দরজার কড়া নাড়ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে। রোববার থেকে মাঠে গড়াবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৩ মে। এরপর বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পাবেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়াল দেয়ার।
সম্প্রতি ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন চলছে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটিই হতে যাচ্ছে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষ সিরিজ। যদিও বিষয়টি কেবল গুঞ্জনের কাতারেই রয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বোর্ড বা মুশির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
এই গুঞ্জনকে একদমই উড়িয়ে দিচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মুশফিকের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন না তারা। এমনকি এ বিষয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনাও হয়নি নির্বাচকদের বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সিরিজ চলাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা ঙ্করে দিবেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
নান্নু বলেন, ‘এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের এখন কোনো আলোচনাই হয়নি। আমরা দল নিয়ে মাত্র আলোচনা করছি। আগামী সপ্তাহে আমরা স্কোয়াড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের) দিয়ে দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা প্রায় এগিয়ে রেখেছি। ওখানে তিনটা ফরম্যাট আছে। আর যেহেতু লজিস্টিকের একটা বিরাট কাজ আছে আর সে হিসেবে আমরা আগে থেকে এগিয়ে রাখছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে তিন ফরম্যাটের স্কোয়াড দিয়ে দেব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাক টু ব্যাক তাদের খেলতে হবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। সেই মোতাবেক ক্যারিবীয়ান সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করার কথা ভাবছেন জাতীয় দলের এই নির্বাচক।
নান্নু বলেন, ‘প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে বেশি ম্যাচ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। তারপর এশিয়া কাপ, তারপর ওয়ার্ল্ডকাপ। এটা মাথায় রেখেই আমরা আগাচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু হবে। দলতো দ্বিতীয় টেস্টের মাঝেই দিতে হবে কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমন একটা জায়গা যেখানে লজিস্টিকের অনেক কাজ থাকে।’
সিরিজ চলাকালীন অন্য সিরিজের দল ঘোষণার কারণে স্বভাবতই বাদ পড়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের চলতি সিরিজে পারফরম্যান্স করা নিয়ে সন্দেহ জাগে। সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক। তবে নান্নু মনে করেন ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত থেকে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলার বিকল্প নেই।
নান্নু বলেন, ‘মানসিকভাবে প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে সেভাবেই এগোতে হবে। সুতরাং এতে কারও হীতে বিপরীত হওয়ার কিছু নেই। ওভাবেই কাজটা করতে হবে, নেতিবাচকভাবে নেওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় টেস্টের আগেই দল দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
সব কিছু ঠিক থাকলে ঢাকা টেস্টের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ফরম্যাটের দল ঘোষণা করবে বিসিবি। সিরিজটি খেলতে জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে টাইগারদের।
আরও পড়ুন:ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নবনির্বাচিত সভাপতি গ্রেগ বার্কলে দু’দিনের সফরে রোববার ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আইসিসি সভাপতি। সোমবার হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করেন বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্টের প্রথম দিনের ম্যাচ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার ক্রিকেটপ্রেম দেখে মুগ্ধ হন আইসিসি সভাপতি। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যে এতোটা খেলা-পাগল হতে পারেন সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না বার্কলের।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। একইসঙ্গে তিনি জানান, লিটন ও মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসের পর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাপন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে গ্রেগ চমকে গেছেন এটা দেখে যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটকে এতোটা ভালোবাসেন। এমনকি যখন আমরা হেলিকপ্টারে ছিলাম, লিটন যেই মুহূর্তে সেঞ্চুরি করল, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন- লিটনকে অভিনন্দন। আমি তো দেখতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ আগেরবার লিটন অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছে। তাই দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম।
‘এরপর আপার দ্বিতীয় মেসেজ দেখলাম- মুশফিককে অভিনন্দন। এরপর অনেক মেসেজ পাঠিয়েছেন। এটা গ্রেগের জন্যও একটা অভিজ্ঞতা। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
সোমবার দিনের প্রথম সেশনে ২৪ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর লিটন-মুশফিকের রেকর্ডগড়া ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটারের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ২৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:ইনিংস শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ যখন পালছেঁড়া নৌকার মতো দিশেহারা, সে সময় ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে স্বাগতিকদের খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। রেকর্ড ২৫৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি গড়ে তারা দলকে কেবল বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেননি, বাঁচিয়েছেন লজ্জার হাত থেকেও।
মুশফিক ও লিটনের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে দিন শেষে সেই পাঁচ উইকেট হারিয়েই ২৭৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দলের বিপর্যয়ে শক্ত হাতে হাল ধরে লিটন বাগিয়ে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। অপরদিকে মুশফিক পান টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতকের দেখা। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরির দেখা পান অনিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার।
দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও দুর্দান্ত ইনিংস খেলার সুবাদে ক্রিকেট পাড়ায় চলছে মুশফিক ও লিটনের বন্দনা।
ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে সেই স্তুতি চলছে সংবাদমাধ্যমেও। পিছিয়ে নেই জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও। দিন শেষে তার মুখে তাই শোনা গেল রেকর্ড গড়া এই জুটির প্রশংসা।
মুশফিক-লিটন জুটিকে নিজের দেখা সেরা জুটি বলে মন্তব্য করেন প্রোটিয়া এই কোচ।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ারে টেস্টে দেখা এটাই সবচেয়ে সেরা জুটি। ২০ রানেই আমাদের পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছিল। অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। দুই ব্যাটারের এটা অসাধারণ চেষ্টা ছিল। অবশ্যই আমরা সকালে ভালো শুরু করতে পারিনি। কিছু ভুল শট ছিল। টেস্ট ক্রিকেট কঠিন। দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে ছেলেরা অসাধারণ স্কিল দেখিয়েছে।’
দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দিনের বাকি সময়টা পার করেছে কোনো উইকেট না খুইয়ে। দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
আরও পড়ুন:ঢাকা টেস্টে লঙ্কান পেইসারদের শুরুর তাণ্ডবলীলার রেশ কাটিয়ে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রেখে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে ২৭৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট।
দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫* রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকে লঙ্কান পেইসারদের তাণ্ডবে চুরমার হয়ে যেতে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৪ রান তুলতে সাজঘরে ফিরতে হয় পাঁচ টাইগার টপ অর্ডারকে।
ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলে কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
সেই রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় সঙ্গী তামিম ইকবালকেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশা দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই ব্যাট চালাতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। ১৪৯ বলে পাঁচ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার। অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার। ছিল না কোনো ছক্কা।
লিটনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও দলের বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
দুর্দান্ত সেই শতকের দেখা পেতে মুশফিককে খেলতে হয় ১১৮টি বল। যেখানে ছিল তার ১১টি চারের মার। পুরো ইনিংসে একটি ছক্কাও মারেননি তিনি।
এই দুই ব্যাটার ষষ্ঠ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। তাদের গড়া ২৫৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের জুটিটি ছিল ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর নিজের ছন্দ ধরে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার ও লিটন দাসের শতরানে বিপর্যয় থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন সকালে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা এ ব্যাটারের। দিনের তৃতীয় সেশনে সেঞ্চুরি পান লিটন ও মুশফিক।
লিটনের সেঞ্চুরির পর বলে মুশিও তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক।
সেঞ্চুরি বাগিয়ে নিতে এবারও বেশ ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে দেখা গেছে মুশিকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতক তুলে নিতে মুশফিক খেলেন ২১৭ বল। অনবদ্য সেই ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। কোনো ছক্কা হাঁকাননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এর ভেতর একটি রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টের চেয়ে কিছুটা দ্রুতগতির ছিল মুশফিকের দ্বিতীয় ম্যাচের এই সেঞ্চুরিটি।
দুই ব্যাটার সেঞ্চুরির সঙ্গে পূর্ণ করেছেন দুই শ রানের জুটিও। ৩৬৮ বলে এসেছে তাদের দ্বিশত রানের জুটি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের নৌকাটা ডুবে যেতে বসেছিল প্রথম ঘণ্টায়ই। ডুবতে বসা দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে ৫ ইনিংস পর অনবদ্য আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন।
ঢাকা টেস্টের শেষ সেশনে ১৪৯ বলে লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সবশেষ চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ঢাকা টেস্টে পেলেন সেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা।
লিটনের সঙ্গি মুশফিকও ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে।
ঢাকা সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গণভবনে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই আশ্বাস দেন।
বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আইসিসি সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
আইসিসির সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আইসিসি চেয়ারম্যানকে শেখ হাসিনা বলেন, তার পুরো পরিবারই ক্রীড়ামোদী। কারণ, তার দাদা, বাবা ও ভাইয়েরা খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের অসাধারণ নৈপুণ্যের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের গত সাত বছরের পারফরম্যান্স তাকে বাংলাদেশ সফরে অনুপ্রাণিত করেছে, যাতে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।’
প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানকে ৯ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের কথা উল্লেখ করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী ক্রিকেটের উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিবে।’
বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচের উন্নয়নে সহায়তা করারও অঙ্গীকার করেন বারক্লে।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক এক পরিচালক দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বারক্লে। ঢাকায় এসে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। লিটন মুশফিকের গড়ে তোলা প্রতিরোধে চা বিরতির আগে দেড় শ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৩ রান।
৬২ রানে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে আছেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭২ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার।
এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটের খরচায় চা বিরতি পর্যন্ত ১৫৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য