× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Argentinas big win in Messis hat trick
google_news print-icon

মেসির ৫ গোলে এস্তোনিয়াকে ধসিয়ে দিল আর্জেন্টিনা

মেসির-৫-গোলে-এস্তোনিয়াকে-ধসিয়ে-দিল-আর্জেন্টিনা
এস্তোনিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর উচ্ছ্বসিত লিওনেল মেসি। ছবি: টুইটার
২০১১-১২ মৌসুমে বেয়ার লেফারকুজেনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬তে বার্সেলোনার হয়ে ৫ গোল করেছিলেন মেসি।

আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। ৫টি গোলই এসেছে লিওনেল মেসির পা থেকে।

স্পেনের পাম্পলোনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি চেয়েছিলেন বেঞ্চের সবাইকে ঝালিয়ে নিতে। যে কারণে ৫দিন আগে ইতালির বিপক্ষে ম্যাচ থেকে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে লাইনআপে ৮টি পরিবর্তন আনেন তিনি।

আগের ম্যাচের থেকে মাত্র তিনজন এ ম্যাচে ছিলেন, মেসি, রদ্রিগো দে পল ও নাহুয়েল মলিনা। তারপরও ম্যাচের প্রাধান্য বিস্তার করে দুর্দান্ত জয় বাগিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।

কারণ লিওনেল মেসির দুর্ধর্ষ ফর্ম। ম্যাচের প্রথমার্ধে ২টি ও বিরতির পর আরও ৩টি গোল করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।

মেসির প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। রোববার রাতের ম্যাচে একেবারে শুরুতেই হেরমান পেসেজাকে নিজেদের বক্সে ফাউল করেন এস্তোনিয়ার গোলকিপার মাতভেই ইগোনেন। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। ম্যাচের ঘড়িতে তখন সময় ৮ মিনিট।

শুরুতে গোল পেয়ে যাওয়ায় নতুন কম্বিনেশন ও একাদশ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। বরাবরের মতো খেলার সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন মেসি।

বিশ্বসেরা ফুটবলার তার দ্বিতীয় গোলের দেখা পান পাপু গোমেসের সঙ্গে যুগলবন্দিতে। ৪৫ মিনিটের সময় বক্সের বাইরে থাকা গোমেস ডান দিক থেকে বক্সে আগুয়ান মেসির দিকে চমৎকার পাস বাড়ালে সেটা থেকে গোল করতে সমস্যা হয়নি তার।

মেসির জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা।

বিরতির পরপরই হ্যাটট্রিক তুলে নেন মেসি। এবারে বক্সের ডান দিকে থাকা রদ্রিগো দে পল ক্রস ছাড়েন বাম প্রান্ত থেকে বক্সে প্রবেশ করা মেসির উদ্দেশে।

আলতো টোকায় ইগোনেনকে পরাস্ত করেন সাতবারের ব্যলন ডর জয়ী। নিশ্চিত করেন আর্জেন্টিনার বড় জয়।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি মেসির অষ্টম হ্যাটট্রিক। এর আগে সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, গুয়াতেমালা, পানামা, ইকুয়েডর, হাইতি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এর মধ্যে সবশেষ হ্যাটট্রিক এসেছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে।

তবে মেসির গোল উৎসব সেখানেই থামেনি। সুপার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৭১ মিনিটে। পাপু গোমেসকে এস্তোনিয়ার সীমানার ভেতর ফাউল করার পর বল পেয়ে যান মেসি। দৌঁড়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। অনবদ্য বডি ডজে ডিফেন্ডার ও কিপারকে বোকা বানিয়ে তুলে নেন নিজের চার নম্বর গোল।

এর মিনিট পাঁচেক পরই নিজের পঞ্চম গোল স্কোর করেন মেসি। এস্তোনিয়ার বক্সে পাওলো দিবালা ও হুলিয়ান আলভারেসের টানা দুই শট বাধা পেলে বল পেয়ে যান মেসি। তার শট ঠেকাতে পারেননি গোলকিপার। ফলে এক ম্যাচে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫ গোল করলেন মেসি।

এর আগে, ২০১১-১২ মৌসুমে বেয়ার লেফারকুজেনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬তে বার্সেলোনার হয়ে ৫ গোল করেছিলেন মেসি।

এস্তোনিয়ার বিপক্ষে প্রায় ৫ বছর পর হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন তিনি। এতে করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ফেরেঙ্ক পুসকাসকে ছাড়িয়ে চার নম্বরে উঠে এলেন মেসি। তার গোল সংখ্যা এখন ৮৬টি।

তার চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল করেছেন মোখতার দাহানি (৮৯), আলি দাইয়ি (১০৯), ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো (১১৫)।

৫-০ গোলের বড় জয়ে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম পর্ব শেষ করল আর্জেন্টিনা। এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তারা অন্তত আরও ২টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।

আরও পড়ুন:
এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ৮ পরিবর্তন নিয়ে নামছে আর্জেন্টিনা
মেসির জন্য সতীর্থরা ‘সিংহের’ মতো লড়াই করে
অপরাজিত থাকার বিশ্বরেকর্ডের কাছে আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপের সেরা দাবিদার নয় আর্জেন্টিনা: মেসি
ইতালিকে উড়িয়ে ফিনালিসিমা জিতল মেসির আর্জেন্টিনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Xabi Alonso is staying in Leverkusen not Bayern Liverpool

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনকে স্বপ্নের গালিচায় চড়ানো স্প্যানিশ কোচ শাবি আলোনসো। ছবি: ফোর্বস
শিষ্যদের শাবি বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

ইউরোপিয়ান ফুটবলে বড় চমক। লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ নয়, বায়ের লেভারকুজেনেই থেকে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাবি আলোনসো।

ট্রান্সফার মার্কেট গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগেই লেভারকুজেনের খেলোয়াড়দের শাবি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এ ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন।

ওই পোস্টে রোমানো লেখেন, শিষ্যদের তিনি (শাবি) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আরও ট্রফি জিততে চাই। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য প্রস্তুত হও।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো বলেন, ‘লেভারকুজেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছে। সেখানে আমি তাদের জানিয়েছি, আগামী মৌসুমে আমি এখানেই নিজের কাজ চালিয়ে যাব।

‘অনেক ভেবেচিন্তে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, আমার জন্য বর্তমানে এটিই (লেভারকুজেন) সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা।’

এ স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ক্লাবকে আমি সাহায্য করতে চাই, খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে চাই। আমাদের ভক্তরা, (লেভারকুজেন) বোর্ডও অসাধারণ… এখানকার সবকিছুই চমৎকার।

‘ম্যানেজার হিসেবে আমি এখনও অনেক ছোট। তাই মনে করি, নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে এটিই আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আমি এ কথাগুলো বলার আগে যথেষ্ট সময় নিয়েছি এবং এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, শিষ্যদের আমি ইতোমধ্যে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।’

লেভারকুজেনেই থাকছেন শাবি আলোনসো
সংবাদ সম্মেলনে শাবি আলোনসো। ছবি: এক্স

এ সময় লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ সম্পর্কে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নটি তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তারা (লিভারপুল ও বায়ার্ন) অবশ্যই অনেক বড় ক্লাব এবং দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমি যেখানে থাকতে চাই, সে জায়গাটিই এখন বেছে নিয়েছি।

‘নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার সময় এখনই নয় বলে মনে করছি। বায়ের লেভারকুজেনে আমি নিজেকে আরও উন্নীত করতে চাই।’

চলতি মৌসুমে লেভারকুজেনের খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকদের রূপকথার গালিচায় চড়িয়ে নিয়ে চলেছেন শাবি আলোনসো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শুধু তার দলই এখনও সব প্রতিযোগিতায় অপরাজিত।

বুন্দেসলিগায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একপ্রকার অজেয় বায়ার্ন মিউনিখকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তার শিষ্যরা। পয়েন্ট টেবিলেও বেশ বড় ব্যবধানে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দলটি। চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বায়ার্নের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। দুই দলেরই হাতে রয়েছে কেবল আটটি করে ম্যাচ।

অনেক ফুটবলবোদ্ধার মতো বায়ার্নের সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামও মনে করেন, এবার লিগ শিরোপা লেভারকুজেনের ঘরেই যাচ্ছে। আর তা হলে ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জয়ের স্বাদ দিতে চলেছেন আলোনসো।

শুধু তা-ই নয়, শীর্ষ চারে থাকায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে লেভারকুজেন।

গত ২৬ জানুয়ারি চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুলের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ক্লপের এমন ঘোষণায় লিভারপুল সমর্থকরা চমকে গেলেও তখন থেকে ইংলিশ ক্লাবটির পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় শুরু হয় জোর আলোচনা।

এক্ষেত্রে আলোনসোর নামটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে। আলোনসোর খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুর দিকে অল রেডদের জার্সি পরে খেলার কারণে তার প্রার্থিতা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ হিসেবে আলোনসোকে দেখতে চেয়েছিলেন খোদ ক্লপও।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের ক্লপ বলেছিলেন, ‘সে (শাবি) বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল। কোচিং পরিবার থেকে আসায় এ কাজেও সে ভালো মনোবল পায়।

‘খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই সে কোচের মতো ছিল। (লেভারকুসেনকে) যে ফুটবল সে খেলাচ্ছে, যেভাবে খেলোয়াড় এনে দল সাজিয়েছে- এককথায় অনবদ্য।’

লিভারপুলের পরবর্তী কোচ সম্পর্কে ক্লপ বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে আরও আট সপ্তাহ আগেও এই প্রশ্নটি করতে, তাহলেও আমি একই কথা বলতাম। ওর জন্য আমি যেকোনো মুহূর্তে স্থান ছেড়ে দিতে পারি।’

অন্যদিকে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে টিকে থাকা সত্ত্বেও গত বছরের মার্চে কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানকে ছাঁটাই করে বায়ার্ন মিউনিখ। দল জয় পেলেও ‘পারফরম্যান্স ভালো নয়’ অজুহাতে তাকে সরিয়ে ডর্টমুন্ড ও চেলসির সাবেক কোচ টমাস টুখেলকে দায়িত্ব দেয় ক্লাবটি।

তবে টুখেলের কোচিংয়েও সন্তুষ্ট নয় বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। এমনকি চলতি মৌসুম শেষে তার সঙ্গে ক্লাবটির সম্পর্কচ্ছেদের কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। ফলে নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে তারাও।

এদিকে বায়ার্নে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষ করা আলোনসো যেভাবে লেভারকুজেনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার নামটি বায়ার্নেরও পরবর্তী কোচ হওয়ার তালিকায় উপরের দিকে স্থান পায়।

এসব বিষয় নিয়ে এতদিন টুঁ-শব্দ করেননি শাবি। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সব জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, লেভারকুজেন থেকে সরছেন না লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে মাঝমাঠ সামলানো সাবেক এ তারকা ফুটবলার।

আরও পড়ুন:
হঠাৎ লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা ক্লপের

মন্তব্য

খেলা
Former footballer Robinho arrested in rape case

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার

ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া সাবেক ফুটবলার রবিনহো গ্রেপ্তার ব্রাজিলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহো। ছবি: সংগৃহীত
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ব্রাজিলের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ।

ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে একটি নাইট ক্লাবে আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইতালিতে রবিনহোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বলে জানায় বিবিসি।

ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার নিজ শহর সান্তোসের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়।

ব্রাজিলের একটি আদালত বুধবার তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেয়।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত রবিনহোর শাস্তি বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী, বিদেশে অপরাধ সংঘটিত করে কোনো নাগরিক দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীকে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল সরকার। রায়ের আগেই রবিনহো ইতালি ছাড়ায় ব্রাজিলেই শাস্তি কার্যকরের অনুরোধ জানায় দেশটির আদালত।

ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার দ্বারা গৃহীত এ পদক্ষেপ স্থানীয় মিডিয়াতে অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, রবিনহো তার খ্যাতি এবং সম্পদের কারণে ন্যায়বিচার এড়িয়ে যাবেন।

তবে ম্যানচেস্টার সিটিতে দুই বছর কাটানো এ ফুটবলার বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নাইট ক্লাবের ঘটনাটি ওই নারীর ‘সম্মতিতে’ হয়েছিল।

আরও পড়ুন:
৬২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঝলসাচ্ছে ব্রাজিলের জনজীবন
গ্যালারিতে বর্ণবাদী স্লোগান, দল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন এসি মিলানের গোলরক্ষক
ব্রাজিলে পর্যটকবাহী বাসে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২৫

মন্তব্য

খেলা
National womens football player Razia passed away

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়ে গেলেন জাতীয় ফুটবলার রাজিয়া ছবি: সংগৃহীত
রাজিয়ার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, সন্তান প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রাজিয়া। বৃহস্পতিবার পুত্র সন্তান জন্ম দেয়ার পর সাতক্ষীরায় মারা গেছেন এই রাইট উইঙ্গার।

রাজিয়া সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের নূর আলী সরদারের মেয়ে।

জাতীয় ও বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাজিয়া। ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলেন তিনি। ভুটানে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন রাজিয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে জাতীয় দলে সাবিনা খাতুনদের সঙ্গেও খেলেছেন তিনি।

নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন নাসরিন স্পোর্টিং ও এএফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জার্সিতে।

তার স্বামী ইয়াম রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে চাকরি করি। ইফতারির সময় বাসায় গিয়ে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোনটা ওর ছোট ভাই রিসিভ করে বলে ব্যস্ত আছি। কেউ আমাকে জানায়নি যে ওর পেইন (প্রসব ব্যথা) উঠেছে। আসলে ওর প্রচুর রক্তক্ষরণে হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আমাকে গত রাত ১১টার দিকে জানায়, ছেলে ও মা সুস্থ আছে। কিন্তু পরে ওর প্রচুর রক্ত ঝরেছে। অচেতন হয়ে ছিল অনেক সময়। ভোর বেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আমি সিজার করাতে বলেছিলাম, কিন্তু ওরা শোনেনি।’

ইয়াম নিজেও ফুটবলার ছিলেন। খেলেছেন বসুন্ধরা কিংস অনূর্ধ্ব-১৮, সাইফ স্পোর্টিং যুব দলে। তৃতীয় বিভাগেও খেলেছেন। ভালোবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজিয়াকে।

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh girls beat India as champions
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইল ছবি
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে টানা জয়ের পর শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারান প্রীতিরা।

খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায়ং ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ফেরে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের দক্ষতায় কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এর আগে ৮ মার্চ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা দল সেদিন ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের
এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

মন্তব্য

খেলা
Bhutan was blown away by the girls of Bangladesh

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা

ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

নেপাল ও ভারতকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর চেসাল স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।

টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে সাইফুল বারী টিটুর দল খেলার ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায়। এরপর একে একে ৬টি গোল। সুরভী আকন্দ পেয়েছেন জোড়া গোল। বাকি ৪টি গোল করেছেন ফাতেমা, ক্রানুচিং, সাথী মানদা ও থুইনুই মারমার।

আগামী রোববার কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরে আনফা একাডেমিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লিগ পর্বে তাদের ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন প্রীতিরা।

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh started with a win
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের

জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের ছবি: সংগৃহীত
সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের নারীরা।

শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সংঘবদ্ধ এক আক্রমণের প্রদর্শনীতে প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোল পায়। সাথী মুন্ডার দারুণ এক মুভে থ্রু বল ঠেলে দেন প্রতিপক্ষের গোল বক্সের ভেতর। নেপালের গোলরক্ষক গোল বাঁচাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি দ্রুতগতিতে বক্সে প্রবেশ করে প্লেসিংয়ে গোল করেন।

৫ মিনিট পর গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রীতি নিজেই। বক্সের বাম দিকে দিয়ে আক্রমণে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়ার আলফি। গোলরক্ষক তাকে থামাতে গিয়ে গিয়ে ফেলে দেন মাটিতে। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন প্রীতি। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর স্বাগতিক নেপাল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেদ করেতে পারেনি। বারবার তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় আরিফার করা ক্রসে সুরভী প্রীতির প্লেসিং করা বল ফিরে আসে জালের পাশে লেগে। এরপর নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলায় গোল পায়নি আর কোনো দল।

এবারের সাফ-১৬ টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশ নিয়েছে। এক ম্যাচ শেষে সমান তিন পয়েন্ট করে অর্জন করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৫ মার্চ বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।

মন্তব্য

খেলা
I will work for the development of football in Bangladesh Barrister Suman

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব: সুমন

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব: সুমন বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
সুমন বলেন, ‘আমি ফুটবলের ব্যাপারে প্রতিবাদ করছি বহুদিন আগে থেকেই, প্রতিবাদ করতে করতেই আমি এখন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট। আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতে পারি। আমার একটা বিশ্বাস ফুটবলের এখন গণজাগরণ শুরু হয়েছে।’

নব্বই দশকের ফুটবলে ফিরে যেতে চান উল্লেখ করে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু সাধ্য, আমি মেম্বার অফ পার্লামেন্ট হিসেবে শুধু আমার এলাকার ফুটবল না, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করব। যেভাবে কাজ করলে নব্বই দশকের ফুটবলে ফিরে যাওয়া যায়, যেখানে ফুটবল আমাদের ঐহিত্য ছিল। আমরা সেটাই করব।’

জামালপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল হাকিম স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সুমন বলেন, ‘আমি ফুটবলের ব্যাপারে প্রতিবাদ করছি বহুদিন আগে থেকেই, প্রতিবাদ করতে করতেই আমি এখন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট। আমি এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতে পারি। আমার একটা বিশ্বাস ফুটবলের এখন গণজাগরণ শুরু হয়েছে।’

ভারতের ফুটবলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেখেন, ইন্ডিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে, এখন তারা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আর আমরা এখনও সাউথ এশিয়াতেই টিকতে পারি না।

‘যেহেতু আমাদের প্রথম প্রেম ফুটবল, এ ফুটবলের প্রেমটা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই। আমরা সবাই আবার মাঠে আসতে চাই।’

আরও পড়ুন:
পোস্টারে জাতির পিতার ছবি, ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ
ব্যারিস্টার মইনুলের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ব্যারিস্টার মইনুলের সম্মানে অর্ধবেলা বন্ধ বিচারকাজ
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

মন্তব্য

p
উপরে