়িত্ব সম্পর্কে তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে এটাই বুঝিয়েছেন যে, আমি যে ধরনের বোলার আমার দায়িত্ব হচ্ছে গতি ও আগ্রাসন।’
তিনি যোগ করেন, “উনি আমাকে বলেছেন যে, ‘কয়েক ম্যাচে তুমি অনেক রান দেবে আবার এমন দিন আসবে যখন তুমি একাই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দিবে। কিন্তু তোমার দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরাবে না। তোমার যেটা রোল, সেটাতেই তুমি ফোকাস থাকো। দিন যত যাবে, ছন্দ আরও ভাল হবে।”’
দীর্ঘদিন পর দলের সাথে অনুশীলন করে সবকিছুই ভালো লাগছে বলেন তাসকিন। তার প্রত্যাশা টেস্টের ব্যর্থতা কাটিয়ে সীমিত ওভারের সিরিজে বাংলাদেশ কামব্যাক করবে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে টেস্ট সিরিজটা আমাদের ভালো যায়নি। ভুলগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে, তবে শুধু এটা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। এই মুহূর্তে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটার দিকেই তাকিয়ে আছি। চেষ্টা করব ভালো খেলে দেশকে জয় উপহার দিতে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোনো টেস্ট না খেললেও, ২টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তাসকিন। ওয়ানডেতে ১ উইকেট থাকলেও, টি-টোয়েন্টিতে শূন্য।
আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের পেইসার খালেদ আহমেদ, উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান ও ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর। তবে অলরাউন্ডারদের তালিকায় অবনতি হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের।
খালেদের ৯ ধাপ, নুরুলের ১৪ ও শান্তর ১১ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ব্যাটিং তালিকায় ৬ ধাপ ও অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক ধাপ পিছিয়েছেন সাকিব।
সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের শেষটিতে বল হাতে ৫ উইকেট নেন খালেদ। র্যাঙ্কিংয়ে নয় ধাপ এগিয়ে ৮৮তমস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন খালেদ।
টেস্ট বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশের পক্ষে সেরা অবস্থানে আছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২৭ তম অবস্থানে আছেন এ স্পিনার। আর শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স।
সেইন্ট লুসিয়া টেস্টের ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ২৬ ও ৪২ রান করেন শান্ত। ১১ ধাপ এগিয়ে ৮৮তম অবস্থানে আছেন তিনি। টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ রানে ফিরলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ৬০ রান করেন নুরুল। র্যাংকিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়ে ৬৪তম অবস্থানে আছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে অবনতি হয়েছে অধিনায়ক সাকিবের। ৬ ধাপ পিছিয়েছে ৩৯তম স্থানে নেমে গেছেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সেরা অবস্থানে আছেন লিটন দাস। তার অবস্থান ১৩। ব্যাটারদের শীর্ষে ইংল্যান্ডের জো রুট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে অলরাউন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠেছিলেন সাকিব। কিন্তু সেইন্ট লুসিয়া টেস্টে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। যে কারণে তৃতীয়স্থানে নেমে গেছেন তিনি। শীর্ষে আছেন রভিন্দ্র জাদেজা।
সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে কোনো টেস্টে জয় নেই বাংলাদেশের। শেষ ৩ সিরিজের ৬টি টেস্ট ম্যাচের সবগুলো হারতে হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ টাইগার সমর্থকরা।
পরপর তিন সিরিজে ক্লিনসুইপের শিকার লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কম সংখ্যক ম্যাচ খেলে শততম টেস্ট হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
দেশের এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স নিজের মতামত ব্যাক্ত করে বুধবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের শুরুটা দারুণ করলেও শেষ পর্যন্ত ধরে খেলতে পারছেন না বলে মনে করছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
তিনি লেখেন, ‘সোহান দুইবার ষাটের বেশি রান করেছেন। লিটন, তামিম এবং শান্ত বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি।’
সিডন্সের মতে টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য হতে হবে আরও কঠোর। তিনি যোগ করে বলেন, ‘ম্যাচের শেষের দিকে আমাদের বোলাররা দারুণ খেলেছে। খালেদ প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট খুবই কঠিন। যে কারণে সফল হতে হলে আরও শক্ত হতে হবে আমাদের।’
টেস্ট ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের খারাপ খেলছে বলেও মনে করেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘দুটি টেস্ট ম্যাচেই আমরা খুব খারাপ খেলেছি, তা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
‘প্রচুর মন্তব্য আসছে। বাস্তবতা হলো টেস্ট ক্রিকেটের উত্তাপ ও চাপের মধ্যে খেলোয়াড়দের শিখতে ও শেখাতে হবে। এটা লুকানোর কিছু নেই। উন্নতির জন্য আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন:আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ভারতকে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে জিততে হয়েছে ১৪তম দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২২৫ রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ২২১ রান সংগ্রহ করে। এতে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ রানে জয় পেয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটের জয় পায় সফরকারী ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে আইরিশদের ক্লিনসুইপ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে দ্য ভিলেজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
ব্যাট করতে নেমে দিপক হুদার ৫৭ বলের ১০৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করেই ভারত পাহাড়সম ২২৫ রান টার্গেট দেয় আইরিশদের। প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পর এবার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন হুদা।
তার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৬ রান যোগ করেন সানজু স্যামসন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৭৭ রানের মারকুটে ইনিংস।
স্যামসন ও হুদা আউট হলে সুরিয়াকুমার ইয়াদভ ৫ বলে ১৫ এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ৯ বলে ১৩ রান করেন।
দিনেশ কার্তিক, হার্শাল প্যাটেল ও অক্ষর প্যাটেল আউট হন শূন্য রানে।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার শিকার করেন তিন উইকেট। জশ লিটল ও ক্রেইগ ইয়ং নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আইরিশরাও কম যায়নি। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২২৫ রান তাড়া করে ২২১ করে হার মানাটা জয়ের সমান।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পল স্টার্লিং ও অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি ৫ ওভার ৪ বলে ৭২ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন স্বাগতিকদের। ১৮ বল খেলে ৪০ রান করে আউট হন স্টার্লিং।
গ্যারেথ ডেলানি শূন্য রানে আউট হলে ব্যালবার্নি ও হ্যারি টেকটর দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিতে থাকেন, তবে দলীয় ১১৭ রানে অধিনায়ক ব্যালবার্নি ফিরেন ৩৭ বলে ৬০ রান করে।
নতুন ব্যাটার লরকান টুকার ৫ রান করে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
পরে টেকটর ও জর্জ ডকরেল জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। ১৭ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮৯।
জেতার জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ৩৭ রান, টি-টোয়েন্টিতে যা মোটেও অসম্ভব নয়, তবে ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই টেকটর আউট হলে জয়ের আসা ছেড়ে দিতে হয় আইরিশদের। এ যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
তারপরও ডকরেল ও মার্ক আডায়ার চেষ্টা করেন দলকে জয় উপহার দিতে। ম্যাচ নিয়ে যান শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলেই জিতে যেত তারা, কিন্তু উমরান মালিকের করা শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি আয়ারল্যান্ড।
এতে করে ২০ ওভার শেষে ২২১ রানেই থামতে হয় আইরিশদের। ডকরেল ও আডায়ার দুজনই থাকেন অপরাজিত।
ভারতের পক্ষে সবাই খরুচে বোলিং করেছে, তবে মিতব্যয়ী ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। দুই ওভারে দিয়েছেন ১২ রান।
উমরান মালিক চার ওভার বোলিংয়ে ৪২ রান খরচায় নিয়েছেন এক উইকেট।
সিরিজ ও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের ব্যাটার দিপক হুদা।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় সাকিব আল হাসান ছুটিতে থাকবেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট চলার সময় থেকেই গুঞ্জনটি ছিল, কিন্তু সেই বিষয়টিতে ছিল না যথার্থ নিশ্চয়তা।
অবশেষে গুঞ্জনকে সত্য প্রমাণ করে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়েছেন সাকিব।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেই বোর্ডের কাছে মৌখিকভাবে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছেন টেস্ট দলপতি সাকিব, তবে এখনও লিখিতভাবে বোর্ড সভাপতির কাছে আবেদনটি পাঠানো হয়নি।
জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাকিব ওয়ানডে সিরিজ থেকে মৌখিকভাবে ছুটি চেয়েছে, তবে এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতিকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’
২, ৩ ও ৭ জুলাই মাঠে গড়াবে উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ। এরপর ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই ।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর্ব চুকিয়ে বাকি দুই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজ দলে প্রথমবারের মতো সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলকে। অপরদিকে ওয়ানডের দলে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ওবেদ ম্যাকয়।
একইসঙ্গে দলে ফিরেছেন ডেভন টমাস ও কিমো পল। আর ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন গুডাকেশ মোটি।
২ জুলাই অ্যান্টিগায় গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ৩ ও ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ১০ জুলাই। সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ১৩ ও ১৬ জুলাই।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল (সহ-অধিনায়ক), শামার ব্রুকস, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মাইয়ার্স, ওবেদ ম্যাকয়, কিমো পল, রোমারিও শেফার্ড, ওডিন স্মিথ, ডেভন টমাস ও হেইডেন ওয়ালশ।
ওয়ানডে স্কোয়াড
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ (সহ-অধিনায়ক), শামার ব্রুকস, কেসি কার্টি, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মাইয়ার্স, গুডাকেশ মোটি, কিমো পল, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, রভম্যান পাওয়েল ও জেইডন সিলস।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য