ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় টানা দুই উইকেট তুলে নিলেও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়ে এবারে ব্যক্তিগত দেড় শ রান পার হয়েছেন মুশফিক।
২৯১ বল খেলে মুশফিক পেরিয়েছেন ব্যক্তিগত দেড় শ রান। সেই সঙ্গে তার ব্যাট ছুটছে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত তিনবার ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল মি. ডিপেন্ডেবল তুলে নিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। সে ইনিংসটিও ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এরপর ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংস। আর সবশেষ সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে মুশফিক করেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে লঙ্কান পেইসার কাসুন রাজিথার জোড়া আঘাতে আবারও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে আনা লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভেঙে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। লিটনকে ফেরানোর পরপরই লঙ্কান এই বোলার সাজঘরের পথ বাতলে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জিততে তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাবর।
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে প্রতিপক্ষের স্পিনারদের সামলাতে আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। এছাড়া সিরিজে ভালো করতে দলের পেইসারদের টিপস দিয়েছেন দেশটির সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। তাই এবার টেস্ট সিরিজে পেইসারদের দিকে তাকিয়ে বাবর।
এ বছর মাত্র একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। গত মার্চে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এ বছর দ্বিতীয়বারের মত টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে। সিরিজটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অর্ন্তভুক্ত।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে তৃতীয়স্থানে আছে পাকিস্তান। তৃতীয়স্থান ধরে রাখার মিশন নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে তারা। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পাকিস্তানের।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর বলেন, ‘দল যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে, আমরা নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার তারুণ্য নির্ভর দলের বিপক্ষে ভালো করব। আমরা প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার চেষ্টা করব। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলব আর ব্যাটিং শক্তিকে কাজে লাগাবো।’
শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে রাওয়ালপিন্ডিতে ক্যাম্প করেছে পাকিস্তান। সেই ক্যাম্পে এসে পাকিস্তান পেইসারদের টিপস দিয়েছেন শোয়েব। এ ব্যাপারে বাবর বলেন, ‘শোয়েব ভাইর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টিপস পেয়েছে আমাদের বোলাররা। আশা করি, তার টিপস ও অনুপ্রেরণা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো করতে সহায়তা করবে।’
গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬ জুলাই থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করবে পাকিস্তান। ২৪ জুলাই কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্ট সিরিজের আগে ১১ জুলাই থেকে তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:এজবাস্টনে সোমাবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৭ উইকেটে হারের লজ্জা পেয়েছে ভারত। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
এজবাস্টনে হারের পর এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। সাউদাম্পটনে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এবার টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে নামছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এ বছর পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। ঘরের মাঠে তিনটির মধ্যে দুটিতে জয় পাওয়া ভারত জিতেছে আয়ারল্যান্ড সফরেও।
e বছর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হারে তারা।
ভারতকে এজবাস্টন টেস্টে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। তবে টেস্ট দলের অনেকেই খেলছেন না টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট খেলায় টি-টোয়েন্টিতে নেই টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো।
নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে এই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ইয়োইন মরগান অবসর নেয়ায় সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হয়েছেন জস বাটলার।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পরীক্ষা আমার। অধিনায়কত্ব বড় চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমি। ভারত শক্তিশালী দল। নিজেদের মাঠে সেরাটা দিয়ে সিরিজ জয়ই প্রধান লক্ষ্য আমাদের।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টেস্টের আগে করোনায় আক্রান্ত হন রোহিত। তবে নেগেটিভ হয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচ থেকে রোহিত খেলতে পারবেন কী না, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে খেলার বিষয়টি নির্ভর করছে রোহিত ও ভারত দলের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের উপর।
বিসিসিআইর একটি সূত্রে বলছে, করোনা থেকে সুস্থ হলেও রোহিতেরর শারীরিক অবস্থর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট হলেই খেলতে পারবেন তিনি। ভারতীয় দল আশা করছে, প্রথম টি-টোয়েন্টি থেকে খেলতে পারবেন রোহিত।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৬ সদস্যের দলে নেই ৬ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শিখর ধাওয়ানকে। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন রভিন্দ্র জাদেজা।
ভারতের ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের জন্য ফেরানো হয়েছে ধাওয়ানকে। ইনজুরির কারণে ক্যারিবিয়ান সফর থেকে ছিটকে গেছেন সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল। স্পোর্টস হার্নিয়া সার্জারির কারণে তাকে রেখেই দল সাজাতে হয়েছে ভারতকে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর শুভমান গিল আবারও ওডিআই সিরিজের ফিরেছেন। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন সাঞ্জু স্যামসন। এক বছর পর আবারও জাতীয় দলে যোগ দিলেন তিনি। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে দুই উইকেটকিপার ব্যাটার স্যামসন ও ইশান কিষাণকে।
রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলিসহ আরও ৪ অভিজ্ঞ খেলোয়ারকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তারা হলেন হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পান্ট ও মোহাম্মদ শামি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাদের।
২২ জুলাই ত্রিনিদাদে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের ক্যারিবিয়ান সফর। শেষ হবে ম্যাচটি হবে আগস্টের ৭ তারিখ। এরপর দুই দল ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
ভারতের ওয়ানডে স্কোয়াড: শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমান গিল, দিপক হুডা, সুরিয়াকুমার ইয়াদভ, শ্রেয়াস আইয়ার, ইশান কিষাণ, সঞ্জু স্যামসন, রভিন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, ইউজভেন্দ্র চাহাল, আক্সার প্যাটেল, আভেশ খান, প্রসিধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজ ও আর্শদিপ সিং।
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টি সিরিজ সমতায় শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০মিনিটে শুরু হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল। ৩৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে উইন্ডিজ।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হারলে, এই সফরে জয়শূন্য থাকবে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
টেস্ট সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটিং সমস্যায় ভুগছে মাহমুদুল্লাহর দল। সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতে টি-টোয়েন্টিতে ক্লিন সুইপ এড়াতে হলে, দল হিসেবে খেলতে হবে।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই ম্যাচ জয়ের চেষ্টা। টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে। সবার নিজ-নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখতে হবে। দল হিসেবে খেলাই আমাদের বড় শক্তি। যদি সেটা করতে না পারি তাহলে আমাদের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়।’
ম্যাচ জয়ের জন্য ভালো শুরু করতে হবে ব্যাট ও বল হাতে। দলের প্রতি অধিনায়কের বার্তা এটাই।
তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভাল হলে ম্যাচে আমরা ভাল করি আর ভালো শুরু করতে হলে, সবার অবদান থাকা উচিত। ভালো শুরু করলে, আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ হারলেও হলেও, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়-হারের অনুপাত মোটামুটি। উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় আছে ৫টিতে, হার আটটিতে এবং ম্যাচ পরিত্যক্ত দুটিতে।
দীর্ঘ ৮ মাসের ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলে ডাক পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল তার।
সে অনুযায়ী গত ২৪ জুন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার এক দিন আগে সাইফুদ্দিনের ইনজুরি নিয়ে আবারও দেখা দেয় জটিলতা।
ইনজুরি না সারায় উইন্ডিজ সিরিজের জন্য সাইফউদ্দিনকে আবারও রাখা বিশ্রামে যে কারণে জাতীয় দলে ফেরাটা হয় আরও দীর্ঘ।
পিঠের চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ডাক্তারের পরামর্শে বর্তমানে ভারতে আছেন সাইফউদ্দিন। দেশে ফিরলে জনা যাবে জাতীয় দলে ফিরতে আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে এ অলরাউন্ডারকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাইফউদ্দিন ইংল্যান্ডে যে চিকিৎসকের অধীনে ছিল তার পরামর্শ অনুযায়ী একটা ইনজেকশন নেওয়ার জন্য ভারত গেছে। সেখান থেকে আসার পর পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারব কি অবস্থায় আছে।’
২০১৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নামার পর এখন পর্যন্ত সাইফউদ্দিনকে পড়তে হয়েছে একের পর এক ইনজুরিতে। ইনজুরির কারণে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি খেলতে পেরেছেন ২৯টি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি।
অন্যদিকে ইনজুরির কারণে একই সিরিজ থেকে বাদ পড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রস্তুতি ম্যাচে পিঠের ইনজুরিতে এ পেইসার খেলতে পারেননি সিরিজের কোন ম্যাচ তবে চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের ওই সদস্য আরও বলেন ‘রাব্বির যে চোট তা সারতে ৫-৬ সপ্তাহ লাগবে। প্রতিদিনই তার চোট দারুণ উন্নতি করছে। এভাবে চললে দ্রুতই মাঠে ফেরা সম্ভব। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারে। তবে ঈদের পর আরেকবার তাকে পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত অবস্থা বলা যাবে।’
আরও পড়ুন:ক্যারিয়ারের শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমান যেভাবে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন সেই পারফরম্যান্সে এখন নিয়মিত দেখা যায়না তাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঘরের মাঠে পুরনো ফিজকে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও দেশের বাইরে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না দ্য ফিজ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পণ্ড হয় বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের অগোছালো বোলিংয়ে ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজ চার ওভার বোলিং করে দেন ৩৭ রান। উইকেট পাননি। তবে হারের কারণে শুধু বোলারদের দোষ দিতে চাননা তিনি। ব্যাটারদেরও উন্নতির দরকার আছে বলে মনে করেন মুস্তাফিজ।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বুধবার ভোড়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার উইকেট এক রকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেক রকম। এশিয়ার বাইরে উইকেট বেশি ভালো থাকে।
‘এশিয়ায় টি–টোয়েন্টিতে ১৫০ রান করতে কষ্ট হয়। আর এশিয়ার বাইরে দুই শ রানও নিরাপদ নয়। আমার যেটা মনে হয়, এ কারণে ইকোনমি রেট বাড়তে পারে। উইকেট একটা কারণ হতে পারে।’
সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃহস্পতিবার। আগের ম্যাচে চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যাশা অভিজ্ঞ এ পেইসারের।
মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে উইকেট অনেক ভালো। যদি অন্য কোনো দল থাকত, দুই শর কাছাকাছি রান করত। এছাড়া আমরা বাজে বল করেছি। পরের ম্যাচে চেষ্টা করব যে, কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি।’
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ী ফাস্ট বোলার শন টেইট গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেন পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচের। গত ৫ মাস পাকিস্তান ক্রিকেটকে পর্যবেক্ষন করে তার মনে হয়েছে, বাবর আজমের দল সব কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের মতো।
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে মঙ্গলবার ভারতীয় এক সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টেইট বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলতে পারে এমন একটি দল প্রস্তুত করতে পারলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। পাকিস্তান দলে বর্তমানে এক ঝাঁক খেলোয়াড় আছে যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত স্পিন ও ফাস্ট বোলিং করতে সক্ষম। শুধু তাই নয় ব্যাটিংয়েও দারুণ ভুমিকা রাখছে ব্যাটাররা।’
দলে ব্যাটিং ও বোলিং ভারসাম্যের কারণে পাকিস্তান এখন যে কোনো কন্ডিশনে ভালো খেলতে সক্ষম বলে মনে করছেন টেইট।
তিনি যোগ করেন, ‘দলে যদি পর্যাপ্ত ভালো খেলোয়াড় থাকে তবে আপনি যে কোন অবস্থাতেই ভালো খেলতে পারবেন। যেটা এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দলে আছে। আমার কাছে মনে হয় পাকিস্তানও তাদের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
বোলারদের উন্নতির বিষয়ে টেইট বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেশিদিন হয়নি পেইসাররা কাজ করছে। তবে আগামী ৮-৯ মাসে তারা দারুণ উন্নতি করবে আর তা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। তাদের কিছু নিজস্ব কিছু কৌশল রয়েছে যা সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে পারলে সফলতা পাবে। আমার কাজ শুধু তাদেকে গাইড করা।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য