নাটকীয়তার দিকে গড়াচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্ট। ড্রয়ের দিকে যাওয়া টেস্টে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯ রান। এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা।
১৮ রানে উইকেটে রয়েছেন দিমুথ কারুনারত্নে। পঞ্চম দিনে তাকে সঙ্গ দিতে নামবেন কুশল মেন্ডিস।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার করা ৩৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৪৬৫ রান। সেই সুবাদে স্বাগতিকরা লিড পায় ৬৮ রানের। সেই লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৩৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।
তিন উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দিনের প্রথম থেকে লঙ্কান বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন মুশফিক ও লিটন দাস।
এদিন মুশফিকের সামনে লক্ষ্য ছিল প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা। সেই সুযোগ লুফে নিতে বেশি সময় নেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
বুধবার চতুর্থ দিনের খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে মুশফিক প্রবেশ করেন পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে। সেই সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন লিডের দিকে। এ সময় ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে তাকে সঙ্গ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার কাজে সাহায্য করেন লিটন দাস।
শেষ পর্যন্ত লঙ্কার চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গে পার করে দুর্দান্ত এক সেশন।
বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। বিরতি থেকে ফেরার পর কাসুন রাজিথার ওভারের প্রথম বলে দিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৮৮ রান করা লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর আগের দিনের ইনজুরিতে পড়া তামিম নামেন মাঠে। ১৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মাঠে নেমে প্রথম বলে তাকে ফের ফিরতে হয় সাজঘরে। রাজিথার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প হারান তামিম।
দল তখন লিড থেকে মাত্র ১২ রান দূরে। এরপর মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে লিড পায় বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও শেষটা ভালো করতে পারেননি সাকিব। ২৬ করে উইকেটের পেছনে আভিস্কা ফার্নান্দোর হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ইনিংসের হিসেবে সেটি ১৯ ইনিংস পর।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২০২০ সালের নভেম্বরে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পান জাতীয় দলের উইকেকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করতে মুশফিক খেলেছেন ২৭০ বল।
তবে সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি মুশফিকের পক্ষে। ১০৫ রানে তাকে থামিয়ে দেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।
এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৪৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা। স্বাগতিকরা পায় ৬৮ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বল্প লিডে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানেই ওপেনার অশিদা ফার্নাদো রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়লে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় লঙ্কানরা।
এরপর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দিনের শেষ বলে তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন নাইটওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। আর তাতেই ৩৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে লঙ্কানরা।
আরও পড়ুন:Stumps on day four in Chattogram 🏏
— ICC (@ICC) May 18, 2022
The visitors trail the hosts by 29 runs heading into the final day. #WTC23 | #BANvSL | https://t.co/nDHiGIwALx pic.twitter.com/yiiWHpxxzD
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে সেইন্ট লুসিয়ায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি। এ অবস্থায় ১০ ওভার পরই বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা। এই ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। অপরদিকে পতন ঘটেছে তাদের দুটি উইকেটের।
১১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটের খরচায় ৩৭৬ রান। লিড ১৪২ রানের। ১৪০ রানে অপরাজিত কাইল মায়ার্স। তাকে ৭ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন কিমার রোচ।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দিনের শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। তবে জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। খালেদ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে নিতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। দিনের শুরুতে দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা।
গত বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন কাইল মায়ার্স। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিনি একাই তুলেন ২১০ রান। এর আগে কোনো ব্যাটারই অভিষেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়তে পারেনি।
কাইল মায়ার্স দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবারও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চাপে তখন তার অসাধরাণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ১০০ রান করে ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে এমন বিপর্যয়ে মায়ার্স-জারমেইন জুটি পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রান যোগ করে বাংলাদেশের ২৩৪ রান পেরিয়ে যায়।
শনিবার সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২৬ রান তুলে অপরাজিত আছেন অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স।
তবে মায়ার্সের সঙ্গে এক মধুর লড়াই রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। অভিষেক টেস্টেই মিরাজের শিকার হয়ে ৪০ রান করেই থামতে হয়েছিল ক্যারিবীয় এই ব্যাটারকে। সেই ইনিংসে অর্ধশতক বাগিয়ে না নিলেও পরের ইনিংসেই মায়ার্সের ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ২১০ রানের এক ইনিংস।
এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষের চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টেও সেই মিরাজের শিকার হয়েই থামতে হয়েছিল তাকে মাত্র ৭ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ৬ ইনিংসের ভেতর (চলমান টেস্ট সহ) ৪টিতে আউট হয়েছেন মায়ার্স। এর মধ্যে দুইবার তাকে শিকারে পরিণত করেছেন মিরাজ। আর বাকি দুইবার আবু জায়েদ রাহী।
উদ্বোধনী সেশনে মিরাজ-খালেদের বোলিং তোপে সাময়িক বিপর্যয়ে পড়লেও স্বাগতিকদের খেলায় ফিরিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন বলে জানান কাইল মায়ার্স। একই সঙ্গে মিরাজের সঙ্গে তার আলাদা কোনো লড়াই নেই, বরং তাকে নামে না দেখে বলের হিসেবেই দেখেন বলেও মন্তব্য করেন ক্যারিবীয়ান এই তারকা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সে (মিরাজ) একজন ভালো বোলার। আগেও সে আমাকে আউট করেছে, এটা মাথায় ছিল না। একজন বোলার ভালো ডেলিভারি করলে যে কাউকে আউট করতে পারে। আমি কোনো নামের খেলোয়াড়ের বিষয়ে যাচ্ছি না। আমি শুধু বল খেলি।’
আরও পড়ুন:ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের আগে লেস্টারশায়ারের সঙ্গে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ভারত। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিনে দুঃসংবাদ পেল দলটি। ম্যাচে অংশ নেয়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা আক্রান্ত করোনাভাইরাসে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) রোববারের টুইটে বলা হয়, শনিবার রোহিত শর্মার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
টুইটে আরও বলা হয়, বর্তমানে টিম হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন রোহিত। বিসিসিআই মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে থাকবেন তিনি।
ডানহাতি এ ব্যাটার লেস্টারশায়ারের বিপক্ষে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দলে ছিলেন, কিন্তু শনিবার তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেননি তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করেছিলেন রোহিত।
ম্যাচটি মূলত গত বছরের সেপ্টেম্বরে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারত শিবিরে করোনভাইরাস ধরা পড়ায় ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়।
সে সময় নির্ধারিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে আগামী শুক্রবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরও পড়ুন:টেস্ট ক্রিকেটে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ পারফরম্যান্সের দিক থেকে পার্থক্যটা বেশ বড়। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় টেস্টেও উন্নতি দেখছেন না হেডকোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে বড় লিডের ইঙ্গিত দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। ১২৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন কাইল মায়ার্স। ১০৬ বলে ২৬ করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ডি সিলভা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১০৬ রানের লিড নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত খেলার পরও একই ভুল বারবার করায় হারতে হচ্ছে বেশির ভাগ ম্যাচ।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোববার ভোরে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা এক সেশনের জন্য ভালো খেলে পরের সেশন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি না। ছেলেদের ধৈর্য নেই। প্রথম সেশনের মতো পর্যাপ্ত ভালো বোলিং করতে পারেনি পরের সেশনে। যথেষ্ট ধৈর্য না ধরে লাঞ্চের পর আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তা হতাশাজনক ছিল।’
অ্যান্টিগার পর সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্ট কোচ ডমিঙ্গো।
পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তোলার জায়গা আছে। কারণ এটা ২৩০-এর উইকেট না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে যে কী কারণে ওরা এই সংস্করণে আমাদের থেকে ভালো দল।
‘ওদের একজন ১০০ রানে অপরাজিত আছে। ওদের সামনে বড় রান করার সুযোগ আছে। কারণ ওরা জুটি গড়তে সক্ষম হয়েছে। লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। ওরাই দেখাচ্ছে আমাদের কী করা উচিত।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং নিয়েও হতাশ ডমিঙ্গো। তিনি মনে করেন, ব্যাটারদের ফর্মে ফিরতে রানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করার পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড় ফর্ম খুঁজছেন, রান খুঁজছেন। এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করা। ৩০ থেকে ৪০ রানের ইনিংস অনেক হচ্ছে, দু-একটি ফিফটি হচ্ছে। কিন্তু কাইল মাইয়ার্স যেমন ১২০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তেমন বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারছে না। দলের রান ২৩০ আর ৪০০ হওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য এখানেই।’
আরও পড়ুন:নিউজিল্যান্ডকে আবারও ভরসা করতে হচ্ছে ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডলের ওপর। চলতি সিরিজে সব ম্যাচেই মিচেল-ব্লান্ডেল জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে হয়েছে কিউইদের। মান রক্ষার ম্যাচে সেই আশাই করছে দলটি।
লিডসে ৩ ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের দিকে যেতে দেননি কিউই বোলাররা। বেয়ারস্টোর ১৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড।
জবাবে শনিবার ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে ইংল্যান্ডকে ৩৬০ রানে গুটিয়ে দেয় দলটি। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ১৩৭ রানে এগিয়ে সফরকারীরা।
লিডসের হেডিংলিতে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৮ রানেই পটসের শিকার হন উইল ইয়ং। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন টম লাথাম।
দ্বিতীয় উইকেটে এ দুই ব্যাটার গড়েন ৯৭ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন জেমি ওভারটন। তার বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লাথাম। ১০০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন টম লাথাম। এ যাত্রায় ১২টি ৪ হাঁকিয়ে এ রান করেন তিনি।
এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভন কনওয়েও। ২৩ বলে ১১ রান করে রুটের বলে আউট হন তিনি।
হাফ সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফেরান ম্যাথিও পটস। ২ রানের জন্য দেখা পাননি টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর জ্যাক লিচের বোলিং তোপে ২৬ বলে ৭ করে আউট হন হেনরি নিকোলস। পরে দলের হাল ধরতে আবারও উইকেটে আসেন সেই মিচেল ও ব্লান্ডেল। মিচেল ১৭ বলে ৪ ও ব্লান্ডেল ১৩ বলে ৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
চতুর্থ দিনে কিউইদের তাকিয়ে থাকতে হবে ভরসার মিচেল-ব্লান্ডেল জুটির দিকে। আরও একটি ভালো জুটি গড়তে পারলে টিকে থাকবে জয়ের স্বপ্ন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৬৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ওভারটন তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের শিকারে পরিণত হন ১৩৬ বলে ৯৭ রান করে।
পরে বেয়ারস্টোকে সঙ্গ দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৩৬ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪২ রান করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে বেয়ারস্টোকে ফেরান ব্রেসওয়েল। এরপর লিচ ২টি বাউন্ডারি মেরে সাউদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১০৪ রান খরচায় চারটি উইকেট নেন বোল্ট। সাউদি তিনটি ও নিল ওয়েগনার দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
আরও পড়ুন:সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে বড় লিডের ইঙ্গিত দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে দলটির সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান।
১২৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন কাইল মায়ার্স। ১০৬ বলে ২৬ করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ডি সিলভা।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে সেশন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চা বিরতির আগে কাইল মায়ার্সের অর্ধশতক ও জারমিন ব্ল্যাকউডের ৪০ রানের সুবাদে চার উইকেটে ২৪৮ রান তুলে স্বাগতিকরা।
৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন মায়ার্স। তাকে ৪০ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন ব্ল্যাকউড। চা বিরতি পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের লিড ১৪ রানের।
১৬৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথমেই বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিল ক্যারিবীয়রা, কিন্তু প্রথম ঘণ্টাতেই উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহান তালুবন্দি করে ৪৫ রানে মাঠছাড়া করেন জন ক্যাম্পবেলকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে রেখে অর্ধশতক বাগিয়ে নেয়া ব্র্যাথওয়েটকে পরের ঘণ্টাতেই ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
দলের স্কোর তখন ২ উইকেটের খরচায় ১৩১ রান। এর পরই উইন্ডিজ শিবিরে ঝড় তোলেন খালেদ আহমেদ। একই ওভারের প্রথম ও শেষ বলে রেইমন রিফার ও এনক্রুমাহ বুনারকে ফিরিয়ে রানের স্রোতে বাঁধ দেন তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটেনি উইন্ডিজের। চার উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মায়ার্স ও ব্ল্যাকউড। এর ফলে চা বিরতির আগেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৪ রানের জবাবে লিড পায় স্বাগতিকরা।
চা বিরতি থেকে ফিরে মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে সাজঘরের পথ ধরতে হয় ব্ল্যাকউডকে, তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে অনবদ্য এই সেঞ্চুরি তুলে নেন কাইল মায়ার্স।
দিনশেষ তার অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪০ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা। পাশপাশি প্রথম ইনিংসে লিড দাঁড়ায় ১০৬ রান।
আরও পড়ুন:সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চা বিরতি পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের লিড ছিল ১৪ রানের। পরে দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬০ রানে পৌঁছে। তৃতীয় দিনেও ক্যারিবীয় ব্যাটারদের দাপট থামবে বলে মনে হচ্ছে না।
দ্বিতীয় দিনের শেষার্ধে চা বিরতির আগে কাইল মায়ার্সের অর্ধশতক ও জারমিন ব্ল্যাকউডের ৪০ রানের সুবাদে চার উইকেটে ২৪৮ রান পায় স্বাগতিকরা। তখন ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। তাকে ৪০ রানে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ব্ল্যাকউড। অনেকটা ধীরে সুস্থে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মায়ার্স ১২৬ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী ব্ল্যাকউড সাজঘরে ফিরেছেন। জুটি ভাঙলেও স্বস্তি আসেনি বাংলাদেশ শিবিরে। তৃতীয় দিনের শুরুতে বোলিং সাফল্য না পেলে রানের পাহাড়ে চাপা পড়তে পারে সফরকারী টিম।
১৬৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথমেই বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিল ক্যারিবীয়রা। কিন্তু প্রথম ঘণ্টাতেই উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দি করে ৪৫ রানে মাঠ ছাড়া করেন জন ক্যাম্পবেলকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে রেখে অর্ধশতক বাগিয়ে নেয়া ব্র্যাথওয়েটকে পরের ঘণ্টাতেই ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। দলের স্কোর তখন ২ উইকেটের খরচায় ১৩১ রান।
এর পরই উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন খালেদ আহমেদ। একই ওভারের প্রথম ও শেষ বলে রেইমন রিফার ও এনক্রুমাহ বুনারকে ফিরিয়ে রানের স্রোতে বাঁধ দেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটেনি উইন্ডিজের।
চার উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মায়ার্স ও ব্ল্যাকউড। যার ফলে চা বিরতির আগেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৪ রানের জবাবে লিড পায় স্বাগতিকরা। মেহেদি হাসান মিরাজ ব্ল্যাকউডকে ফেরালেও মায়ার্স শতক তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন। ছন্দে থাকা এ ব্যাটারকে থামাতে পারছে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য