সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ১০ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। দেশের এমন বিপর্যয়ের সময়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সিলেটে যে ক্রিকেটার রয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সাহায্য করার চেষ্টায় রয়েছে বোর্ড, এমনটা নিশ্চিত করেন সুজন।
রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সিলেটের আমাদের জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা বর্তমানে দলের সঙ্গে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি।’
‘সংশ্লিষ্ট বোর্ড পরিচালকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। বন্যার পর আমরা চিন্তাভাবনা করছি, কীভাবে তাদের পাশে থাকা যায়।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি যারা ঘরোয়া লিগে খেলেন, তাদেরও সহযোগিতা করতে চায় বিসিবি।
সুজন যোগ করেন, ‘আমাদের বোর্ড পরিচালক আছেন নাদেল খান, তার সঙ্গে কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন সব খেলোয়াড়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে।
‘শুধু জাতীয় ক্রিকেটাররা না। বোর্সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের পাশে থাকার চেষ্টা করি সব সময়। অবশ্যই এবারও থাকব।’
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিল আরও একবার অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। সেই শঙ্কার মাঝে আবারও আশার প্রদীপ জ্বালালেন লিটন দাস। খেললেন দুর্দান্ত ইনিংস। শুধু তাই নয়, দলের বিপদে ব্যাট চালিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক।
দলীয় ১০৫ রানে এনামুল হক বিজয়ের সাজঘরে ফেরার পর মাঠে নামেন লিটন দাস। সে সময় উইকেট পতন হয়েছে সবে তিনটি।
বিজয়ের মাঠ ছাড়ার পরেই বদলে যেতে থাকে টাইগার শিবিরের দৃশ্যপট। একে একে এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই সাজঘরে ফেরা শুরু করেন টাইগার ব্যাটাররা। সে তালিকায় নাম লেখান সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী মিরাজ।
দেখতে দেখতেই ১০৫ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৬০ রান যোগ করতেই হারায় ৭ উইকেট।
তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। দলের প্রয়োজনে আরও একবার কাঁধে তুলে নেন ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব। তার অনাবদ্য ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ ২০০ এর কাছাকাছি নিয়ে যাবার আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ইনিংসের ৫৬তম ওভারের শেষ বলে জেইডেন সিলসকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশতক।
৬৬ বলে করা তার দুর্দান্ত সেই ফিফটিতে ছিল ৮টি চারের মার।
তবে অর্ধশতক তুলে নিয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। আলজারি জোসেফের শিকার বনে ৫৩ রানেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারালেও, দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে চার উইকেট। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেটের খরচায় ১৫৯ রান।
৪৯ বলে ৩৪ করে অপরাজিত রয়েছেন লিটন দাস। সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ২৫ বলে ৫ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে সেইন্ট লুসিয়ায় শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আবেদনে তারা নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
তবে, অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ এসে জুটি ভাঙেন টাইগারদের। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান জয়কে। ফিলিপের বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন তিনি।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ব্যাট ছোটান অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই তাকে থামিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। মাঠ ছাড়ার আগে ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এরপর সেশনের বাকিটা সময় আর অঘটন ঘটতে দেননি নিজয় ও শান্ত। যার ফলে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে রানের গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। যার ফলে ৩২.২ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় বাংলাদেশ। বিরতির পর ২৩ রান করতে শান্ত বিজয় সময় নেন ২৬ মিনিট।
তবে দলকে শতক এনে দিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা সম্ভব হয়নি বিজয়ের পক্ষে। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনেই নিতে পারছিলেন না শান্ত। তাই পরের ওভারেই একই পথ ধরেন তিনিও। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে ২৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করতেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সাকিব আল হাসান। সিলসের বলে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরের পথ ধরার আগে টাইগার দলপতির ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।
অল্পতেই ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। আর তাতেই ১৩৮ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
তবে চা বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো বিপদের সন্মুখীন হয়নি সফরকারীরা। লিটন ও মিরাজ মিলে ১৫৯ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ করেন দ্বিতীয় সেশন।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভালো শুরুর পর দ্বিতীয় সেশনে এসে বিপর্যয় চোখ রাঙ্গাচ্ছে বাংলাদেশকে। উইন্ডিজ বোলারদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে পরপর বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটের খরচায় ১০৯ রান। ৪ বলে ৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব আল হাসান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
সেইন্ট লুসিয়ায় দিনের শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল অবিচ্ছিন্ন থেকেই পার করেন তামিম ও জয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আবেদনে নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
তবে, অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ এসে জুটি ভাঙেন টাইগারদের। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান জয়কে। ফিলিপের বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন তিনি।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ব্যাট ছোটান অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই তাকে থামিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। মাঠ ছাড়ার আগে ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এরপর সেশনের বাকিটা সময় আর অঘটন ঘটতে দেননি বিজয় ও শান্ত। যার ফলে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে রানের গতি বাড়ান এই দুই ব্যাটার। যার ফলে ৩২.২ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতক পেরোয় বাংলাদেশ। বিরতির পর ২৩ রান করতে শান্ত বিজয় সময় নেন ২৬ মিনিট।
তবে দলকে শতক এনে দিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা সক্ষম হয়নি বিজয়ের পক্ষে। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিলিপের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনেই নিতে পারছিলেন না শান্ত। তাই পরের ওভারেই একই পথ ধরতে হয় তাকেও। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ২৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:সিরিজে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল চতুর্থ ম্যাচেই। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষারই কেবল। জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরু করলেও মাঝের তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয় অজিদের। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় বাগিয়ে নিয়ে হারের ক্ষতর যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করে দেশে ফিরছে অজিরা।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দেয়া ১৬১ রানের সহজ লক্ষ্য অজিরা টপকে যায় ৪ উইকেট ও ৬৩ বল হাতে রেখেই। এর মধ্য দিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল সফরকারীরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয় লঙ্কানদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলীয় ৯ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তুলতেই অজি বোলারদের তোপে মাঠ ছাড়তে হয় আরও ৬ লঙ্কান ব্যাটারকে। দলীয় ৬২ রানে মাঠ ছাড়া সাত ব্যাটারের ভেতর কেবলমাত্র মুশল মেন্ডিস (২৬) ও চারিথ আশালাঙ্কা (১৪) সক্ষম হন দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের রান পৌঁছাতে।
উইকেটের এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অন্যপ্রান্ত আগলে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন চামিকা কারুনারত্নে। তার ৭৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে বিপর্যয় এড়িয়ে সবগুলো উইকেট হারিয়ে অজিদের সামনে ১৬০ রানে পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
সফরকারীদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জশ হেইজলউড, ম্যাথিউ ক্যুনেমান ও প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে অস্ট্রেলিয়াও। দলীয় ১৯ রানেই সফরকারীরা হারায় তাদের তিন টপ অর্ডারকে।
শুরুটা হয় অ্যারন ফিঞ্চকে দিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন অজি দলপতি। ১০ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ৫ রানে জশ ইংলিশের মাঠ ছাড়ার মধ্য দিয়ে দলীয় ১৯ রানেই তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। একই সঙ্গে শঙ্কা জাগে সহজ ম্যাচে পরাজয়ের।
তবে পরাজয়ের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন মার্নাস ল্যাবুশেইন ও মিচেল মার্শ। মার্শের ৫০ বলে ৩৬ ও ল্যাবুশেইনের ৫৮ বলে ৩১ রানে ভর করে ট্র্যাকে ফেরে সফরকারীরা।
শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারির অপরাজিত ৬৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে বিপর্যয় এড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে দুই উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৭ রান। খুইয়েছে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়কে।
৪৫ বলে ১৬ রান করে প্রথম সেশনে অপরাজিত আছেন নাজমুল হাসান শান্ত। তাকে ১৩ বলে ৫ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন এনামুল হক বিজয়।
লুসিয়ায় দিনের শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করে বাংলাদেশ। কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল অবিচ্ছিন্ন থেকেই পার করেন তামিম- জয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আবেদনে নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ জুটি ভাঙেন। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরান জয়কে। বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। তবে অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতে তাকে থামিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। মাঠ ছাড়ার আগে ৬৭ বলে ৯ চারে ৪৬ রান আসে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
সেশনের বাকি সময় আর অঘটন ঘটতে দেননি নিজয় ও শান্ত। দুই উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেন তারা।
আরও পড়ুন:সেইন্ট লুসিয়া টেস্টে ধীরে সুস্থে শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন প্রথম ঘণ্টার খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৪৩ রান। ১০ রান করে ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, টপ অর্ডারের কাছ থেকে প্রথম দুই ঘণ্টা টিকে থাকার প্রত্যাশা করেন তিনি। অধিনায়কের কথার প্রতিদান দিতেই যেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও জয় শুরু করেন দেখেশুনে।
কিমার রোচ ও জেইডেন সিলসের ওপেনিং স্পেল অবিচ্ছিন্ন থেকেই পার করেন দুই জন। তামিম ও জয় এসময় বেশ কয়েকটি আবেদনে নিরাপদ থেকে যান ডিআরএসের কল্যাণে।
তবে, অভিষিক্ত পেইসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ এসে জুটি ভাঙেন টাইগারদের। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান জয়কে। ফিলিপের বলের লেংথ বুঝতে না পেরে প্লেইড অন হন জয়। তার আগে ৩১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে ১০ রান করেন তিনি।
অন্যপ্রান্তে, তামিম খেলছেন নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে।
সেইন্ট লুসিয়ায় টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একাদশে ২টি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাট করছে সফরকারী দল।
৫ বছর পর টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন মুমিনুল হক। তার জায়গায় খেলছেন এনামুল বিজয়। আর পেইসার মুস্তাফিজুর রহমানের বদলে দলে এসেছেন শরীফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। সেইন্ট লুসিয়ায় একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারী দল।
প্রথম টেস্টের একাদশ থাকা মুস্তাফিজুর রহমান ও মুমিনুল হক ছিটকে গেছেন দ্বিতীয় টেস্টে। মুমিনুলের জায়গা ৮ বছর পর টেস্ট একাদশে সুযোগ পেয়েছেন এনামুল বিজয়।
আর মুস্তাফিজের জায়গায় দলে এসেছেন আরেক বাঁহাতি পেইসার শরীফুল ইসলাম।
প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সেইন্ট লুসিয়ায় টেস্ট হারলে বাংলাদেশ নিজেদের ১০০তম টেস্ট হারের স্বাদ নেবে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মাহমুদুল জয়, নাজমুল শান্ত, এনামুল বিজয়, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান, মেহেদী মিরাজ, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলাম।
উইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট, জন ক্যাম্পবেল, রেমন রেইফার, এনক্রুমাহ বোনার, জারমেইন ব্ল্যাকউড, কাইল মায়ার্স, জশুয়া সিলভা, আলজারি জোসেফ, কিমার রোচ, জেইডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য