চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ৩৯৭ রানের জবাবে ৪৬৫ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা। বাংলাদেশ পায় ৬৮ রানের লিড।
তিন উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দিনের প্রথম থেকে লঙ্কান বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন মুশফিক ও লিটন দাস।
এদিন মুশফিকের সামনে লক্ষ্য ছিল প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা। সেই সুযোগ লুফে নিতে বেশি সময় নেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
বুধবার চতুর্থ দিনের খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে মুশফিক প্রবেশ করেন পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে। সেই সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন লিডের দিকে। এ সময় ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে তাকে সঙ্গ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার কাজে সাহায্য করেন লিটন দাস।
শেষ পর্যন্ত লঙ্কার চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গে পার করে দুর্দান্ত এক সেশন।
বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। বিরতি থেকে ফেরার পর কাসুন রাজিথার ওভারের প্রথম বলে দিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৮৮ রান করা লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর আগের দিনের ইনজুরিতে পড়া তামিম নামেন মাঠে। ১৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মাঠে নেমে প্রথম বলে তাকে ফের ফিরতে হয় সাজঘরে। রাজিথার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প হারান তামিম।
দল তখন লিড থেকে মাত্র ১২ রান দূরে। এরপর মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে লিড পায় বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও শেষটা ভালো করতে পারেননি সাকিব। ২৬ করে উইকেটের পেছনে আভিস্কা ফার্নান্দোর হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ইনিংসের হিসেবে সেটি ১৯ ইনিংস পর।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২০২০ সালের নভেম্বরে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পান জাতীয় দলের উইকেকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করতে মুশফিক খেলেছেন ২৭০ বল।
তবে সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি মুশফিকের পক্ষে। ১০৫ রানে তাকে থামিয়ে দেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।
এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৪৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা। স্বাগতিকরা পায় ৬৮ রানের লিড।
আরও পড়ুন:Bangladesh have declared 🏏
— ICC (@ICC) May 18, 2022
Can they get some early breakthroughs before the end of play on day four? #WTC23 | #BANvSL | https://t.co/nDHiGIx8B5 pic.twitter.com/ryXl4xLhM3
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অস্থিরতার জের ধরে শঙ্কা জেগেছিল এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে। আর সেই শঙ্কার কারণে সম্ভাবনা জাগে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের।
শঙ্কার মেঘ কেটে গেছে দেশটিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে। ওই সিরিজের পর স্পষ্টতই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে শ্রীলঙ্কার আর কোনো সমস্যা নেই।
বিষয়টির সঙ্গে একমত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি আশাবাদী শ্রীলঙ্কাতেই হবে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর। যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী। বিষয়টি এসিসি পুরোপুরি দেখভাল করছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘মূলত এসিসি থেকেই সূচি আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের আয়োজক হওয়ার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠেছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’
এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বেশি চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেন সুজন।
তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।’
২৭ আগস্ট থেকে মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৬ জুলাই। দেশে ফিরে বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পাচ্ছেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এ মাসের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জাতীয় দল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজে থাকছে না কোনো টেস্ট।
চলতি মাসের শেষে দেশ ছাড়লেও সিরিজের সূচি এখনও জানানো হয়নি দুই বোর্ডের পক্ষে থেকে। এ সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো লম্বা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড শিগিগিরই সূচি প্রকাশ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে একটা সূচি চূড়ান্ত করেছি। যেহেতু জিম্বাবুয়ের বোর্ড স্বাগতিক, তারাই এর ঘোষণা দেবে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। জুলাইয়ের শেষ দিকে আমাদের দল যাবে। আগস্টের মধ্যে ৩টা ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি খেলে দল দেশে ফিরে আসবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে টাইগারদের জন্য সময় খুবই অল্প। এই স্বল্প সময়ের ভেতর ক্রিকেটারদের অনুশীলন ও ক্যাম্পের বিষয়েও জানান নিজামউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে। ক্রিকেট অপারেশনস, টিম ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র খেলোয়াড়, নির্বাচক, বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে ঠিক করে নেব। উইন্ডিজ সফরের পর থেকে এশিয়া কাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের সূচি ঠিক করে জানিয়ে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টের শেষ দিন নাটকের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। পঞ্চম দিন ইতিহাস তৈরিতে দুই অপরাজিত ব্যাটার সময় নেন দেড় ঘণ্টার কিছু বেশি। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ভারতকে শেষ টেস্টে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
টেস্ট জয় ও সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করতে প্রয়োজনীয় ১১৯ রান তুলে নেয় রুট-বেয়ারস্টো জুটি।
৩৭৮ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে, পঞ্চম দিন ৩ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দুই ব্যাটারের মধ্যে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকা রুট আগে সেঞ্চুরির দেখা পান। ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী খেলতে থাকা বেয়ারস্টো ১৩তম সেঞ্চুরির দেখা পান রুটের পর। ১১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে ২৬৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয় পাইয়ে দেয়ার পাশাপাশি একগাদা রেকর্ডও ভেঙেছেন দুই ব্যাটার।
তাদের এ জুটি টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। এছাড়া এজবাস্টনে ১২০ বছরের মধ্যে এ প্রথম চতুর্থ ইনিংসে কোনো দল ৩০০ পার হলো। এটিই টেস্ট ক্রিকেটের ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
এ ইনিংসে সেঞ্চুরি করে টানা ৪ টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বেয়ারস্টো। এ টেস্টে করেছেন জোড়া সেঞ্চুরি। হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আর জো রুটের এটি ভারতের বিপক্ষে নবম সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে আর কোনো ব্যাটার এতগুলো শতকের দেখা পাননি।
এ সিরিজ ২-২ এ ড্র হওয়ার ফলে ২০০৭ সালের পর এ প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় থেকে বঞ্চিত হলো ভারত।
এজবাস্টন টেস্টে আগে ব্যাট করে ৪১৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী দলের সংগ্রহ ছিল ২৪৫।
আর ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে, তাদের সামনে চতুর্থ দিন জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭৮।
আরও পড়ুন:জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ-এ দল। দেশ ছাড়ার আগে জাতীয় দলের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ও একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে তারা।
সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে খুলনায়। সিরিজটি খেলেই উইন্ডিজ যাবে এ-দল।
সূচি অনুযায়ী ১৬ জুলাই খুলনায় অনুশীলন শুরু করবে দুই দল। এরপর ১৯ ও ২১ জুলাই দুটি একদিনের ম্যাচে লড়বে এইচপি ও এ-দল। এরপর ২৪ জুলাই শুরু হবে তিন দিনের ম্যাচটি।
এরপরই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে এ-দল। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ-দলের বিপক্ষে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে কয়টি ম্যাচ খেলবে সেটি এখনও জানানো হয়নি বোর্ডের পক্ষ থেকে।
জাতীয় দলের পাইপলাইনকে শক্ত করতে নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বোর্ড ঢেলে সাজিয়েছে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট ও বাংলাদেশ টাইগার্স দল। ইতোমধ্যে একটি সিরিজও খেলেছে দুই দল। দুই দলের থেকে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠন করা হবে বাংলাদেশ-এ দল।
বর্তমানে দুই দলের ক্রিকেটাররা ছুটিতে। ঈদের ছুটি শেষে ঘোষণা করা হবে কারা যাচ্ছেন এ-দলের হয়ে উইন্ডিজ সফরে।
যারা এ-দলে জায়গা থাকছেন না তারা বসে থাকবে না। আগস্টে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন নিজেদের ভেতর সিরিজ খেলতে। সেই সময়টাতে তিন ফরম্যাটের সিরিজ খেলবে দুই দল।
আরও পড়ুন:প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের জন্য সমান ম্যাচ ফি। নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা এখন থেকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে কেইন উইলিয়ামসন–টম লেইথামদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন ।
এনজেডসি ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ মোট ছয়টি বড় অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যে চুক্তির আওতায় নারী ক্রিকেটাররা ৫ বছরের জন্য পুরুষদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন।
ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক সোফি ডিভাইন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া নারী খেলোয়াড়দের জন্য পুরুষদের পাশাপাশি একই চুক্তিতে স্বীকৃতি পাওয়া খুবই দারুণ একটি বিষয়। যা তরুন নারী ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করবে।’
পুরুষদের সমান প্রতি ওয়ানডেতে ৪ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার পাবেন নারী ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টিতে পাবেন ২,৫০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। আর টেস্ট ম্যাচে পাবেন ১০,২৫০ নিউজিল্যান্ড ডলার।
নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ফোর্ড ট্রফিতে ৮০০ ও সুপার স্ম্যাশে ৫৭৫ নিউজিল্যান্ড ডলার করে পান পুরুষ ক্রিকেটররা। যা এখন থেকে নারীরাও পাবেন।
এই নতুন চুক্তিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা এক বছরে ১৬৩,২৪৬ নিউজিল্যান্ড ডলার আয় করতে পারবেন। এটি আগে ছিল ৮৩,৪৩২ নিউজিল্যান্ড ডলার।
এছাড়া সর্বনিম্ন র্যাংকে থাকা ক্রিকেটারের বাৎসরিক ম্যাচ ফি হবে ১৪২,৩৪৬ ডলার (আগে ছিল ৬২,৮৩৩)।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ র্যাংকের খেলোয়াড় এখন থেকে বছরে ম্যাচ ফি পাবেন সর্বোচ্চ ১৯,১৪৬ নিউজিল্যান্ড ডলার। যা আগে ছিল ৩,৪২৩ ডলার।
নতুন এ চুক্তিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাড়ানো হচ্ছে নারী ক্রিকেটারের সংখ্যা। এনজেডসি এ ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৪ থেকে বাড়িয়ে ৭২ জন করেছে।
আরও পড়ুন:জুন মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা করে নেয়া ৩ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মাস সেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুইজন ও নিউজিল্যান্ডের এক ক্রিকেটার।
মাস সেরার দৌড়ে ঠাঁই পাওয়া দুই ইংলিশ ক্রিকেটার হলেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। তাদের সঙ্গে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ব্ল্যাকক্যাপ ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।
ক্রিকেটভক্তদের ভোট ও আইসিসির বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিচারে নির্বাচিত হন প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ। এর ভেতর ১০ শতাংশ নির্ধারিত হবে দর্শকের ভোটে, বাকি ৯০ শতাংশ বিশেষজ্ঞদের বিচারে। আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেয়া যাবে এই ভোট। সবার জন্য এটি উন্মুক্ত।
মাসজুড়েই রান ফোয়ারা ছুটেছে বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে। জুনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে তিনি করেছেন ৩৯৪ রান। জুনে তার ব্যাট থেকে গড়ে এসেছে ৭৮.৮০ রান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেয়ার অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। এরপর শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ১৫৭ বলে ১৬২ রানের ইনিংস আর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৭১ রান করে।
সেই সুবাদে এই ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটার জায়গা করে নিয়েছেন জুন মাসের সেরা ক্রিকেটারের তালিকায়।
এদিকে বেয়ারস্টোর সতীর্থ ও ইংল্যান্ড টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক জো রুট জুন মাসে ছিলেন রেকর্ড গড়ার মিশনে। একই সঙ্গে দুই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি গত মাসে।
রুটের রেকর্ড গড়ার শুরুটা হয় ১০ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের মধ্য দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় ইংলিশ ব্যাটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তারকা এই ব্যাটার। পাশাপাশি সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার আলিস্টার কুকের সঙ্গে যৌথভাবে নাম লেখান সবচেয়ে কম বয়সে (৩১ বছর ১৫৭ দিন) ১০ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা ক্রিকেটার হিসেবে।
তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মিডলঅর্ডার ব্যাটার ড্যারিল মিচেল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে ১০৭.৬০ গড়ে ৫৩৮ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন:টেস্টে কোনো দলের তৃতীয় ইনিংসে করা রানের পাহাড় টপকানো যেন মামুলি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের কাছে। যেকোনো লক্ষ্য চতুর্থ ইনিংসে হেসেখেলে পার করে দিচ্ছেন রুট-বেয়ারস্টোরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন টেস্টে সে নজির দেখিয়েছে ইংলিশরা। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তারা ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টেও।
এজবাস্টনে সিরিজের পঞ্চম টেস্টের নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিহাস গড়ার পথে হাঁটছে ইংল্যান্ড। ভারতের দেয়া ৩৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা।
জয়ের জন্য পঞ্চম দিনে বেন স্টোকসদের প্রয়োজন আর মাত্র ১১৯ রান। হাতে রয়েছে আরও ৭টি উইকেট। পঞ্চম দিন ১১৯ রান করে জয় বাগিয়ে নিলে ইংল্যান্ড ভাঙবে ১২০ বছরের রেকর্ড।
এজবাস্টনে এটিই হবে ১২০ বছরের ভেতর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রথম দল হিসেবে এই ভেন্যুতে ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহের রেকর্ডের হাতছানি।
চতুর্থ দিন শেষে ১১২ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত রয়েছে জো রুট। তাকে উইকেটে সঙ্গ দিয়ে দিন শেষ করেন জনি বেয়ারস্টো। তার সংগ্রহ ৮৭ বলে ৭২ রান।
তিন উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দিনের প্রথম সেশনে চার উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ইংল্যান্ডের হয়ে দিনের শুরুটা হয় স্টুয়ার্ট ব্রডের হাত ধরে। দিনের ১৩তম ওভারেই অ্যালেক্স লিসের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরত পাঠান চেতেশ্বর পুজারাকে।
এরপর একে একে মাঠ ছাড়েন শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্ট, শার্দুল ঠাকুর ও মোহাম্মদ সামি। দ্বিতীয় সেশনে আর বেশি সময় টিকতে পারেনি ভারতের ব্যাটাররা।
৮২ ওভারে ২৪৫ রানে তাদের আটকে দেন ইংলিশ বোলাররা। আর ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭৮ রানের।
মন্তব্য