শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে অল আউট হওয়ার শঙ্কা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশন টিকে গেছে বাংলাদেশ। ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের পর প্রথম সেশন শেষ হলে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দ্রুত ৪ উইকেট হারালেও অল আউট হয়নি স্বাগতিক দল।
১ উইকেট অক্ষত রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৬১ রান।
১৭১ রানে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে রানের খাতা না খুলে সঙ্গ দিচ্ছেন এবাদত হোসেন।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের রেশ দ্বিতীয় দিনে এসেও ছিল টাইগারদের। শুরুতে কাসুন রাজিথা ব্রেক থ্রু এনে দেন লিটন দাসকে ফিরিয়ে।
খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসা লিটন ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভাঙা রাজিথা তিন বল বাদে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
ব্যক্তিগত ১৪১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে রাজিথা পতন ঘটান দিনের প্রথম উইকেটের। তবে মাঠ ছাড়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন গড়েন রেকর্ড ২৭১ রানের জুটি। এখন পর্যন্ত টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। একই সঙ্গে সেরা তিন জুটির ভেতর জায়গা করে নিয়েছে লিটন-মুশির অনবদ্য এই পার্টনারশিপ।
লিটনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন প্রায় দুই বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা।
দ্রুত ফেরেন তাইজুল ইসলামও। আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। ব্যক্তিগত দেড় শ রানের ইনিংস ছাড়ান তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে টাইগারদের নবম উইকেটের পতন ঘটায় শঙ্কা জেগেছে মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়ায়।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বেশ কয়েকবার আউটের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত আর উইকেটের দেখা পাননি লঙ্কান বোলাররা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:Sri Lanka got four wickets, but Mushfiqur Rahim remains at the crease towards the end of the session!
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) May 24, 2022
Pacers have got all nine wickets in the innings so far 🤔 #BANvSL
টি-টোয়েন্টি সিরিজ সমতায় শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০মিনিটে শুরু হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল। ৩৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে উইন্ডিজ।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হারলে, এই সফরে জয়শূন্য থাকবে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
টেস্ট সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটিং সমস্যায় ভুগছে মাহমুদুল্লাহর দল। সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতে টি-টোয়েন্টিতে ক্লিন সুইপ এড়াতে হলে, দল হিসেবে খেলতে হবে।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই ম্যাচ জয়ের চেষ্টা। টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে। সবার নিজ-নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখতে হবে। দল হিসেবে খেলাই আমাদের বড় শক্তি। যদি সেটা করতে না পারি তাহলে আমাদের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়।’
ম্যাচ জয়ের জন্য ভালো শুরু করতে হবে ব্যাট ও বল হাতে। দলের প্রতি অধিনায়কের বার্তা এটাই।
তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভাল হলে ম্যাচে আমরা ভাল করি আর ভালো শুরু করতে হলে, সবার অবদান থাকা উচিত। ভালো শুরু করলে, আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ হারলেও হলেও, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়-হারের অনুপাত মোটামুটি। উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় আছে ৫টিতে, হার আটটিতে এবং ম্যাচ পরিত্যক্ত দুটিতে।
দীর্ঘ ৮ মাসের ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলে ডাক পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল তার।
সে অনুযায়ী গত ২৪ জুন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার এক দিন আগে সাইফুদ্দিনের ইনজুরি নিয়ে আবারও দেখা দেয় জটিলতা।
ইনজুরি না সারায় উইন্ডিজ সিরিজের জন্য সাইফউদ্দিনকে আবারও রাখা বিশ্রামে যে কারণে জাতীয় দলে ফেরাটা হয় আরও দীর্ঘ।
পিঠের চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ডাক্তারের পরামর্শে বর্তমানে ভারতে আছেন সাইফউদ্দিন। দেশে ফিরলে জনা যাবে জাতীয় দলে ফিরতে আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে এ অলরাউন্ডারকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাইফউদ্দিন ইংল্যান্ডে যে চিকিৎসকের অধীনে ছিল তার পরামর্শ অনুযায়ী একটা ইনজেকশন নেওয়ার জন্য ভারত গেছে। সেখান থেকে আসার পর পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারব কি অবস্থায় আছে।’
২০১৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নামার পর এখন পর্যন্ত সাইফউদ্দিনকে পড়তে হয়েছে একের পর এক ইনজুরিতে। ইনজুরির কারণে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি খেলতে পেরেছেন ২৯টি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি।
অন্যদিকে ইনজুরির কারণে একই সিরিজ থেকে বাদ পড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রস্তুতি ম্যাচে পিঠের ইনজুরিতে এ পেইসার খেলতে পারেননি সিরিজের কোন ম্যাচ তবে চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের ওই সদস্য আরও বলেন ‘রাব্বির যে চোট তা সারতে ৫-৬ সপ্তাহ লাগবে। প্রতিদিনই তার চোট দারুণ উন্নতি করছে। এভাবে চললে দ্রুতই মাঠে ফেরা সম্ভব। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারে। তবে ঈদের পর আরেকবার তাকে পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত অবস্থা বলা যাবে।’
আরও পড়ুন:ক্যারিয়ারের শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমান যেভাবে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন সেই পারফরম্যান্সে এখন নিয়মিত দেখা যায়না তাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঘরের মাঠে পুরনো ফিজকে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও দেশের বাইরে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না দ্য ফিজ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পণ্ড হয় বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের অগোছালো বোলিংয়ে ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজ চার ওভার বোলিং করে দেন ৩৭ রান। উইকেট পাননি। তবে হারের কারণে শুধু বোলারদের দোষ দিতে চাননা তিনি। ব্যাটারদেরও উন্নতির দরকার আছে বলে মনে করেন মুস্তাফিজ।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বুধবার ভোড়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার উইকেট এক রকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেক রকম। এশিয়ার বাইরে উইকেট বেশি ভালো থাকে।
‘এশিয়ায় টি–টোয়েন্টিতে ১৫০ রান করতে কষ্ট হয়। আর এশিয়ার বাইরে দুই শ রানও নিরাপদ নয়। আমার যেটা মনে হয়, এ কারণে ইকোনমি রেট বাড়তে পারে। উইকেট একটা কারণ হতে পারে।’
সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃহস্পতিবার। আগের ম্যাচে চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যাশা অভিজ্ঞ এ পেইসারের।
মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে উইকেট অনেক ভালো। যদি অন্য কোনো দল থাকত, দুই শর কাছাকাছি রান করত। এছাড়া আমরা বাজে বল করেছি। পরের ম্যাচে চেষ্টা করব যে, কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি।’
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ী ফাস্ট বোলার শন টেইট গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেন পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচের। গত ৫ মাস পাকিস্তান ক্রিকেটকে পর্যবেক্ষন করে তার মনে হয়েছে, বাবর আজমের দল সব কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের মতো।
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে মঙ্গলবার ভারতীয় এক সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টেইট বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলতে পারে এমন একটি দল প্রস্তুত করতে পারলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। পাকিস্তান দলে বর্তমানে এক ঝাঁক খেলোয়াড় আছে যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত স্পিন ও ফাস্ট বোলিং করতে সক্ষম। শুধু তাই নয় ব্যাটিংয়েও দারুণ ভুমিকা রাখছে ব্যাটাররা।’
দলে ব্যাটিং ও বোলিং ভারসাম্যের কারণে পাকিস্তান এখন যে কোনো কন্ডিশনে ভালো খেলতে সক্ষম বলে মনে করছেন টেইট।
তিনি যোগ করেন, ‘দলে যদি পর্যাপ্ত ভালো খেলোয়াড় থাকে তবে আপনি যে কোন অবস্থাতেই ভালো খেলতে পারবেন। যেটা এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দলে আছে। আমার কাছে মনে হয় পাকিস্তানও তাদের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
বোলারদের উন্নতির বিষয়ে টেইট বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেশিদিন হয়নি পেইসাররা কাজ করছে। তবে আগামী ৮-৯ মাসে তারা দারুণ উন্নতি করবে আর তা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। তাদের কিছু নিজস্ব কিছু কৌশল রয়েছে যা সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে পারলে সফলতা পাবে। আমার কাজ শুধু তাদেকে গাইড করা।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতার জের ধরে শঙ্কা জেগেছিল এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে। আর সেই শঙ্কার কারণে সম্ভাবনা জাগে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের।
শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে দেশটিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে। ওই সিরিজের পর স্পষ্টতই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে শ্রীলঙ্কার আর কোনো সমস্যা নেই।
বিষয়টির সঙ্গে একমত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি আশাবাদী শ্রীলঙ্কাতেই হবে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর। যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বিষয়টি এসিসি পুরোপুরি দেখভাল করছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘মূলত এসিসি থেকেই সূচি আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের আয়োজক হওয়ার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’
এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বেশি চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেন সুজন।
তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।’
২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৬ জুলাই। দেশে ফিরে বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পাচ্ছেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এ মাসের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জাতীয় দল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজে থাকছে না কোনো টেস্ট।
চলতি মাসের শেষে দেশ ছাড়লেও সিরিজের সূচি এখনও জানানো হয়নি দুই বোর্ডের পক্ষে থেকে। এ সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো লম্বা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড শিগিগিরই সূচি প্রকাশ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে একটা সূচি চূড়ান্ত করেছি। যেহেতু জিম্বাবুয়ের বোর্ড স্বাগতিক, তারাই এর ঘোষণা দেবে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। জুলাইয়ের শেষ দিকে আমাদের দল যাবে। আগস্টের মধ্যে ৩টা ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলে দল দেশে ফিরে আসবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে টাইগারদের জন্য সময় খুবই অল্প। এই স্বল্প সময়ের ভেতর ক্রিকেটারদের অনুশীলন ও ক্যাম্পের বিষয়েও জানান নিজামউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে। ক্রিকেট অপারেশনস, টিম ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র খেলোয়াড়, নির্বাচক, বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে ঠিক করে নেব। উইন্ডিজ সফরের পর থেকে এশিয়া কাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের সূচি ঠিক করে জানিয়ে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টের শেষ দিন নাটকের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। পঞ্চম দিন ইতিহাস তৈরিতে দুই অপরাজিত ব্যাটার সময় নেন দেড় ঘণ্টার কিছু বেশি। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ভারতকে শেষ টেস্টে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
টেস্ট জয় ও সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করতে প্রয়োজনীয় ১১৯ রান তুলে নেয় রুট-বেয়ারস্টো জুটি।
৩৭৮ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে, পঞ্চম দিন ৩ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই ব্যাটারের মধ্যে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকা রুট আগে সেঞ্চুরির দেখা পান। ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী খেলতে থাকা বেয়ারস্টো ১৩তম সেঞ্চুরির দেখা পান রুটের পর। ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে ২৬৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয় পাইয়ে দেয়ার পাশাপাশি একগাদা রেকর্ডও ভেঙেছেন দুই ব্যাটার।
তাদের এ জুটি টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। এছাড়া এজবাস্টনে ১২০ বছরের মধ্যে এ প্রথম চতুর্থ ইনিংসে কোনো দল ৩০০ পার হলো। এটিই টেস্ট ক্রিকেটের ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
এ ইনিংসে সেঞ্চুরি করে টানা ৪ টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বেয়ারস্টো। এ টেস্টে করেছেন জোড়া সেঞ্চুরি। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আর জো রুটের এটি ভারতের বিপক্ষে নবম সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে আর কোনো ব্যাটার এতগুলো শতকের দেখা পাননি।
এ সিরিজ ২-২ এ ড্র হওয়ার ফলে ২০০৭ সালের পর এ প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় থেকে বঞ্চিত হলো ভারত।
এজবাস্টন টেস্টে আগে ব্যাট করে ৪১৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী দলের সংগ্রহ ছিল ২৪৫।
আর ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে, তাদের সামনে চতুর্থ দিন জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭৮।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য