শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন লঙ্কানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের খেলা শেষে সফরকারী দল হারিয়েছে ৫ উইকেট তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৭ ও তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৮৯ রানের।
বৃহস্পতিবার টেস্টের শেষ দিন প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত লিড।
লিড এনে দিয়ে দুই ব্যাটার ব্যাট চালানো শুরু করেন বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্যে। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তাইজুল দিনের প্রথম আঘাত হানেন লঙ্কান শিবিরে; তুলে নেন কুশল মেন্ডিসের উইকেট।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতে সফরকারীদের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন এ স্পিনার। তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর বিপদ ঘটেনি সফরকারীদের। যার ফলে ১২৮ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে ৫২ রানে আউট করেন তাইজুল। লঙ্কানরা হারায় তাদের ৫ম উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। ১৬ সদস্যের দলে নেই ৬ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শিখর ধাওয়ানকে। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন রভিন্দ্র জাদেজা।
ভারতের ওয়ানডে দলের নেতৃত্বের জন্য ফেরানো হয়েছে ধাওয়ানকে। ইনজুরির কারণে ক্যারিবিয়ান সফর থেকে ছিটকে গেছেন সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল। স্পোর্টস হার্নিয়া সার্জারির কারণে তাকে রেখেই দল সাজাতে হয়েছে ভারতকে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর শুভমান গিল আবারও ওডিআই সিরিজের ফিরেছেন। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন সাঞ্জু স্যামসন। এক বছর পর আবারও জাতীয় দলে যোগ দিলেন তিনি। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে দুই উইকেটকিপার ব্যাটার স্যামসন ও ইশান কিষাণকে।
রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলিসহ আরও ৪ অভিজ্ঞ খেলোয়ারকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তারা হলেন হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পান্ট ও মোহাম্মদ শামি। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাদের।
২২ জুলাই ত্রিনিদাদে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের ক্যারিবিয়ান সফর। শেষ হবে ম্যাচটি হবে আগস্টের ৭ তারিখ। এরপর দুই দল ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
ভারতের ওয়ানডে স্কোয়াড: শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমান গিল, দিপক হুডা, সুরিয়াকুমার ইয়াদভ, শ্রেয়াস আইয়ার, ইশান কিষাণ, সঞ্জু স্যামসন, রভিন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, ইউজভেন্দ্র চাহাল, আক্সার প্যাটেল, আভেশ খান, প্রসিধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজ ও আর্শদিপ সিং।
আরও পড়ুন:টি-টোয়েন্টি সিরিজ সমতায় শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০মিনিটে শুরু হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল। ৩৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে উইন্ডিজ।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হারলে, এই সফরে জয়শূন্য থাকবে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
টেস্ট সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটিং সমস্যায় ভুগছে মাহমুদুল্লাহর দল। সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতে টি-টোয়েন্টিতে ক্লিন সুইপ এড়াতে হলে, দল হিসেবে খেলতে হবে।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই ম্যাচ জয়ের চেষ্টা। টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে ইউনিট হিসেবে খেলতে হবে। সবার নিজ-নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখতে হবে। দল হিসেবে খেলাই আমাদের বড় শক্তি। যদি সেটা করতে না পারি তাহলে আমাদের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়।’
ম্যাচ জয়ের জন্য ভালো শুরু করতে হবে ব্যাট ও বল হাতে। দলের প্রতি অধিনায়কের বার্তা এটাই।
তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভাল হলে ম্যাচে আমরা ভাল করি আর ভালো শুরু করতে হলে, সবার অবদান থাকা উচিত। ভালো শুরু করলে, আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ হারলেও হলেও, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়-হারের অনুপাত মোটামুটি। উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় আছে ৫টিতে, হার আটটিতে এবং ম্যাচ পরিত্যক্ত দুটিতে।
দীর্ঘ ৮ মাসের ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলে ডাক পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল তার।
সে অনুযায়ী গত ২৪ জুন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার এক দিন আগে সাইফুদ্দিনের ইনজুরি নিয়ে আবারও দেখা দেয় জটিলতা।
ইনজুরি না সারায় উইন্ডিজ সিরিজের জন্য সাইফউদ্দিনকে আবারও রাখা বিশ্রামে যে কারণে জাতীয় দলে ফেরাটা হয় আরও দীর্ঘ।
পিঠের চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ডাক্তারের পরামর্শে বর্তমানে ভারতে আছেন সাইফউদ্দিন। দেশে ফিরলে জনা যাবে জাতীয় দলে ফিরতে আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে এ অলরাউন্ডারকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাইফউদ্দিন ইংল্যান্ডে যে চিকিৎসকের অধীনে ছিল তার পরামর্শ অনুযায়ী একটা ইনজেকশন নেওয়ার জন্য ভারত গেছে। সেখান থেকে আসার পর পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারব কি অবস্থায় আছে।’
২০১৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নামার পর এখন পর্যন্ত সাইফউদ্দিনকে পড়তে হয়েছে একের পর এক ইনজুরিতে। ইনজুরির কারণে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি খেলতে পেরেছেন ২৯টি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি।
অন্যদিকে ইনজুরির কারণে একই সিরিজ থেকে বাদ পড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রস্তুতি ম্যাচে পিঠের ইনজুরিতে এ পেইসার খেলতে পারেননি সিরিজের কোন ম্যাচ তবে চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের ওই সদস্য আরও বলেন ‘রাব্বির যে চোট তা সারতে ৫-৬ সপ্তাহ লাগবে। প্রতিদিনই তার চোট দারুণ উন্নতি করছে। এভাবে চললে দ্রুতই মাঠে ফেরা সম্ভব। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারে। তবে ঈদের পর আরেকবার তাকে পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত অবস্থা বলা যাবে।’
আরও পড়ুন:ক্যারিয়ারের শুরুতে মুস্তাফিজুর রহমান যেভাবে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন সেই পারফরম্যান্সে এখন নিয়মিত দেখা যায়না তাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঘরের মাঠে পুরনো ফিজকে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও দেশের বাইরে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না দ্য ফিজ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পণ্ড হয় বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের অগোছালো বোলিংয়ে ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজ চার ওভার বোলিং করে দেন ৩৭ রান। উইকেট পাননি। তবে হারের কারণে শুধু বোলারদের দোষ দিতে চাননা তিনি। ব্যাটারদেরও উন্নতির দরকার আছে বলে মনে করেন মুস্তাফিজ।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বুধবার ভোড়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার উইকেট এক রকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেক রকম। এশিয়ার বাইরে উইকেট বেশি ভালো থাকে।
‘এশিয়ায় টি–টোয়েন্টিতে ১৫০ রান করতে কষ্ট হয়। আর এশিয়ার বাইরে দুই শ রানও নিরাপদ নয়। আমার যেটা মনে হয়, এ কারণে ইকোনমি রেট বাড়তে পারে। উইকেট একটা কারণ হতে পারে।’
সিরিজের শেষ ম্যাচ বৃহস্পতিবার। আগের ম্যাচে চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যাশা অভিজ্ঞ এ পেইসারের।
মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে উইকেট অনেক ভালো। যদি অন্য কোনো দল থাকত, দুই শর কাছাকাছি রান করত। এছাড়া আমরা বাজে বল করেছি। পরের ম্যাচে চেষ্টা করব যে, কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি।’
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ী ফাস্ট বোলার শন টেইট গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেন পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচের। গত ৫ মাস পাকিস্তান ক্রিকেটকে পর্যবেক্ষন করে তার মনে হয়েছে, বাবর আজমের দল সব কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের মতো।
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে মঙ্গলবার ভারতীয় এক সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টেইট বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলতে পারে এমন একটি দল প্রস্তুত করতে পারলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব। পাকিস্তান দলে বর্তমানে এক ঝাঁক খেলোয়াড় আছে যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত স্পিন ও ফাস্ট বোলিং করতে সক্ষম। শুধু তাই নয় ব্যাটিংয়েও দারুণ ভুমিকা রাখছে ব্যাটাররা।’
দলে ব্যাটিং ও বোলিং ভারসাম্যের কারণে পাকিস্তান এখন যে কোনো কন্ডিশনে ভালো খেলতে সক্ষম বলে মনে করছেন টেইট।
তিনি যোগ করেন, ‘দলে যদি পর্যাপ্ত ভালো খেলোয়াড় থাকে তবে আপনি যে কোন অবস্থাতেই ভালো খেলতে পারবেন। যেটা এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দলে আছে। আমার কাছে মনে হয় পাকিস্তানও তাদের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
বোলারদের উন্নতির বিষয়ে টেইট বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেশিদিন হয়নি পেইসাররা কাজ করছে। তবে আগামী ৮-৯ মাসে তারা দারুণ উন্নতি করবে আর তা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। তাদের কিছু নিজস্ব কিছু কৌশল রয়েছে যা সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে পারলে সফলতা পাবে। আমার কাজ শুধু তাদেকে গাইড করা।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতার জের ধরে শঙ্কা জেগেছিল এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে। আর সেই শঙ্কার কারণে সম্ভাবনা জাগে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের।
শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে দেশটিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে। ওই সিরিজের পর স্পষ্টতই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে শ্রীলঙ্কার আর কোনো সমস্যা নেই।
বিষয়টির সঙ্গে একমত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি আশাবাদী শ্রীলঙ্কাতেই হবে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর। যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বিষয়টি এসিসি পুরোপুরি দেখভাল করছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘মূলত এসিসি থেকেই সূচি আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের আয়োজক হওয়ার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’
এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বেশি চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেন সুজন।
তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।’
২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৬ জুলাই। দেশে ফিরে বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পাচ্ছেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এ মাসের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জাতীয় দল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজে থাকছে না কোনো টেস্ট।
চলতি মাসের শেষে দেশ ছাড়লেও সিরিজের সূচি এখনও জানানো হয়নি দুই বোর্ডের পক্ষে থেকে। এ সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো লম্বা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড শিগিগিরই সূচি প্রকাশ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে একটা সূচি চূড়ান্ত করেছি। যেহেতু জিম্বাবুয়ের বোর্ড স্বাগতিক, তারাই এর ঘোষণা দেবে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। জুলাইয়ের শেষ দিকে আমাদের দল যাবে। আগস্টের মধ্যে ৩টা ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলে দল দেশে ফিরে আসবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে টাইগারদের জন্য সময় খুবই অল্প। এই স্বল্প সময়ের ভেতর ক্রিকেটারদের অনুশীলন ও ক্যাম্পের বিষয়েও জানান নিজামউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে। ক্রিকেট অপারেশনস, টিম ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র খেলোয়াড়, নির্বাচক, বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে ঠিক করে নেব। উইন্ডিজ সফরের পর থেকে এশিয়া কাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের সূচি ঠিক করে জানিয়ে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য