অস্ট্রেলিয়ার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।
পুলিশের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে টাউনসভিলের বাইরে সড়কে নিহত হন সাবেক অলরাউন্ডার। অবসরের পর টাউনসভিলে থাকতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অ্যালিস রিভার ব্রিজের কাছে হার্ভে রেঞ্জ রোডে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সাইমন্ডস। রাত ১১টার পরপরই সড়ক থেকে পড়ে তার গাড়িটি উল্টে যায়।
খবর পেয়ে জরুরি সহায়তা কর্মীরা ক্রিকেটারকে প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্টে খেলেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন তিনি।
ক্লো ও বিলি নামের দুই সন্তান রয়েছে এ ক্রিকেটারের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সিডনি থেকে বিমানে চড়ে টাউনসভিলে যান সাইমন্ডসের স্ত্রী লরা। তিনি রোববার সকালে দ্য কুরিয়ার-মেইলকে বলেন, ‘আমরা এখনও শোকাচ্ছন্ন। আমি শুধু দুই সন্তানের কথা ভাবছি।
‘তিনি মহান এক মানুষ ছিলেন, যার অনেক কিছু পেয়েছে তার সন্তানরা।’
ক্রিকেটারদের শ্রদ্ধা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।
সাইমন্ডসের সতীর্থ উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট টুইটারে লেখেন, ‘এটা আসলেই ব্যথিত করেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মার্ক টেইলর বলেন, শেন ওয়ার্ন, রড মার্শ ও ডিন জোন্সের মৃত্যুর পর ‘এটা ক্রিকেটের জন্য আরেকটি বিষাদময় দিন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’
ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন, ‘সিমো...এটা (মৃত্যুর খবর) সত্যি মনে হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়েন পেইসার আবু জায়েদ রাহী। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল অন্য যারা তাদের নজরে আছেন সে সব বোলারদের চেয়ে রাহীর গতি কম। রাহী ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য চার জন পেইসার নির্বাচক প্যানেলের হাতে ছিলেন।
এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আনকোরা রেজাউর রহমান। তবে, শরীফুলের চোট দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েছে টাইগার ক্যাম্প।
আগে থেকে চোটে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। আর মুস্তাফিজুর রহমান লাল বলে খেলতে ইচ্ছুক নন। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ও সামনের মাসে শুরু হওয়া উইন্ডিজ সফরের জন্য সাকুল্যে বিসিবির হাতে আছে তিন জন পেইসার। যার মধ্যে রাজা জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন।
জাতীয় দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও স্বীকার করে নিলেন এ সংকট। ঢাকা টেস্ট তো বটেই উইন্ডিজের তিন ফরম্যাটের সফরের জন্য পেইস বোলার খুঁজে বের করতে হবে বিসিবিকে। অভিজ্ঞদের মধ্যে বোর্ডের কাছে রয়েছে আবু জায়েদ রাহী ও পেইস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
রাহী আপাতত নির্বাচকদের সুনজরে নেই। আর সাইফউদ্দিন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই শেষে ফিরেছেন বটে তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত নন। ফলে, ঘুরে ফিরে একজনের কথাই আসছে টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায়, মুস্তাফিজুর রহমান।
দরকার হলে একরকম জোর করেই ফিজকে টেস্টে খেলাবে বিসিবি। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে মুমিনুলের কথাতেও সে ইঙ্গিত।
অধিনায়ক বলেন, ‘আমি জানি না মুস্তাফিজ কয়টা টেস্ট খেলেছে। আমাদের দেশের কোনো পেইস বোলারই অভিজ্ঞ না। ওর বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন ফরম্যাটে খেলবে। যদি বোর্ড দেয় ডিমান্ড করে তাহলে অবশ্যই (টেস্টে) খেলবে।’
বিশেষ করে উইন্ডিজ সফরে যে মুস্তাফিজুরকে বাংলাদেশের দরকার তা একরকম পরিষ্কার জানালেন অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘যেটা দেখতে হবে মুস্তাফিজ লাল বলে কতদিন খেলেছে। অনেক কিছু নির্ভর করে। কতদিন খেলছে না খেলছে। আর ফিটনেসের একটা ইস্যু থাকে। যদি ওকে দরকার হয় তাহলে অবশ্যই খেলবে।আমাদের ফ্রণ্টলাইনার দুই পেইসার নাই, শরীফুল ও তাসকিন। যদি প্রয়োজন হবে তবে অবশ্যই মুস্তাফিজ খেলবে।’
ঢাকা টেস্টের পরপরই উইন্ডিজ সফরের জন্য দল ঘোষণা দেবে বিসিবি নির্বাচক প্যানেল।
আরও পড়ুন:১৫ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন নাঈম হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেন এ স্পিনার। তবে দূর্ভাগ্যজনকভাবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলা হচ্ছে না তার।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার দিমুথ করুনারত্নের শট থামাতে গিয়ে আঙুলের চোট পান ২২ বছর বয়সী এ তারকা। আঘাত নিয়ে পঞ্চম দিন বোলিংও করেন।
পরে স্ক্যানে দেখা গেছে তার আঙুলের হাড়ে ফাটল ধরেছে। যে কারণে ঢাকা টেস্টে তার খেলা হচ্ছে না।
নাঈমের চোটের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চিকিৎসক মানজুর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ওর ডান হাতের মধ্যমায় একটা হালকা ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে। যার কারণে তার থাকা হচ্ছে না সিরিজে দ্বিতীয় টেস্টে। আগামীকাল আমরা ওকে পরীক্ষা করাবো। এরপর বোঝা যাবে কয়দিন তার বিশ্রাম লাগবে।’
ঢাকা টেস্টে নাঈমের বদলি হিসেবে কে খেলবেন সেটা জানায়নি বিসিবি। এর আগে আঘাত পেয়ে ঢাকা টেস্ট ও সিরিজ থেকে ছিটকে যান পেইসার শরীফুল ইসলামও।
আরও পড়ুন:‘Go on, It’s your turn’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ডেকো সুপার ডুপার বিস্কুট-থার্টিন মিনিট ক্রিকেট টিপস’ অনুষ্ঠান। এ অনলাইন শোটি মূলত ক্রিকেট এর বিভিন্ন দিক যেমন, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ও ফিটনেস এর টিপস নিয়ে সাজানো।
এতে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ও বর্তমান সময়ের তারকা ক্রিকেটাররা। এছাড়াও থাকছেন সারা বাংলাদেশ থেকে ৩ জন করে শিক্ষানবিশ ক্রিকেটার।
মূলত ক্রিকেটের খুঁটিনাটি টিপস নিয়েই আয়োজন করা হতে যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে নিতে চান তাদের জন্য এই অনুষ্ঠান।
প্রতি শুক্রবার এ অনুষ্ঠান রাত ০৮ টায় জিডি স্পোর্টস ও ডেকো ফুডস লিমিটেড এর ফেসবুক পেজে এবং জিডি স্পোর্টস এর ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার হবে। প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে ২০ মে থেকে।
শেষ ১০ ইনিংসে জাতীয় দলের টেস্ট দলপতি মুমিনুল হকের ব্যাট হেসেছে মাত্র একবার। চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে। বাকি ৯ ইনিংসে মাত্র দুটি ইনিংসে তিনি ছুঁতে সক্ষম হয়েছেন দুই অঙ্কের রান।
বাকি সব ম্যাচে এক অঙ্কের রানে আটকে থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুমিনুলকে। শেষ পাঁচ ইনিংসের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে দেখা যায় মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৬ রান।
তারপরও নিজের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন জাতীয় দলের অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। মুমিনুল বলেন, ‘আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি অত বেশি চিন্তিত না।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। চতুর্থ দিনের মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে জয়ের স্বপ্ন জাগিয়েও সেটি অধরাই রয়ে গেছে বাংলাদেশের।
তবে মুমিনুলের মতে সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই ব্যাট করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
তিনি বলেন, ‘যদি পাঁচ দিনের খেলা দেখেন, ওদের আর আমাদের, এই উইকেটটা এমন একটা উইকেট ছিল যেখানে আপনি টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি বেশি এক্সাইটেড হয়ে যান তাহলে আপনার উইকেট পড়ার সম্ভাবনাটা কিছুটা বেড়ে যাবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর ওই সময়টাতে লিটন যদি আউট না হতো, তাহলে সেই চান্সটা আমরা নিতে পারতাম। কিন্তু সেই চান্সটা নিতে গিয়ে আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছিলাম। লিটন যদি আরও এক ঘণ্টা মুশফিক ভাইয়ের সাথে খেলতে পারত, তাহলে হয়তো আমরা অন্যরকম করতে পারতাম।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। একই সঙ্গে বল হাতে জ্বলে ওঠেন স্পিন বোলাররাও। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হলেও এটিকে অর্জন মনে করছেন টাইগারদের অধিনায়ক মুমিনুল হক।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের এক পর্যায়ে কোনঠাসা করে ফেলে স্বাগতিক দল। শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
ড্র করেও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। যে কারণে ম্যাচ শেষে খুব একটা আক্ষেপ নেই মুমিনুলের।
দলের সবার দলগত পারফরম্যান্সের কারণেই ভালো ফল এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানান অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেন, ‘সবাই রানের মধ্যে আছে। ব্যাটার হোক, বোলার হোক সবাই টিম হিসেবে খেলতে পেরেছে। আমি যেমনটা আগে বলেছি টিম হিসেবে খেললে আমরা বরাবর ভালো করি। অবশ্যই এটা কাজে দেবে। প্রাপ্তির জায়গা বলতে সবাই দলগতভাবে খেলতে পেরেছে এটাই ভালো লেগেছে।’
মিরপুর টেস্টের আগে খুব বেশিদিন সময় নেই মুমিনুল বাহিনীর। সোমবার শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট। তবে উইকেট দেখে সে টেস্ট নিয়ে পরিকল্পনা করবে থিংক ট্যাংক এমনটা জানালেন অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট আর এই উইকেট পুরো আলাদা। ঢাকা টেস্টে পরিকল্পনা ভিন্ন হবে সেটিই স্বাভাবিক, কারণ উইকেট ভিন্ন।’
বিশ্বের যেই কন্ডিশনেই খেলেন না কেন আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। এটা পুরো মানসিক বিষয়। আমরা চট্টগ্রামের উইকেট, ঢাকার উইকেটে সারাবছর খেলতে থাকি। চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকাতে বেশি খেলি। দলের সবাই জানেন যে কোনখানে স্পিন কিভাবে খেলতে হয়, পেইস কীভাবে খেলতে হয়।’
আরও পড়ুন:জুনের শেষ দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বহু আকাঙ্ক্ষার সেতুটি। এই পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সেই কাতারে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজাও।
পদ্মা সেতু নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মাশরাফি লেখেন, ‘দুটি ঈদের কথা উল্লেখ না-ই করলাম, তখন তো গোটা দেশ নিউজে দেখতে পায় কতটা কষ্ট করে মানুষ নদী পার হয়। কিন্তু শীতকালে যে কী অবস্থা হয়, সেটা কেবল তারাই বোঝে, যাদের এই অভিজ্ঞতা হয়। তার ওপর নানা সময়ে নিম্নচাপ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তো কথাই নেই, সারা রাত ফেরি বন্ধ।’
বিশেষ করে কোনো রোগী কিংবা তাদের পরিবারকে কতটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটাও তার স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন মাশরাফি।
তিনি যোগ করেন, ‘ওই পরিবার তখন কতটা অসহায় থাকে, কেউ ওই অবস্থায় না পড়লে বোঝা দায়। ঘাটেই রোগী মারা গেছে, ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো যায়নি, এ রকম নজির আছে অনেক। প্লেনে বা হেলিকপ্টারে রোগী আনার সামর্থ্য কজনেরইবা আছে!’
পদ্মা সেতু চালু হলে এ সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন মাশরাফি। যে কারণে এ সেতুকে স্থানীয়দের আবেগের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মাশরাফি যোগ করেন, ‘অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে, অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কোটি কোটি মানুষের কাছে এটা স্বপ্নের চেয়েও বড় কিছু। অনেকে কখনও কল্পনাও করতে পারেননি, জীবদ্দশায় পদ্মার ওপর সেতু দেখতে পাবেন। এটা স্রেফ ইট-সিমেন্টের সেতু নয়, এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এটা অনেক আবেগ-অনুভূতির প্রতিশব্দ।’
সবশেষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান টাইগারদের এ কিংবদন্তি অধিনায়ক। পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাশরাফি লেখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমার রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন পড়ে না। সমস্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে সবার থেকেই একটি ধন্যবাদ অন্তত আপনার প্রাপ্য।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দুই দলের অধিনায়কের সম্মতিতে শেষ সেশনে ড্র হয় দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টটি।
বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬ উইকেটে ২৬০ রানের সময় দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নেন।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত লিড।
লিড এনে দিয়ে দুই ব্যাটার ব্যাট চালানো শুরু করেন বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্যে। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তাইজুল দিনের প্রথম আঘাত হানেন লঙ্কান শিবিরে; তুলে নেন কুশল মেন্ডিসের উইকেট।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতে সফরকারীদের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন এ স্পিনার। তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর বিপদ ঘটেনি সফরকারীদের। যার ফলে ১২৮ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে ৫২ রানে আউট করেন তাইজুল। লঙ্কানরা হারায় তাদের ৫ম উইকেট।
এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি ছিল তার প্রথম উইকেট। ডি সিলভার উইকেট পতনের পর সম্ভাবনা জাগে শ্রীলঙ্কাকে অল্পতেই অল আউট করে দেয়ার।
দৃশ্যপট বদলে দেন দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা মিলে। উইকেট কামড়ে ধরে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে কাল ক্ষেপণ করতে থাকেন। একই সঙ্গে ম্যাচের ফল নিয়ে যেতে থাকেন ড্রয়ের দিকে।
শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে ২৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য