গত সপ্তাহের বোর্ডসভা শেষে বিসিবি সভাপতি ঘোষণা দেন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকছে জাতীয় দলের বর্তমান নির্বাচক প্যানেল। অর্থাৎ ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচক প্যানেল।
বোর্ড সভাপতি এই তিনজনের সঙ্গে আরও দুজন নির্বাচককে নিয়োগ দেয়ার কথা ঘোষণা দেন। সে মোতাবেক তিনজনের প্যানেল বড় করে পাঁচজনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বোর্ডসভায়। তবে দুই নির্বাচকের নাম জানানো হয়নি বোর্ডের পক্ষ থেকে।
বোর্ডের সূত্রমতে, নতুন নির্বাচকরা হচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার হান্নান সরকার ও সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।
বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, হান্নান ও শিপনকে বাংলাদেশ টাইগার্স, এ-দল ও হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের দায়িত্ব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘হান্নান ও শিপনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। জাতীয় দলের দায়িত্বের আগে ওদের এইচপি ইউনিট, বাংলাদেশ টাইগার্স ও এ-দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে।’
১৯ জুন বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এই দুজনের নাম।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) সম্প্রতি তাদের পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের বেতন পার্থক্য কমিয়ে এনেছে। প্রথমবারের মতো নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তারা। এই সিদ্ধান্তে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছে এনজেডসি।
কিউইদের দেখানো এ পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব-তামিমদের সমান বেতন জাহানারা-সালমারা না পেলেও তাদের মধ্যকার বেতন পার্থক্য কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাজে পারফরম্যান্সের পরও সাকিব-মুশফিকদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথাও ভাবছে বিসিবি।
ম্যাচ ফি বাড়ানোর পাশাপাশি ক্রিকেটারদের উন্নতিতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে ঈদের পর বোর্ডসভায় আলোচনা হবে বলে জানান ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।
বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেতন বিষয়ে এসব তথ্য জানান।
জালাল বলেন, ‘আমরা আশা করছি মেয়েদের ক্রিকেট আরও উন্নতি করবে। তারা আগের থেকে অনেক ভালো করছে। আরও পেশাদার হচ্ছে। আশা করি আরও উন্নতি হবে। তাদের কার্যক্রম বাড়ানো উচিত। যেহেতু এটা নিয়ে চিন্তাভাবনার আলাদা বিভাগ আছে, বোর্ডেও এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাইব তাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর।’
নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের বেতন পার্থক্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘সমান না হলেও ব্যবধান কমানো উচিত। এটা বোর্ড সভাপতি অনেকবার বলেছেন, উনি এদিকটা লক্ষ করেছেন। সমান না হলেও যেন কাছাকাছি যাতে থাকে, পার্থক্য কমে সেদিকে আমরা লক্ষ রাখব। বোর্ডে এটা আলোচনা হবে। ম্যাচ ফি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে বোর্ডে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশ নেন বিভিন্ন দেশের মেধাবী ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের কাছে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ ক্রিকেট লিগ। দুই মাসের এ টুর্নামেন্ট খেলে ইংল্যান্ডের জস বাটলার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের মতো তারকারা বিপুল অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্যাটার অরবিন্দ ডি সিলভার মতে, আইপিএল ও অন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড়রা লাভবান হচ্ছে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভারতের তারকা খেলোয়াড়দের অন্য দেশের টুর্নামেন্টে খেলার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেন, ‘আইপিএল এখন কাউন্টি ক্রিকেটের মতো। আইপিএল, বিগব্যাশ, দ্য হান্ড্রেড ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, বিপিএল এগুলো এমন টুর্নামেন্ট, যা খেলোয়াড়দের মেধা বিকাশে সহায়তা করে।’
ডি সিলভার মতে আইপিএলের বিকাশে ভারতের উচিত ছোট দেশগুলোকে সহায়তা করা। বিশ্বব্যাপী খেলার মান বাড়াতে ও দক্ষতার স্তর উন্নত করতে সম্পদের অংশীদারিত্ব বাড়ানো দরকার। যার সুবিধা শেষ পর্যন্ত আইপিএলই ভোগ করবে।
সাবেক লঙ্কান এ অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেটে প্রভাবশালী কোনো দেশ থাকলে সেটা ভারত। তারা প্রিমিয়ার লিগে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। কারণ অন্য লীগে ভারতীয় ক্রিকেটারদেরকে খেলার অনুমতি দেয়া হয় না। এক পর্যায়ে এটির কারণে মানের তারতম্য ঘটতে পারে। সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিম্নমুখী হয়ে পড়তে পারে। যা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’
লঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এলপিএল সবশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২১ সালে। খুব বেশি প্রচারণা না থাকলেও পাকিস্তানও আয়োজন করে যাচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ। এগুলোর প্রশংসা করেছেনও অরবিন্দ ডি সিলভা।
১৬ জুলাই গায়ানার প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে দেশে ফিরে এক সপ্তাহের মধ্যে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে টিম টাইগার্স। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজেও থাকছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, জিম্বাবুয়ের সাদা বলের সিরিজ থেকে ছুটির বিষয়টি বোর্ডকে আগে জানান সাকিব আল হাসান।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়ের বেশিরভাগই আছে। সাকিব যাচ্ছে না, এটা আগেই আমাদের জানিয়েছে। নির্বাচকদের সাথে আমরা আজ বসেছিলাম। তারা একটা দল চূড়ান্ত করছেন। যে দল এখন আছে, তাদের সবাই থাকছে। জিম্বাবুয়েতে পূর্ণ শক্তির দল যাবে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজটি সুপার লিগের অংশ না হলেও বাংলাদেশ সফরটিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইউনূস। বিকল্প নয় শক্তিশালী দলই পাঠাবে বিসিবি।
ইউনূস বলেন, ‘হয়ত পয়েন্টের খেলা না, চ্যাম্পিয়নশিপ বা সুপার লিগ না। কিন্তু সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। অনেকে বলছে দ্বিতীয় সারির দল যাবে। কিন্তু আমরা শক্ত বাংলাদেশ দল পাঠাতে চাই।’
আগামী ২৫ বা ২৬ জুলাই ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলতে জিম্বাবুয়ে যাচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩০ জুলাই প্রথম টি-টোয়েন্টির মধ্য দিয়ে শুরু হবে মাঠের লড়াই। পরের ম্যাচটি ১ আগস্ট। আর তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে ২ আগস্ট।
আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ প্রথম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ৫ আগস্ট। বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ৭ ও ১০ আগস্ট।
আরও পড়ুন:গত ১২টি টি-টোয়েন্টির মাত্র একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পণ্ড হয় বৃষ্টিতে। পরের ম্যাচে ৩৫ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হারলে এই সফরে জয়শূন্য থাকবে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটিং সমস্যায় ভুগছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ভাবনা ব্যাটিং নিয়ে। বোলারদের ওপর ঘুরে দাঁড়ানোর মতো বিশ্বাস থাকলেও ব্যাটিং নিয়ে হতাশ তিনি।
গায়ানায় শেষ ম্যাচের আগে বুধবার অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘অনেক সময় ওপেনাররা ভালো স্টার্ট করে দেবে, আবার হয়তো মিডেল অর্ডার অনেক সময় টেনে নাও নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু কারও না কারও তো দায়িত্ব নিতেই হবে।
‘আগের ম্যাচে সাকিব যে রকম একটা ইনিংস খেলেছিল, আমরা ১৬০-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কাউকে না কাউকে এমন ব্যাটিং করতে হবে। সাতে ছোট ছোট ১৫/২০ বা ৩০ রানেরও যদি কেউ একটা ইনিংস খেলতে পারে, আমরা হয়তো ১৬০/১৭০ রান করতে পারব।
‘বোলারদের ওপর আমার বিশ্বাসটা আছে। যদি এমন একটা স্কোর করতে পারি, বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। কারণ আমার মনে হয়, আমাদের বোলিং অ্যাটাকটা বেশ ভালো। হয়তো আগের ম্যাচে পেস বোলারা সফল হয়নি, কিন্তু আপানি খেয়াল করলে দেখবেন অনেক ম্যাচেই বোলাররা ছোট ছোট টার্গেটে বিপক্ষ দলকে আটকে রেখেছে। আমার এখনও পর্যন্ত তাদের ওপর অগাধ বিশ্বাস আছে।’
আরও পড়ুন:স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জিততে তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাবর।
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে প্রতিপক্ষের স্পিনারদের সামলাতে আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এছাড়া সিরিজে ভালো করতে দলের পেইসারদের টিপস দিয়েছেন দেশটির সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। তাই এবার টেস্ট সিরিজে পেইসারদের দিকে তাকিয়ে বাবর।
এ বছর মাত্র একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। গত মার্চে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এ বছর দ্বিতীয়বারের মত টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে। সিরিজটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অর্ন্তভুক্ত।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে তৃতীয়স্থানে আছে পাকিস্তান। তৃতীয়স্থান ধরে রাখার মিশন নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে তারা। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পাকিস্তানের।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর বলেন, ‘দল যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে, আমরা নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার তারুণ্য নির্ভর দলের বিপক্ষে ভালো করব। আমরা প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার চেষ্টা করব। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলব আর ব্যাটিং শক্তিকে কাজে লাগাবো।’
শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে রাওয়ালপিন্ডিতে ক্যাম্প করেছে পাকিস্তান। সেই ক্যাম্পে এসে পাকিস্তান পেইসারদের টিপস দিয়েছেন শোয়েব। এ ব্যাপারে বাবর বলেন, ‘শোয়েব ভাইর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টিপস পেয়েছে আমাদের বোলাররা। আশা করি, তার টিপস ও অনুপ্রেরণা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো করতে সহায়তা করবে।’
গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬ জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করবে পাকিস্তান। ২৪ জুলাই কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্ট সিরিজের আগে ১১ জুলাই থেকে তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:এজবাস্টনে সোমাবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৭ উইকেটে হারের লজ্জা পেয়েছে ভারত। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
এজবাস্টনে হারের পর এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। সাউদাম্পটনে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এবার টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে নামছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এ বছর পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। ঘরের মাঠে তিনটির মধ্যে দুটিতে জয় পাওয়া ভারত জিতেছে আয়ারল্যান্ড সফরেও।
e বছর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হারে তারা।
ভারতকে এজবাস্টন টেস্টে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। তবে টেস্ট দলের অনেকেই খেলছেন না টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট খেলায় টি-টোয়েন্টিতে নেই টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো।
নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে এই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ইয়োইন মরগান অবসর নেয়ায় সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হয়েছেন জস বাটলার।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পরীক্ষা আমার। অধিনায়কত্ব বড় চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমি। ভারত শক্তিশালী দল। নিজেদের মাঠে সেরাটা দিয়ে সিরিজ জয়ই প্রধান লক্ষ্য আমাদের।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টেস্টের আগে করোনায় আক্রান্ত হন রোহিত। তবে নেগেটিভ হয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচ থেকে রোহিত খেলতে পারবেন কী না, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে খেলার বিষয়টি নির্ভর করছে রোহিত ও ভারত দলের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের উপর।
বিসিসিআইর একটি সূত্রে বলছে, করোনা থেকে সুস্থ হলেও রোহিতেরর শারীরিক অবস্থর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট হলেই খেলতে পারবেন তিনি। ভারতীয় দল আশা করছে, প্রথম টি-টোয়েন্টি থেকে খেলতে পারবেন রোহিত।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৬ সদস্যের দলে নেই ৬ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শিখর ধাওয়ানকে। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন রভিন্দ্র জাদেজা।
ভারতের ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের জন্য ফেরানো হয়েছে ধাওয়ানকে। ইনজুরির কারণে ক্যারিবিয়ান সফর থেকে ছিটকে গেছেন সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল। স্পোর্টস হার্নিয়া সার্জারির কারণে তাকে রেখেই দল সাজাতে হয়েছে ভারতকে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর শুভমান গিল আবারও ওডিআই সিরিজের ফিরেছেন। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন সাঞ্জু স্যামসন। এক বছর পর আবারও জাতীয় দলে যোগ দিলেন তিনি। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে দুই উইকেটকিপার ব্যাটার স্যামসন ও ইশান কিষাণকে।
রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলিসহ আরও ৪ অভিজ্ঞ খেলোয়ারকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তারা হলেন হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পান্ট ও মোহাম্মদ শামি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাদের।
২২ জুলাই ত্রিনিদাদে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের ক্যারিবিয়ান সফর। শেষ হবে ম্যাচটি হবে আগস্টের ৭ তারিখ। এরপর দুই দল ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
ভারতের ওয়ানডে স্কোয়াড: শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমান গিল, দিপক হুডা, সুরিয়াকুমার ইয়াদভ, শ্রেয়াস আইয়ার, ইশান কিষাণ, সঞ্জু স্যামসন, রভিন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, ইউজভেন্দ্র চাহাল, আক্সার প্যাটেল, আভেশ খান, প্রসিধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজ ও আর্শদিপ সিং।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য