অবশেষে এসি মিলান ফিরেছে ইতালির ফুটবলের শীর্ষস্থানে। আশি ও নব্বই দশকের বিশ্বসেরা ক্লাবটিকে গত এক দশক বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে একরকম টিকে থাকতেই। শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিতে তাদের পুনর্জাগরণ সম্পূর্ন করেছে লাল-কালোরা।
সেরি আ শিরোপা নিষ্পত্তি হয় রোববার রাতে। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ইন্টারনাৎসিওনালের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে সাসুয়োলোর মুখোমুখি হয় মিলান। আর ইন্টারের প্রতিপক্ষ ছিল সাম্পদোরিয়া।
মিলান পা হড়কালেই ইন্টারের সামনে সুযোগ ছিল শিরোপা লুফে নেয়ার। তেমনটা হতে দেয়নি লাল-কালোরা।
সাসুয়োলোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে স্টেফানো পিওলির দল। ১১ বছর পর শিরোপা উৎসবে মাতে মিলানের লাল অংশ। ইন্টারও জয় পায়। সাম্পদোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারালেও দ্বিতীয় সেরা হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
মিলানের জয়ে পুরো শহর পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সারারাত ভক্তরা নেচে গেয়ে ও মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ও একই শহরের আরেক বড় ক্লাব ইন্টার মিলানকেও খোঁচা দিতে ভোলেননি কেউ কেউ।
ভক্তদের প্রত্যাশা এ জয় দিয়ে পুরনো সেই শ্রেষ্ঠত্বের দিনে ফিরে যেতে পারবে মিলান। সামনের মৌসুম ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতালির চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই লড়বে তারা।
পুরো একটা মৌসুম ভক্তদের পাশে পেয়েছে মিলান। অলিভিয়ে জিরু ও স্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের দলে টানার জন্য সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কোচ স্পিওলিকে। তবে ৪০ বছরের ইব্রা ও ৩৫ বছরের জিরুকে নিয়েই শিরোপা উপহার দিয়েছে মিলান।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালে মিলানে যোগ দেন স্লাতান। এসেই বলেছিলেন দলকে শিরোপা উপহার দিতে চান। রোববার রাতে শিরোপা জয়ের পর মনে করিয়ে দেন সে কথা।
ইব্রা বলেন, ‘আমি এখানে ফিরে আসার পর বলেছিলাম মিলানকে শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই। ও শিরোপা জিততে চাই। এখানের খেলোয়াড়রা সবাই দারুণ। আমরা পরিশ্রম করেছি। দুই বছর আগে আমরা নীরবে কাজ শুরু করেছিলাম।’
২০১১ সালে যখন মিলান শিরোপা জেতে সেবারও স্লাতান ওই দলের অংশ ছিলেন।
আরও পড়ুন:🏆 SIAMO NOI, SIAMO NOI, I CAMPIONI DELL'ITALIA SIAMO NOI! 🇮🇹 🏆#SassuoloMilan #SempreMilan#AlwaysWithYou pic.twitter.com/4tEngKpDzR
— AC Milan (@acmilan) May 22, 2022
গত মৌসুমে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ ফুটবলের একসময়কার পরাশক্তি ক্লাবটির লক্ষ্য ছিল পর্তুগিজ সুপারস্টারকে নিয়ে লিগ শিরোপার জন্য চ্যালেঞ্জ করা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য।
ম্যান ইউনাইটেডের হয়ে লিগে ১৮ গোল ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ৬ গোল করলেও লাভ হয়নি। শিরোপা জয় তো দূরে থাক লিগে ষষ্ঠ স্থানে থেকে সামনের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ হারিয়েছে সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
এমন পরিস্থিতিতে দলীয় সাফল্যের চেয়ে ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে ঝুঁকছেন রোনালডো। সামনের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা ও লিগ শিরোপা দৌড়ে থাকা দলের হয়ে খেলতে চান তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন ম্যানেজার এরিক টেন হাখের পুনর্গঠন প্রজেক্টের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না ৫ বারের ব্যালন ডর জয়ী এ তারকা।
সামনের মৌসুমে নতুন দল খুঁজছেন তিনি। জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ, ইতালির এসি মিলানসহ শোনা যাচ্ছে এমএলএসের এলএ গ্যালাক্সির কথাও।
তবে বাদ সাধছে তার বেতন। বছরে ৩ কোটি ইউরো পাওয়া রোনালডো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পারিশ্রমিকের ফুটবলার। ৩৭ বছর বয়সী ও শুধু বক্সে কার্যকর এ ফুটবলারের পেছনে এত অর্থ খরচ করতে চাইছে না ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলো।
পরের মৌসুমে নিশ্চিত সাফল্যের জন্য বায়ার্ন মিউনিখ পছন্দ রোনালডোর। তবে ইংলিশ দৈনিক দ্য মিরর জানিয়েছে, তাকে নিতে চায় চেলসিও। আর ইতালির পত্রিকা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, রোনালডোকে নিতে মুখিয়ে আছে ইতালির ক্লাব এএস রোমাও।
রোনালডো বেতন কমাতে রাজি হলে রোমার ম্যানেজার জোসে মরিনিও তাকে নিতে রাজি। দরজা খোলা রেখেছে রোনালডোর প্রথম পেশাদার ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনও।
বেশি বেতন ও বেশি বয়স এ দুই বাধা টপকে নতুন ক্লাব খুঁজে নেয়ার সময় খুব একটা নেই রোনালডোর কাছে। ইংল্যান্ডে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময় শেষ হচ্ছে ১ জুলাই।
আরও পড়ুন:শুরু হয়ে গেছে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা। ইতোমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশ নেয়া ৩২ দল। চূড়ান্ত হয়েছে সূচিও। আয়োজক দেশ কাতারের প্রস্তুতিও প্রায় শেষদিকে।
স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে আয়োজনের সব প্রস্তুতি এখন শেষের দিকে। দলগুলোও সেরে নিচ্ছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। দল গঠন থেকে শুরু করে বণ্টন করে দেয়া হয়েছে অধিনায়কের দায়িত্বও।
গ্রুপ এ
কাতার: হাসান আল হাইদোস
নেদারল্যান্ডস: ভার্জিল ফন ডাইক
সেনেগাল: কালিদু কোলিবালি
ইকুয়েডর: এনার ভালেন্সিয়া
গ্রুপ বি
ইংল্যান্ড: হ্যারি কেইন
যুক্তরাষ্ট্র: ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক
ইরান: এহসান হাজসাফি
ওয়েলস: গ্যারেথ বেল
গ্রুপ সি
আর্জেন্টিনা: লিওনেল মেসি
মেক্সিকো: আন্দ্রেস কার্দাদো
পোল্যান্ড: রবার্ট লেওয়ানভোভস্কি
সৌদি আরব: সালমান আল ফারাজ
গ্রুপ ডি
ফ্রান্স: উগো লরিস
ডেনমার্ক: সিমন কায়ের
তিউনিসিয়া: ইউসেফ এমসাকনি
অস্ট্রেলিয়া: ম্যাথু রায়ান
গ্রুপ ই
স্পেন: সার্জিও বুস্কেটস
জার্মানি: মানুয়েল নয়্যার
জাপান: মায়া ইয়োশিদা
কোস্টারিকা: ব্রায়ান রুইস
গ্রুপ এফ
বেলজিয়াম: ইডেন অ্যাজার
ক্রোয়েশিয়া: লুকা মডরিচ
মরক্কো: রোমাইন সাইস
কানাডা: অ্যাটিবা হাচিনসন
গ্রুপ জি
ব্রাজিল: থিয়াগো সিলভা
সুইজারল্যান্ড: গ্রানিট জাকা
সার্বিয়া: দুসান তাদিচ
ক্যামেরুন: ভিনসেন্ট আবুবাকার
গ্রুপ এইচ
পর্তুগাল: ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো
উরুগুয়ে: দিয়েগো গদিন
দক্ষিণ কোরিয়া: সন হিউং মিন
ঘানা: আন্দ্রে আইয়ু
আরও পড়ুন:মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে বাংলাদেশের মেয়েরা দাপুটে জয় পেলেও দ্বিতীয়টিতে গোলশূন্য ড্র করেছে। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা দুই ম্যাচের টুর্নামেন্টে একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
আগের ম্যাচের একাদশের ওপরই ভরসা রাখেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে মালয়েশিয়া। প্রথম ম্যাচে র্যাংকিংয়ে ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ অমীমাংসিত রেখেই শেষ করতে হয়েছে।
প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও জয় তুলতে পারেনি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। রক্ষণভাগে দারুণ মনোযোগ রাখায় বাংলাদেশের প্রতিটি আক্রমণ দারুণভাবে প্রতিরোধ করেছে সফরকারীরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিলেও কোনোরকম ভুল করেনি জ্যাকব জোসেফের শিষ্যরা।
অষ্টম মিনিটে আঁখি খাতুনের গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মালয়েশিয়ান গোলকিপার নুরুল আজুরিন। ১১তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। মনিকার তুলে দেয়া বল গোলমুখ থেকে পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন।
১৭তম মিনিটে বাংলাদেশের করা আরও একটি শট রুখে দেন গোলকিপার আজুরিন। ৪০তম মিনিটে বাংলাদেশের অধিনায়কের দারুণ শট রুখে দেন মালয়েশিয়ান গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখা যায় আহত হয়ে মাঠে বারবার শুয়ে পড়তে। তবে আক্রমণে কমতি ছিল না ছোটনের শিষ্যদের। শেষের ৮৫তম মিনিটে কৃষ্ণার শটটি কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সবশেষ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দুই ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন আঁখি বেগম। তিনি প্রথম ম্যাচে দুই গোল করেছেন। অপরদিকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মারিয়া মান্ডা।
আরও পড়ুন:৯ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্যারেথ বেল প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই। স্বপ্নের ক্লাব ছাড়ার পর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে এবার তিনি পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকান লস এঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাব হতে যাচ্ছে তার নতুন ঠিকানা।
ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদসংস্থা স্পোর্টস বাইবেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংবাদমাধ্যমটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চলতি জুনেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতে যাচ্ছে বেলের। এরপর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তাকে দলে ভেড়াতে ইতোমধ্যেই চুক্তি সম্পাদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি।
২০১৩ সাল থেকে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে আছেন গ্যারেথ বেল। সে সময়কার রেকর্ড ৯ কোটি ৪০ লাখ ইউরোতে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন ওয়েলসের এই তারকা অধিনায়ক। চলতি মৌসুম শেষে লস ব্লাঙ্কোস শিবির থেকে ৯ বছরের পথ চলার ইতি টানছেন এই ফুটবলার।
মূলত রিয়াল ও বেল দুই পক্ষেরই চুক্তি নবায়নে অনীহা থাকার কারণে রিয়ালে থাকা হচ্ছে না ওয়েলসের এই দলপতির।
২০২১-২০২২ মৌসুমের পঞ্চম লিগ শিরোপা জিতে বিদায় নিচ্ছেন এই তারকা। চলতি মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে খেলেছেন পাঁচটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১৬ শিরোপা। যার মধ্যে ৫টিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এ ছাড়া রিয়ালের জার্সিতে ২৫৮ ম্যাচে ১০৬ গোল করেছেন এই ওয়েলস তারকা।
আরও পড়ুন:বার্সেলোনা ছেড়ে গত বছর প্যারিস জেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দেন লিওনেল মেসি। বিশ্বসেরা তারকার যোগদানের পর পিএসজির জার্সি বিক্রি বেড়েছে বহুগুনে। মেসির নামাঙ্কিত কিট বিক্রি হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি।
বিক্রয়ের সংখ্যার দিক থেকে মেসির জার্সি ছাড়িয়ে গেছে রোনালডোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিকেও।
প্যারিসিয়ানদের বিক্রি হওয়া মোট জার্সির ৬০ শতাংশ মেসির ৩০ নম্বর জার্সি।
ইউনাইটেডে এ পর্যন্ত রোনালডোর রেপ্লিকা জার্সি বিক্রি হয়েছে মোট ২০ কোটি ৭০ লাখ ইউরোর। আর মেসির জার্সি বাজারে আসার এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি ছাড়িয়েছে ১৩ কোটি ইউরো। এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মেসির জার্সি বিক্রি করেছে পিএসজি।
পিএসজির চিফ পার্টনারশিপ অফিসার মার্ক আর্মস্ট্রং খেলাধুলা বিষয়ক সাইট মার্কাকে বলেন, ‘মেসি প্যারিসে আসার পর চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। বিক্রির শুধু সরবরাহের অভাবে কমতে পারে। আমরা মেসির শার্টের চাহিদা মেটাতে পারছি না কারণ এত পরিমানে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
‘চাহিদা কেউ পূরণ করতে পারবে না। এরই মধ্যে অনেক জার্সি বিক্রি করছি। হয়তো একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিশ্বের অন্য যে কোনো দলের চেয়ে এই সবচেয়ে বেশি যা আমাদের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যায়।’
আর্মস্ট্রং মনে করেন, মেসি ক্লাবে আসার পর স্পনসরশিপ চুক্তিগুলি বেড়েছে ১৩ শতাংশ ফলে তারা সুযোগ পেয়েছেন অসংখ্য বিপণন ও স্পনসরশিপ চুক্তি করতে।
এছাড়াও, মেসি পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর পিএসজির সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার প্রতি সপ্তাহে ১৪ লাখ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকিট বিক্রি এবং টিকেটের চাহিদা চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আরও পড়ুন:২০১৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড ট্র্যানসফার ফি ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। ৬ বছরের মাথায় আবারও পুরনো ক্লাব ইউভেন্তাসে ফিরছেন পল পগবা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে।
ইউনাইটেডে পগবার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কোচদের ভরসা অর্জন করতে পারেননি এ ফরাসি মিডফিল্ডার। ফলে, মৌসুমের মাঝ পথে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় তার দল ছাড়ার সময় এসেছে।
মৌসুমে শেষে কোন ক্লাবে যোগ দেবেন সেটা নিয়ে ছিল গুঞ্জন। তার পুরনো ক্লাব ইউভেন্তাস, তারকা সমৃদ্ধ পিএসজি, ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদের নাম শোনা যাচ্ছিল তার নতুন গন্তব্য হিসেবে।
অবশেষে ইউভেন্তাসেই ফিরছেন তিনি। ইউরোপীয়ান দলবদল বিশেষজ্ঞ ফাব্রিজিও রোমানো এক টুইটে বৃহস্পতিবার পল পগবার দল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৯ বছর বয়সী পগবার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবে না ইউনাইটেড। ফলে, কোনো অর্থ ছাড়া বিনামূল্যে পগবাকে পাচ্ছে ইউভেন্তাস। ১ জুলাই আনুষ্ঠানিক চুক্তি করবেন পগবা এমনটা জানিয়েছেন রোমানো। প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের চুক্তি করা হতে পারে তার সঙ্গে।
ইউভেন্তাস টানা ৯ বছর ইতালির সেরি আ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টানা দুই মৌসুম শিরোপা জিততে পারেনি। যে কারণে বেশ জোড়েশোরেই তারা এবারে দলদবলের বাজারে নেমেছে।
পগবার পর তাদের পছন্দের তালিকায় আছে আনহেল দি মারিয়া ও নেইমারের মতো তারকার নাম।
আরও পড়ুন:আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ও পিএসজির ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির ৩৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার রোসারিওতে জন্ম নেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার।
৪ বছর বয়সে ফুটবলে হাতেখড়ি। ১০ বছর বয়সে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের জুনিয়র টিমের হয়ে খেলা। মেসির গল্পটা এখন সবারই জানা। গ্রোথ হরমোনে সমস্যা থাকার কারণে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন মেসি।
সেখানের বিখ্যাত লা মাসিয়া অ্যাকাডেমিতে ফুটবল শিক্ষার পাশাপাশি চলে চিকিৎসাও। ২০০৪ সালে ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার সিনিয়র দলে অভিষেক হয় মেসির। পরের অংশটুকু ইতিহাস।
২৩ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মেসি জেতেন ৩টি ব্যলন ডর। পরের ১৩ বছরে জিতেছেন আরও ৪টি।
টানা ১৭ বছর খেলার পর গত বছর মেসি যোগ দেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। এ দেড় দশকে ফুটবলকে দুহাত উজাড় করে দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ১০টি লিগ শিরোপাসহ অসংখ্য ট্রফি।
২০২১ সালে সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে জিতেছেন অধরা কোপা আমেরিকা ট্রফি। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ‘অচেনা মেসি’ এ অপবাদ মুছতে জাতীয় দলের জার্সিতেও গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড।
বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে গোল স্কোরিংয়ের সবগুলো রেকর্ড তার। চিরশত্রুরাও মেনে নিয়েছেন তাকে সর্বকালের সেরা বলে।
তারপরও ছোট্ট একটা খুঁত এখনও রয়ে গেছে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচিত্তিনির ক্যারিয়ারে। ফুটবলের সবচেয়ে বড় সম্মান ও প্রাপ্তি বিশ্বকাপটা এখনও ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার।
২০১৪ সালে কাছাকাছি গিয়েছিলেন। কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের গোলে শেষ হয়ে যায় মেসির বিশ্বকাপ স্বপ্ন। পরের বার রাশিয়ায় ব্যর্থ হন।
৩৫তম জন্মদিনের বছরে আরেকটি বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন এ ক্ষণজন্মা ফুটবলশিল্পী। এবারই হয়তো শেষ। আগের পাঁচবারের চেষ্টায় যেটা পারেননি, এবারে পারবেন এমন আশা বুক বেঁধে আছেন বিশ্বজুড়ে শতকোটি মেসিভক্ত।
টুইটার, ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হচ্ছে লিওনেল মেসির জন্মদিন। আর সবখানেই একটাই আকুতি এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি উঠুক মেসির হাতে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য